১. প্রাথমিক নির্বাচন (Primary Election) ও প্রাইমারি ককাস:
২. জাতীয় সম্মেলন (National Convention):
৩. প্রচারণা (Campaigning):
৪. সাধারণ নির্বাচন (General Election):
ইলেকটোরাল কলেজ হলো একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা যা যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। এই ব্যবস্থায় জনগণের সরাসরি ভোটের পরিবর্তে নির্বাচিত প্রতিনিধি বা ইলেক্টররা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন।
১. ভোট গণনা: জনগণের ভোট গণনা হয় প্রতিটি রাজ্যে আলাদাভাবে। সাধারণত নির্বাচন রাতেই বেশিরভাগ গণনা সম্পন্ন হয়।
২. ইলেকটোরাল কলেজের ভোট: জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইলেক্টররা ডিসেম্বরে ভোট প্রদান করেন এবং ফলাফল কংগ্রেসে পাঠানো হয়।
৩. কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক গণনা: জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকটোরাল ভোট গণনা করে এবং নতুন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
১. প্রাথমিক নির্বাচন এবং ককাস → ২. জাতীয় সম্মেলন → ৩. প্রচারণা → ৪. সাধারণ নির্বাচন → ৫. ইলেকটোরাল কলেজে ভোট প্রদান → ৬. কংগ্রেসে ইলেকটোরাল ভোটের গণনা → ৭. ফলাফল ঘোষণা
এই প্রক্রিয়াগুলি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিটি ধাপের ভূমিকা এবং কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ নভেম্বর ২০২৪, অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি দেশটির ৬০তম চতুর্বার্ষিক নির্বাচন, যেখানে নাগরিকরা চার বছরের জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
প্রধান প্রার্থীরা:
কমলা হ্যারিস (ডেমোক্র্যাটিক পার্টি): বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজকে তার রানিংমেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প (রিপাবলিকান পার্টি): সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তার রানিংমেট হিসেবে ওহাইওর সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে মনোনীত করেছেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে কোনো প্রার্থীকে জয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা তাদের কংগ্রেস সদস্যের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে।
দোদুল্যমান রাজ্যসমূহ:
নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে কিছু দোদুল্যমান রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লোরিডা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং অ্যারিজোনা। এই রাজ্যগুলিতে উভয় প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা প্রায় সমান, তাই প্রচারণায় এগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নির্বাচনের গুরুত্ব:
এই নির্বাচন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, বৈশ্বিক রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কূটনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন প্রশাসনের নীতিমালা বিশ্বব্যাপী প্রভাবিত করবে।
নির্বাচনী ফলাফল:
নির্বাচনের ফলাফল সাধারণত নির্বাচনের রাতেই প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট গণনা এবং কংগ্রেসে অনুমোদনের পর ফলাফল নিশ্চিত হয়। নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের সর্বশেষ তথ্য ও ফলাফলের জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম অনুসরণ করা উচিত।
নির্বাচনের ফলাফল এখনও গণনা চলছে এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। সর্বশেষ তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম বা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুসরণ করুন।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লাইভ ফলাফল দেখতে আপনি নিম্নলিখিত নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
বাংলা ভাষায় লাইভ আপডেটের জন্য আপনি প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, বা ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যম পেজগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
সর্বশেষ ও সঠিক তথ্যের জন্য এই নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমগুলো অনুসরণ করা উচিত।