ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ টেস্ট করা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
36
36

২.৭ ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট সমূহ টেস্ট করা

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট টেস্ট করা এবং একটি কাজ
সম্পাদনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট গুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে পারব।

Content added By

ইলেকট্রনিক্স

12
12

২.৭.১ ইলেকট্রনিক্স (Electronics)

ইলেকট্রন শব্দটি থেকে ইলেকট্রনিক্স কথাটির উৎপত্তি হয়েছে। সব পদার্থের মাঝেই ইলেকট্রন থাকে। আর এই ইলেকট্রন সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে বলা হয় ইলেকট্রনিক্স। বিজ্ঞানের যে শাখায় ইলেকট্রনের প্রবাহকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রনের কৌশল শেখানো হয় বা তার প্রবাহকে নিয়ে গবেষনা করা হয়, সেই শাখাকেই বলা হয় ইলেকট্রনিক্স ।

RAC Trade - এ ইলেকট্রনিক্স এর গুরুত্ব

বর্তমানে প্রায় সকল রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার নিয়ন্ত্রণ করা হয় রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বা ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এর মাধ্যমে। তাই আর এসি টেকনিশিয়ানদের রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার কন্ডিশনার সঠিক ভাবে নৈপুণ্যতার সাথে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য অবশ্যই বেসিক ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কে জানা প্রয়োজন ।

কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য ( Some of Electronics Goods) 

TV, Radio, RCR, VCD, DVD, Computer, Telephone, Fax Mobile Phone ইত্যাদি।

 

 

Content added By

ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট ও টেস্টিং

12
12

২.৭.২ ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত কম্পোনেন্ট ও টেস্টিং

রেজিস্টর (Resistor) 

রেজিস্টর ইলেকট্রনিক্স কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পোনেন্ট যা সার্কিটে তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়। কোন সার্কিটে একটি নির্দিষ্ট পরিমান ভোল্টেজ পাওয়ার জন্য সাপ্লাই ভোল্টেজের পথে ড্রপ ঘটানোর জন্য রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। রেজিস্টরকে R দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

Content added By

রেজিস্ট্যান্স

41
41

২.৭.৩ রেজিস্ট্যান্স

রেজিস্ট্যান্সের বাংলা অর্থ হচ্ছে রোধ বা বাধা। বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে রোধ বলতে আমরা ইলেকট্রন প্রবাহের পথে বাধাকে বুঝি । সুতরাং বলা যায় পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য তার মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাকে ঐ পদার্থের রেজিস্ট্যান্স বলে। সব পদার্থের মধ্যে কিছু না কিছু রেজিস্ট্যান্স থাকে। যে পদার্থের রেজিস্ট্যান্স যত বেশি সেই পদার্থের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ তত কম। রেজিস্ট্যান্সের একক ওহম। এর প্রতীক ।

রেজিস্টরের প্রকারভেদ: রেজিস্টর প্রধানত দুই প্রকার- 

• অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর (Fixed Resistor) • পরিবর্তনশীল রেজিষ্টর (Variable Resistor) অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর ( Fixed Resistor): যে রেজিস্টরের মান পরিবর্তনশীল নয় তাকে অপরিবর্তনশীল বা ফিক্সড রেজিস্টর বলে। গঠন প্রনালীর ভিন্নতা অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর পাওয়া যায়। যেমন-

• কার্বন ফিল্ম রেজিস্টর
• মেটাল ফিল্ম রেজিস্টর
কার্বন কম্পোজিশন রেজিস্টর: ১ ওহম থেকে ২০ মেগাওহম এবং ১/৮ ওয়াট থেকে ২ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়া যায়।
• ওয়্যার উন্ড রেজিস্টর: এই ধরনের রেজিস্টর সাধারনত ১ওহম থেকে ১০০ কিলোওহম পর্যন্ত এবং ৫ ওয়াট থেকে ২০০ ওয়াট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্যবহার: ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশে ভোল্টেজ ড্রপ এবং কারেন্ট কমানোর জন্য অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়।
পরিবর্তনশীল রেজিষ্টর (Variable Resistor): যে রেজিষ্টরের মান পরিবর্তনশীল বা মানের পরিবর্তন করা যায় তাকে পরিবর্তনশীল বা ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর বলে।

শ্রেণীবিভাগ: রেজিস্ট্যন্সের মানের পরিবর্তনের হার অনুযায়ী এই ধরনের রেজিস্টরকে দুই ভাগে ভাগ করা
যায়-

• লগ্‌ টাইপ                            • লিন টাইপ ৷

ব্যবহার: রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডারের ভলিয়ম কন্ট্রোলে এই ধরনের রেজিস্টর ব্যবহার করা হয় ।

কালার কোডের সাহায্যে রেজিস্টরের মান বের করার ছক 

বি: দ্র: রেজিস্টরের প্রথম ডিজিটে কখনও কালো, সোনালী, রুপালী ও রংহীন হয় না। রেজিস্টরে যে অংশে ঘন রং আছে সেই অংশ থেকে গণনা শুরু করতে হবে। 

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বেসিকস র আরএ

রেজিস্টর পরীক্ষা

ওহস মিটার দিয়ে রেজিস্টর পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করার আগে রেজিস্টরের মান কালার কোডের সাহায্যে বের করে নিতে হবে। তারপর যে মানের রেজিস্টর পরীক্ষা করতে হবে তার চেয়ে বেশি রেছে সিলেক্টর সুইচ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর মিটারের দুইটি প্রোব রেজিস্টরের দুই প্রান্তে ধরে মিটারের ডায়াল থেকে মাল বের করতে হবে। এই মান যদি রেজিস্টরের নির্দিষ্ট মানের থেকে কম বা বেশি হয় তাহলে রেজিস্টরটি নষ্ট হিসাবে গন্য করা হয়। উল্লেখ্য, এখানে রেজিস্ট্যান্সের টলারেন্স বিবেচনা করতে হবে।

 

Content added By

ক্যাপাসিটর

18
18

২.৭.৪ ক্যাপাসিটর (Capacitor)

দু'টি পরিবাহী পাতকে যদি একটি অপরিবাহী মাধ্যমে পৃথক বা আলাদা করা হয় এবং ব্যবস্থাটি যদি বিদ্যুৎ শক্তি ধরে রাখতে পারে তবে সেই ব্যবস্থাকে ক্যাপাসিটর বলে। অর্থাৎ ক্যাপাসিটর এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে ইলেকট্রিক্যাল শক্তিকে ধারণ করে রাখা যায়। ক্যাপাসিটরের একক ফ্যারাড । একে F যারা প্রকাশ করা হয়। ক্যাপাসিটর বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে পারে। ক্যাপাসিটরের এই চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতাকে ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স বলে। কোন ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স এক ফ্যারাড তখনি বলা হবে যখন ক্যাপাসিটরের প্লেট দু'টো এক চার্জ কুলম্ব সঞ্চয় করলে যদি প্লেট দু'টির বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হয়

চিত্র ২.২১ : ক্যাপাসিটর

ক্যাপাসিটরের কাজ (ভি সি সরবরাহের ক্ষেত্রে) 

 যখন ক্যাপাসিটরের মধ্যে ডি সি সাপ্লাই দেয়া হয়, তখন ডি. সি সাপ্লাই এর পজেটিভ আয়ন কাপাসিটরের পজেটিভ প্লেটে জমা হয় এবং নেগেটিভ আরন ক্যাপাসিটরের নেগেটিভ প্লেটে জমা হয়। উক্ত প্রক্রিয়ার পজেটিভ এবং নেগেটিভ আয়ন দিয়ে ক্যাসিটরের প্লেট দু'টি চার্জ পূর্ণ হলে সরবরাহ থেকে আর চার্জ গ্রহণ করে না। সেই সময় ব্যাটারী থেকে আর কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। এমতাবস্থার ক্যাপাসিটর চার্জ পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হয়। এখন ক্যাপাসিটরের টার্মিনালে কোন লোড সংযোগ করলে ক্যাপাসিটর লোডে কারেন্ট প্রবাহিত করে ডিসচার্জ হয়। এই ভাবে ক্যাপাসিটর ডি. সি সরবরাহে কাজ করে।

ক্যাপাসিটরের কাজ (এ. সি সরবরাহের ক্ষেত্রে)

যখন ক্যাপাসিটরে এ. সি সাপ্লাই দেয়া হয়, তখন ক্যাপাসিটরের পজেটিভ প্লেট পজেটিভ হাফ সাইকেল দিয়ে চার্জ হয়। আবার পরক্ষণে নেগেটিভ হাফ সাইকেল দিয়ে ক্যাপাসিটরের নেগেটিভ প্লেট চার্জ যুক্ত হয়। পরবর্তী সাইকেলে পজেটিভ প্লেটে নেগেটিভ ইলেকট্রন এবং নেগেটিভ প্লেটে পজেটিভ ইলেকট্রন প্রবাহিত হলে ক্যাপাসিটর ডিসচার্জ হতে থাকে। ক্যাপাসিটরে এসি সাপ্লাই সরবরাহ করলে এই ভাবে অনবরত চার্জ এবং ডিসচার্জ হতে থাকে।

চিত্র ২.২২: ক্যাপাসিটর

ক্যাপাসিটরের প্রকারে

ক্যাপসিটর সাধারণত দুই প্রকার-

 • ফিক্সড ক্যাপাসিটর (Fixed Capacitor) • ভেরিয়েবল ক্যাপাসিটর (Variable Capacitor)

ফিক্সড ক্যাপাসিটর কে আবার হয় ভাগে ভাগ করা যায়-

• পেপার ক্যাপাসিটর (Paper Capacitor)                        • পলিয়েস্টার ক্যাপাসিটর (Polyeater Capacitor)
• এয়ার গ্যাপ ক্যাপাসিটর ( Air gap Capacitor)              • মাইকা ক্যাপাসিটর (Mica Capacitor)

• সিরামিক ক্যাপাসিটর (Ceramic Capacitor)                • ইলেকট্রোলাইটিক ক্যাপাসিটর (Electroline Capacitor)

ভ্যারিয়েবল ক্যাপাসিটর তিন প্রকার-

• ট্রিমার ক্যাপাসিটর (Tremer Capacitor)               • গ্যাং ক্যাপাসিটর (Gang Capacitor)

• প্যাডার (Padder Capacitor)

ক্যাপাসিটরের ব্যবহার

• রেডিও, টেলিভিশনের টিউনিং সার্কিটে
• ডি কাপলিং বাইপাস সার্কিটে
• অসিলেটর এবং ফ্রিকোয়েন্সি ডিটারমিনিং সার্কিটে
• বিভিন্ন সার্কিটে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখার জন্য
• ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ফিল্টার হিসেবে
• ইলেকট্রিক্যাল মোটরের স্টার্টিং টর্ক উৎপন্ন করার জন্য এবং মোটরের ফেজ এ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করার জন্য ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়

ক্যাপাসিটর টেষ্ট

ওহম মিটারের সাহায্যে ক্যাপাসিটর টেষ্ট করা হয়। ক্যাপাসিটর কম মানের হলে মিটার উচ্চ রেঞ্জে সেট করতে হবে। আর ক্যাপাসিটর উচ্চ মানের হলে ওহম মিটারের নবটি কম রেঞ্জে সিলেক্ট করতে হবে। এবার মিটারের প্রোবদু'টি ক্যাপাসিটরের দুই টার্মিনালে সংযুক্ত করলে বেশি মানের ক্যাপাসিটরের ক্ষেত্রে মিটারের পয়েন্টারের ডিফ্লেকশন বেশি এবং কম মানের ক্যাপাসিটরের ক্ষেত্রে মিটারের পয়েন্টারের ডিফ্লেকশন কম হবে। ওহম মিটারের কাঁটা দ্রুত ডিফ্লেকশন দেয়ার পর যদি আস্তে আস্তে অসীম স্থানে আসে তাহলে বুঝতে হবে ক্যাপাসিটর ভাল আছে । যদি দ্রুত আসীম চলে আসে তাহলে বুঝতে হবে ক্যাপাসিটরে লিকেজ আছে। আর যদি একেবারে না আসে তাহলে বুঝতে হবে ক্যাপাসিটর শর্ট আছে ।

 

Content added By

ইন্ডাক্টর

23
23

২.৭.৫ ইন্ডাক্টর (Inductor)

কোন পরিবাহী তারের কুন্ডলীকে ইন্ডাক্টর বলে। তাই কয়েলের আর এক নাম ইন্ডাক্টর। এই কুন্ডলী যদি কোন
চৌম্বক পদার্থের উপর জড়ানো হয় তাহলে তার ইন্ডাক্টেন্স বা আবেশাঙ্ক বেড়ে যায়। আবেশাঙ্ক হচ্ছে কোন এক যন্ত্রাংশ বা সার্কিটের এমন একটা ধর্ম, সেখানে তড়িৎ প্রবাহের কোন রকম তারতম্য ঘটলে তাতে সে বাধার সৃষ্টি করে। কারণ এ ধরনের পরিবর্তন চৌম্বক-ক্ষেত্রের তীব্রতর তারতম্য ঘটায়। ইন্ডাক্টরের একক হেনরী। হেনরীকে সংক্ষেপে H লেখা হয়। ইন্ডাক্ট্যান্সকে L দিয়ে প্রকাশ করা হয়। কোন কয়েলের ইন্ডাক্টেন্স ১ হেনরী তখনই বলা হবে, যখন তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট সেকেন্ডে ১ অ্যাম্পিয়ার হারে পরিবর্তিত হবে এবং ১ ভোল্টের একটা তড়িৎ চালক বলকে আবিষ্ট করবে।

ইন্ডাক্ট্যান্স (Inductance) 

ইন্ডাক্ট্যান্স বা আবেশাঙ্ক হচ্ছে ইন্ডাক্টরের ধর্ম, যার জন্য সে এসি (A.C) কারেন্টের কোন রকম পরিবর্তনে বাধার সৃষ্টি করে। সুতারং ইন্ডাক্টরের প্রবনতা হচ্ছে অল্টারনেটিং কারেন্টকে বাধা দেয়া। কিন্তু ডাইরেক্ট কারেন্টের (D.C) উপর এর কোন প্রভাব নেই। এর ভেতর দিয়ে ডিসি বিনা বাধায় যেতে পারে।

                                         ইন্ডাক্টেন্স = ফ্লাক্স পিকেল/কারেন্ট উৎপাদক ফ্রান্স × ১০* হেনি

ইন্ডাক্টরের প্রকারভে 

• কোর মেটারিয়াল এয়ার কোর বা আয়রন কোর
• গ্রিকোরেপী- অডিও বা রেডিও
• প্রয়োগ পাওয়ার সাপ্লাই ফিল্টার, পিকিং কয়েল, লিনিয়ারিটি কয়েল ইত্যাদি -
• ওয়্যাইন্ডিং এর পদ্ধতি - সিঙ্গেল লেয়ার, মাল্টি লেয়ার, পেঙ্কো, পাই সেক্সান ইত্যাদি

ইন্ডাক্টরের ইন্ডাস্ট্যাল নিচে উল্লেখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে 

• কয়েলের ভারের প্যাচের সংখ্যার উপর
• কয়েলের আকৃতি ও আয়তনের উপর
• প্রতি প্যাচের মধ্যে দূরত্বের উপর এবং
• কয়েলের মধ্যে অবস্থানরত পদার্থের উপর

ইন্ডাক্টরের ব্যবহার

রেডিও, টেলিভিশন, টুইন ওয়ান ইত্যাদির আর এফ করেন (RF Coil), আই এফ কয়েলে (IP Coil) এবং অসিলেটর করেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়
• রিলে, ওয়াট মিটারে, অ্যামিটারে, ঢোক করেল হিসেবে এবং বৈদ্যুতিক চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়

 

Content added By

ডায়োড

12
12

২. ৭.৬ ডাব্রোড (Diode)

ইলেকট্রনিক্সে ডায়োড একটি দুই প্রাপ্ত বিশিষ্ট উপাদান যা বিদ্যুৎ প্রবাহকে কোন নির্দিষ্ট এক দিকে প্রবাহিত করে এবং বিপরীত দিকের বিদ্যুৎ প্রবাহকে বাধা প্রদান করে। ডায়োড বলতে মূলত সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডকেই বোঝানো হয়।

সেমিকন্ডাক্টর ভারো 

একটি পি টাইপ এবং একটি এন টাইপ সেমিকন্ডারের সমন্বয়ে এই ডিভাইস তৈরি হয়। এই পি এবং এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের সংযোগ স্থলকে জাংশন (সি- এন জাংশন) বলে। পি-এন জাংশনে প্রচলিত অর্থে ভড়িৎ প্রবাহের দিক হচ্ছে পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টর থেকে এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের দিকে। এর বিপরীত দিকে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে না। এই ডিভাইস তৈরি করার জন্য অর্ধপরিবাহী হিসেবে সিলিকন এবং জার্মেনিয়াম ব্যবহার করা হয়। 

ডায়োডের শ্রেণি বিভাগ 

• জেনার ডায়োড: বিভব নিয়ন্ত্রন করার কাজে, এনালগ এবং ডিজিটাল সার্কিটে ব্যবহার করা হয়। • ভ্যারাকটর ডায়োড টিভি এবং রেডিও টিউন কারার জন্য ব্যবহার করা হয়।
• লাইট ইমেটিং ডারোড কাউন্টার, ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ঘড়ি এবং যে সমস্ত ক্ষেত্রে দৃশ্য এবং অদৃশ্য আলোর ব্যবহার হয় সেই সকল স্থানে এটি ব্যবহৃত হয়।
• ফটো ভারোড: আলো বা ভাপ পরিমাপের কাজে, সূর্যের আলোকে কারেন্টে রূপান্তর করে ব্যাটারী চার্জ করার কাজে, সিনেমা ফিল্মে আলোর তীব্রতা দ্রুত পরিবর্তন করার কাজে ফটো ডায়োড ব্যবহৃত হয়।

ভারোডের কার্যপ্রণালী: একটি ডায়োডের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হবে কিনা তা নির্ভর করে তার উপর প্রযুক্ত বহি ভোল্টেজের উপর যা দুই ভাবে হতে পারে-

• সম্মুখী ঝোঁক বা ফরোয়ার্ড বায়াস
• বিমুখী ঝোঁক বা রিভার্স বারাস

সম্মুখী ঝোঁক (Forward Bias) 

বহি ভোল্টেজ যদি এমন ভাবে প্রয়োগ করা হয় যেন, বিদ্যুৎ উৎসের ধনাত্বক প্রাপ্ত ডায়োডের পি প্রান্তের সাথে এবং বিদ্যুৎ উৎসের ঋনাত্বক প্রাপ্ত ডায়োডের এন প্রাপ্তের সাথে যুক্ত থাকে তবে তাকে সম্মুখী ঝোঁক বা ফরোয়ার্ড বায়াস বলে।

বিমুখী ঝোঁক (Reverse Bias) 

বহিস্থ ভোল্টেজ যদি এমন ভাবে প্রয়োগ করা হয় যেন, বিদ্যুৎ উৎসের ঋনাত্বক প্রাপ্ত ডায়োডের পি প্রান্তের সাথে এবং বিদ্যুৎ উৎসের ধনাত্বক প্রাপ্ত ডায়োডের এন প্রাপ্তের সাথে যুক্ত থাকে তবে তাকে বিমুখী ঝোঁক বা Reverse Bias বলে।

ডায়োডের ব্যবহার

রেন্টিফিকেশন সার্কিটে রেক্টিফায়ার হিসেবে, ডিটেকশন এবং রিভার্স ভোল্টেজ প্রোটেকশনের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয় । তাছাড়া ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার বা ভোল্টেজ রেগুলেটরে, ভোল্টেজ প্রোটেকশন বা সেফটি ডিভাইস হিসেবে, ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলিং ডিভাইস এবং সার্জ ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রনের জন্য লিমিটার হিসেবে জেনার ডায়োড ব্যবহার করা হয়। এসি ভোল্টেজকে পালসেটিং ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তর করার জন্য ডায়োড ব্যবহার করা হয়।

 

Content added By

ট্রান্সফরমার

44
44

২.৭.৭ ট্রান্সফরমার (Transformer)

ট্রান্সফরমার হচ্ছে এমন একটি ডিভাইস যার সাহায্যে কোন ফ্রিকোয়েন্সীর পরিবর্তন না করেই এবং কোন রকম সংস্পর্শ ছাড়াই বৈদ্যুতিক শক্তিকে একটি এসি সার্কিট হতে অন্য একটা এসি সার্কিটে পাঠান যায় ।

চিত্র ২.২৩: ট্রান্সফরমার

ট্রান্সফরমারের প্রকারভেদ

গঠন অনুযায়ী ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা

 • কোর টাইপ ট্রান্সফরমার                               • সেল টাইপ ট্রান্সফরমার

আবার কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-

• স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার                           • আই, এফ ট্রান্সফরমার
• স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার                         • পাওয়ার ট্রান্সফরমার
• ড্রাইভার ট্রান্সফরমার                               • ফ্লাইব্যাক ট্রান্সফরমার
• অটো ট্রান্সফরমার                                   • ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার
• ইনপুট ট্রান্সফরমার                                  • কারেন্ট ট্রান্সফরমার
• আউটপুট ট্রান্সফরমার

স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার

যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে কম ভোল্টেজ প্রয়োগ করে সেকেন্ডারী হতে বেশী ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে ট্রান্সফরমারকে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার বলে ।

স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার

যে ট্রান্সফরমারের প্রাইমারীতে বেশী ভোল্টেজ প্রয়োগ করে সেকেন্ডারী হতে কম ভোল্টেজ পাওয়া যায় তাকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার বলে

স্টেপ আপ ও স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য-

স্টেপ আপ ট্রান্সফরমারস্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার
১. প্রাইমারী ভোল্টেজ কম, কারেন্ট বেশী।১. প্রাইমারী ভোল্টেজ বেশী, কারেন্ট কম।
২. সেকেন্ডারী ভোল্টেজ বেশী, কারেন্ট কম।২. সেকেন্ডারী ডোস্টেজ কম, কারেন্ট বেশী।

৩. প্রাইমারী Winding এর Turn সংখ্যা কম ।

সেকেন্ডারী Winding এর Turn সংখ্যা বেশী।

৩. প্রাইমারী Winding এর Turn সংখ্যা বেশী

সেকেন্ডারী Winding এর Turn সংখ্যা কম।

৪. প্রাইমারী Winding এর তার মোটা। সেকেন্ডারী

Winding এর তার চিকন।

৪. প্রাইমারী Winding এর তার চিকন। সেকেন্ডারী

Winding এর তার মোটা।

৫. প্রাইমারী Winding এর Resistance কম।৫. প্রাইমারী Winding এর Resistance বেশী।
Content added || updated By

ট্রানজিস্টর

17
17

২.৭.৮ ট্রানজিস্টর (Transistor)

একটি পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উত্তর পাশে এন টাইপ অথবা একটি এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের উত্তর পাশে পি টাইপ সেমিকন্ডাক্টর যুক্ত করে যে ডিভাইস তৈরি করা হয় তাকে ট্রানজিস্টর বলে (পাশের চিত্র দ্রষ্টব্য)। Transfer of Resistor কথাটি থেকে ট্রানজিস্টর নামের উৎপত্তি হয়েছে। এটি এমন এক ধরনের রেজিস্টর বা ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালকে বিবর্ধিত করতে পারে এবং ইনপুটের সিগন্যালকে আউটপুটে পাঠাতে পারে। ট্রানজিস্টরের তিনটি টার্মিনাল থাকে বা ইমিটার, বেজ এবং কালেক্টর নামে পরিচিত।

ট্রানজিস্টরের শ্রেণি বিভাগ

পোলারিটির উপর ভিত্তি করে ট্র্যাজিস্টরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-

• বাইপোলার জাংশন ট্রানজিস্টর (BJT) • ইউনিপোলার সলিড স্টেট ট্রানজিস্টর

বাইপোলার জংশন ট্রানজিস্টর কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

• পি এন পি ট্রানজিস্টর (PNP)                   • এন পি এন ট্রানজিস্টর (NPN)

  ইউনিপোলার ট্রানজিস্টরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
 • JFET (Junction Field Effect Transistor)
 • MOSFET (Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor).

ট্রানজিস্টর বারাসিং 

ট্রানাজিস্টরকে কার্যক্ষম করার জন্য এতে বিশেষ নিয়মে ভোল্টেজ প্রয়োগ করতে হয় এই বিশেষ নিয়মে ট্রানজিস্টরে ভোল্টেজ প্রয়োগ করাকে ট্রানজিস্টর বায়াসিং বলে। 

বায়াসিং এর শর্ত

• ইমিটার বেজ সব সময় ফরোয়ার্ড বায়াস হবে
• বেজ কালেক্টর সব সময় রিভার্স বায়াস হবে
• পি এন পি এবং এন পি এন উভয় ধরনের ট্রানজিস্টরের ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য

ট্রানজিষ্টরের ব্যবহার

• ইলেকট্রনিক্স সুইচিং এ                  • এ্যামপ্লিফায়ার হিসেবে
• অসিলেটরে                                  • ইনভার্টার
• সেন্সরে এটি ব্যাবহৃত হয়

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

আরএসি এর কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টের নাম ও এদের প্রতীকসহ তালিকা প্রস্তুত কর।

পদ্ধতি

প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সহকারে স্টোররুমের সব ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ও কম্পোনেন্ট থেকে আরএসি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও কম্পোনেন্ট বাছাই করি এবং নিচের টেবিলে তথ্য গুলো সাজিয়ে পর্যালোচনা করি । কাজ শেষে পরিষ্কার করি ও যথা স্থানে মালামাল গুছিয়ে রাখি।

ক্রমিক
নং

কম্পোনেন্টের

নাম

কম্পোনেন্টের

 স্পেসিফিকেশন

কম্পোনেন্টের

 প্রতীক

টুলসের
নাম

টুলসের 

চিত্র

ফলাফল
       
       

 

Content added By
Promotion