দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল কুলার ইত্যাদি বানিজ্যিক সরঞ্জাম বা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস (Commercial Appliances)এর ত্রুটির কারণে মেরামতের প্রয়োজন হয়। এদের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন আছে। তাই দেশে ও দেশের বাইরে এধরনের বানিজ্যিক সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেড়েই চলেছে। একটু চিন্তা করি তো, এই সরঞ্জামগুলোর কোথায় ত্রুটি হতে পারে ? কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেসগুলোতে রেফ্রিজারেশন সাইকেল (Refrigeration Cycle) ব্যবহৃত হয় অনেক সময় এগুলিতেই ত্রুটি দেখা দেয়। আর এই ত্রুটি সংশোধন করতে আমরা মেরামত করি এবং সরঞ্জামগুলোর কার্যক্ষমতা ধরে রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। এই অধ্যায়ে আমরা কমার্শিয়াল এ্যাপ্লায়েন্সেস মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব ।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা দু'টি জব সম্পন্ন করব। এই দু'টি জবের মাধ্যমে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি, ক্লিনিং ও ফ্লাশিং, চোক ও লিকেজ টেস্ট, ভ্যাকুয়াম ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জন করব। জবগুলি সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জেনে নেই।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার এবং শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ করে ইলেকট্রিকাল কম্পোনেন্ট ও মেকানিক্যাল কম্পোনেন্টের তালিকা তৈরি করতে পারব।
কাজ করার সময় যে সকল সরঞ্জাম বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (সংক্ষেপে PPE ) বলে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসরঞ্জামে যা থাকে-
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আমরা ১,২,৩ অধ্যায়ে ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল কুলারের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট বা অংশের নাম জেনেছি। বিদ্যালয়ের ওয়াটার কুলার (Water Cooler), ডি-হিউমিডিফায়ার (De-Humidifier), ডিসপ্লে কেইস (Display Case), বোতল কুলার (Bottle Cooler) পর্যবেক্ষন করে এদের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কম্পোনেন্টের তালিকা তৈরি করে নিচের এ্যাক্টিভিটি ফর্মটিতে লিপিবদ্ধ করি।
তারিখ :
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা বিদ্যালয়ের ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল কুলারের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট পরীক্ষা করে ভালো ও খারাপ কম্পোনেন্ট বাছাই করতে পারব ।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আমরা ১,২,৩ অধ্যায়ে ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল কুলারের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা করার কৌশল জেনেছি। বিদ্যালয়ের ওয়াটার কুলার, ডি-হিউমিডিফায়ার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল কুলারের বিভিন্ন কম্পোনেন্ট সংগ্রহ করে পরীক্ষা করি এবং ভালো ও খারাপ কম্পোনেন্ট বাছাই করে নিচের এ্যাক্টিভিটি ফর্মটিতে লিপিবদ্ধ করি।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিকভারি কি এবং রিকভারি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারব।
রেফ্রিজারেন্ট রিকভার
রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি বলতে এমন একটি পদ্ধতিকে বোঝানো হয় যাতে একটি রেফ্রিজারেশন বা এয়ার- কন্ডিশনিং ইউনিট থেকে নিরাপদে যতটুকু সম্ভব রেফ্রিজারেন্ট বের করে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা।
রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করার পদ্ধতি
যেসব ইউনিটে ক্ষতিকারক রেফ্রিজারেন্ট আছে, কিন্তু সেটি ভালভাবেই চলছে সেসব ইউনিটে রিকভারি করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি এমন হয় যে, এরকম কোন ইউনিটে ইলেকটিক্যাল সমস্যা হয়েছে, তাইলেও রিকভারি করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র তখনই রিকভারি করতে হবে যখন ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশে কাজ করার প্রয়োজন পরবে (যেমন: কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বা অন্য কোন মেকানিক্যাল অংশ পরিবর্তন অথবা ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশের মেরামত)। আর রিকভারি করার পর ঐ রেফ্রিজারেন্ট আর নতুন কোন ইউনিটে ব্যবহার করা যাবে না। নিরাপদে সংরক্ষন করতে হবে ও পরবর্তীতে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তা এমন ভাবে বিনষ্ট করতে হবে যাতে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে যে ইউনিট থেকে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয় ঐ ইউনিটের কি হবে? ঐ ইউনিটে রিপ্লেসমেন্ট রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে নতুবা রেট্রোফিট (Retrofit) করতে হবে। কেননা আগের রেফ্রিজারেন্ট আর বাজারে নতুন করে পাওয়াই যাবেনা। কারন ঐ রেফ্রিজারেন্ট ক্ষতিকারক ছিল বলেই ভা ফেজ আউট (Phase out) হয়েছে।
আগের অধ্যায়গুলোতে আমরা রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে রিকভারি করার দক্ষতা অর্জন করেছি। এই অধ্যায়ের ব্যবহারিকের মাধ্যমে আমরা ওয়াটার কুলারের রিকভারি করার দক্ষতা অর্জন করব ।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ওয়াটার কুলার, ডিসপ্লে কেইস, বোতল টাইপ ওয়াটার কুলার, ডি- হিউমিডিফায়ারের গঠন সম্পর্কে জানতে পারব ।
যে হিমায়ন যন্ত্রের সাহায্যে পান করার পানিকে তৃপ্তিদায়ক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে সরবরাহ করা হয় তাকে ওয়াটার কুলার বলে।
ওয়াটার কুলারের কাজ
ওয়াটার কুলারের কাজ হচ্ছে পানিকে ঠান্ডা করে তৃপ্তিদায়ক করা । ওয়াটার কুলারের পানির তাপমাত্রা সাধারণত ৫°- ১০°C হয়ে থাকে।
ওয়াটার কুলারের ব্যবহার
ওয়াটার কুলার সাধারণত নিচে উল্লেখিত স্থানে ব্যবহার করা হয়-
ওয়াটার কুলারের প্রকারভেদ
ওয়াটার কুলার সাধারণত দুই প্রকার -
১। বোতল টাইপ ওয়াটার কুলার ।
২। ট্যাপ টাইপ/ প্রেসার টাইপ ওয়াটার কুলার ।
বোতল টাইপ ওয়াটার কুলার
এই ধরনের ওয়াটার কুলার আকারে ছোট হয়। এই ওয়াটার কুলারে বোতলের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। পানি ফুরিয়ে গেলে আবার বোতল ভর্তি করে ওয়াটার কুলারে পানি সরবরাহ করা হয়।
ট্যাপ টাইপ / প্রেসার টাইপ (Tap Type) ওয়াটার কুলার
এই ওয়াটার কুলারের ক্ষমতা বোতল টাইপ ওয়াটার কুলারের তুলনায় বেশি হয়। এই কুলারে বোতলের মাধ্যমে পানি সরবরাহ না করে সরাসরি কোন ট্যাংক হতে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
গঠন প্রণালী
ওয়াটার কুলারের মধ্যকার সার্কিট অনুযায়ী মুলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
কার্যপ্রণালী
ওয়াটার কুলারের কেবিনেটটি সাধারণত শীট মেটালের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এই শীট মেটালের কেবিনেটের নিচের দিকে থাকে কন্ডেনসার, কম্প্রেসর প্রভৃতি। উপরের দিকে বসানো থাকে পানির ট্যাংক (Tank), এটা (Stain less Steel) দিয়ে তৈরি করা হয়, যাতে কোন প্রকার মরিচা না পড়ে। এই ট্যাংকটি এক বিশেষ ধরনের ২ ইঞ্চি পুরু কোমের সাহায্যে মোড়ানো থাকে। যাতে কোন প্রকার তাপ সঞ্চালিত হতে না পারে। এই প্রকার ওয়াটার কুপারের মধ্যে এয়ার কুন্ড কন্ডেন্সার ব্যবহার করা হয়। বোতল টাইপ ওয়াটার কুলারের ক্ষেত্রে একটি পানির বোতলকে পানির ট্যাংক এর উপর উপুর করে বসানো হয় আর ট্যাপ টাইপ ওয়াটার কুলারের ক্ষেত্রে সরবরাহের পানির উৎসের সাথে সংযোগ দেয়া হয়। পানি প্রবেশের সাথে অবশ্যই একটি হ্যান্ড শার্ট অফ ভালভ (Hand Shut off Valve) ব্যবহার করতে হয়।
ওয়াটার কুলারের ওয়াটার লাইন
ওয়াটার কুলার এর পানির সংযোগ ওয়াটার লাইন বা Supply Water Line থেকে হয়ে থাকে। যেখান থেকেই পানির সাপ্লাই দেয়া হোক না কেন প্রথমে হ্যান্ড পার্ট অফ ভাল অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। এর পরে রবার/কপার/স্টিল পাইপ দিয়ে ওয়াটার কুলার এর স্টোরেজ ট্যাংকে নিতে হবে, তবে ট্যাংকের আগে অবশ্যই যেন একটি ফিল্টার বা স্ট্রেইনার যুক্ত থাকে যা পানিকে পরিশোধিত করে স্টোরেজে প্রেরণ করবে। স্টোরেজে পানির পরিমাণ একটি ফ্লোট ভাল্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এরপরে পাইপ দিয়ে ট্যাগে সংযুক্ত থাকবে। পানি ব্যবহার করার পর যে পানি নষ্ট হবে বা বাইরে পড়বে সে পানি একটি ড্রেন পাইপ দিয়ে সোজা ছেনে চলে যাবে।
সাবধানতা
সাপ্লাই পানির পাইপে যেন কোন প্যাচ না পড়ে ও ফিল্টার যেন জ্যাম / ময়লা যুক্ত না হয় সে জন্য সময় মতো পরিষ্কার রাখতে হবে। পানির পর্যাপ্ত সরবরাহের দিকে নজর দিতে হবে।
ওয়াটার কুলারের রেফ্রিজারেশন সাইকেল দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ নিয়ে গঠিত বর্তনীকে ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট বলে।
ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রাংশসমূহ
ক্ষমতা
কাজ করার হারকে ক্ষমতা বলে। অর্থাৎ একক সময় কতটুকু পরিমানের কাজ হয়েছে তা ক্ষমতা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর ক্ষমতা লিটার / ঘন্টা বা প্যালন / ঘন্টা দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
ওয়াটার কুলারের ক্ষমতা
ওয়াটার ঝুলারের ক্ষমতা বলিতে আমরা বুঝি একটি ওয়াটার কুলারে প্রতি ঘন্টায় কত লিটার বা গ্যালন পানি ঠান্ডা হয়। অর্থাৎ এক ঘন্টায় একটি ওয়াটার কুলার কতটুকু পরিমাণ পানি ঠান্ডা করতে পারে।
ক্ষমতার আনুসাঙ্গিক বিষয়
একটি ওয়াটার কুপারের ক্ষমতা আবার নিচে উল্লেখিত বিষয়ের উপর নির্ভরশীল যথা-
বর্ণনা
ওয়াটার কুলারে বেশীর ভাগ ব্যবহৃত হয় সিল্ড টাইপ রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর। এই কম্প্রেসরের সাথে লাগানো থাকে একটি ওভার লোড প্রোটেক্টরএবং একটি রিলে। বর্তমানে কারেন্ট কয়েল রিলের চাইতে P.T.C রিলে বেশী ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ইউনিটে একটি বিশেষ যন্ত্রাংশ হলো কন্ডেন্সার ফ্যান । এই ফ্যান থার্মোষ্ট্যাট সুইচ এর পরবর্তী পয়েন্টের সাথে প্যারালালে সংযুক্ত থাকে অর্থাৎ কম্প্রেসর Off হলে Fan Off হবে।
ডিসপ্লে কেইস কথাটির অর্থ প্রদর্শন করা। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খাদ্য দ্রব্য সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রদর্শন করার জন্য ডিসপ্লে কেইস ব্যবহার করে থাকে। এর সামনের দিকে একটি কাঁচ থাকে যাতে সাজানো জিনিসগুলো ক্রেতারা সহজে দেখতে পান। কাঁচের বাইরের দিকেই সাধারণত টিউব লাইট ফিট করা থাকে, যাতে টিউব লাইট হতে উত্তাপ ডিসপ্লে কেইসের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে না পারে। ডিসপ্লে কেইসের মধ্যে এক ধরনের রেফ্রিজারেন্টিং মেশিনারী ফিট করা থাকে। এর সাহায্যে ডিসপ্লে কেইসের ভেতরকার তাপমাত্রা ৪০°F হতে ৪৫°F এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ডিসপ্লে কেইসের মধ্যে যে সব তাক থাকে সেগুলো ইভাপোরেটর কয়েলের মাধ্যমে ঠান্ডা রাখা হয়। এই কয়েলগুলো প্রতিটি তাকের নীচে প্যারালালে আটকানো থাকে। ডিসপ্লে কেইসে রেফ্রিজাশেন এর সমস্ত যন্ত্রাংশ থাকে তবে কোন কোন ক্ষেত্রে কন্ডেন্সিং ইউনিট কেসের নীচে ফিট করা থাকে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কন্ডেন্সিং ইউনিট সুবিধা জনক স্থানে বাইরে ফিট করা থাকে। যদি কন্ডেন্সিং ইউনিট বাইরের সুবিধা জনক স্থানে ফিট করা থাকে সেক্ষেত্রে কন্ডেন্সিং ইউনিট এবং কুলিং ইউনিট ইভাপোরেটর ইউনিটের কপার পাইপগুলো ভালভাবে ইন্সুলেশন করা থাকে। কোন কোন ডিসপ্লে কেইসের ভেতরের তাপমাত্রা নির্দেশ বা দেখার জন্য ডায়াল টাইপ থার্মোমিটার (Dial Type Thermometer) বসানো থাকে যাতে সহজেই ভেতরের তাপমাত্রা দেখা ও বোঝা যায়।
অর্থাৎ যে শীতল যন্ত্রের ভেতরকার সংরক্ষিত খাদ্যদ্রব্য বাইরের থেকে দেখা যায় তাহাকে Display Case বলে।
ডিসপ্লে কেইস সার্ভিসিং করার সময় বিশেষ করে ইভাপোরেটর কন্ডেন্সার ও কুলিং ফ্যান ভাল ভাবে পরিষ্কার আছে কিনা তা দেখা দরকার। কন্ডেন্সারে ফ্যান মোটর খুলে শ্যাফটে (Shaft) গ্রীজ বা মবিল দিলে ভাল হয়। বিশেষ করে দেখা যায় ডিসপ্লে কেইসের ড্রেন লাইন নানা শাকসবজি বা মাছ মাংশ এর ছোট ছোট টুকরো দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভেতরে ছোট ধরনের বন্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে ড্রেন লাইন ভাল করে খুলে আবার পরিষ্কার করে লাগানো উচিৎ। ডিসপ্লে কেইসে দ্রব্যাদি রাখতে হলে খেয়াল রাখতে হবে যে পেছনের তাক থেকে যেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে।
যে যন্ত্রের সাহায্যে কক্ষের মধ্যস্থিত বাতাসের আর্দ্রতা অর্থাৎ বাতাসের মধ্যস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কে কমানো যায় তাকে ডি-হিউমিডিফায়ার বলে।
প্রধান যন্ত্রাংশ
ইলেকট্রিক ডি-হিউমিডিফায়ার এর কাজ হচ্ছে বাতাস হতে জলীয় কনা অপসারণ এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা হতে ঘরকে রক্ষা করে। গরম কালে অতিরিক্ত আর্দ্রতা অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং ঘরে রক্ষিত দামী জিনিসপত্রে ছত্রাক জন্মায়, যন্ত্রপাতি ও ধাতব-দ্রবাদি মরিচা ধরে, ঘরের দরজা জানালা ড্রয়ার ইত্যাদির কাঠ ফুলে উঠে।
গঠন
ডি-হিউমিডিফায়ার গৃহে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটরের নীতিতে চলে তাই এতে মোটর চালিত কম্প্রেসর, একটি কন্ডেন্সার ও একটি রিসিভার থাকে। ডি-হিউমিডিফায়ারের কুলিং কয়েল রেফ্রিজারেটরের স্থান দখল করে। রেফ্রিজারেটরের মতই ডি-হিউমিডিফায়ারে রেফ্রিজারেন্ট (সাধারণত ফ্রেয়ন) আবর্তিত হয়। রেফ্রিজারেন্ট প্রবাহ কে একটি ক্যাপিলারী টিউব সার্কিটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মোটর চালিত ফ্যান কর্তৃক কয়েলের ভেতর জলীয় কণা মিশ্রিত বাতাস টেনে নেয়।
অপারেশন
ইলেকট্রিক ডি-হিউমিডিফায়ার রেফ্রিজারেটরের নীতিতে চলে। একটি কুলিং কয়েলের ভেতর দিয়ে বায়ুকে অতিক্রম করিয়ে বাতাস থেকে জলীয় কণা অপসারণ করে, ফলে বাতাসের জলীয় কণা জমা হয়। বাতাস হতে অপসারিত পানির পরিমাণ কম বেশি হয়। যা আর্দ্রতার পরিমাণ এবং যে এলাকা আর্দ্রতা মুক্ত করতে হবে তার আয়তনের উপর নির্ভর করে। ডি-হিউমিডিফায়ার যখন প্রথম অন করা হয় তখন বাতাস থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় কণা অপসারিত করে। জলীয় কণা অপসারণের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া নির্দেশ করে যে ডি- হিউমিডিফায়ার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করছে এবং কক্ষের আপেক্ষিক আর্দ্রতা একটি নিরাপদ মানে কমিয়ে দিচ্ছে।
পরিচর্যা
ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত ৫৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর নিচে সন্তোষজনক ভাবে কাজ করে না এই তাপমাত্রায় আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে যুক্তি সঙ্গত লেভেলে রাখার জন্য কুলিং কয়েল ফ্রিজিং তাপমাত্রার নিচে চালানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যদিও কুলিং কয়েলে বরফ সহ ডি-হিউমিডিফায়ারকে চালানো যেতে পারে, ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কয়েলকে এক ঘন্টা অন্তর অন্তর ডি-ফ্রষ্টিং (জমানো বরফ পরিষ্কার করা) করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সাধারণত ৬৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট এর নীচে ডি-হিউমিডিফায়ারকে চালানো অনুমোদন করা হয় না।
ব্যবহার ক্ষেত্র
ডি-হিউমিডিফায়ার সাধারণত ব্যবহৃত হয় টেক্সটাইল মিল, ফেব্রিকেশন মিল, কেমিক্যাল ইত্যাদি সংরক্ষণাগার গবেষনাগার, ঔষধ শিল্প ইত্যাদিতে।
Mechanical Diagram of Dehumidifier
Electrical Diagram of Dehumidifier
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ডি-হিউমিডিফায়ার, রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি, ক্লিনিং ও ফ্লাশিং, চোক ও লিকেজ টেস্ট, ভ্যাকুয়াম ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জন করতে পাৱৰ ।
কার্যপ্রনালী
লিক নেই নিশ্চিত হয়ে ভ্যাকুয়াম করে গ্যাস চার্জ এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্যাস চার্জ ও পার্জিং করার আগে ইউনিটে ২-৩ সি, সি পরিমাপ থাউজেন প্রবেশ করানো উত্তম। থাউজেন এক প্রকার তরল পদার্থ। যা জলীয় কণা শোষণ করে। এখন পার্কিং করার জন্য তৈরী হই। পার্লিং হচ্ছে হোজ পাইপের জমাকৃত বাতাসকে বের করে দেয়া। আর-১৩৪এ বা আর-৬০০ নাম্বারের গ্যাস সিলিন্ডার নেই। হোজ পাইপের এক মাথা সিলিন্ডারের সাথে সংযোগ করি। যাতে হোেজ পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হতে পারে। এখন সিলিন্ডারের ভাল্ব খুলি এবং উপুড় করে তরল রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে পার্সিং করা শেষ করি। পার্কিং শেষে হোজ পাইপটি ভালভাবে গেজ মিটারে সংযোগ করি। এখন গেজের চাবি খুলি এবং গেঞ্জের দিকে লক্ষ করি। গেজের কাঁটা উপরের দিকে উঠবে। এখন যে প্রেশার দেখাবে তা চার্জিং প্রেশার। রেফ্রিজারেটর এর জন্য চার্জিং প্রেশার ২৫-৩০ (পি.এস.আই) তে রাখতে হবে। চার্জিং প্রেশার যতক্ষণ পর্যন্ত ২৫-৩০ না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত ইউনিটের কম্প্রেসর বন্ধ থাকবে চার্জিং প্রেশার ২৫-৩০ (পি.এস.আই) তে আসলে ইউনিটের কম্প্রেসর অন করি এখন যে প্রেশার দেখাবে তা রানিং প্রেশার। গেজের দিকে লক্ষ্য করি। কাটা নিচে নেমে আসতে থাকবে। কাটা যাতে শূণ্য (০) তে আসতে না পারে সে জন্য ভাল্ব অল্প খুলে দেই। এই রানিং প্রেশার কত হবে তাহা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে রানিং প্রেশার ১-৫ এর মধ্যে রাখি। গেজের ভাল্ব বন্ধ রাখি। থার্মোস্ট্যাট ১ বা ২ এ সেট করি ।
গ্যাস চার্জিং ঠিক আছে বোঝার উপায়গুলো নিম্নরূপ
গ্যাস চার্জ বেশি হলে বোঝার উপায়
নিরাপত্তামূলক বিষয়
ওয়াটার কুলার ওভার হোলিং (Water Cooler Overhauling)
ওভার হোলিং কি
কোন যন্ত্রকে কিছুদিন ব্যবহার করার পর তাকে পূনরায় আগের মতো কার্য্যক্ষম করার জন্য যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় তাকে ওভার হোলিং বলে।
ওয়াটার কুলারের ওভার হোলিং প্রক্রিয়া
নিম্নলিখিত ধাপ অনুযায়ী একটি ওয়াটার কুলার ওভার হোলিং করতে হয়-
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দক্ষতা অর্জন করতে পারব।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials )
(ঘ) কাজের ধারা
১। রিকভারি মেশিনে হোস পাইপ সংযোগ করো ।
ক. রিকভারি মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট ক্যাপ খোল;
খ. রিকভারি মেশিন ও সিলিন্ডারের সাথে ডবল গেইজ মেনিফোল্ডে হোস পাইপ স্থাপন করো ।
(ওয়াটার কুলারের লিকুইড লাইন থেকে ডবল গেজের মাঝের পোর্টে, ডবল গেজের কম্পাউন্ড পোর্ট থেকে রিকভারি মেশিনের ইনলেট পোর্টে, রিকভারি মেশিনের আউটলেট পোর্ট থেকে সিলিন্ডারের লিকুইড লাইনের সাথে) সংযোগ করো।
২। হোস পাইপটি পার্জিং করো।
ক. রিকভারি মেশিনের ইনলেট ও আউটলেট এর সিলেক্টর সুইচকে ওপেন পজিশনে সেট করো;
খ. পাওয়ার সুইচ অন করো;
গ. অপর সিলেক্টর সুইচকে পার্জ পজিশনে সেট করো;
ঘ. স্টার্ট সুইচ অন কর (৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সিলেক্টর সুইচকে রিকভারি পজিশনে সেট কর। পাইপটি অটোমেটিক ভাবে পার্জিং হয়ে যাবে)।
৩। রিকভারি কর।
ক. সিলিন্ডারের লিকুইড ভাল্বটি খুলে দাও;
খ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা জিরো (০) এর নিচে নেমে যাবে এবং রিকভারি মেশিনটি নিজেনিজেই বন্ধ হয়ে যাবে;
গ. ডবল গেজের ভাল্বটি বন্ধ করো।
৪। রিকভারি মেশিন বন্ধ করো।
ক. সিলিন্ডারের লিকুইড ভাল্বটি বন্ধ করো;
খ. স্টার্ট সুইচ ও পাওয়ার সুইচ সুইচকে অফ করো
গ. রিকভারি পজিশনে সেট করা সিলেক্টিং সুইচকে পার্ল পজিশনে সেট করো;
ঘ. রিকভারি মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করো;
ঙ. হোস পাইপটি খুলে ফেল।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
ওয়াটার কুলার ইউনিটের রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
গ) মালামাল (Raw Materials)
ঘ) কাজের ধারা
১. অক্সি -অ্যাসিটিলিন ডি-ব্রেজিং এর মাধ্যমে এ্যাপ্লায়েন্সেসের কন্ডেন্সার বিচ্ছিন্ন করা।
ক. টিউব কাটারের সাহায্যে ড্রায়ার ফিল্টারটি কেটে আলাদা করো;
খ. অক্সি -অ্যাসিটিলিন ডি-ব্রেজিং এর মাধ্যমে এ্যাপ্লায়েন্সেসের কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বিচ্ছিন্ন করো ।
২. ওয়াটার কুলার ইউনিট ফ্লাসিং করো ।
ক. কন্ডেনসার,ইভাপোরেটরের এক প্রান্তে নন রির্টান ভাল্ব লাগাও এবং ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে প্রেসার দেও;
খ. অপর প্রান্ত আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধর। যখন প্রেসার তৈরি হবে তখন ছেড়ে দেও। এভাবে বারবার করতে থাক ।
৩. ওয়াটার কুলার ইউনিট লিক নির্ণয় করো ।
ক. ইউনিটের সাথে হাই প্রেসার গেজ ও ড্রাই নাইট্রোজেন সিলিন্ডারের হোজ পাইপ সংযোগ করো;
খ. চিত্র অনুয়ায়ি ইউনিটে ৭০-৭৫ পি.এস.আই, ড্রাই নাইট্রোজেন প্রেসার দাও;
গ. প্রেসার দিয়ে অপেক্ষা কর এবং লক্ষ কর গেজ মিটারের কাটা নেমে যাচ্ছে কিনা।গেজ মিটারের কাটা নেমে গেলে বুঝতে হবে ইউনিটে লিক আছে;
ঘ. টিউবের বিভিন্ন জয়েন্টে ও সন্দেহজনক স্থানে সাবান ফ্যানা ধরো;
ঙ. লক্ষ কর কোথা থেকে সাবান ফ্যানার বাবল তৈরি হচ্ছে । যেখান থেকে বাবল তৈরি হচ্ছে সেখানেই লিক আছে ৷
৪. ওয়াটার কুলারের লিক মেরামত করো।
ক. ওয়াটার কুলারের চার্জিং লাইন খুলে ড্রাই নাইট্রোজেন বের করে দাও;
খ. মডিউল ৫ এর ১ অথবা ২ নং জব অনুসরণ করে ওয়েল্ডিং অথবা লকরিং জয়েন্টের মাধ্যমে লিক মেরামত করো;
৫. ওয়াটার কুলার ইউনিটের কম্পোনেন্টগুলি জোড়া দাও এবং চোক টেষ্ট করো ।
ক. কম্প্রেসরের ডিসচার্জ লাইনে কন্ডেনসারের ইনলেট প্রাপ্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
খ. কম্প্রেসরের সাকশন লাইনে ইভাপোরেটরের আউটলেট প্রাপ্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
গ. ক্যাপিলারি টিউবের প্রান্ত ড্রায়ার ফিল্টারের সাথে ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
ঘ. ইউনিটটি চালু কর এবং চোক টেষ্ট (ড্রায়ার ফিল্টারের অপর প্রান্ত থেকে বাতাশ ভেতরের দিকে টেনে নেবে) করো;
ঙ. কন্ডেনসারের আউটলেট ফিল্টার ড্রায়ারের এক প্রান্ত অক্সি-অ্যাসিটিলিন ব্রেজিং করে জোড়া দাও;
৬. সিষ্টেমটি ভ্যাকুয়াম করো ।
ক. চিত্র অনুযায়ি ইউনিটের সাথে হোজপাইপ, গেজ মেনিফোল্ড, ভ্যাকুয়াম পাম্প, সঠিক রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার স্থাপন করো;
খ. ভ্যাকুয়াম পাম্পে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেও ও পাম্পটি চালু করো;
গ. গেজ মেনিফোল্ডের সকল ভাল্ভ খুলে দেও;
ঘ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নামা পর্যন্ত ভ্যাকুয়াম পাম্পটি চালু রাখ;
ঙ. কম্পাউন্ড গেজের কাটা - ২৯.৯ ইঞ্চি অব মার্কারিতে নেমে গেলে হাই প্রেসার গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
চ. ভ্যাকুয়াম পাম্পটি বন্ধ কর এবং আনপ্লাগ করো ।
৭. গ্যাস চার্জ করো ।
ক. গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
খ. কম্পাউন্ড গেজে মিটারের ভাল্বটি খুলে ফেল;
গ. রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক (রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী) চার্জিং প্রেসার তৈরি কর এবং কম্পাউন্ড গেজ মিটারের ভাল্বটি বন্ধ করো;
ঘ. সাপ্লাই লাইনে ক্লিপ অন মিটার সংযোগ করো;
ঙ. বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করে ইউনিটি চালু করো;
চ. রেফ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার সঠিক (ইনফরমেশন শিটে উল্লিখিত) আছে কিনা লক্ষ করো:
ছ. রেগ্রিজারেন্ট অনুযায়ী, রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার কম হলে পুণরায় রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করে সঠিক রানিং প্রেসার ও অ্যাম্পিয়ার তৈরি করো।
৮. পরিপূর্ণ গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষণ করো।
ক. ইনফরমেশন শিট অনুযায়ী সঠিক গ্যাস চার্জিং এর লক্ষণ গুলি মেলাও ও সঠিক তথ্য ডাটা শিটে লেখ;
খ. লক্ষণ গুলি মিলে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের ভাল্বটি বন্ধ কর এবং হোজ পাইপ, গেজ মেনিফোল্ড খুলে ফেল,
গ. চার্জিং লাইনটি পিক্ষিং টুলস এর সাহায্যে সিদ্ধ করো;
ঘ. গেজের ভাল্ব অল্প খুলে দেখ রেফ্রিজারেন্ট বের হয় কিনা। বের হলে আবার ও সিল্ড কর। বের হওয়া বন্ধ হলে গ্যাস ওয়েল্ডিং বা সোল্ডারিং আয়রন দিয়ে ঝালাই কর এবং নন রিটার্নের মাথায় একটি ডেড ক্যাপ দিয়ে বন্ধ করো।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
ওয়াটার কুলার ইউনিট ফ্লাসিং, লিক টেস্ট, চোক টেষ্ট, ভ্যাকুয়াম করে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে ।
আরও দেখুন...