সংখ্যা পদ্ধতি হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আমরা সংখ্যা লিখি, পড়ি এবং গাণিতিক কাজ সম্পাদন করি। বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতি রয়েছে, এবং প্রতিটি পদ্ধতি নির্দিষ্ট ধরনের ভিত্তি বা র্যাডিক্স (Base) ব্যবহার করে। সংখ্যা পদ্ধতিগুলি আমাদের দৈনন্দিন গাণিতিক কার্যক্রম এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কয়েকটি প্রধান সংখ্যা পদ্ধতির বর্ণনা দেওয়া হলো:
সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে রূপান্তর প্রায়ই কম্পিউটার বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়। নিচে কয়েকটি সাধারণ রূপান্তর পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
দশমিক থেকে বাইনারি রূপান্তর:
বাইনারি থেকে দশমিক রূপান্তর:
দশমিক থেকে হেক্সাডেসিমাল রূপান্তর:
হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি রূপান্তর:
সংক্ষেপে, সংখ্যা পদ্ধতি হলো একটি মৌলিক ধারণা, যা আমাদের দৈনন্দিন গাণিতিক কাজ, কম্পিউটার বিজ্ঞান, এবং প্রযুক্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সংখ্যার আবিষ্কারের ইতিহাস মানব সভ্যতার বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সংখ্যা গণনা, পরিমাপ, এবং ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদনের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন সভ্যতায় সংখ্যার উদ্ভাবন ও বিকাশ ঘটেছে, যা পরবর্তীতে গণিতের জগতে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১. সুমেরীয় সভ্যতা (প্রায় ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ):
২. মিশরীয় সভ্যতা (প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ):
৩. মায়া সভ্যতা (প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ):
ভারতে সংখ্যার উদ্ভাবন (প্রায় ৫০০ খ্রিস্টাব্দ):
আরব বিশ্বে সংখ্যার প্রসার:
সংখ্যার উদ্ভাবন এবং বিকাশ মানব সভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুমেরীয়, মিশরীয়, মায়া, গ্রীক, এবং ভারতীয় সভ্যতা সংখ্যার পদ্ধতি এবং ধারণার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বিশেষত, ভারতীয় হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি এবং শূন্যের উদ্ভাবন গণিত এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করে, যা আজকের আধুনিক গণনা এবং প্রযুক্তির ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
চিহ্নযুক্ত সংখ্যা (Signed Number) হলো একটি সংখ্যা যা তার চিহ্ন (সাইন) দিয়ে নির্দেশ করে যে এটি একটি ধনাত্মক (positive) বা ঋণাত্মক (negative) সংখ্যা। গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে গাণিতিক গণনা এবং ডেটা উপস্থাপনার ক্ষেত্রে।
১. ধনাত্মক সংখ্যা (Positive Number):
২. ঋণাত্মক সংখ্যা (Negative Number):
১. গণিত:
২. তাপমাত্রা:
৩. উচ্চতা এবং গভীরতা:
কম্পিউটারে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা উপস্থাপনের জন্য দুটি পদ্ধতি সাধারণত ব্যবহৃত হয়:
১. টু’স কমপ্লিমেন্ট (Two’s Complement):
২. সাইন-ম্যাগনিটিউড (Sign-Magnitude):
১. ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক সংখ্যার যোগ:
২. ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক সংখ্যার গুণ:
চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বাস্তব জীবন এবং তাত্ত্বিক ক্ষেত্র উভয় ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা বিভিন্ন গণনা, পরিমাপ, এবং উপস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়।
আন-সাইনড নম্বর হলো একটি বাইনারি সংখ্যার প্রকার, যা শুধুমাত্র ধনাত্মক (Positive) সংখ্যা বা শূন্য (0) প্রকাশ করতে সক্ষম। এটি কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত হয় যেখানে সাইনড (Signed) অর্থাৎ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক (Negative) উভয় সংখ্যা প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই। আন-সাইনড সংখ্যাগুলিতে প্রতিটি বিট সংখ্যা মানের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং কোনো বিট সাইন (ধনাত্মক বা ঋণাত্মক নির্দেশক) হিসেবে ব্যবহৃত হয় না।
ধরা যাক, ৮-বিটের একটি আন-সাইনড বাইনারি সংখ্যা:
এই ৮-বিট আকারে একটি সাইনড সংখ্যা যেখানে ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক মান সমর্থিত, সেখানে সীমা হয় -১২৮ থেকে +১২৭। কিন্তু আন-সাইনড সংখ্যার ক্ষেত্রে সীমা হয় 0 থেকে 255।
আন-সাইনড নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে পূর্ণ বিট প্রস্থের (Bit Width) সুবিধা পাওয়া যায় এবং এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় যেখানে কেবল ধনাত্মক মান প্রয়োজন।
কোড (Code) হলো এমন একটি ভাষা বা সংকেত, যা কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইসের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা বা তথ্য উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়। কোড সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয়, যা মানুষের ভাষাকে মেশিন বা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় অনুবাদ করে। কোড লেখার প্রক্রিয়াকে প্রোগ্রামিং বলা হয়, এবং এটি সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।
কোড সাধারণত বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যেমন প্রোগ্রামিং কোড, এনক্রিপশন কোড, এবং যোগাযোগ কোড। নিচে কোডের বিভিন্ন ধরন এবং তাদের বিবরণ দেওয়া হলো:
নিচে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা কোডের উদাহরণ দেওয়া হলো:
Python:
print("Hello, World!")
JavaScript:
console.log("Hello, World!");
HTML:
<h1>Hello, World!</h1>
C++:
#include <iostream> using namespace std; int main() { cout << "Hello, World!" << endl; return 0; }
কোড হলো কম্পিউটার এবং প্রযুক্তির একটি মৌলিক উপাদান, যা প্রোগ্রামিং, এনক্রিপশন, এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সফটওয়্যার তৈরি এবং ডিজিটাল যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোগ্রামিং এবং এনক্রিপশন কোডের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা যায়।
বিসিডি কোড (BCD Code) বা Binary-Coded Decimal হলো একটি পদ্ধতি যেখানে দশমিক সংখ্যাগুলিকে বাইনারি আকারে প্রকাশ করা হয়, কিন্তু প্রতিটি দশমিক সংখ্যা (০-৯) আলাদা করে ৪-বিট বাইনারি কোডে পরিবর্তিত হয়। এটি ডিজিটাল সিস্টেম এবং কম্পিউটারে সংখ্যার ইনপুট, আউটপুট, এবং গাণিতিক অপারেশন সহজে সম্পাদন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. ডিজিট-ওরিয়েন্টেড পদ্ধতি:
২. আলাদা ডিজিট এনকোডিং:
৩. সহজ এবং সরল গাণিতিক অপারেশন:
ধরা যাক, আমাদের দশমিক সংখ্যা 345 কে BCD পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে হবে:
তাহলে, BCD কোড হবে: 0011 0100 0101
১. সহজ এনকোডিং এবং ডিকোডিং:
২. ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং ক্যালকুলেটরের জন্য উপযোগী:
৩. কম্পিউটার সিস্টেমের নির্ভুলতা বজায় রাখা:
১. বেশি মেমোরি ব্যবহার:
২. অপ্টিমাইজড নয়:
৩. বিকল্প পদ্ধতি বিদ্যমান:
BCD (Binary-Coded Decimal) হলো একটি সংখ্যার এনকোডিং পদ্ধতি, যা দশমিক সংখ্যাগুলিকে ৪-বিট বাইনারি আকারে এনকোড করে। এটি সহজ এবং সরল, বিশেষ করে ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং ক্যালকুলেটরের জন্য উপযোগী। তবে এর মেমোরি ব্যবহারের সীমাবদ্ধতার কারণে আধুনিক ডিজিটাল সিস্টেমে পিওর বাইনারি এবং অন্যান্য পদ্ধতির বেশি ব্যবহার দেখা যায়।
আসকি (American Standard Code for Information Interchange) হলো একটি ক্যারেক্টার এনকোডিং স্ট্যান্ডার্ড, যা কম্পিউটারে টেক্সট উপস্থাপন এবং যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। ASCII প্রথমবারের মতো ১৯৬৩ সালে চালু হয় এবং এটি মূলত ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা, এবং সাধারণ প্রতীকগুলিকে বাইনারি ফরম্যাটে এনকোড করতে সাহায্য করে, যা কম্পিউটার সহজে বুঝতে এবং প্রসেস করতে পারে।
১. ৭-বিট এনকোডিং:
২. ৮-বিট এক্সটেন্ডেড ASCII:
১. কন্ট্রোল ক্যারেক্টার (০-৩১):
২. স্পেস এবং প্রিন্টেবল ক্যারেক্টার (৩২-১২৭):
৩. এক্সটেন্ডেড ASCII (১২৮-২৫৫):
১. টেক্সট ফাইল:
২. প্রোটোকল এবং নেটওয়ার্কিং:
৩. প্রোগ্রামিং:
ASCII কোড | ক্যারেক্টার | বিবরণ |
---|---|---|
32 | (Space) | স্পেস |
48-57 | 0-9 | সংখ্যা |
65-90 | A-Z | বড় হাতের বর্ণমালা |
97-122 | a-z | ছোট হাতের বর্ণমালা |
10 | LF | লাইন ফিড (নতুন লাইন) |
13 | CR | ক্যারেজ রিটার্ন |
১. ভাষাগত সীমাবদ্ধতা:
২. অল্প ক্যারেক্টারের সমর্থন:
ASCII-এর সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ইউনিকোড চালু করা হয়, যা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষর এবং প্রতীক সাপোর্ট করে। ইউনিকোডে লক্ষাধিক ক্যারেক্টার এনকোড করা সম্ভব, যা আধুনিক সফটওয়্যার এবং ইন্টারনেটের জন্য একটি কার্যকর সমাধান।
সারসংক্ষেপ: ASCII হলো একটি প্রাথমিক ক্যারেক্টার এনকোডিং সিস্টেম যা ইংরেজি ভাষার অক্ষর, সংখ্যা, এবং প্রতীক এনকোড করতে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি সীমাবদ্ধ, তবুও এটি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইন্টারনেটের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ANSI কোড বলতে আমরা স্ট্যান্ডার্ড এনকোডিং বোধ করি, যা হল আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI) দ্বারা প্রকাশিত একটি স্ট্যান্ডার্ড কোড। এটি ইউনিকোড না হলেও, একটি পুরাতন স্ট্যান্ডার্ড কোড হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা অধিকাংশ সিস্টেমে সমর্থিত হয়।
ANSI কোড একটি 8-বিট কোডিং সিস্টেম যা ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা, প্রতীক এবং সাধারণ পাঁচালী চিহ্ন সহ অন্যান্য স্থানীয় ভাষার ক্যারেক্টারগুলি কোড করে।
ইউনিকোড (Unicode) হলো একটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড যা কম্পিউটারে বিভিন্ন ভাষার এবং লেখার সিস্টেমের চরিত্র এবং প্রতীকগুলিকে একটি একক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ কোড পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সব ভাষার এবং স্ক্রিপ্টের জন্য একটি বৈশ্বিক সংকেত পদ্ধতি প্রদান করে, যার ফলে বিভিন্ন ভাষার লেখা এবং ডিজিটাল ডেটার সমন্বয় সম্ভব হয়।
বৈশ্বিক ভাষা সমর্থন: Unicode বিশ্বের প্রায় সমস্ত লেখার সিস্টেম, যেমন ল্যাটিন, আরবি, সেরিফ, কিরিলিক, হিন্দি, চীনা, জাপানি ইত্যাদির জন্য কোড পয়েন্ট সরবরাহ করে।
একক কোড পয়েন্ট: Unicode প্রতিটি চরিত্রকে একটি অনন্য কোড পয়েন্ট প্রদান করে। এই কোড পয়েন্টগুলি সাধারণত হেক্সাডেসিমাল সংখ্যায় উপস্থাপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি "A" এর Unicode কোড পয়েন্ট হলো U+0041।
বিভিন্ন ফরম্যাট: Unicode বিভিন্ন এনকোডিং ফরম্যাটে উপলব্ধ, যেমন UTF-8, UTF-16, এবং UTF-32। UTF-8 সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং এটি ASCII-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইনক্রিমেন্টাল আভেদ: Unicode চরিত্রগুলি বিভিন্ন ভাষার এবং সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, যার ফলে এটি একটি আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃসংস্কৃতি সমর্থনকারী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ সমর্থন: Unicode বিভিন্ন ভাষার ও লেখার সিস্টেমকে একসাথে কাজ করার সুযোগ দেয়, যা বৈশ্বিক যোগাযোগকে সহজতর করে।
সামঞ্জস্য: Unicode ব্যবহারে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইসে পাঠ্য একইভাবে প্রদর্শিত হয়, যা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করে।
ডেটা সংরক্ষণ: Unicode ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষার তথ্য এবং ডেটা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, যা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন: Unicode ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপাররা বিভিন্ন ভাষার সমর্থনসহ মাল্টি-ল্যাঙ্গুয়েজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
ডেটাবেস: Unicode ডেটাবেসে বিভিন্ন ভাষার এবং চরিত্রের ডেটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
মোবাইল ডিভাইস: স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মতো ডিভাইসে Unicode ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষার লেখা সহজে প্রবাহিত করা যায়।
Unicode একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী কোডিং সিস্টেম, যা বিশ্বের সব ভাষার এবং লেখার সিস্টেমের চরিত্রগুলিকে একটি একক ফর্ম্যাটে উপস্থাপন করে। এটি বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন ভাষার লেখাকে সঠিকভাবে পরিচালনা এবং প্রদর্শন করার সুযোগ দেয়।
ইবিসিডিআইসি (EBCDIC): ইবিসিডিআইসি (EBCDIC)-এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে এক্সটেন্ডেড বাইনারি কোডেড ডেসিমাল ইনফরমেশন কোড (Extended Binary Coded Decimal Information Code)। বিশ্ব বিখ্যাত আইবিএম কোম্পানী তাদের নিজস্ব কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য এই কোড উদ্ভাবন করেছে। এটি ৮ বিটের কোড, যার ডান দিকের ৪টি এবং ৪ বিটের মধ্যে মাঝের ৩ বিট হলাে জোনাল বিট এবং সর্ব বামের বিটটি প্যারাটি বিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১. ৮-বিট এনকোডিং:
২. ডিজিটাল সিস্টেমে ব্যবহার:
৩. অভিন্ন চরিত্র সেট:
EBCDIC কোডে কিছু জনপ্রিয় অক্ষরের এনকোডিং:
১. অসংখ্যাকৃত:
২. বিভিন্ন সংস্করণ:
৩. ক্যারেক্টার সেটের সীমাবদ্ধতা:
EBCDIC হলো একটি ৮-বিট এনকোডিং পদ্ধতি যা মূলত IBM দ্বারা তৈরি হয়েছে এবং মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী এবং ব্যবহৃত হয়, তবে আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে তুলনায় ASCII এর ব্যবহার বেশি প্রচলিত। EBCDIC বিশেষ করে ব্যাংকিং এবং পুরানো সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর সীমাবদ্ধতা এবং অসঙ্গতি আধুনিক প্রযুক্তিতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বাইনারি গণিত (Binary Math) হলো সেই গণনার একটি প্রক্রিয়া, যা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ০ এবং ১ ব্যবহার করে সংখ্যা উপস্থাপন করে, যা ডিজিটাল কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ভিত্তি। বাইনারি গণিতের মূল গাণিতিক অপারেশনগুলো হলো যোগ, বিয়োগ, গুণ, এবং ভাগ।
নিচে বাইনারি গণিতের কিছু মৌলিক অপারেশন এবং তাদের উদাহরণ দেওয়া হলো:
A | B | Result | Carry |
---|---|---|---|
0 | 0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 1 | 0 |
1 | 0 | 1 | 0 |
1 | 1 | 0 | 1 |
উদাহরণ:
1011
+ 1101
-------
11000
বিশ্লেষণ:
A | B | Result | Borrow |
---|---|---|---|
0 | 0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 1 | 1 |
1 | 0 | 1 | 0 |
1 | 1 | 0 | 0 |
উদাহরণ:
1100
- 0101
-------
0111
বিশ্লেষণ:
A | B | Result |
---|---|---|
0 | 0 | 0 |
0 | 1 | 0 |
1 | 0 | 0 |
1 | 1 | 1 |
উদাহরণ:
101
× 110
-------
000 (101 × 0)
101 (101 × 1, শিফট ১ জায়গা)
+1010 (101 × 1, শিফট ২ জায়গা)
-------
11110
উদাহরণ:
1101 (13 in decimal)
÷ 11 (3 in decimal)
-------
01 (1 in decimal, quotient)
বিশ্লেষণ:
বাইনারি গণিত ডিজিটাল কম্পিউটারের ভিত্তি এবং এটি কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং সংগঠনের জন্য অপরিহার্য। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি এবং গণনার মৌলিক অপারেশনগুলি ডিজিটাল প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
অক্টাল গণিত (Octal Math) হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যা ভিত্তি ৮ ব্যবহার করে। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা ০ থেকে ৭ পর্যন্ত ধারা থাকে। অর্থাৎ, অক্টাল গণিতের জন্য, ৮-এর পরিবর্তে ১০-এর সংখ্যা ব্যবহৃত হয়, যেখানে ৮ সংখ্যা হিসেবে গণ্য হয় না। অক্টাল গণিত মূলত কম্পিউটিং এবং তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত বাইনারি এবং হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে রূপান্তর করার সময়।
অক্টাল সংখ্যার যোগ করার সময়, ৮-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হয়। যদি যোগফল ৮ বা তার বেশি হয়, তাহলে ১ অবশিষ্ট রাখার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।
উদাহরণ:
57 (অক্টাল)
+ 34 (অক্টাল)
------
113 (অক্টাল)
ব্যাখ্যা:
অক্টাল বিয়োগ করার সময়, ঋণাত্মক ফলের জন্য ১ ধার্য করতে হবে।
উদাহরণ:
76 (অক্টাল)
- 34 (অক্টাল)
------
42 (অক্টাল)
ব্যাখ্যা:
অক্টাল গুণ করার সময়, সাধারণ গুণনের মতোই কাজ করা হয়, কিন্তু ফলাফল ৮-এর ভিত্তিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ:
23 (অক্টাল)
× 5 (অক্টাল)
------
115 (অক্টাল)
ব্যাখ্যা:
অক্টাল ভাগ করার সময়, ভাগফল এবং অবশিষ্ট উভয়কেই ৮-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হবে।
উদাহরণ:
75 (অক্টাল)
÷ 5 (অক্টাল)
------
15 (অক্টাল)
ব্যাখ্যা:
অক্টাল সংখ্যাকে ডেসিমাল, বাইনারি বা হেক্সাডেসিমালে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
প্রতি বিটের মান গণনা করতে হবে এবং ৮-এর শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
উদাহরণ: অক্টাল 72 কে ডেসিমালে রূপান্তর করা:
7 × 8^1 + 2 × 8^0 = 56 + 2 = 58
প্রতি অক্টাল সংখ্যাকে ৩ বিট বাইনারিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ: অক্টাল 5 কে বাইনারিতে রূপান্তর করা:
5 = 101 (বাইনারি)
অক্টাল গণিত সহজ এবং কার্যকর, তবে এর জন্য ৮-এর ভিত্তিতে গণনা করার দক্ষতা প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইলেকট্রনিক্সে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়।
হেক্সাডেসিমাল গণিত হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যা ভিত্তি ১৬ ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে সংখ্যা ০ থেকে ৯ এবং A (10), B (11), C (12), D (13), E (14), F (15) পর্যন্ত থাকে। হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি সাধারণত কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রোগ্রামিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক।
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যার যোগ করার সময়, ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হয়। যদি যোগফল ১৬ বা তার বেশি হয়, তাহলে ১ অবশিষ্ট রাখতে হয়।
উদাহরণ:
1A (হেক্সাডেসিমাল)
+ 2B (হেক্সাডেসিমাল)
------
45 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল বিয়োগ করার সময়, ঋণাত্মক ফলের জন্য ১ ধার্য করতে হবে।
উদাহরণ:
3C (হেক্সাডেসিমাল)
- 1A (হেক্সাডেসিমাল)
------
22 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল গুণ করার সময়, সাধারণ গুণনের মতোই কাজ করা হয়, কিন্তু ফলাফল ১৬-এর ভিত্তিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ:
1A (হেক্সাডেসিমাল)
× 3 (হেক্সাডেসিমাল)
------
51 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল ভাগ করার সময়, ভাগফল এবং অবশিষ্ট উভয়কেই ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হবে।
উদাহরণ:
4A (হেক্সাডেসিমাল)
÷ 2 (হেক্সাডেসিমাল)
------
26 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ডেসিমাল, বাইনারি বা অক্টাল রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
প্রতি বিটের মান গণনা করতে হবে এবং ১৬-এর শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল 1A কে ডেসিমালে রূপান্তর করা:
1 × 16^1 + 10 × 16^0 = 16 + 10 = 26
প্রতি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ৪ বিট বাইনারিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল A কে বাইনারিতে রূপান্তর করা:
A = 1010 (বাইনারি)
হেক্সাডেসিমাল গণিত সহজ এবং কার্যকর, তবে এর জন্য ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করার দক্ষতা প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইলেকট্রনিক্সে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক এবং সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়।
আমরা সাধারণত যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি তাকে বলা হয় দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। কম্পিউটার যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এরকম আরো অনেক সংখ্যা পদ্ধতি আছে।
নিচে কয়েকটি সংখ্যা পদ্ধতির নাম দেওয়া হল।
1. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ৯ পর্যন্ত)।
2. বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি (০ এবং ১)।
3. অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ৭ পর্যন্ত)।
4. হেক্স-ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি (০ থেকে ১৬ পর্যন্ত- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০, A, B, C, D, E এবং F)।
দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
আমরা জানি যে গণিত লেখা কিছু চিহ্ন বা সংখ্যার সাহায্যে করা হয়। যাইহোক, আমরা যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখি তার উপর নির্ভর করে কতগুলো চিহ্ন বা সংখ্যা লেখা যাবে তা জানা যাই। আমরা সাধারণত যে পদ্ধতিতে সংখ্যা লিখি তাতে দশটি চিহ্ন বা অক্ষর ব্যবহার করা হয়, তাই একে দশমিক পদ্ধতি বলা হয়। অর্থাৎ, দশমিক পদ্ধতিতে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ০ দশটি সংখ্যা থাকে। এই পদ্ধতিতে লেখা সংখ্যার ভিত্তি হল ১০।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
০ এবং ১ এ দুই অঙ্কের সংখ্যা পদ্ধতিকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। বাইনারি হল সবচেয়ে সহজ সংখ্যা পদ্ধতি। এর ভিত্তি হল ২। ০ এবং ১ চিহ্ন দুটিকে গণিতের ভাষায় সংখ্যা বলা হয়। মাত্র দুটি চিহ্ন বা সংখ্যা দিয়ে সংখ্যা লেখার এই পদ্ধতি বাইনারি পদ্ধতি নামে পরিচিত। তাই এই দুটি সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যা বা বাইনারি অংক বলা হয়। কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যার সাহায্যে সব ধরনের গণনা বা যেকোনো কাজ করে থাকে। বাইনারি সংখ্যা দ্বারা গঠিত কম্পিউটার ভাষাকে বাইনারি ভাষা বলে।
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
বাইনারি সংখ্যাগুলিকে বেশ দীর্ঘ হয় তাই অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে যা এটিকে সহজ এবং সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করে। এই নম্বর সিস্টেমটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বাইনারি সংখ্যাগুলি প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হল আট। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ৭ যার মানে এখানে সবচেয়ে বড় সংখ্যা হল ৭।
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি
কম্পিউটারে ব্যবহৃত আরেকটি সংখ্যা পদ্ধতিকে বলা হয় হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি। এই নম্বর সিস্টেমটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ বাইনারি সংখ্যাগুলি প্রক্রিয়া করতেও ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল হল একটি ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ১৬টি চিহ্ন, প্রতীক বা সংখ্যা রয়েছে। এগুলি হল ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A, B, C, D, E এবং F। নীচের টেবিলটি দশমিক সংখ্যার পাশাপাশি হেক্সাডেসিমেল সমতুল্য সংখ্যাগুলিও দেখানো হলো৷
দশমিক থেকে বাইনারি রূপান্তর
আসুন এখন জানি কিভাবে একটি দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করা যায়। দশমিককে বাইনারিতে রূপান্তর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল দশমিক সংখ্যাকে দুই দ্বারা ভাগ করা। এবং ভাগশেষগুলোকে পাশাপাশি সাজালেই সমতুল্য বাইনারি সংখ্যা পাওয়া যাবে। এখানে শেষ অবশিষ্ট সংখ্যাগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সংখ্যা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ: চলুন ২৫ (দশমিক) সংখ্যাটিকে বাইনারিতে রূপান্তর করি।
ফলাফল ১১০০১(পঁচিশ) বাইনারি
বাইনারি থেকে দশমিকে রূপান্তর
আমরা একটি সংখ্যার স্থানীয় মান দিয়ে গুণ করে তার মোট মান খুঁজে পেতে পারি। যেমন একক, দশক, শতাব্দী, স্থানীয় মান এইভাবে পাওয়া যাবে। তবে বাইনারি সংখ্যাগুলিকে তাদের স্থানীয় মানগুলিকে গুণ করে এবং প্রাপ্ত মানগুলি যোগ করে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করা যেতে পারে।
নীচে সংখ্যাটি ১১০০১ (বাইনারী পঁচিশ) দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আপনি যদি একটি বাইনারি সংখ্যার একটি ভগ্নাংশকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান, আপনি ফলাফলটিকে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করতে পারেন এবং গুণফলটিকে যোগ করলে দশমিক সমতুল্য সংখ্যা পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আসুন .১০১০ সংখ্যাটিকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করি।
দশমিক থেকে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর
যেহেতু অক্টাল সংখ্যার ভিত্তি আট। সুতরাং যেকোনো দশমিক পূর্ণ সংখ্যাকে আট দ্বারা ভাগ করে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করা যেতে পারে। ভাগফল শূন্য না হওয়া পর্যন্ত পুনঃবন্টন করতে হবে এবং ভাগফলকে পাশাপাশি সাজিয়ে অক্টাল সংখ্যা পাওয়া যাবে। এখানে শেষ অংশটি সর্বোচ্চ গুক্তত্বের সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, আসুন ৭৫ (দশমিক) সংখ্যাটিকে একটি অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
আপনি যদি একটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যাকে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান তবে আপনাকে সেই সংখ্যাটিকে আট দ্বারা গুণ করতে হবে এবং পূর্ণ সংখ্যাটি আলাদা করতে হবে। যদি গুণফলে ভগ্নাংশ থাকে তবে এটিকে আবার গুণ করতে হবে। সবশেষে, পূর্ণ সংখ্যাগুলো পাশাপাশি সাজানো হলে অক্টাল সংখ্যা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রথম পূর্ণ সংখ্যাটিকে সর্বোচ্চ গুক্তত্বে সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আসুন ০.২৫ কে একটি অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
অক্টাল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর
অক্টাল সংখ্যা একইভাবে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণিত করে এবং পরে গুণফল দ্বারা যোগ করলে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর হয়। নিচের উদাহরণটি লক্ষ্য করুন। ১১৩.১২ অক্টাল সংখ্যাটি দশমিক সংখ্যায় রূপান্তরিত।
দশমিক থেকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার ভিত্তি হল ১৬। একটি পূর্ণ দশমিক সংখ্যাকে একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করতে এটিকে ১৬ দ্বারা ভাগ করতে হবে। ভাগফলটি শূন্য না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় ভাগ করতে হবে। সবশেষে, ভাগশেষসমূহ শেষ থেকে শুরুতে অবশিষ্টাংশকে বাছাই করলে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পাওয়া যায়৷ ৫৫ দশমিক সংখ্যাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করা যাক।
ফলাফল: ৩৭ (পঞ্চান্ন হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি)।
আপনি যদি একটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান তবে আপনাকে পুনঃ পুনঃ ১৬ দ্বারা ভগ্নাংশকে গুণ করতে হবে। গুণফল থেকে প্রাপ্ত পূর্ণসংখ্যাগুলি পাশাপাশি সাজিয়ে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আসুন আমরা ০.৫০ সংখ্যাটিকে একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যায় রূপান্তর করি।
ফলাফল: ০.৮ হেক্সাডেসিমেল
হেক্সাডেসিমেল থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর
হেক্সাডেসিমেল সংখ্যার ভিত্তি হল ১৬। আপনি যদি একটি হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করতে চান, আপনি সেই সংখ্যাটিকে তার স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করতে পারেন এবং প্রাপ্ত সংখ্যাগুলি যোগ করলে দশমিক সংখ্যা পাবেন।
A২.৮ কে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর।