উদ্দীপক-১:
কার্ড পাই খেতে যাই
চমচম ও মিষ্টি;
খাওয়া শেষে হেসে হেসে
হাতেও দেয় লিস্টি?
উদ্দীপক-২:
পবিত্র এই মনের ছোঁয়া থাকুক বছর জুড়ে
সুখ পাখিরা আসুক ঘরে, দুঃখ পালাক দূরে।
ভালোবাসার আলো খেয়ে নতুন দিনের মতো
যাক মুছে যাক কূট চেতনা মন কালিমা যতো।
উদ্দীপক-২ এর মূলভাব 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের লেখকের আহ্বানের প্রতিফলন।- মন্তব্যটি যথার্থ।
বাঙালি সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত 'পয়লা বৈশাখ' উৎসব আজও অকৃত্রিম আধুনিক। এই উৎসবের আবেদন বাঙালিকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা জোগায়।
'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে লেখক বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনে বাঙালির অংশগ্রহণ ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে জাগ্রত করার আহ্বান করেছেন। অপরাজেয় শক্তি ও মহিমায় তিনি পয়লা বৈশাখের জয় ঘোষণা করেছেন। একইভাবে উদ্দীপক-২ এ কবি নববর্ষ উপলক্ষে শুভ কামনা জানিয়েছেন। এই দিনে পবিত্র মনের ছোঁয়া যেন বছরজুড়ে থাকে, সুখ পাখিরা যেন ঘরে আসে। ভালোবাসায় উজ্জীবিত হয়ে মনের কালিমা যেন সব মুছে যায়।
'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, উঁচু-নিচুর বিভেদ-বৈষম্য ভুলে বাংলা নববর্ষ উৎসব উদ্যাপনের কথা বলা হয়েছে। এতে বাঙালিদের কথা বলা হয়েছে। এতে বাঙালিদের মধ্যে যে ঐক্যচেতনা লক্ষ করা যায় তাই এই প্রবন্ধের মূল সুর। উদ্দীপক-২ এ এই চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এই দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।