দীপ্তর বাবা ব্যবসায়ী। আজ তাদের দোকান বিভিন্ন রঙের কাগজ কেটে সাজানো হয়েছে। সে তার বন্ধু শেফালী ও নিতীশ চাকমাকে দোকানে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত দেয়। মিষ্টি খেয়ে তারা এক সাথে মেলায় যায়। মেলায় হরেক রকম দোকান বসেছে। মেলায় ঘুরে ঘুরে তারা বিভিন্ন শখের জিনিস কেনে, নাগরদোলায় চড়ে এবং পুতুলনাচ দেখে। ফেরার পথে তাদের মনে পড়ে শহরের বন্ধু আসিফের কথা। আসিফ ও তার পরিবার এই নববর্ষ উপলক্ষে নতুন বিশেষ পোশাক ক্রয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। এসব গল্প করতে করতে তারা বাড়ি ফেরে।
উদ্দীপকের দীপ্ত, শেফালী ও নিতীশ চাকমার পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(প্রয়োগ)উদ্দীপকের দীপ্ত, শেফালী ও নিতীশ চাকমার পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে উল্লিখিত আনন্দ উৎসবের দিকটি ফুটে উঠেছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই দিনে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র, উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য ভুলে সবাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে। বাংলা নববর্ষের উৎসব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে।
উদ্দীপকে বাংলা নববর্ষের দিনে আনন্দ উৎসবের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। দীপ্ত তার বন্ধু শেফালী ও নিতীশ চাকমাকে নিজেদের দোকানে নিয়ে গিয়ে হালখাতার মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করে। তারা বৈশাখী মেলায় গিয়ে নানা রকমের দোকানে ঘুরে ঘুরে শখের জিনিস কেনে, নাগরদোলায় চড়ে, পুতুলনাচ দেখে। 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধেও পয়লা বৈশাখের এই উৎসব আনন্দের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া হালখাতা, বৈশাখী মেলা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খেলাধুলা ও প্রদর্শনীর কথাও আলোচ্য প্রবন্ধে উপস্থাপিত হয়েছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের দীপ্ত, শেফালী ও নিতীশ চাকমার পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনে আলোচ্য প্রবন্ধের আনন্দ উৎসবের দিকটি ফুটে উঠেছে।