হাঙ্গেরিবাসীরা বছরের শেষ দিন হাঁস, মুরগি বা কোনো ধরনের পাখির মাংস খান না। তারা বিশ্বাস করেন, উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে। তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে। উপহারে এই ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে বলে তারা বিশ্বাস করে।
প্রতিবাদ করে নববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা তুলে ধরেছে।
পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন বাঙালি জাতির অনেক পুরনো ঐতিহ্য। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্ত হলে পাকিস্তানের জন্ম হয়। তখন পূর্ব পাকিস্তানে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হলে পাকিস্তান সরকার তা অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে। বাঙালিরা তখন তাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐতিহ্যবাহী চেতনার আনন্দে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করে। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ঐক্য ও অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। সেই সঙ্গে বাঙালিরা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুলে ধরেছে।