Academy

ডাক্তার সাহেব রাফিনের আব্বাকে সুস্থ থাকার জন্য কী উপদেশ দেন? ব্যাখ্যা কর।

Created: 1 year ago | Updated: 1 week ago
Updated: 1 week ago

ডাক্তার সাধারণত ডায়াবেটিস বা এর মতো উপসর্গযুক্ত রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছু সাধারণ উপদেশ দিয়ে থাকেন। রাফিনের আব্বার ক্ষেত্রে, সম্ভবত তিনি নিম্নলিখিত উপদেশগুলো পেয়েছেন:

1. সুষম খাদ্য গ্রহণ:

ডাক্তাররা ডায়াবেটিস রোগীদের এমন খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে থাকে:

  • কম শর্করা যুক্ত খাবার: যেমন কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) সমৃদ্ধ শস্য।
  • প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • প্রোটিন: মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি।
  • পর্যাপ্ত পানি: শরীর হাইড্রেট রাখতে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে।

2. নিয়মিত ব্যায়াম:

ডাক্তাররা রোগীদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট নিয়মিত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। এটি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ায় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

3. ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ:

যদি রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিন থেরাপি দিতে পারেন। রোগীকে প্রতিদিন সঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

4. চিকিৎসকের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:

ডাক্তার নিয়মিত ফলো-আপে যাওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিকভাবে মনিটর করা যায় এবং রোগের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকা যায়।

5. ওজন নিয়ন্ত্রণ:

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়িয়ে দেয়।

6. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:

ডায়াবেটিস রোগীরা মানসিক চাপের কারণে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে পারেন, তাই ডাক্তার মানসিক চাপ কমানোর এবং পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন।

7. ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন:

ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এগুলো বর্জনের পরামর্শ দেয়া হয়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনধারা পরিবর্তনের এই উপদেশগুলো রোগীকে সুস্থ থাকতে এবং জটিলতা এড়াতে সহায়তা করে।

1 week ago

হৃদযন্ত্রের যত কথা

মানুষ ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণির প্রাণীদের দেহে যেসব তন্ত্র আছে, তার মধ্যে রক্ত সংবহনতন্ত্র উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই তন্ত্রের মাধ্যমে দেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজের রসদ সারা শরীরে পরিবাহিত হয়। রন্তু সংবহনতন্ত্র গঠিত হয়েছে রুন্তু, হৃৎপিণ্ড ও রক্তবাহিকা নিয়ে। হৃৎপিণ্ড হচ্ছে হৃৎপেশি দিয়ে তৈরি ত্রিকোণাকার ফাঁপা প্রকোষ্ঠযুক্ত পাম্পের মতো একটি অঙ্গ। এর সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সারা দেহে রক্ত সরবরাহিত হয়। আকার, আকৃতি ও কাজের ভিত্তিতে রক্তবাহিকা তিন রকম— ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা। রক্তকে রক্তবাহিকার ভেতর দিয়ে সঞ্চালনের জন্য হৃৎপিণ্ড মানব ও অন্য সকল প্রাণীদেহে পাষ্পের মতো কাজ করে। ধমনি দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয়। সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে। ধমনি ও শিরার সংযোগস্থল জালিকাকারে বিন্যস্ত হয়ে কৈশিক জালিকা গঠন করে। আমরা এ অধ্যায়ে সন্তু এবং রক্ত সঞ্চালনের যাবতীয় বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারব।

 

এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা :

  • রক্তের উপাদান এবং এদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তের স্থানান্তরের নীতি ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রক্তে বিঘ্নতা/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ এবং এর ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালন কার্যক্রম ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • রপ্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালনে কোলেস্টেরলের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারব।
  • কোলেস্টেরলকে প্রত্যাশিত সীমায় রাখার প্রয়োজনীয়তা ও উপায় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • রয়ে সুগারের ভারসাম্যতার কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার উপায় বর্ণনা করতে পারব।

 

Promotion