নিচেরউদ্দীপকটি পড় এবং ৬ও ৭ নং প্রশ্নেরউত্তর দাও ।
শফিক সাহেব একজন কৃষক। তারমেয়ে নাফিজা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। অভাবের কারণে তাকে পড়ালেখা করাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন অবস্থায় সেতার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন । বছরখানেক পরে তার গর্ভে সন্তান আসে । সন্তানভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাফিজা অসুস্থ থাকে। নাফিজার এই অবস্থা দেখে পাশের বাড়ির মাদ্রাসা শিক্ষক বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করেন । এলাকার কিছু তরুণ উদ্যোগী হয়ে কর্মসূচিটি সফল করতে কাজ শুরু করেন । ফলশ্রুতিতে দেখা গেল ৩ বছরের মধ্যে গ্রামে কোনো বাল্য বিবাহ হয় নাই ।
৬. নাফিজার এ অবস্থার কারণকী?
একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। শিশুটির বড় হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়কে কাল হিসেবে ধরা হয়। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর শৈশবকাল। শৈশবকালে ছেলে বা মেয়ে সকলকে শিশু বলা হয়। ছয় থেকে দশ বছর পর্যন্ত বয়সকে আমরা বলি বাল্যকাল। বাল্যকালে শিশু মেয়ে হলে বালিকা এবং ছেলে হলে বালক বলা হয়। দশ থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলে বা মেয়েকে কিশোর বা কিশোরী হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এ সময়ে তাদের শরীর যথাক্রমে পুরুষের বা নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বয়ঃসন্ধিকাল হচ্ছে বাল্যকাল ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়। একটি শিশু ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক, তার জন্ম থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি স্তরেই তার সাধারণ স্বাস্থ্যের সাথে প্রজনন স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি জড়িত। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য কী এবং এটা রক্ষা করার বিষয়ে সবারই জানা প্রয়োজন।
এ অধ্যায় শেষে আমরা-