ব্যবসায়ের পরিবর্তনে জনাব রাতুলের কোন গুণটি লক্ষণীয়?
মহৎ যে কোনো সৃষ্টির পিছনে তাকালে দেখা যাবে সেখানে ব্যক্তি বা ব্যক্তি বিশেষের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে । উদ্যোগের সাথে উদ্যম ও সৃজনশীলতা জড়িত। কোনো সমাজে যদি মানুষ উদ্যোগী না হয়, উদ্যম হারায় তবে সেখানে সৃজনশীলতা উৎসাহিত হয় না । ফলে ঐ সমাজ পশ্চাৎপদ সমাজে পরিণত হয়।
তাই ভালো উদ্যোগ যেন সর্বত্র এগিয়ে যেতে পারে, মানুষ যেন উদ্যোগী হতে উৎসাহী হয় সে পরিবেশ সৃষ্টি করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। ব্যবসায় যে কোনো দেশে মানুষের রোজগারের প্রধান খাত, আয় কর্মসংস্থানের মুখ্য উপায় এবং উন্নয়নের অন্যতম অবলম্বন । তাই ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আবশ্যক । আগামী দিনে যারা উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠবে সেই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়টি ভালো করে জানতে হবে । তাদের হৃদয়পটে যেন ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার বাসনা জন্মে, উদ্যোক্তাদের যেন তারা . সম্মান করতে শেখে এজন্য প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়া উচিত ।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে শিক্ষার্থীরা (শিখন ফল)
১. উদ্যোগের ধারণা ও ক্রমবিকাশ ব্যাখ্যা করতে পারবে
২. ব্যবসায় উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি ব্যাখ্যা করতে পারবে
৩. সফল উদ্যোক্তার গুণাবলি বর্ণনা করতে পারবে
৪. আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তার গুণাবলি শনাক্ত করতে পারবে
৫. ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ বিশ্লেষণ করতে পারবে
৬. আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোগের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে
৭. আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগের অবদান বিশ্লেষণ করতে পারবে
৮. বাংলাদেশে ব্যবসায় উদ্যোগ উন্নয়নে সমস্যা এবং তা দূরীকরণের উপায় ব্যাখ্যা করতে পারবে
৯. বাংলাদেশের সফল উদ্যোক্তাদের জীবনী পাঠের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত হবে
১০. বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বর্ণনা করতে পারবে
১১. বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কিছু সুপারিশ করতে পারবে