বর্তমানে এমন একটি সময়ে আমরা আছি, যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব কিছু ধারণা উদঘাটিত হচ্ছে, নতুন-নতুন কৌশল তৈরী হচ্ছে। এসবই হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের ফলে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া এখন সহজ সাধ্য। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা প্রদান করাও এখন সম্ভব। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন আসছে, তা এখন আর অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এটি সম্ভব হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে। ইন্টারনেট এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্বকে অবারিত করে দিয়েছে। যে যেখানে আছে, সেখান থেকেই পৃথিবীর যেকোনো উৎস থেকে শিক্ষামূলক তথ্য আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে।
ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে বোঝায়। শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করণে শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট মডেম ও স্পীকারের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বর্তমানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমানে অনলাইনে ভর্তি আবেদন, শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, প্রশংসাপত্র, ডিজিটাল আইডিকার্ড, ছাড়পত্র প্রিন্ট, পরীক্ষার ফলাফল তৈরী ও অনলাইনে ডাউনলোড, গ্রেডিং সিস্টেমের ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষক- শিক্ষার্থীর অনলাইন হাজিরা ব্যবস্থাপনা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিউশন ফি প্রদান, সিসি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারীসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদিত হচ্ছে।
ডিজিটাল শিক্ষা ও বাংলাদেশঃ এক দশকে শিক্ষাব্যবস্থার প্রযুক্তির সমন্বয় ও ব্যবহার ছিল যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ । শ্রেণিকক্ষের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ ও আরো ফলপ্রসু করার জন্য বিশেষায়িত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ব্যবহার শুরু হয়। মাল্টিমিডিয়ায় কিভাবে শিক্ষাদান করা যায়, সেই ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হয় সবচেয়ে বেশী। শিক্ষকেরা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এবং ভিডিওর সমন্বয়ে শেখানো শুরু করেন। এখন এটাই ছিলো আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে শিক্ষকেরা আরো বেশী কার্যকর শিক্ষাদান করতে সমর্থ হন এবং স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষাকার্যক্রমও ফলপ্রদ হতে থাকে। কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা ও ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পরিচালনা সহজ হয়ে পড়ে। এ ধরনের সিস্টেম ব্যবহারকারী ক্লাসরুমকে স্মার্ট ক্লাসেস বলা হয়। প্রযুক্তির আধুনিকায়নের ফলে এই স্মার্ট ক্লাসরুম অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রেকর্ডকৃত ক্লাসের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজের সময়-সুযোগমতো নিজের অবস্থানে থেকেই এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। রেকর্ডকৃত ক্লাসের সাথে সাথে অনলাইন লাইভ ক্লাসেরও প্রসার শুরু হয়েছে।
ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণঃ ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়েরই কিছু ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণের প্রয়োজন হয় । প্রয়োজনীয় কিছু ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ হলোঃ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ডিজিটাল কন্টেন্ট, ই-বুক, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, প্রয়োজনীয় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট পরিচালনায় দক্ষতা, মোবাইল/ল্যাপটপ, দ্রুতগতির ইন্টারনেট, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, সিসি ক্যামেরা, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট মডেম, স্পীকার ইত্যাদি ।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসঃ কোন বিষয়কে উপস্থাপনের জন্য টেক্সট, অ্যানিমেশন, অডিও এবং ভিডিও এর সমন্বিত রূপকে মাল্টিমিডিয়া বলে। আর এসবকিছু ব্যবহার করে যখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, তখন তাকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বলে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে হলে শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ, ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, একটি সাদা স্ক্রীন ও স্পীকার থাকা আবশ্যক। একটি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে ৩০ থেকে ২০টি স্লাইডই যথেষ্ট। শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের বিকল্প নেই। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনার জন্য আইসিটি বিষয়ে শিক্ষকের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ২০১৩ সালের ২১ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছিলেন। ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন যে, তিনি এদেশের ছাত্রছাত্রীদের ল্যাপটপ নিয়ে স্কুলে যেতে দেখতে চান।
দূরশিক্ষণ কার্যক্রমঃ বর্তমানে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং এই বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে একযোগে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই ধরনের অনলাইন ক্লাসে একই সাথে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই ধরনের অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি রেকর্ডকৃত ক্লাসের জনপ্রিয়তাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজের সময়-সুযোগমতো নিজের অবস্থানে থেকেই এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে অনলাইন লাইভ ক্লাসেরও প্রসার শুরু হয়েছে। গুগল ক্লাসরুম, জুম মিটিং বা অন্যান্য অনেক কোলাবোরেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষক একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে ইন্টারেকটিভ ক্লাস নিতে পারেন। এডুটেনমেন্ট বা গেমিফিকেশনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসও এখন দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখতে পারে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে এখন অনলাইন শিক্ষাকে আরও ব্যক্তিবিশেষে স্বতন্ত্র করা যাচ্ছে। অর্থাৎ যে শিক্ষার্থীর যেমন প্রয়োজন বা যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা তাকে শিক্ষাদান করা হচ্ছে। এরফলে একজন শিক্ষার্থী নিজ গতিতে শিখতে পারবে। আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রধান কারণ হচ্ছে এই স্বতন্ত্র শিক্ষাদানের অভাব। যখন একটা সাধারণ ক্লাসরুমে একজন শিক্ষকের কাছে পঞ্চাশ জন ছাত্র থাকে, তখন প্রত্যেক ছাত্রকে আলাদাভাবে দেখার সুযোগ থাকেনা। এই ঢালাও শিক্ষার কারণই বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উপযুক্ত শিক্ষাটি গ্রহণ করতে পারে না। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর মেশিন লার্নিং শিক্ষার্থীদের যথোপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।
শহর ও গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থার পার্থক্য দূরীকরণঃ শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশনের ফলে শহরের স্কুলের ডিজিটাল কন্টেন্ট গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী আবার গ্রামের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কনটেন্ট শহরের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে দ্রুতগতিতে শহর ও গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য দূরীভূত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্চ করে বিভিন্ন দেশের শিক্ষণ-শেখানো উপকরণ ডাউনলোড করে নিজ সংস্কৃতি, বিষয় ও শ্রেণী উপযোগী কনটেন্ট তৈরী করার মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিজিটাল শিক্ষার ইতিবাচক দিকঃ
ক. শিক্ষার্থী পর্যায়ে:
১. অডিও/ভিডিও সমৃদ্ধ কনটেন্টের সহায়তায় পাঠ উপস্থাপনের ফলে প্রত্যেকটি ক্লাস শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয় যাতে করে শিক্ষার্থীরা পাঠে অধিকতর মনোযোগী হচ্ছে।
২. শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিভীতি কমে যাচ্ছে।
৩. সহজবোধ্য কনটেন্টের সহায়তায় শিক্ষার্থীরা অল্প সময়েই পাঠ আয়ত্ত করতে পারছে।
8. স্বল্প সময়েই শিক্ষার্থীদের বর্ণ ও শব্দের সঠিক উচ্চারণ এবং শুদ্ধ ভাষায় কথা বলানো, শেখানো যায়।
৫. শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় ।
৬. সমভাবে ও অল্পসময়ে পাঠ সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে যায়।
৭. শিক্ষার্থীরা নিজেদের মূল্যায়ন নিজেরাই করতে পারে।
৮. শিক্ষার্থীরা ভিশনারী হচ্ছে।
৯. সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা অধিকতর মানসম্মত শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে।
১০. সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অল্পসময়ে জড়তাহীনভাবে পাঠ গ্রহণে মনোযোগী হচ্ছে।
১১. সকল কারিকুলাম সহজে বহনযোগ্য।
১২. শ্রেণী উপযোগী প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত কনটেন্ট সংগ্রহে রাখা যাচ্ছে।
খ. শিক্ষক পর্যায়েঃ
১. শিক্ষক সহজেই বিষয়বস্তু সকল শিক্ষার্থীর নিকট সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।
২. শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে পারেন।
৩. সমানভাবে ও অল্পসময়ে পাঠ শিক্ষার্থীর মাঝে পৌঁছানো যায়।
৪. মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট শিক্ষকের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
৫. অল্প সময়ে সকল শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।
৬. শিক্ষক শ্রেণী উপযোগী কনটেন্ট তৈরী করতে পারেন।
৭. সহজেই ক্লাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেন।
৮. নিত্যনতুন আপডেট বিষয়সমূহ সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন।
৯. শিক্ষক প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রশিক্ষিত করার সুযোগ পান।
১০. ই-বুক ও ই-কন্টেন্ট ব্যবহারে শিক্ষকদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল শিক্ষায় চ্যালেঞ্জঃ ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি এই শিক্ষা ব্যবস্থায়নে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমনঃ সার্বিক কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন ব্যয়বহুল: ডিজিটাল ক্লাস উপযোগী দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের সট: ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকা সমস্যার তৈরী করে: প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবক পর্যায়ে সঠিক ধারণার অস্পষ্ঠতা রয়েছে: শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকল মহলে স্বচ্ছ ধারণা ও দক্ষতার অভাব রয়েছে: উপকরণ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণে নষ্ট হবার ঝুঁকি থাকে; নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার অভাব, শিক্ষার্থীদের পারিবারিক পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথ সহযোগিতা করা হয় না; ডিজিটাল ক্লাস বাস্তবায়নে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অপর্যাপ্ততা রয়েছে; সার্বিক বিবেচনায় ডিজিটাল ক্লাস বান্ধব প্রশাসনিক পরিবেশ গড়ে ওঠেনি।
চ্যালেঞ্জ দূরীকরণে করণীয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি শিশুশ্রেণী থেকে বাধ্যতামূলক করতে হবে; প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে কম্পিউটার হিসেবে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলতে হবে; প্রতিটি ক্লাসরুমকে ডিজিটাল ক্লাসরুম বানাতে হবে; সকল শিক্ষককে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানে প্রশিক্ষণ দিতে হবে; সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের তাদের হাতের ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতে হবে। উপসংহারঃ ডিজিটাল দুনিয়ার শেষ সীমা বলে কিছুই নেই। এখানে সর্বদা নতুন চিন্তা, উদ্ভাবন ও সম্পাদন চক্র চলমান থাকে । অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা দ্বারাই আমাদের মতো চিরাচরিত সমাজকে প্রবুদ্ধ করা সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয়তা আমরা বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে পারছি।
একজন লেখক তিনিই যিনি লেখেন। তবে সব লেখা লিখেই লেখক হওয়া যায় না। লেখক সব ধরনের হতে পারে। তবে সৃজনশীল লেখকই হচ্ছে আমাদের মূল কেন্দ্রবিন্দু। লেখক হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম একটি স্বাধীন সত্ত্বা।
একজন লেখক পুরোপুরি তার নিজের সত্ত্বার ওপরে বেঁচে থাকে। অনেকেই লেখক হবার সহজ উপায় খোঁজ করে। কিন্তু পড়তে পড়তে আর লিখতে লিখতেই শুধুমাত্র লেখক হওয়া যায়। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। লেখক অনেক ধরনের হতে পারে।
একজন সাংবাদিকও একজন লেখক। উপন্যাস, গল্প, কবিতা, ছড়া, সাহিত্য, প্রবন্ধ, রম্য, ব্লগ সব ধরনের লেখা যারা লেখে তারাই লেখক। অনেকেই মস্তিষ্কের মধ্যে ওকটা লেখার শক্তি পেয়ে যায় আর অনেকে হয়ত শিখে শিখে লেখক হয়।
সমাজ সভ্যতা কখনোই পুরোপুরি একজন লেখকের পক্ষে থাকে না। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপক্ষে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই একজন লেখক তার কলমের আঘাতে জর্জরিত করতে চায় সকল অন্যায়, অপবাদ। তাই হয়ত বেঁধে যেতে পারে সংঘাত। কলমই হচ্ছে একজন লেখকের দাঁড়ানোর জায়গা। কলম ছাড়া লেখকের অস্তিত্ব বিলীন। তবে সবাইকে যে প্রতিবাদ লিখতে হবে এমন কোনো কথা। কেউ কেউ মনোরঞ্জনের জন্যও লেখে। অনেকে আবার চাটুকারিতা করতে লেখে। কেউ আবার কীভাবে পুরষ্কার তুলে নেওয়া যায় সেই ধান্দা করার জন্য লেখে।
একজন লেখক হয়ে উঠতে পারে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্যকারী। সে কলমের ছোঁয়ায় প্রতিবাদ করতে অন্যায়ের আর ফুটিয়ে তুলবে ন্যায়ের কথা। লেখকের কলমের কালি প্রেরণার সুর হয়ে গান গাইবে। আর অশ্রুসিক্ত নয়নে হাসির ঝলক আনবে লেখকের কলম। একজন লেখকের প্রাণ তার লেখা, তার লেখার ভঙ্গি। সে তার লেখা দিয়ে বাঁচিয়ে তুলতে পারবে অসুস্থ কোনো সভ্যতাকে। লেখক তার কলম দিয়ে জাগ্রত করতে পারবে মানুষের ভীতরে লুকিয়ে থাকা অদম্য সাহস।
একজন লেখক কল্পনাকে নিয়ে আসতে পারে বাস্তবে। আমাদের নিয়ে যেতে পারে কল্পনার গহীন বনে। লেখক আমাদের সবাক যুগ থেকে অবাক যুগে নিয়ে যেতে পারে মুহূর্তের মাঝেই। লেখক জাগাতে পারে প্রেম, লেখক জাগাতে পারে নতুন কাজের স্পৃহা।
অনেকেই মনে করে লেখকের সকল বিষয়ে দ্বায় আছে। কিন্তু লেখকের মূলত কারো কাছেই কোনো দ্বায় নেই। তার দ্বায় থাকে শুধু নিজের মনের কাছে, নিজের বিবেকের কাছে, নিজের সুপ্ত চেতনার কাছে। সমাজ কি ভাববে তা নিয়ে লেখক মাথা ঘামাবে না। লেখক ভয়ে নাথা নোয়াবে না। লেখক যতদিন বাঁচবে বীরের মতোই বাঁচবে।
সারা বিশ্বেই লেখকরা নির্যাতনের শিকার হয়। অনেকেই বলে থাকে লিখে কিছুই হয় না। তাই যদি হতো তাহলে লেখার জন্য লেখকের শাস্তি হতো না। লেখকের ফাঁসি হতো না।
লেখকের কলমে অনেক জোর। সেই জোর ভেঙে চুরে গুড়িয়ে দিতে পারে যেকোনো কিছু। বিশেষ করে সাংবাদিকরা বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত হয় অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে। শাস্তি, সাজা বহু কিছু তাদের সহ্য করতে হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখলে হুমকি আসে, হামলা মামলা বহু ঘটনাই ঘটে। কারণ শাসক, শোষক আর অন্যায়কারীদের অনেক ক্ষমতা। লেখকের সমাজের দায়মুক্তির জন্য জীবনও দিতে হয়। তাইতো একজন লেখক সমাজের শক্তি, সমাজের সম্পদ।
সাহিত্য হচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি তথা মানব-অভিজ্ঞতার কথা বা শব্দের বাঁধনে নির্মিত নান্দনিক বহিঃপ্রকাশ। এই অর্থে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি উচ্চতর গুণাবলি সমন্বিত বিশেষ ধরনের সৃজনশীল মহত্তম শিল্পকর্ম। সাহিত্য-শিল্পীগণ যখন ‘অন্তর হতে বচন আহরণ’ করে আত্মপ্রকাশ কলায় ‘গীতরস ধারা’য় সিঞ্চন করে ‘আনন্দলোকে’ নিজের কথা- পরের কথা- বাইরের জগতের কথা আত্মগত উপলব্ধির রসে প্রকাশ করেন- তখনই তা হয়ে ওঠে সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথের কথায় “বহিঃপ্রকৃতি এবং মানব-চরিত্র মানুষের মধ্যে অনুক্ষণ যে আকার ধারণ করিতেছে, যে-সঙ্গীত ধ্বনিত করিয়া তুলিতেছে, ভাষা-রচিত সেই চিত্র এবং সেই গানই সাহিত্য।…সাধারণের জিনিসকে বিশেষভাবে নিজের করিয়া – সেই উপায়ে তাহাকে পুনরায় বিশেষভাবে সাধারণের করিয়া তোলাই হচ্ছে সাহিত্যের কাজ।” [রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাহিত্য] সাহিত্য সত্য-সুন্দরের প্রকাশ হিসেবে প্রবহমাণ সময়ে যা ঘটে – সে-সবের মধ্য থেকে যা মহৎ, যা বস্তুসীমাকে ছাড়িয়ে বাস্তবাতীত প্রকাশ করে, যা জীবনের জন্য কল্যাণময় এবং মহৎ আদর্শের দ্যোতক তাকেই প্রকাশ করে। আসলে মহৎ সাহিত্য তাই- যা একাধারে সমসাময়িক-শাশ্বত-যুগধর্মী-যুগোপযোগী-যুগোত্তীর্ণ। সাহিত্য কেবল পাঠককে আনন্দ দেয় না- সমানভাবে প্রভাবিত করে পাঠক এবং সমাজকে।
আভিধানিকভাবে ‘সহিতের ভাব’ বা ‘মিলন’ অর্থে ‘সাহিত্য’ হলো কাব্য, নাটক, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি সৃজনশিল্পের মাধ্যমে এক হৃদয়ের সঙ্গে অন্য হৃদয়ের সংযোগ স্থাপন; সাহিত্য¯্রষ্টা-সাহিত্যের সাথে পাঠকের এক সানুরাগ বিনিময়। কিন্তু আভিধানিক অর্থের নির্দিষ্ট সীমায় সাহিত্যের স্বরূপ-গতি-প্রকৃতি-বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতির সম্যক ধারণা দেওয়া যেমন অসম্ভব, কোনো বিশেষ সংজ্ঞায় তাকে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়াও তেমন দুঃসাধ্য। বাচ্যার্থ ও ব্যঞ্জনার্থর সীমাকে অতিক্রম করে নানা রূপে, রসে, প্রকরণ ও শৈলীতে সাহিত্যের নিরন্তর যাত্রা সীমা থেকে অসীমে। প্রত্যক্ষ সমাজপরিবেশ তথা সমকালীন বাস্তব পারিপার্শ্বিক, নিসর্গপ্রীতি ও মহাবিশ্বলোকের বৃহৎ-উদার পরিসরে ব্যক্তিচৈতন্য ও কল্পনার অন্বেষণ ও মুক্তি- আর এইভাবেই শ্রেণিবিভাজন, নামকরণ ও স্বরূপমীমাংসার প্রচেষ্টাকে ছাপিয়ে উঠে সাহিত্যের যাত্রা সীমাহীনতায়। প্রকৃত সাহিত্য তাই যেমন তার সমসময় যা যুগমুহূর্তের, তেমনই তা সর্বকালের সর্বজনের। মার্কসবাদী সাহিত্যতত্ত্বে বাস্তব সমাজজীবনকে ‘ভিত্তি’ আর শিল্প-সাহিত্যকে সমাজের উপরিকাঠামোর [ঝঁঢ়বৎংঃৎঁপঃঁৎব] অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। সাহিত্যের মৌল উপকরণসামগ্রী আহৃত হয় জীবনের ভা-ার থেকে- সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বৈরিতার বিচিত্র-অনিঃশেষ ভা-ার থেকে। সাহিত্যসৃষ্টির মূলে সক্রিয় যে সৃজনী-ব্যক্তিত্ব তা নিছক বিমূর্ত কোনো সত্তা নয়; আত্মপ্রকাশ ও মানবিক সংযোগ ও বিনিময়ের বাসনায় অনুপ্রাণিত সে সত্তা তার ভাব-ভাবনা, বোধ ও বিশ্বাসকে এক আশ্চর্য কৌশলে প্রকাশ করে জনসমক্ষে কোনো একটি বিশেষ রূপ-রীতি-নীতির আশ্রয়ে। ব্যক্তিক অনুুভূতি-যাপিতজীবন-মিশ্রকল্পনার জগৎ থেকেই সৃষ্টি হয় সাহিত্যের; যুগান্তরের আলোকবর্তিকা হিসেবে সাহিত্য সত্যের পথে সবসময় মাথা উঁচু করে থেকেছে- সত্যকে সন্ধান করেছে। আসলে সাহিত্য এমনি এক দর্পণ- যাতে প্রতিবিম্বিত হয় মানবজীবন, জীবনের চলচ্ছবি, পরিবেশ-প্রতিবেশ, সমাজজীবনে ঘটমান ইতিহাস- ইতিহাসের চোরাস্রােত নানাবিধ কৌণিক সূক্ষ্মতায়।
সাধারণত আত্মপ্রকাশের বাসনা, সমাজ-সত্তার সঙ্গে সংযোগ কামনা, অভিজ্ঞতার আলোয় কল্পলোক নির্মাণ এবং রূপপ্রিয়তা- এই চতুর্মাত্রিক প্রবণতাই মানুষের সাহিত্য-সাধনার মৌল-উৎস। চতুর্মাত্রিক প্রবণতার [আত্মপ্রকাশের কামনা, পারিপার্শ্বিকের সাথে যোগাযোগ বা মিলনের কামনা, কল্প-জগতের প্রয়োজনীয়তা এবং সৌন্দর্য-সৃষ্টির আকাক্সক্ষা বা রূপমুগ্ধতা] মধ্যে সমাজসত্তার সঙ্গে সংযোগ-কামনা এবং অভিজ্ঞতার আলোয় কল্পলোক নির্মাণ- এই উৎসদ্বয়ের মধ্যে নিহিত রয়েছে সাহিত্য ও সমাজের মধ্যে আন্তর-সম্পর্কের প্রাণ-বীজ। সমাজ শিল্পীকে সাহিত্য-সাধনায় প্রণোদিত করে। ‘সহৃদয়-হৃদয় সংবাদ’এর মাধ্যমে সাহিত্যিকগণ লেখক-পাঠকের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেন- উভয়ের হৃদয়বীণার তারগুলোকে একই সুতায় গেঁথে দেন। এর কারণে সাহিত্য দেশ-কাল-সমাজের সীমা অতিক্রম করে সর্বসাধারণের হৃদয়কে আকর্ষণ করে। এর ফলে সাহিত্য হয়ে ওঠে সার্বজনীন-সর্বকালের মানুষের হৃদয়ের সামগ্রী এবং সাহিত্য¯্রষ্টাও হয়ে ওঠেন অনেক বড়। কিন্তু বর্তমান বাংলা সাহিত্যচর্চার গতি-প্রকৃতি, সমস্যা-সংকট-সমাধান কোন দিকে? এসব বিষয়ের সন্ধান- এ প্রবন্ধের অন্বিষ্ট।
লোকশিল্প
লোক শিল্প প্রতি টা মানুষের
(প্রবন্ধ লিখুন)আমাদের লোকশিল্প প্রবন্ধটি আমাদের লোককৃষ্টি গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। লেখক এ প্রবন্ধে বাংলাদেশের লোকশিল্প ও লোক-ঐতিহ্যের বর্ণনা দিয়েছেন । এ বর্ণনায় লোকশিল্পের প্রতি তার গভীর মমত্ববোধের পরিচয় রয়েছে।
আমাদের নিত্যব্যবহার্য অধিকাংশ জিনিসই এ কুটিরশিল্পের ওপর নির্ভরশীল ।
শিল্পগুণ বিচারে এ ধরনের শিল্পকে লোকশিল্পের মধ্যে গণ্য করা যেতে পারে । পূর্বে আমাদের দেশে যে সমস্ত লোকশিল্পের দ্রব্য তৈরি হতো তার অনেকগুলোই অত্যন্ত উচ্চমানের ছিল। ঢাকাই মসলিন তার অন্যতম। ঢাকাই মসলিন অধুনা বিলুপ্ত হলেও ঢাকাই জামদানি শাড়ি অনেকাংশে সে স্থান অধিকার করেছে।
বর্তমানে জামদানি শাড়ি দেশে-বিদেশে পরিচিত এবং আমাদের গর্বের বস্তু। নকশি কাথা আমাদের একটি গ্রামীণ লোকশিল্প। এ শিল্প আজ বিলুপ্তপ্রায় হলেও এর কিছু কিছু নমুনা পাওয়া যায়। আপন পরিবেশ থেকেই মেয়েরা তাদের মনের মতো করে কীথা সেলাইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন । কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক-একটি পরিবারের কাহিনী, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাঁথা ।
আমাদের দেশের কুমোরপাড়ার শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র ছাড়াও পোড়ামাটি দিয়ে নানা প্রকার শৌখিন দ্রব্য তৈরি করে থাকে। নানা প্রকার পুতুল, মূর্তি ও আধুনিক রুচির ফুলদানি, ছাইদানি, চায়ের সেট ইত্যাদি তারা গড়ে থাকে।
খুলনার মাদুর ও সিলেটের শীতলপাটি সকলের কাছে পরিচিত। আমাদের দেশের এই যে লোকশিল্প তা সংরক্ষণের দায়িত আমাদের সকলের । লোকশিল্পের মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারি।
বাংলাদেশ, একটি দ্রুত উন্নতি লক্ষ্য নির্ধারণ করা দেশ, যা প্রচুর অর্থনৈতিক সম্পদের বেশিরভাগ সম্পদ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মৌলিকভাবে চারটি প্রধান উৎস থেকে আসে: জমি, কাজ, উদ্যোগ, এবং মানুষের কাজের দক্ষতা। এই সম্পদের বিকাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, আর্থিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদের মূল স্তম্ভ হল কৃষি। দেশটি একটি প্রধানত কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির মূল হিসেবে প্রধানত শস্য ও ফসল চাষ প্রসঙ্গে বিকাশ হয়েছে। বাংলাদেশে প্রধানত ধান, পাট, মশুর ডাল, আখ, পটল, পেঁপে, তেল সহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়। অত্যন্ত উচ্চ মানের খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনের ফলে এই খাদ্য পণ্য রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক সম্পদের গড়াতে সাহায্য করে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উৎস হল প্রবৃদ্ধি ও শিক্ষাগত উন্নতি। বাংলাদেশে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভাব কমে আসছে এবং মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি করছে। বিশেষত, প্রযুক্তির আগমন এবং বিনিয়োগে বৃদ্ধি নেওয়া হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক সম্পদের উন্নতির পথে সাহায্য করছে।
অন্যান্য উৎস হিসেবে প্রযুক্তিবিদ্যা এবং সেবা অংশ গুলির অগ্রগতি আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সম্পদ হল তার মানুষের চাকরিভার্থী শ্রমিকেরা। তাদের দক্ষতা, উদ্যোগ, ও সামর্থ্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ উন্নতির পথে অনেক উত্সাহজনক প্রগতি হয়েছে, তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ র
য়েছে। প্রধানতঃ গরিব মানুষের জন্য আর্থিক সম্পদের অগ্রগতি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনও বেশিরভাগ লোকের মধ্যে বৃদ্ধির অভাব আছে। তাছাড়া, পরিবেশের সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সঠিক প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন।
পুনর্নির্মাণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পদের বিস্তার ও উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে। সঠিক নীতি নির্ধারণ, উদ্যোগের বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত প্রবর্তন এবং শিক্ষাগত উন্নতি এমন পরিবর্তন নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
শেষ কথায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা দেশটির সমৃদ্ধি ও উন্নতির সাথে অবিভাজ্যভাবে সংযোগিত। একটি দ্রুত বৃদ্ধির উপায় হল সঠিক পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা এবং উদ্যোগের বৃদ্ধি করা। এই প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে, বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্পদ উন্নতির পথে আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং তার মানুষের জন্য আরো উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।