Processing math: 100%

TensorFlow তে Data Preprocessing

Machine Learning - টেন্সরফ্লো (TensorFlow)
92
92

টেনসরফ্লো (TensorFlow)-তে ডেটা প্রিপ্রসেসিং (Data Preprocessing) একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা মডেল প্রশিক্ষণ এবং তার কার্যক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ডেটা প্রিপ্রসেসিং এর মাধ্যমে কাঁচা ডেটা বা অস্বাভাবিক ডেটাকে একটি ফর্ম্যাটে রূপান্তরিত করা হয় যা মডেল ট্রেনিংয়ের জন্য উপযোগী। এটি ডেটার মান উন্নত করতে সহায়ক এবং মডেলকে দ্রুত এবং আরও নির্ভুলভাবে ট্রেন করতে সাহায্য করে।


টেনসরফ্লো তে ডেটা প্রিপ্রসেসিং এর প্রধান ধাপসমূহ

  1. ডেটা লোড করা: প্রথম ধাপ হল ডেটা লোড করা, যা সাধারণত CSV ফাইল, Excel, SQL ডেটাবেস, বা অন্য কোনো সোর্স থেকে আনা হয়। টেনসরফ্লোতে tf.data.Dataset API বা প্যান্ডাসের মত লাইব্রেরি ব্যবহার করে ডেটা লোড করা যেতে পারে।

    উদাহরণ:

    import tensorflow as tf
    
    # CSV ফাইল থেকে ডেটা লোড করা
    dataset = tf.data.experimental.make_csv_dataset(
        "data.csv", batch_size=32, label_name="label_column"
    )
    
  2. ডেটার ক্লিনিং (Data Cleaning): ডেটার মধ্যে খালি মান (missing values), ত্রুটি (errors), বা অস্বাভাবিক তথ্য থাকলে তা অপসারণ বা সঠিকভাবে পূর্ণ করা প্রয়োজন। এতে ন্যূনতম ভুল ডেটার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়।

    উদাহরণ:

    import pandas as pd
    
    # খালি মান পূর্ণ করা
    df = pd.read_csv("data.csv")
    df.fillna(df.mean(), inplace=True)
    
  3. ডেটা নরমালাইজেশন (Normalization): বিভিন্ন ফিচারের মধ্যে পরিমাণগত পার্থক্য থাকলে, মডেল প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে। নরমালাইজেশন বা স্কেলিং করা ডেটা নিশ্চিত করে যে সকল ফিচারের মান এক সিমান্তে থাকবে। এটি বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে করা যেতে পারে, যেমন মিন-সকেল বা স্ট্যান্ডার্ড স্কেলিং

    উদাহরণ:

    from sklearn.preprocessing import MinMaxScaler
    
    # ডেটার নরমালাইজেশন
    scaler = MinMaxScaler()
    df['scaled_column'] = scaler.fit_transform(df[['column_to_scale']])
    
  4. ডেটার ক্যাটেগোরিক্যাল এনকোডিং (Categorical Encoding): ক্যাটেগোরিক্যাল ফিচার যেমন লেবেল বা শ্রেণি নম্বর সাধারণত সংখ্যারূপে রূপান্তর করতে হয়। সাধারণ পদ্ধতিতে ওয়ান-হট এনকোডিং (One-hot Encoding) এবং লেবেল এনকোডিং (Label Encoding) অন্তর্ভুক্ত।

    উদাহরণ:

    from sklearn.preprocessing import OneHotEncoder
    
    encoder = OneHotEncoder()
    encoded_data = encoder.fit_transform(df[['categorical_column']]).toarray()
    
  5. ডেটা পার্টিশনিং (Data Partitioning): ডেটাকে সাধারণত ট্রেনিং (training), ভ্যালিডেশন (validation) এবং টেস্ট (test) সেটে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলি নিশ্চিত করে যে মডেলটি নতুন ডেটাতে ভালোভাবে কাজ করবে।

    উদাহরণ:

    from sklearn.model_selection import train_test_split
    
    # ডেটাকে ট্রেনিং এবং টেস্ট সেটে ভাগ করা
    X_train, X_test, y_train, y_test = train_test_split(df.drop('label_column', axis=1), df['label_column'], test_size=0.2)
    
  6. ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং (Feature Engineering): মডেলকে আরও কার্যকরী করতে কিছু নতুন ফিচার তৈরি করা যেতে পারে, যেমন নতুন ফিচার তৈরি করা, লোগ ট্রান্সফর্ম বা পলিনোমিয়াল ফিচার তৈরি করা।

    উদাহরণ:

    # নতুন ফিচার তৈরি করা
    df['new_feature'] = df['feature1'] * df['feature2']
    
  7. ডেটা বালেন্সিং (Data Balancing): কিছু ডেটাসেটে ক্লাসের মধ্যে অসমতা থাকতে পারে, যেমন একটি ক্লাসের জন্য খুব কম নমুনা থাকা। এমন ক্ষেত্রে, ওভারস্যাম্পলিং বা আন্ডারস্যাম্পলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা বালেন্স করা যেতে পারে।

    উদাহরণ:

    from imblearn.over_sampling import SMOTE
    
    # SMOTE পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেটা বালেন্সিং
    smote = SMOTE()
    X_res, y_res = smote.fit_resample(X_train, y_train)
    
  8. ডেটা আগমেন্টেশন (Data Augmentation): চিত্র বা সিগন্যাল ডেটা ক্ষেত্রে, ডেটা আগমেন্টেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আসল ডেটা থেকে নতুন ডেটা তৈরি করা হয়। এতে চিত্রের রোটেশন, ফ্লিপিং, জুমিং, এবং ক্লিপিং অন্তর্ভুক্ত।

    উদাহরণ:

    from tensorflow.keras.preprocessing.image import ImageDataGenerator
    
    # ডেটা আগমেন্টেশন ব্যবহার
    datagen = ImageDataGenerator(rotation_range=40, width_shift_range=0.2, height_shift_range=0.2, shear_range=0.2, zoom_range=0.2)
    datagen.fit(train_images)
    

সারাংশ

টেনসরফ্লো তে ডেটা প্রিপ্রসেসিং মডেল ট্রেনিংয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ডেটার গুণগত মান উন্নত করে এবং মডেলকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে। এতে বিভিন্ন ধাপ অন্তর্ভুক্ত যেমন ডেটা লোডিং, ক্লিনিং, নরমালাইজেশন, এনকোডিং, পার্টিশনিং, এবং বালেন্সিং। সঠিক প্রিপ্রসেসিং মডেলের পারফরম্যান্সকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে সাহায্য করে।

Content added By

ডেটা লোড করা (CSV, Image, Text)

63
63

ডেটা লোড করা (Data Loading) হল ডেটা সায়েন্স এবং মেশিন লার্নিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে আপনি বিভিন্ন ফরম্যাটে ডেটা লোড করেন এবং প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহার করেন। এখানে CSV, ইমেজ এবং টেক্সট ডেটা লোড করার পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:


১. CSV ফাইল লোড করা (CSV Loading)

CSV (Comma Separated Values) ফাইল একটি সাধারণ টেক্সট ফাইল যা ডেটাকে কমা দিয়ে আলাদা করে। পাইথন দিয়ে সহজেই CSV ফাইল লোড করা যায়।

উদাহরণ (Pandas ব্যবহার করে CSV লোড):

import pandas as pd

# CSV ফাইল লোড করা
data = pd.read_csv('data.csv')

# ডেটার প্রথম ৫টি রো দেখানো
print(data.head())

এখানে pd.read_csv() ফাংশনটি CSV ফাইল লোড করার জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি ফাইলের পথ (path) বা URL দিয়ে CSV ফাইল লোড করতে পারেন।


২. ইমেজ লোড করা (Image Loading)

ইমেজ লোড করার জন্য পাইথনে বেশ কিছু লাইব্রেরি ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে PIL (Pillow) এবং OpenCV অন্যতম। এখানে PIL ব্যবহার করে ইমেজ লোডের পদ্ধতি দেখানো হলো।

উদাহরণ (PIL ব্যবহার করে ইমেজ লোড):

from PIL import Image

# ইমেজ লোড করা
img = Image.open('image.jpg')

# ইমেজ প্রদর্শন করা
img.show()

এখানে Image.open() ফাংশনটি ইমেজ ফাইল লোড করে এবং img.show() ফাংশনটি ইমেজটি প্রদর্শন করে।

উদাহরণ (OpenCV ব্যবহার করে ইমেজ লোড):

import cv2

# ইমেজ লোড করা
img = cv2.imread('image.jpg')

# ইমেজ প্রদর্শন করা
cv2.imshow('Image', img)
cv2.waitKey(0)
cv2.destroyAllWindows()

এখানে cv2.imread() ফাংশনটি ইমেজ লোড করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং cv2.imshow() ইমেজ প্রদর্শন করে।


৩. টেক্সট ফাইল লোড করা (Text File Loading)

টেক্সট ফাইল লোড করা খুবই সহজ। আপনি পাইথনের বিল্ট-ইন open() ফাংশন ব্যবহার করে টেক্সট ফাইলটি লোড করতে পারেন এবং তার মধ্যে থাকা ডেটা পড়তে পারেন।

উদাহরণ (টেক্সট ফাইল লোড):

# টেক্সট ফাইল লোড করা
with open('file.txt', 'r') as file:
    text = file.read()

# টেক্সট প্রদর্শন করা
print(text)

এখানে open('file.txt', 'r') ফাংশনটি টেক্সট ফাইলটি পড়তে খুলে এবং file.read() ফাংশনটি ফাইলের সমস্ত কন্টেন্ট পড়ে নিয়ে আসে।


সারাংশ

  • CSV ফাইল লোড করার জন্য pandas লাইব্রেরি ব্যবহার করা হয়, যা ডেটাকে সহজেই রিড করা এবং প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে।
  • ইমেজ লোড করার জন্য PIL (Pillow) বা OpenCV লাইব্রেরি ব্যবহার করা হয়, যা ইমেজ প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রদর্শনে সাহায্য করে।
  • টেক্সট ফাইল লোড করার জন্য পাইথনের বিল্ট-ইন open() ফাংশন ব্যবহার করা হয়।

এই পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডেটা লোড করে আপনার মডেল বা অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করতে পারবেন।

Content added By

Missing Data Handle করা এবং Data Normalization

99
99

মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিং (Missing Data Handling)

মিসিং ডেটা হলো ডেটাসেটের সেই অংশ যেখানে কিছু তথ্য অনুপস্থিত থাকে। মিসিং ডেটা যেকোনো মডেল তৈরি করার সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই এর সঠিকভাবে হ্যান্ডলিং করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিং এর বিভিন্ন কৌশল আলোচনা করা হলো:


মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিং এর কৌশল

  1. ড্রপিং মিসিং ভ্যালু (Dropping Missing Values): যদি কোনো ডেটা পয়েন্টে খুব বেশি মিসিং ভ্যালু থাকে, তাহলে সেই রো বা কলামটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হতে পারে। তবে, যদি মিসিং ভ্যালুর সংখ্যা কম হয়, তাহলে এটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত নয়।
    • রো ড্রপ: যেসব রোতে মিসিং ডেটা রয়েছে, সেগুলি বাদ দেওয়া হয়।
    • কলাম ড্রপ: যদি কোনো কলামে অধিকাংশ ডেটা মিসিং থাকে, তবে পুরো কলামটি বাদ দেওয়া হতে পারে।
  2. ইম্পুটেশন (Imputation): মিসিং ভ্যালু পূর্ণ করতে কিছু স্ট্যাটিস্টিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত, মিসিং ভ্যালু পূর্ণ করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলি ব্যবহৃত হয়:
    • মিন/মিডিয়ান/মোড দিয়ে পূর্ণ করা:
      • মিন: নমুনার গড় মান দ্বারা মিসিং ভ্যালু পূর্ণ করা হয়। এটি সংখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
      • মিডিয়ান: যেকোনো আউটলায়ার (outliers) এড়াতে গড়ের পরিবর্তে মিডিয়ান ব্যবহার করা যেতে পারে।
      • মোড: ক্যাটেগরিক্যাল ডেটার জন্য মোড ব্যবহার করা হয়, যা সবচেয়ে সাধারণ মান (যেমন সবচেয়ে বেশি উপস্থিত মান)।
    • পেপুলেশন ইনফো (Population Information): যদি কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপ বা শ্রেণী থাকে, তাহলে সেই শ্রেণীর বা গ্রুপের গড় বা মিডিয়ান দিয়ে মিসিং ভ্যালু পূর্ণ করা হতে পারে।
    • ইন্টারপোলেশন (Interpolation): ডেটার মধ্যে একটি প্যাটার্ন সনাক্ত করে, মিসিং ভ্যালু পূর্ণ করার জন্য ইন্টারপোলেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
  3. মডেলিং (Modelling): কিছু অ্যালগরিদম বা মডেল মিসিং ডেটার জন্য নিজস্ব পদ্ধতি প্রদান করতে পারে। যেমন, কেসনিক নেবারস (KNN), রেগ্রেশন মডেল ইত্যাদি, যেগুলি অন্যান্য ডেটা পয়েন্ট থেকে মিসিং ভ্যালু প্রেডিক্ট করতে পারে।

ডেটা নর্মালাইজেশন (Data Normalization)

ডেটা নর্মালাইজেশন হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন স্কেলের ডেটা কে একই স্কেলে নিয়ে আসা হয়। এতে ডেটা সঠিকভাবে মডেলে ব্যবহৃত হতে পারে এবং অ্যালগরিদমগুলির পারফরম্যান্স উন্নত হয়। সাধারণত, মেশিন লার্নিং মডেলগুলিতে নর্মালাইজেশন প্রয়োজন, যেমন কনভোলিউশনাল নিউরাল নেটওয়ার্ক (CNN), সাপোর্ট ভেক্টর মেশিন (SVM), এবং কনটিনিউয়াস ভেরিয়েবল সম্বলিত অন্যান্য মডেলগুলিতে।


ডেটা নর্মালাইজেশন এর পদ্ধতি

  1. মিন-ম্যাক্স স্কেলিং (Min-Max Scaling): এই পদ্ধতিতে, ডেটার মানগুলো একটি নির্দিষ্ট পরিসরে স্কেল করা হয়, যেমন [0, 1] বা [-1, 1]। এটি নিম্নলিখিত সূত্র দ্বারা করা হয়:

    Xnorm=XXminXmaxXmin

    যেখানে:

    • X হলো মূল ডেটা পয়েন্ট,
    • Xmin হলো ডেটার সর্বনিম্ন মান,
    • Xmax হলো ডেটার সর্বাধিক মান।
  2. স্ট্যান্ডার্ড স্কেলিং (Standard Scaling): এই পদ্ধতিতে, ডেটাকে গড় (mean) 0 এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন (standard deviation) 1 নিয়ে আসে। এটি মূলত Z-স্কোর স্কেলিং (Z-Score Scaling) নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে, ডেটার প্রতিটি মানকে গড় থেকে বিয়োগ করা হয় এবং স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন দ্বারা ভাগ করা হয়:

    Xstd=Xμσ

    যেখানে:

    • X হলো মূল ডেটা পয়েন্ট,
    • μ হলো ডেটার গড় মান,
    • σ হলো ডেটার স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশন।
  3. রবস্ট স্কেলিং (Robust Scaling): এই পদ্ধতিতে, ডেটার স্কেলিং মিডিয়ান এবং ইন্টারকুয়ার্টাইল রেঞ্জ (IQR) ব্যবহার করে করা হয়, যা আউটলায়ারদের প্রভাব কমিয়ে দেয়। এটি বিশেষত তখন ব্যবহার করা হয় যখন ডেটায় আউটলায়ার থাকে। এটি নিম্নলিখিতভাবে হিসাব করা হয়:

    Xrobust=XmedianIQR

    যেখানে IQR হলো Q3 - Q1 (ডেটার ৩য় এবং ১ম কুয়ার্টাইলের পার্থক্য)।

  4. লগ স্কেলিং (Log Scaling): কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে ডেটার মান খুব বড় বা ছোট হয়, সেখানে লগ স্কেলিং ব্যবহার করা হয়, যা ডেটাকে কম্প্যাক্ট এবং প্রোপোরশনে আনে।

সারাংশ

  • মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিং: মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যেমন ড্রপিং মিসিং ভ্যালু, ইম্পুটেশন (মিন, মিডিয়ান, মোড), ইন্টারপোলেশন এবং মডেলিং কৌশল।
  • ডেটা নর্মালাইজেশন: ডেটা নর্মালাইজেশন মডেল ট্রেনিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা ডেটাকে একটি নির্দিষ্ট স্কেলে নিয়ে আসে। এতে মিন-ম্যাক্স স্কেলিং, স্ট্যান্ডার্ড স্কেলিং, রবস্ট স্কেলিং, এবং লগ স্কেলিং পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত।

এই দুটি প্রক্রিয়া (মিসিং ডেটা হ্যান্ডলিং এবং ডেটা নর্মালাইজেশন) মেশিন লার্নিং মডেলগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি মডেলগুলির কার্যকারিতা এবং নির্ভুলতা উন্নত করতে সহায়ক।

Content added By

Data Augmentation এবং Data Shuffling

151
151

ডাটা অগমেন্টেশন (Data Augmentation) এবং ডাটা শাফলিং (Data Shuffling) দুটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যা মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং মডেল প্রশিক্ষণে ডেটার গুণগত মান বাড়াতে এবং মডেলের পারফরম্যান্স উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। নিচে এই দুটি কৌশলের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


ডাটা অগমেন্টেশন (Data Augmentation)

ডাটা অগমেন্টেশন হল একটি কৌশল, যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ডেটাসেটের আকার বাড়ানো হয় নতুন বা ভিন্ন ধরনের ডেটা পয়েন্ট তৈরি করে। এটি মডেলের জেনারেলাইজেশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, বিশেষত যখন ডেটার পরিমাণ কম থাকে। ডাটা অগমেন্টেশন মডেলকে অতিরিক্ত বা নকল ডেটা তৈরি না করে, আসল ডেটার মধ্যে ভিন্নতা এনেছে।

ডাটা অগমেন্টেশন এর বিভিন্ন পদ্ধতি:

  1. চিত্র ঘোরানো (Rotation): চিত্রগুলিকে বিভিন্ন কোণ দিয়ে ঘোরানো, যাতে মডেল বিভিন্ন কোণে অবজেক্ট চিনতে পারে।
  2. স্কেলিং (Scaling): চিত্রের আকার ছোট বা বড় করে ডেটা তৈরি করা।
  3. ক্রপিং (Cropping): চিত্রের কিছু অংশ কেটে ফেলা, যাতে মডেল অন্যান্য অংশগুলি চিনতে পারে।
  4. অনুপাতে পরিবর্তন (Flipping): চিত্রটি উল্টানো বা আয়নার মতো ঘুরানো।
  5. লাইটনেস এবং কন্ট্রাস্ট পরিবর্তন (Brightness & Contrast Adjustment): ছবির উজ্জ্বলতা বা কন্ট্রাস্ট পরিবর্তন করা।
  6. অতিরিক্ত অস্বাভাবিক জেনারেশন (Noise Addition): চিত্রে র্যান্ডম নয়েজ যোগ করা, যাতে মডেল কার্যকরীভাবে সাধারণ অবস্থা থেকে দূরে যেতে শিখে।
  7. জ্যামিং (Shearing): চিত্রে তির্যক ডিস্টরশন তৈরি করা।

ডাটা অগমেন্টেশন মডেলকে রিয়েল-ওয়ার্ল্ড ভেরিয়েশনগুলির প্রতি আরও সংবেদনশীল করে তোলে এবং ওভারফিটিং (Overfitting) কমাতে সাহায্য করে।


ডাটা শাফলিং (Data Shuffling)

ডাটা শাফলিং হল ডেটাসেটের স্যাম্পলগুলিকে এলোমেলোভাবে পুনর্বিন্যাস করার প্রক্রিয়া। শাফলিং ডেটাসেটের মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ বা প্যাটার্নের উপস্থিতি কমায়, যাতে মডেলটি সঠিকভাবে প্রতিটি স্যাম্পলের জন্য শিখতে পারে এবং কোনো নির্দিষ্ট অর্ডারের ওপর নির্ভর না করে।

ডাটা শাফলিং এর ব্যবহার:

  1. প্রশিক্ষণ ডেটা শাফলিং: প্রশিক্ষণ ডেটা যখন শাফল করা হয়, তখন মডেল প্রতিটি এপোকের (epoch) জন্য ডেটার বিভিন্ন অর্ডারে শিখে। এটি মডেলের জেনারেলাইজেশন ক্ষমতা বাড়ায়, বিশেষত যখন ডেটাতে নির্দিষ্ট কোনো অর্ডার বা প্যাটার্ন থাকতে পারে।
  2. ভ্যালিডেশন এবং টেস্ট ডেটা: সাধারণত ভ্যালিডেশন এবং টেস্ট ডেটাতে শাফলিং করা হয় না, কারণ এটি মডেলের পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করার জন্য নির্দিষ্ট এক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এও শাফল করা হয় যদি ডেটা খুব বেশি বিশৃঙ্খল বা অসমতল হয়।
  3. অর্ডার এফেক্ট: কখনও কখনও, ডেটাসেটের অর্ডার প্রশিক্ষণের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। শাফলিং এই ধরনের প্রভাব কমাতে সহায়ক।

ডাটা অগমেন্টেশন এবং শাফলিং এর মধ্যে পার্থক্য:

বৈশিষ্ট্যডাটা অগমেন্টেশনডাটা শাফলিং
মূল উদ্দেশ্যপ্রশিক্ষণ ডেটার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা।ডেটার অর্ডার বা প্যাটার্নের প্রভাব কমানো।
ব্যবহারমূল ডেটা থেকে নতুন ডেটা তৈরি করা।ডেটাসেটের মধ্যে এলোমেলো অর্ডার তৈরি করা।
ফলস্বরূপডেটা পরিমাণ বৃদ্ধি, মডেলকে আরও সুষম প্রশিক্ষণ প্রদান।মডেলকে একটি নির্দিষ্ট অর্ডারের প্রভাব থেকে মুক্তি দেয়।
ব্যবহৃত ক্ষেত্রেচিত্র, শব্দ, টেক্সট ডেটা প্রসেসিংতে।মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং মডেল প্রশিক্ষণে।

সারাংশ

ডাটা অগমেন্টেশন এবং ডাটা শাফলিং মেশিন লার্নিং মডেলের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী এবং শক্তিশালী করতে সহায়ক। ডাটা অগমেন্টেশন ডেটার বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে ওভারফিটিং কমাতে সাহায্য করে, আর ডাটা শাফলিং ডেটার অর্ডার প্রভাব কমিয়ে মডেলকে আরও সাধারণ করে তোলে। এই দুটি কৌশল মডেলের জেনারেলাইজেশন ক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Content added By

Train-Test Split এবং Cross-Validation

87
87

Train-Test Split এবং Cross-Validation মেশিন লার্নিং মডেলগুলি তৈরি এবং মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবহৃত দুটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। উভয় কৌশলই মডেল ট্রেনিং এবং তার পরবর্তী সাধারণীকরণ ক্ষমতা (generalization) পর্যালোচনা করতে সাহায্য করে। তবে, এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্যও রয়েছে।


Train-Test Split

Train-Test Split হলো একটি মৌলিক কৌশল যেখানে ডেটাসেটটি দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়: একটি train (প্রশিক্ষণ) সেট এবং একটি test (পরীক্ষণ) সেট।

  • Train Set: এই অংশটি মডেলটি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • Test Set: এই অংশটি মডেলটির সাধারণীকরণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।

প্রক্রিয়া

  1. প্রথমে ডেটাসেটটি এলোমেলোভাবে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়: একটি প্রশিক্ষণের জন্য এবং একটি পরীক্ষা করার জন্য।
  2. মডেল প্রশিক্ষণ সেটে ট্রেনিং করা হয়।
  3. তারপর মডেলটি পরীক্ষা সেটে পরীক্ষা করা হয় যাতে জানা যায় মডেলটি কতটা ভাল কাজ করছে অজ্ঞাত ডেটার উপর।

বৈশিষ্ট্য

  • সরল এবং দ্রুত: ডেটাসেটের একটি ছোট অংশ মডেল পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই এটি দ্রুত।
  • ঝুঁকি: শুধুমাত্র একবার ডেটাসেট বিভক্ত হওয়ার কারণে, কিছু সময়ে মডেলটি প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষার সময় আলাদা ধরনের ডেটা পেতে পারে, যা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে।

সুবিধা

  • দ্রুত এবং সহজ।
  • কম্পিউটেশনাল খরচ কম।

সীমাবদ্ধতা

  • কিছু ডেটা বিভাজন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে, যার ফলে মডেলটির ফলাফল বৈচিত্র্যময় হতে পারে।

Cross-Validation

Cross-Validation একটি উন্নত কৌশল যা Train-Test Split এর উন্নত সংস্করণ। এর মধ্যে ডেটাসেটটি একাধিক ভাগে বিভক্ত হয় এবং প্রতিটি অংশ মডেল ট্রেনিং এবং পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রক্রিয়া

  1. ডেটাসেটটি K অংশে বিভক্ত করা হয় (এটি K-fold Cross-Validation হিসেবে পরিচিত)।
  2. প্রতিটি অংশ একবার পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং বাকি অংশগুলি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  3. এই প্রক্রিয়া K বার পুনরাবৃত্তি হয়, এবং শেষে মডেলটির গড় পারফরম্যান্স নির্ধারণ করা হয়।

বৈশিষ্ট্য

  • K-fold: ডেটাসেটটি K সংখ্যক ভাগে বিভক্ত হয়, সাধারণত 5 বা 10।
  • প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • একাধিক ট্রেনিং এবং টেস্টিং ফেজের কারণে মডেলটির পারফরম্যান্স সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য অনুমান পাওয়া যায়।

সুবিধা

  • এছাড়াও সামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল: বিভিন্ন ভাগের মাধ্যমে মডেলটি পর্যালোচনা করা হয়, যা পরীক্ষার ফলাফল আরও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
  • অধিক প্রশিক্ষণ ডেটা ব্যবহার: প্রতিটি ডেটা পয়েন্ট প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই মডেলটি সম্পূর্ণ ডেটাসেটের উপর প্রশিক্ষণ লাভ করে।

সীমাবদ্ধতা

  • কম্পিউটেশনাল খরচ বেশি: একাধিক বার প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষা করার কারণে অনেক বেশি সময় এবং কম্পিউটিং পাওয়ার প্রয়োজন।
  • বড় ডেটাসেটের জন্য সময়সাপেক্ষ: বড় ডেটাসেটে কাঁচা ক্রস-ভ্যালিডেশন ব্যয়বহুল হতে পারে।

Train-Test Split বনাম Cross-Validation

বৈশিষ্ট্যTrain-Test SplitCross-Validation
বিভাগের সংখ্যাএকবার ভাগ করা হয়একাধিক ভাগে বিভক্ত (K-fold)
কম্পিউটেশনাল খরচকমবেশি
ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতাকমবেশি
প্রধান সুবিধাদ্রুত এবং সহজবেশি নির্ভরযোগ্য ফলাফল
প্রধান সীমাবদ্ধতাএকবার বিভক্ত হওয়ার কারণে পারফরম্যান্সের বিভিন্নতা থাকতে পারেকম্পিউটেশনাল খরচ বেশি

সারাংশ

  • Train-Test Split একটি সরল কৌশল যা দ্রুত মডেল পরীক্ষণের জন্য ব্যবহার হয়, তবে এতে কিছু সময়ে মডেলটির ফলাফল ভিন্ন হতে পারে।
  • Cross-Validation একটি উন্নত কৌশল যা অধিক নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করে, কারণ এটি মডেলটির পারফরম্যান্স বিভিন্ন ডেটা সেটে যাচাই করে। তবে, এটি কম্পিউটেশনাল খরচের দিক থেকে বেশি সময় নিতে পারে।
Content added By
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion