হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (র) উচ্চ শিক্ষার জন্য বাগদাদ রওনা দেবেন। মা তাঁর জামার আস্তিনের মধ্যে চল্লিশটি সোনার মুদ্রা সেলাই করে দিলেন। আর রওনা দেওয়ার পূর্বে পুত্রকে বললেন, ‘সর্বদা সত্য কথা বলবে, কখনো মিথ্যা বলবে না।' তিনি কাফেলার সাথে বাগদাদ রওনা দিলেন। পথিমধ্যে একদল ডাকাত কাফেলার ওপর হামলা করল। ডাকাতের দল কাফেলার সকলকে একের পর এক তল্লাশি করল। তাদের কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিল। তারা আব্দুল কাদির জিলানী (র)-কে জিজ্ঞাসা করল, 'হে বালক! তোমার কাছে কী আছে? তিনি নির্ভয়ে উত্তর দিলেন, ‘চল্লিশটি সোনার মুদ্রা আছে'। ডাকাতরা ধমকের সুরে বলল, কোথায় ‘সোনার মুদ্রা’? উত্তরে আব্দুল কাদির জিলানী (র) বললেন, এগুলো আমার জামার আস্তিনের মধ্যে সেলাই করা আছে।' তাঁর সততা ও সত্যবাদিতা দেখে ডাকাত দলের সরদারের বিবেক খুলে গেল। সে অনুতপ্ত হলো। তারা সকলে তওবা করল এবং সৎপথ ধরল।
এভাবে সুন্দর আখলাক ও নৈতিক মূল্যবোধ মানুষকে মুক্তি দেয়। মানব সমাজ আলোর পথ পায়। বস্তুত, সুন্দর আখলাক ও নৈতিক মূল্যবোধ মানবজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের চরিত্র সুন্দর ও আচরণ ভালো করতে হলে আমরা-
আল্লাহর ইবাদত করব, পিতা-মাতার কথা শুনব।
শিক্ষককে সম্মান করব, সত্য কথা বলব।
সৃষ্টির সেবা করব, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
মানবাধিকার ও বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলব।
আমরা কতগুলো মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব। যেমন-
আমরা মিথ্যা কথা বলব না, বাগড়া-বিবাদ করব না।
হিংসা করব না, চুরি-ডাকাতি করব না।
ধূমপান করব না, দেশের ও জনগণের ক্ষতি করব না।
আল্লাহর ইবাদত ভুলব না, কটু কথা বলব না।
পরিকল্পিত কাজ : ভালো আচরণ এবং মন্দ আচরণের পৃথক পৃথক চার্ট তৈরি করা ।
আরও দেখুন...