তৃতীয় যে বিষয়ের ওপর হযরত মুহাম্মদ (স) আমাদের ইমান আনতে নির্দেশ দিয়েছেন তা হচ্ছে আখিরাত।
প্রায় প্রতিদিনই আমরা বহু মানুষের মৃত্যুর সংবাদ শুনি। পাড়ার কেউ মারা গেলে আমরা খবর নিতে যাই। গোসল দিয়ে, কাফন পরিয়ে এক স্থানে জড়ো হয়ে মৃত ব্যক্তির জানাযা পড়ি। দোয়া করি। পরে কবরে দাফন করি। পৃথিবীতে কিছুই অমর নয়। যার জন্ম আছে, তার মৃত্যুও আছে। কিন্তু মৃত্যুতেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় না। মৃত্যুর পরও এক জগৎ আছে। মৃত্যুর পরবর্তী জগৎকে বলা হয় আখিরাত। আখিরাত অর্থ পরকাল।
মায়ের পেটে শিশু যেমন বুঝতে পারে না পৃথিবী কত বড়, কত সুন্দর; তেমনি মৃত্যুর আগে কেউ জানে না আখিরাত কত বিরাট এক জগৎ। আখিরাত সম্পর্কে নবি-রাসুলগণ ওহির মাধ্যমে জ্ঞান পেয়েছেন। নবিগণ ছিলেন সত্যবাদী এবং আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। তাঁদের কাছ থেকেই আমরা আখিরাত সম্পর্কে জ্ঞান পেয়েছি।
হযরত আদম (আ) থেকে শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স) পর্যন্ত সব নবি-রাসুলই বলেছেন আখিরাতের কথা। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের কথা। মৃত্যুর পরের জীবন অনন্তকালের জীবন। সে জীবনের শেষ নেই।
আখিরাত সংক্রান্ত যে বিষয়ের ওপর ইমান আনা জরুরি তা হলো :
১. কবরে সওয়াল - জওয়াব।
২. কবরে আরাম অথবা আজাব ।
৩. এক দিন আল্লাহ তায়ালা সমগ্র বিশ্বজগৎ ও তার ভেতর সৃষ্টিকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। এ দিনটির নাম হলো কিয়ামত।
৪. আবার তাদের সবাইকে দেওয়া হবে নতুন জীবন এবং তারা সবাই এসে হাজির হবে আল্লাহর সামনে। একে বলা হয় হাশর।
৫. সকল মানুষ তাদের পার্থিব জীবনে যা করেছে তার আমলনামা আল্লাহর আদালতে পেশ করা হবে।
৬. আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির ভালোমন্দ কাজের পরিমাপ করবেন। আল্লাহর মিযানে যার সৎকর্মের পরিমাপ অসৎ কর্ম অপেক্ষা বেশি হবে, আল্লাহ্ তায়ালা তাকে মাফ করবেন। আর যার অসৎ কর্মের পাল্লা ভারি থাকবে, আল্লাহ তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন।
৭. আল্লাহর কাছ থেকে যারা ক্ষমা লাভ করবে তারা জান্নাতে চলে যাবে। আর যাদের শাস্তি দেবেন তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
আরও দেখুন...