বৈচিত্র্য বলতে আমি বুঝি বিভিন্নতা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে আমরা বাংলাদেশের আটটি বিভাগ সম্পর্কে জেনে একটি স্থানীয় বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করেছিলাম। এবার আমরা একটি আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করব। অঞ্চল বলতে আমরা বুঝি একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা কোনো স্থানের নির্দিষ্ট পরিধি। এটি অনেক ছোট হতে পারে আবার অনেক বড়ও হতে পারে। যেমন, একটি গ্রামের যেমন নির্দিষ্ট অঞ্চল হয়, তেমনি বিশ্বেরও নির্দিষ্ট অঞ্চল হতে পারে। আমরা এবার বিশ্বের একটি অঞ্চল–দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এবং সফলভাবে জানতে পারলে আমরা একটি আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপত্র অর্জন করতে পারব। এ ছাড়াও বৈচিত্র্যপত্র অনুমোদন দেওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষক এই বইয়ের শুরু থেকে আমরা যে যে প্রকল্প করেছি, সবগুলোর মূল্যায়নে গুরুত্ব দেবেন।
নিচে দক্ষিণ এশিয়ার একটি মানচিত্র দেওয়া হলো। মানচিত্রটি দেখে কি আমরা বলতে পারি কোনোটি কোনো দেশ?
মানুষের মধ্যে যেমন মিল রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু অমিল। জন্মগতভাবে মানুষ কিছু মৌলিক ভিন্নতা নিয়ে জন্মায়, যেমন গায়ের রং, দেহের আকৃতি, চেহারার ভিন্নতা। আমারা একসঙ্গে বা আলাদা ভাবে বড় হওয়ার কারণে মানুষের আচার-আচরণে কিছু মিল ও অমিল তৈরি হয়। যেমন আমাদের দেশের মধ্যেই এক এক জেলার মানুষ ভিন্ন ভিন্নভাবে বাংলায় কথা বলে, আবার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ভিন্ন ভাষায় কথা বলে; কিন্তু যখন আমরা দেশকে নিয়ে কিছু চিন্তা করি, তখন আবার সবাই প্রায় একই রকম করে দেশকে ভালোবেসে চিন্তা করি।
আমি দশ বছর পর বাংলাদেশে যে পরিবর্তন দেখতে চাই তা এক বাক্যে নিচে লিখি :
|
উপরের লাইনে আমার এবং আমার বন্ধুর বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা মিলিয়ে দেখলে দেখব আমরা অনেকে একই রকম ভাবনা লিখেছি, আবার অনেকে ভিন্ন কিছু লিখেছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনার মধ্যে ভিন্নতা তৈরি হতে পারে। মনে করি, ১০০ বছর আগের একজন মানুষ যে বাংলাদেশের যে অঞ্চলে আমি এখন বসবাস করছি, সে অঞ্চলে ১০০ বছর আগে বসবাস করতেন।
আমি এবং সে ১০০ বছর আগের একজন মানুষ, আমরা দুজন একই জায়গায় বসবাস করেও আমাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যগুলো কী হতে পারে বলতে পারো?
(এই ঘরে আমার মুখের অবয়ব আঁকি) | (১০০ বছর আগের একজন মানুষের মুখের অবয়ব আঁকি) |
১. আমি বিদ্যুতের আলো ব্যবহার করে রাতে পড়তে বসি ২. আমি মোটরচালিত গাড়িতে চড়ি ৩. ৪. ৫.
| ১. তার সময়ে বিদ্যুৎ ছিল না ২. তিনি হয়তো গরুর গাড়িতে চড়তেন ৩. ৪. ৫.
|
উপরের খালি জায়গায় আমার আর ১০০ বছর আগের মানুষের মধ্যে কী কী পার্থক্য আছে বলে মনে হয় তা লিখব। পার্থক্যগুলো লেখার সময় লক্ষ্য রাখব সেগুলো যেন আচরণ ও চিন্তা-ভাবনার মধ্যে পার্থক্য হয়। তার এবং আমার বাহ্যিক রুপ ( দেখতে কেমন ) নিয়ে পার্থক্য লিখতে হবেনা।
প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার প্রতিদিনের জীবন যাপন অনেক সহজ করছে, আরও উন্নত করছে। গত দিনের বাড়ির কাজ করতে গিয়ে আমরা কী একটি জিনিস কি লক্ষ্য করেছি যে, আমার আর ১০০ বছর আগের একজন মানুষের মধ্যে যে পার্থক্যগুলো রয়েছে, তার অধিকাংশই প্রযুক্তির পরিবর্তনের কারণেই হয়েছে?
আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব, আমাদের দুজনের মধ্যে যে পরিবর্তনগুলো আমি দেখতে পেলাম সেগুলো অনেকাংশে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। । সামাজিক পরিবর্তন হলো, সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন হলো মানুষের জীবন আচরণের পরিবর্তন।
যেমন, একসময় সবাই হাতে চালানো তাঁতের তৈরি পোশাক পরতো। হাতে চালানো তাঁতে কাপড় তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়, যার কারণে এর দামও অনেক বেশি ছিল। যখন সুতা ও কাপড় তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরু হলো, তখন অল্প সময়ে অনেক বেশি কাপড় উৎপাদন সম্ভব হয়ে গেল। মানুষও অনেক অল্প খরচে কাপড় কিনতে শুরু করল আর সুতির কাপড় ছাড়াও তারা সিনথেটিক (নাইলন, পলিয়েস্টার) কাপড়ের নানান রং ও ডিজাইনের কাপড় পরতে শুরু করল। পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে মানুষের আচরণের এই পরিবর্তন প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এক সময় ভারতীয় উপমহাদেশে ধুতি বা লুঙ্গিজাতীয় পেশাকই ছিল পুরুষদের প্রধান পোশাক। ইংরেজরা এই অঞ্চল যখন শাসন করে, তখন তারা এখানকার পুরুষদের তাদের পোশাক ‘প্যান্ট' পরতে উৎসাহী করে বা কখনো কখনো বাধ্য করে। একসময় এই প্যান্টই হয়ে যায় পুরুষদের জন্য আনুষ্ঠানিক পোশাক। আমরা এখন কাউকে ধুতি বা লুঙ্গি পরে স্কুল বা অফিসে যেতে দেখিনা। মানুষের ভিন্ন ধরনের পোশাক পরার এই পরিবর্তন প্রযুক্তির চেয়েও রাজনৈতিক এবং শাসনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
কিছু কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আমাদের জীবনাচরণের মধ্যে এমন ভিন্নতা বা নতুনত্ব নিয়ে আসে যা আমাদের চমকে দেয়। অনেকে এই পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারে না; আবার অনেকে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।
নিচে কিছু পরিবর্তন দেওয়া হলো। কিছু পরিবর্তন তুমি নিজের কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে চিন্তা করে লিখবে যে ভবিষ্যতে কী বা কেমন পরিবর্তন আমাদের জীবনে আসতে পারে ।
আর পাশের দুই ঘরের মধ্যে এক ঘরে তুমি ওই পরিবর্তন সম্পর্কে মতামতো দেবে। তোমার যদি মনে হয় পরিবর্তনটি ইতিবাচক বা ভালো, তাহলে √ আর যদি মনে হয় এটি ভালো পরিবর্তন নয় তাহলে × দেবে। অন্য আরেকটি ঘরে তোমার পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য যেমন দাদা-দাদি, নানা- নানি তাদের মতামতো নিয়ে তুমি টিক √ বা ক্রস × দেবে। বাড়িতে গিয়ে ‘পরিবারের প্রবীণ সদস্যের মতামত’গুলো তোমরা জেনে √ বা × দিয়ে সর্বডানের ঘরটি পূরণ করবে।
সারণি ৯.১
পরিবর্তন | আমার মতামত | পরিবারের প্রবীন সদস্যের মতামত |
---|---|---|
১. বাজার থেকে মাছ বা ফলমূল কিনতে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার | ||
২. পড়াশোনা বুঝতে ইন্টারনেটের ব্যবহার | ||
৩. মঞ্চের পালাগান বা নাটকের পরিবর্তে ইন্টারনেটে বিনোদন নেওয়া | ||
৪. মাঠে খেলার পরিবর্তে মোবাইল ফোন সেটে ভিডিও গেমস খেলা | ||
৫. উড়োজাহাজে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া | ||
৬. ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভিডিও কলে কথা বলা | ||
৭. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাজার করা | ||
৮. ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে কোনো রোগের চিকিৎসা করা | ||
৯. | ||
১০. | ||
১১. | ||
১২. | ||
১৩. | ||
১৪. |
আগামী সেশনের প্রস্তুতি
১. উপরের সারণির একেবারে ডান পাশের কলামে তোমার পরিবারের প্রবীণ সদস্যের মতামত নিয়ে √ বা × দেবে।
২. তোমার বাবা-মা বা অভিভাবকের সময় আর তোমার সময়ে জীবনযাপনের মধ্যে কী পার্থক্য তা তাদের সঙ্গে গল্প করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং নিচের খালি জায়গায় লিখবে।
আমার এবং আমার অভিভাবকের সময়ের জীবনযাপনের মধ্যে পার্থক্য:
এই পার্থক্যে কি প্রযুক্তির কোনো ভূমিকা আছে? থাকলে কী কী?
|
আমরা গত দিন একটি কাজ করেছিলাম যেখানে কোনো কোনো প্রযুক্তির পরিবর্তন আমার ভালো লাগে আর কোনোগুলো আমার ভালো লাগে না সেই মতামত দিয়েছি। একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব আমার মতামত আর আমার বন্ধুর মতামত কিছু কিছু জায়গায় ভিন্ন আবার আমার আর আমার পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের মতামতও কিছুটা ভিন্ন।
একটি কাজ করলে কেমন হয়, আমরা গত দিন সারনি ৯.১ এ কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছি এবং নিজেদের মতামত দিয়েছি- কোনটি ভালো পরিবর্তন আর কোনোটি নয়। এখন শ্রেণিকক্ষের সকল জোড় রোল/আইডি নাম্বারের সবাই ‘নেতিবাচক পক্ষ' এবং বিজোড় নাম্বারের সবাই ‘ইতিবাচক পক্ষ' হয়ে দুই দল হয়ে যাবে। (সবাই যার জায়গায় বসে থাকব, স্থান পরিবর্তন করতে হবে না) ।
এখন শিক্ষক একটি একটি করে পরিবর্তনের কথা বলবেন। আর জোড় রোল নাম্বারের সবাই একজন করে হাত তুলে ঐ পরিবর্তনটি যে খারাপ পরিবর্তন তা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করবে। অন্যদিকে বিজোড় রোল নাম্বারের সবাই একজন করে হাত তুলে ঐ পরিবর্তনটি যে ভালো পরিবর্তন তা প্রমাণ করার চেষ্টা করবে।
উদাহরণ:
শিক্ষক: বাজার থেকে মাছ বা ফলমূল কিনতে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার
জোড় রোল নাম্বার: এটি ভালো পরিবর্তন নয়, এতে পরিবেশ দূষিত হয়
বিজোড় রোল নাম্বার: এটি ভালো পরিবর্তন, কারণ এতে আমাদের জীবনে বিভিন্ন উপকার হয়েছে।
যুক্তির খেলা শুরু করার আগে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো: আমরা যখন অন্য দলের বিপক্ষে কথা বলব এর অর্থ হচ্ছে ঐ দল যে বিষয়ে কথা বলছে সে বিষয়ের বিপরীত যুক্তি দিয়ে কথা বলব আমরা একে অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না।
আমাদের মধ্যে অনেক সময়ে বিভিন্ন মতবিরোধ তৈরি হতে পারে, একজনের পছন্দ বা মতামত আমার অপছন্দ হতে পারে, আমরা যখন নিজের মতামতকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য অন্যকে নীচু করে কথা বলি, তখন এটিকে বলে ঘৃনা ছড়ানো। আমাদের সাধারণ জীবনে এটি অনেকে করে থাকেন, আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করেও এটি অনেকে করে থাকেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়ানো কথা বললে সেটির ভয়াবহতা আরও অনেক গুণ বেড়ে যায়।
তাই আমরা আমাদের যুক্তি-তর্কের সময় লক্ষ্য রাখব, যুক্তি দিয়ে এবং তথ্য দিয়ে আমাদের মতামত প্রতিষ্ঠা করার বা সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করব। অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা মুখের কথায় আঘাত করে নয়।
……………………………………………………………..যুক্তির খেলা………………………………………………………………………………..
যুক্তির খেলায় আমি হাত তুলে শিক্ষকের বলা পরিবর্তন গুলো সম্পর্কে যে যে যুক্তি দিয়েছিঃ
১.
২.
৩.
|
দলগঠন: আমাদের কথা ছিল আমরা একটি দক্ষিণ এশিয়া মেলার আয়োজন করব। এখন শিক্ষক আমাদের ৭টি দলে ভাগ করে দেবেন। প্রতিটি দলকে শিক্ষক একটি করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাছাই করে দেবেন। আমাদের কাজ হবে প্রযুক্তির পরিবর্তনের ফলে ওই দেশে কী পরিবর্তন হয়েছে যেটি পৃথিবীর অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশ তাদের কাছে শিক্ষা নিতে পারে,' তা খুঁজে বের করা। আমরা আজ থেকে আমার দল যে দেশ নিয়ে কাজ করবে, সে দেশ সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করা শুরু করব।
নিচের তালিকা থেকে যেকোনো একটি পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দেব:
১. শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিবর্তন
২. চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিবর্তন
৩. বিনোদনে পরিবর্তন
৪. পরিবেশ ও জলবায়ূর ভারসাম্য রক্ষায় পরিবর্তন
৫. কর্মসংস্থানে পরিবর্তন
আজকের সেশন আমরা শুধু তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কাজে লাগাব এবং দলের সবাই মিলে আগামী দিনের উপস্থাপনার জন্য কে কোন অংশের কাজ করব সেটি নির্ধারণ করে নেব।
তথ্য অনুসন্ধানের উৎস হতে পারে:
১. বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী
২ পত্রিকা/বই/ম্যাগাজিন
৩. ইন্টারনেট
৪. আমার আশপাশের এমন কোনো ব্যক্তি যিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে খবর রাখেন।
৫. আমার বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক।
আগামী দিনের মেলার প্রস্তুতি
আমরা শ্রেণিকক্ষের ভেতর কিংবা বাইরে নিজেদের দলের জন্য একটি বুথ বানাব (অনেকটা বিজ্ঞান মেলার বুথের মতো)। বুথে দাঁড়িয়ে আমরা আমাদের উপস্থাপনা করব। বুথ সাজানো এবং উপস্থাপনার জন্য কনটেন্ট তৈরি করার জন্য মেলার আগেই সকল প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। এ ছাড়া আমরা মেলায় বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে কী জানলাম তা লেখার জন্য নিজেদের জন্য একটি ডায়েরি বানাব।
আজ আমরা শুধু উপস্থাপন করব। দলের প্রতিটি সদস্য নিজেদের স্টল/বুথের সামনে ১০-১৫ মিনিট (সদস্যের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে) করে থাকব, বাকি সদস্যরা ঘুরে ঘুরে অন্য বুথে গিয়ে বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানবে এবং ঐ দেশ সম্পর্কে ডায়েরিতে লিখবে। উপস্থাপনকারী সদস্য স্টলে দাঁড়িয়ে থাকবে, অন্য দলের সবাই এসে তাকে প্রশ্ন করে করে ওই দেশ সম্পর্কে জেনে নেবে এবং একটি খাতায় নোট রাখবে।
আজকের উপস্থাপন শেষ হলে, আমরা বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে ডায়েরিতে আমার নিজের পর্যবেক্ষণগুলো লিখব। এর পরদিন এসে এই ডায়েরিটা এবং আমাদের ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি' শিক্ষকের কাছে জমা দেব। শিক্ষক আমাদের ডায়েরি মূল্যায়ন করে আমাদের জন্য ‘আঞ্চলিক বৈচিত্ৰ্যপত্র' প্রস্তাব করবেন এবং প্রধান শিক্ষক আমরা যারা আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপত্র পাওয়ার যোগ্য, তাদের জন্য বৈচিত্র্যপত্র স্বাক্ষর করবেন। শিক্ষক আবার আমাদের বইটি ফেরত দেবেন, তখন আমরা আমাদের বৈচিত্র্যপত্রটি কেটে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করব।
আমাদের ডায়েরিতে যা থাকবে: (মেলায় পাওয়া বিভিন্ন দলের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ডায়েরিটি লিখতে হবে)
১ . দেশের নাম (৭টি দেশ সম্পর্কে আলাদা আলাদা লিখতে হবে);
২. উপস্থাপন থেকে যে পরিবর্তন সম্পর্কে জানলাম;
৩. পরিবর্তনটি সম্পর্কে আমার অনুভূতি;
৪. অন্য কোনো দেশ এই পরিবর্তন থেকে যা শিখতে পারে বলে আমি মনে করি-
Read more