গরম চা বা কফি খাওয়ার সময় তোমার হাতে যদি এক ফোঁটা গরম চা বা কফি পড়ে, তুমি নিশ্চয়ই সঙ্গে সঙ্গে হাত সরিয়ে নেবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, কেউ যদি তোমার হাতে একই তাপমাত্রার বাতাস প্রবাহ করে, তুমি একটুখানি গরম অনুভব করবে, কিন্তু মোটেও তোমার হাতে গরমের ছ্যাঁক লাগবে না। যারা উত্তপ্ত ওভেনে কেক তৈরি করে, তারা খুবই সতর্ক থাকে যেন ওভেনের ধাতব অংশ তাদের হাতের কোনো জায়গায় স্পর্শ না করে। কিন্তু ওভেনের উত্তপ্ত বাতাস নিয়ে মাথা ঘামায় না, যদিও দুটোই একই তাপমাত্রায় থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন উত্তপ্ত তাপমাত্রার পানি বা ধাতুর সংস্পর্শে এলে আমরা যন্ত্রণা অনুভব করি কিন্তু একই তাপমাত্রার বাতাসের সংস্পর্শে এলে আমরা কেন সেই প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করি না?
তার কারণ একটি উত্তপ্ত জায়গায় সংস্পর্শে এলে আমাদের শরীরের ত্বক সেই তাপ অনুভব করবে, কিন্তু কি পরিমাণ তাপ আমাদের শরীরে প্রবাহিত হবে, সেটি নির্ভর করে সেই বস্তুগুলো কী পরিমাণ তাপ ধারণ করে আছে। যদি সেটির তাপ ধারণ ক্ষমতা বেশি হয়, তাহলে সেটি তোমার শরীরে অনেক তাপ সরবরাহ করে তোমার হাতে যন্ত্রণা তৈরি করতে পারে। কিন্তু যদি সেই বস্তুর তাপ ধারণ ক্ষমতা কম হয়, তাহলে সেটি তোমার শরীরে অল্প তাপ পরিবহন করবে এবং তুমি সম্ভবত একটু গরম অনুভব করা ছাড়া কিছুই টের পাবে না।
একটা বস্তুতে কী পরিমাণ তাপ সঞ্চিত আছে সেটি নির্ভর করে বস্তুটি তাপমাত্রা, তার ভর এবং তার আপেক্ষিক তাপের উপর। যেহেতু বাতাসের ভর খুবই কম তাই তার তাপ ধারণ করার ক্ষমতা খুবই কম। একটি পদার্থের আপেক্ষিক তাপ কম হলে অল্প তাপ প্রদান করেও অনেক উচ্চ তাপমাত্রার নেওয়া যায়। অন্যদিকে একটি পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বেশি হলে একই তাপমাত্রা নেওয়ার জন্য অনেক তাপ প্রদান করতে হয়।
আরও দেখুন...