সাধারণত ওয়েন্ডিং হলো আগুন, বিদ্যুৎ ও অর্ধগলিত বা পলিত ধাতু নিয়ে কাজ-কারবার। এরূপ তিনটি বিষয়ই শরীরের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক। কাজেই ওয়েন্ডারকে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয়। আর যিনি ওরেন্ডিং করেন তাঁকেই ওরেন্ডার বলে। একজন ওরেন্ডারকে যেমন অনেক কিছু জানতে হবে তেমনি তাঁকে সাবধানও থাকতে হবে অনেক বেশি। সাবধান না থাকলে ওয়েল্ডিং-এর কাজে দেহের সম্মুখ ভাগটা রক্ষা করবার জন্য বিশেষভাবে তৈরি আবরণ কাজে লাগবে না।
চিত্র : ৩.১ বৈদ্যুতিক শক
ওয়েন্ডিং প্রযুক্তি বিদ্যায় একটি প্রচলিত উক্তি "Safety is the best policy, No safety no work" একজন দক্ষ কারিগর তার যদি সেফটি বা সাবধানতা সম্বন্ধে কোনো ব্যবহারিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে একজন অযোগ্য ব্যক্তি। কথায় আছে 'সাবধানের মার নেই'। সাবধানতা নিয়ে কাজ করলে কখনও বিপদ আসে না বা হয় না। এ কারণে সকল শিক্ষার্থী বা কর্মীকে কারখানার নিয়ম মেনে চলতে হয়। একজনের ভুলের মাশুল অন্য জনকেও কখনও কখনও দিতে হয়। কারখানায় অনেক শ্রমিক একত্রে কাজ করে, এর মধ্যে একজনও যদি অসাবধানভাবে কাজ করে, তবে তার মাশুল বাকি শ্রমিকদের দিতে হয়। এ জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন বৈদ্যুতিক শক (Shock) কী? এবং কী কারণে এ শক (Shock) প্রাপ্ত হয় তা জানারঃ কোন কারণে ফেজ এর সাথে নিউট্রাল বা মাটির সাথে সংযোগ হলে বৈদ্যুতিক শক এর সৃষ্টি হয়। আবার কোন মেশিনের বড়িতে যদি বৈদ্যুতিক সংযোগ বা কোন কারণে মেশিনটি বিদ্যুতায়িত হয়ে থাকে তবে তা মানুষের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হয়। অর্থ্যাৎ ফেজ তারের সংস্পর্শে বা বিদ্যুতায়িত মেশিনের সংস্পর্শে যদি কোন ব্যক্তি আসে এবং তার শরীর যদি আর্থের সাথে সংযোগ প্রাপ্ত হয় তবে তিনি বৈদ্যুতিক শক প্রাপ্ত হবেন। বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেফটি সু পরা আবশ্যক ।
গ্যাস ওয়েল্ডিং এর চেয়ে আর্ক ওয়েল্ডিং এর সাবধানতার প্রয়োজন বেশি। কেননা এর উত্তাপ ও আলো গ্যাস ওয়েল্ডিং এর চেয়ে বেশি মারাত্মক। এটা লক্ষ করা যায় আঁধার রাতে যখন আর্ক ওয়েল্ডিং করা হয়। এ সময় এর রশ্মি বা নীল আলো সার্চ লাইটের আলোর মত পার্শ্ববর্তী এক কিলোমিটারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং এই রশ্মি যদি কোন সুস্থ লোকের চোখে লাগে, তবে সে তার চোখে বেদনা অনুভব করবে। এই যন্ত্রনায় সে রাতে ঘুমাতেও পারবে না। আর সে সমস্ত দিক বিবেচনা করে একজন ওয়েল্ডারকে ওয়েল্ডিং এর সময় সৃষ্ট উত্তাপ ও মারাত্মক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
আর্ক ওয়েল্ডিং করার সময় আর্ক রশ্মি হতে তাপ ও তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকিরণ হতে থাকে, যা মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে। এই ক্ষতি সাধন নিম্নরূপ হয়ে থাকে।
সূর্যের প্রখর তাপে খালি পায়ে যদি কেউ যায় তবে তার চামড়া পুড়ে যায়, ঠিক তেমনি আর্ক রশ্মি হতে বের হওয়া অতি বেগুনি (Ultraviolet) রশ্মিতেও শরীরের চামড়া পুড়ে যাওয়ার মত রং ধারণ বেদনাদায়ক এবং যদি মারাত্মক হয় তবে চামড়ায় ফোসকা পড়ে। তাই শরীরের কোন অংশই যাতে সরাসরি আর্ক রশ্মি লাগতে না পারে সে জন্য শরীরে আচ্ছাদন বা উপযুক্ত পোশাক পড়া নিশ্চিত করতে হবে।
চিত্রঃ ৩.২ (ক) চামড়া পুড়ে যাওয়া
আন্ট্রাভায়লেট রশ্মি সর্বদা শরীরের সংবেদনশীল স্থানে বেশি ক্ষতি সাধন করে বা এর ক্রিয়া বেশি হয়। চোখ শরীরের অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। তাই মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কয়েক গঞ্জ দূর হতে অনাচ্ছাদিত চোখে আর্কের দিকে তাকালে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। চোখে মারাত্মক বেদনাদায়ক অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এমন বেদনা দায়ক অবস্থার সৃষ্টি হয়, যার প্রভাব বেশ কিছু সময় পর্যন্ত থাকে। চোখের উপর আর্ক রশ্মির এই প্রভাবকে আর্ক আই (Arc-Eye) বা আই ফ্লাশ (Eye-Flash) বলে।
চিত্রঃ ৩.২ (খ) চোখের উপর প্রতিক্রিয়া
আর্ক আই বা আই ফ্লাশের লক্ষণঃ চোখ হতে পানি ঝরে, চোখে আলো লাগা অসহনীয় মনে হয়, চোখ খচ খচ্ করে। চোখে বালি পড়ার মতো অবস্থা, অসহ্য বেদনা, মাথা ধরে এবং সময় সময় কিছুক্ষণের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়। আর্ক আই এর লক্ষণ ৪ হতে ৮ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ পায় এবং চোখের কোনরূপ স্থায়ী ক্ষতি সাধন ছাড়া এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত এর স্থায়িত্বকাল থাকে।
চিত্র : ৩.২ (গ) আই ফ্লাশ
চিকিৎসাঃ আর্ক আই এর লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই চোখকে সরাসরি আলোর সংস্পর্শ হতে দূরে রাখতে হবে। একটা পরিষ্কার কাপড় কয়েকবার পানিতে ভিজিয়ে চোখ ঢেকে দিতে হবে এবং একইভাবে কয়েক ঘন্টা পানিপট্টি দিতে হবে।
অন্য কোন জীবানুর হাত হতে চোখকে রক্ষা করার জন্য অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্ট্রিজেন্ট লোশন দ্বারা চক্ষু ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।
সাবধানতাঃ আর্ক আই হতে চোখকে রক্ষা করতে হলে উপযুক্ত হেলমেট বা হ্যান্ডসিন্ড ব্যবহার করা আবশ্যক । যা চক্ষুকে আর্ক রশ্মি ও আর্কের প্রচণ্ড উত্তাপ হতে রক্ষা করবে। আর্ক অবলোকন করার জন্য মান সম্পন্ন ও উপযুক্ত ফিল্টার গ্লাস ব্যবহার করতে হবে। নিয়ে ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ৬৭৯ অনুমোদিত মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং ফিস্টার গ্লাস প্রদত্ত হলো।
কারেন্ট রেঞ্জ (Current Range | প্রয়োজনীয় ফিল্টারস (এস) |
১০০ পর্যন্ত | ৯/ই ডব্লিউ- ১০/ই ডব্লিউ |
১০০-৩০০ পর্যন্ত | ১০/ই ডব্লিউ- ১১/ই ডব্লিউ |
৩০০ পর্যন্ত | ১২/ই ডব্লিউ- ১৪/ই ডব্লিউ |
ওয়েন্ডারকে ওয়েন্ডিং করার সময় উত্তপ্ত ধাতব খণ্ডের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। উত্তপ্ত ধাতব খণ্ড ব্যবহারে সাবধান না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওয়েন্ডিং করার সময় অগ্নি স্ফুলিঙ্গ অথবা গলিত ধাতু কিংবা উত্তপ্ত ধাতু কণা ছিটিয়ে এদিক সেদিক পড়তে পারে। এই উত্তপ্ত ধাতু কণা শরীরে পড়লে শরীর পুড়ে যেতে পারে। জামা কাপড়ে পড়লে জামা কাপড় পুড়ে যেতে পারে কিংবা আগুন ধরে যেতে পারে। তাই উত্তপ্ত ধাতব কণা খুব সাবধানে হ্যান্ডলিং করতে হবে। উত্তপ্ত ওয়ার্ক পিস যদি নগ্ন হাতে ধরা হয় তবে হাত পুড়ে যাবে। কোন দাহ্য বস্তু যেমন শুকনো কাঠ, তৈলাক্ত পদার্থ বা অন্য কোন দাহ্য বস্তুর সংস্পর্শে আসলে আগুন ধরে যেতে পারে। এমন কি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। উত্তপ্ত ধাতব খণ্ড কখনও খালি হাতে ধরতে নেই। এ ক্ষেত্রে টংস ও হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করা উচিত। সর্বদা নিরাপত্তামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় অসাবধানতার কারণে অনাচ্ছাদিত শরীরের কোন অংশে উত্তপ্ত ধাতব খণ্ড লাগলে উক্ত স্থান পুড়ে যাবে।
চিত্র : ৩.৩ উত্তপ্ত ধাতব খণ্ডের সম্ভাব্য বিপদ
ধাতু ওয়েল্ডিং এবং কাটিং-এর সময় ইলেকট্রোডের আবরণ ও মূল ধাতু পুড়ে ধুয়া ও বাষ্পের সৃষ্টি হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়, যা শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমে গ্রহণের ফলে মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে। বর্তমান সময় প্রায় সব ধাতুই ওয়েল্ডিং করা যায় এমন কী প্লাস্টিক বা প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থও জোড় দেওয়া হয় এর ফলে নানাবিধ বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার গ্যালভানাইজিং করা ধাতুসমূহ ওয়েল্ডিং করার সময়, সৃষ্ট ধুয়ায় জিঙ্ক অক্সাইড থাকে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, সম্ভব হলে গ্যালভানাইজড করা ধাতু খোলা জায়গায় ওয়েল্ডিং করতে হবে অথবা ধুয়া নির্গমনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষাক্ত গ্যাস থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ওয়েল্ডারকে রেস্পিরেটর (Respirator) পরিধান করতে হবে।
আর্ক ওয়েন্ডিং এ যে ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয় উক্ত ইলেকট্রোডের আবরণ অথবা ফ্লাক্স সমূহের মধ্যে ক্লোরিনের যৌগ, সীসা, ক্যাডমিয়াম অথবা অন্য কোন বিষাক্ত পদার্থ বা বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করে, যা শ্বাস- প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটায় এবং মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে। তাই ওয়েল্ডিং করার সময় পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বায়ু নিষ্কাশন ফ্যান (Exchast Fan) শপে লাগাতে হবে ।
চিত্রঃ ৩.৪ শারীরিক বিপর্যয়
ওয়েল্ডিং বুথঃ আবদ্ধ কর্মশালায় যেখানে অনেকগুলো ওয়েল্ডিং বুথ বিদ্যমান, সেখানে পর্যাপ্ত ধুয়ার সৃষ্টি হবে। বিষাক্ত গ্যাসসমূহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পত্রের সীমার মধ্যে রাখার জন্য নির্গমন ব্যবস্থার প্রয়োজন। এজন্য ফিউম এক্সজাষ্টার অভ্যন্ত উপযুক্ত সাধারণ অনুমোদন অনুযায়ী একজন ওয়েল্ডারের বুঝে প্রতি মিনিটে ২০০০ ঘনফুট বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল করতে হবে।
আর্ক ওয়েন্ডিং হচ্ছে আগুন, বিদ্যুৎ এবং অর্ধগলিত ও গলিত ধাতু নিয়ে কাজ। তিনটিই শরীরের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক। ওয়েন্ডিং করার সময় অগ্নি স্ফুলিঙ্গ অথবা গলিত ধাতু কিংবা উত্তপ্ত কণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক সেদিক পড়ে যার জন্য দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কোন অবস্থাতেই ট্যাংক লরি, ব্যারেল ড্রাম, পাইপ লাইন অথবা অন্য কোন ধারক যার মধ্যে তৈল জাতীয় পদার্থ কিংবা গ্যাস বিদ্যমান, তা ওয়েল্ডিং করা যাবে না যদি না ঐ সমস্ত বিস্ফোরক পদার্থসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়। দাহ্য বাষ্প কিংবা বিষাক্ত গ্যাস উৎপাদন করে এমন পদার্থও ওয়েল্ডিং করা বিপদজনক। দাহ্য এবং বিস্ফোরক পদার্থের মধ্যে গ্যাসোলিন, হালকা তৈল, এসিডসমূহ উল্লেখযোগ্য। যা ধাতুর সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে হাইড্রোজেন কিংবা নন ভলাটাইল তৈল কিংবা কঠিন পদার্থ উৎপন্ন করে। এ সকল পদার্থ উত্তপ্ত হলে ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে ওয়েল্ডিং করা হলে মারাত্মক বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়েল্ডিং করতে প্রচুর পানি দিয়ে কয়েকবার ভালোভাবে ধুতে হবে কিংবা রাসায়নিক দ্রবণ অথবা বাষ্প দ্বারা ধারকটি পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার পর চূড়ান্ত সাবধানতা হিসেবে ওয়েল্ডিং কিংবা কাটিং এর পূর্বে ধারকটিতে নির্গমন পথ অর্থাৎ ছিদ্র করে পানি দ্বারা পরিপূর্ণ করতে হবে।
- আর্ক ওয়েল্ডিংকালে সাবধান থাকতে হবে কারণ যে কোন ভুলের জন্য যে কোন মুহূর্তে বিপদ আসতে পারে। বিশেষ করে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি সাবধানে না রাখলে উপর থেকে নিচে পড়ে হাতে, পায়ে বা শরীরের যেকোন স্থানে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি উপর থেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যেমন হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং মেশিন উপর থেকে পড়ে মেশিনের ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে হ্যান্ড গ্রাইন্ডার শরীরে পড়লে জীবনের ঝুঁকি এসে যায়। আর্ক ওয়েল্ডিং করার সময়, উত্তপ্ত গলিত তরল ধাতু নিচে পড়ে শরীরের যে কোন স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
- উত্তপ্ত ওয়েল্ডেড জোড়া অসাবধানতার কারণে নিচে পড়ে শরীরের আঘাত বা ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
- ধাতু জোড়ের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস্ উপর থেকে পড়ে টুলস্ এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
- ধাতু জোড়ের সময় অনেক ভারী বস্তু উপরে রাখা হয়। সামান্য ভুলের কারণে নিচে পড়ে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তাই ধাতু জোড়ের সময় যন্ত্রপাতিও সরঞ্জামাদির পতন জনিত বিপদ সমূহের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
- পড়ন্ত বস্তু সাধারণত পায়ের অগ্রভাগে পড়ে, এতে ভারী বস্তু হলে পায়ের অগ্রভাগ থেতলে যায়। এধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে সেফটি সু-ব্যবহার করতে হয়। সেফটি সু এর সম্মুখ ভাগ লোহার তৈরি হয়ে থাকে, যার ফলে যে কোন বস্তু পায়ের উপর পড়লে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।
চিত্র : ৩.৭ পড়ন্ত বস্তু জনিত বিপদ
চলন্ত বস্তু বিশেষ করে গ্রাইন্ডিং মেশিন চালনা ও এর ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জানা দরকার। অমনোযোগী হয়ে কখনও গ্রাইন্ডিং মেশিন ব্যবহার করতে নেই, এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
চিত্রঃ ৩.৮ গ্রাইন্ডিং মেশিন চালনা
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। বৈদ্যুতিক শক্ (Shock) কী ? এর ক্ষয় ক্ষতি উল্লেখ কর ।
২। আই ফ্লাশ বা আর্ক আই ( Arc Eye) বলতে কী বোঝায় ? এর ক্ষতিকর দিকসমূহ ব্যক্ত কর।
৩। আর্ক ওয়েল্ডিং কালে নির্গত ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের সম্ভাব্য বিপদসমূহ উল্লেখ কর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
৪। দাহ্য বস্তুর নিকটে আর্ক ওয়েল্ডিং কালে সম্ভাব্য বিপদসমূহ বর্ণনা কর ।
৫। আর্ক ওয়েল্ডিং কালে যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জামাদির পতনজনিত সম্ভাব্য বিপদসমূহ উল্লেখ কর।
৬। আর্ক রশ্মি চর্মের উপর কী ক্ষতি করে, তা উল্লেখ কর।
৭। আর্ক আই হলে কী করতে হয়।
রচনামূলক প্রশ্ন
৮। চোখের উপর আর্ক রশ্মির প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
৯। গ্যালভানাইজিং করা বস্তু ওয়েল্ডিং করার ক্ষেত্রে বেশি বায়ু চলাচল করে এমন স্থানের প্রয়োজন হয় কেন ?
১০। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত শারীরিক বিপর্যয়সমূহের কারণ ব্যাখ্যা কর।
আরও দেখুন...