সঠিক পরিমাপের ইলেকট্রোড মান ওয়েল্ডিং এর পূর্বশর্ত। ৪.২ এর চার্ট করে ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে পার, তবে এক্ষেত্রে ধাতুর পুরুত্ব অনুসারে ৩.২ মিনি ব্যাসের ইলেকট্রোড বেছে নাও।
প্লেটের পার্শ্বদ্বয় পরিষ্কার ও স্কাইবার ও স্টিলরুলের দাগ দেওয়ার পর একটি প্লেট অপর প্লেটের উপর এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে প্লেটের ধার অপর প্লেটের উপর সমকোণী ভাবে অবস্থান করে। উপরের প্লেটের অপর পার্শ্বে অর্থাৎ যে পার্শ্ব নিচের প্লেটের বাইরে আছে সে পার্শ্বের নিচে একটি লোহার পাত দাও, যাতে উভয় পার্শ্ব সমতলভাবে অবস্থান করে।
ডান হাতে হোল্ডার ধরে হোল্ডারের লিভারে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে চাপ দিয়ে ফাঁক কর। ইলেকট্রোডের যে অংশ কোটিং থাকে না সে অংশ বাম হাত দিয়ে হোল্ডারের ফাঁকে ঢুকাও। এবার হোল্ডারের ক্ল্যাম্প ছেড়ে দিয়ে শক্তভাবে হোন্ডারের সাথে ইলেকট্রোড আটকাও। মনে রাখতে হবে ইলেকট্রোড যেন কোন ভাবে লুজ না থাকে। ভালোভাবে যাচাই করে সঠিকভাবে ইলেকট্রোড লাগিয়ে কার্য উপযোগী কর।
প্লেটের পুরুত্ব অনুসারে কারেন্ট সেট করতে হবে। ৪.৫ এর চার্ট হতে পুরুত্ব অনুসারে কারেন্ট নিরূপণ কর। ৬ মিমি পুরু পেটের জন্য ১১০ হতে ১৩০ অ্যাম্পিয়ার সেট করে লক্ষ কর বেসমেটাল এবং ইলেকট্রোড গলছে কীনা। যদি না গলে তবে কারেন্টের পরিমাণ আরও বাড়াও।
যে প্লেটটির উপর দাগ টানা হয়েছে ঐ দাগ বরাবর অপর প্লেটটি রাখ।
সমতল প্লেটটির সাথে ইলেকট্রোড ৪৫° কোণে ধর এবং পেট দুইটির সংযোগ স্থল হতে ৯০° কোণে ধরে রান টানতে থাক।
ওয়েন্ডিং জোড়ের সময় লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো
ধাতু জোড়ের পর লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলোঃ
১। সারফেস প্রিপারেশনসহ ওয়ার্কপিস প্রস্তুতিকালের করণীয়সমূহ বর্ণনা কর।
২। ইলেকট্রোড হোল্ডারে আটকানোর নিয়ম উল্লেখ কর।
৩। ল্যাপ জোড় সম্পন্ন করার ধাপসমূহ বর্ণনা কর।
৪। ধাতু জোড়ের সময় ও পরে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
৫। ওয়ার্কপিস ট্যাককরণের ধাপসমূহ উল্লেখ কর।
৬। কারেন্ট সেট করতে লক্ষণীয় বিষয়গুলো উলেখ কর ।
আরও দেখুন...