ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য, সেবা ও তথ্য বণ্টন তথা ক্রয় বিক্রয়, হস্তান্তর বা বিনিময় কার্যকেই ই-কমার্স বলা হয়ে থাকে । ই কমার্স মূলত বিক্রয়ের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের বাইরের বিভিন্ন পক্ষ; যেমন- ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সহযোগী অংশীদার ইত্যাদির সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন ও সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং পণ্য ও সেবা বিক্রয় ও সরবরাহের ব্যবস্থা করে। ফরমায়েশের আলোকে পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বেলায় পণ্য উৎপাদনও ই কমার্সের অন্তর্ভুক্ত বিবেচিত হয় । ই-বিজনেস (E-Business) এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ (Subset) হলো ই-কমার্স ।
ই-ব্যবসায় যেখানে ব্যবসায়ের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ, ক্রয়-বিক্রয় হস্তান্তর ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে তখন ই কমার্স ক্রয়-বিক্রয় সংশ্লিষ্ট বাইরের বিভিন্ন পক্ষের সাথে ICT নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা (B2B, B2C, P2P (P=Business Partner), C2C) গড়ে তুলে ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে ব্যাপৃত থাকে। ই কমার্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-
ইন্টারনেট মার্কেটিং (Internet marketing);
মোবাইল বাণিজ্য (Mobile commerce);
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT);
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমন্টে (Supply chain management);
অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ (Online transaction processing);
ইলেক্ট্রনিক তথ্য বিনিময় (Electronic data interchange);
মজুদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (Inventory management system) ও
স্বয়ংক্রিয় তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা (Automated data collection system)।
ই-কমার্সের ক্ষেত্রে অনলাইন যোগাযোগ ও চুক্তি সম্পাদনের সাথে মূল্য পরিশোধ ও পণ্য সরবরাহের বিষয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ । মূল্য পরিশোধে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম (EPS) ব্যবহৃত হয় । এক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং, হোম ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক ক্যাশ, ইলেক্ট্রনিক চেক, স্মার্ট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি পদ্ধতি চালু রয়েছে। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিবহনে ক্রেতার নিকট পণ্য প্রেরণ, আঞ্চলিক পরিবেশকের মাধ্যমে সরাসরি পণ্য সরবরাহ বা পরিবেশকের মাধ্যমে পার্শ্বেল করে পণ্য প্রেরণ করা যেতে পারে ।
আরও দেখুন...