ইলেকট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং

এসএসসি(ভোকেশনাল) - জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস-২ - জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস-২ | NCTB BOOK

বিল্ডিং এ বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঠিকভাবে লোডে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিরাপত্তা, স্থায়ীত্বতা, সৌম্পর্য, প্রয়োজনীয়তা, খরচ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ওয়্যারিং টাইপ বা ধরন নির্ধারণ করা হয়। এখানে বিল্ডিং এর বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে ওয়্যারিং এর দীর্ঘস্থায়িত্ব, কার্যকর ও নিরাপদ ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার ৰাসগৃহ, বিদ্যালয়, অফিস-আদালতসহ সকল স্থাপনায় বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এর উপযোগিতা, স্থায়িত্ব, ব্যয় ও নিরাপত্তা নির্ভর করে ওয়্যারিং-এ ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদানের উপর। এ অধ্যায়ে ইলেকট্রিক্যাল হাউজ ওয়ারিং, উহার প্রকারভেদ, ওয়ারিং কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও যন্ত্রপাতি এবং ওয়্যারিং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

• কাজের জন্য প্রতিগ্রহণ করতে পারব: 

• সুইচ বক্স ইনষ্টল করতে পারব

• জাংশন বক্স ইনষ্টল করতে পারব:

• দ্রুত কাটতে পারব:

• ছাদে কনডুইট স্থাপন করতে পারব,

• কনসিন্ড কনডুইট ওয়্যারিং পারফর্ম করতে পারব;

• সারফেস কনভুইট ওয়্যারিং পারফর্ম করতে পারব;

• টুলস ও ইকুইপমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারব।

Content added || updated By

ওয়্যারিং এর শ্রেণিবিভাগ

উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এ অধ্যায়ে আমরা সাতটি জব সম্পন্ন করব; জবগুলো যথাক্রমে সুইচ বক্স, জাংশন বক্স, দেয়ালে গ্রুভ কাটা, কনসিল্ড কনডুইট ওয়্যারিং, সারফেস কনডুইট ওয়্যারিং এবং চ্যানেল ওয়্যারিং ইনস্টলেশন করা। জবগুলো সম্পন্ন করার পূর্বে প্রথমে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জানা প্রয়োজন ।

বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং: বৈদ্যুতিক বিধি অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লোডসমূহেকে সাপ্লাইয়ের সাথে সঠিক পদ্ধতিতে সংযোগ করাকেই বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং বা বৈদ্যুতিকরণ (Electrification) বলে। লোডে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার জন্যই ওয়্যারিং করা হয়।

হাউজ ওয়্যারিং: যে সকল ওয়্যারিং কোনো বাসা-বাড়িতে, ঘরে, অফিসে, অভ্যন্তরীন স্থানে করা হয় সেগুলো মূলত হাউজ ওয়্যারিং। বিদ্যুৎ সঠিকভাবে লোডে সরবরাহের জন্য নিরাপত্তা, স্থায়ীত্বতা, সৌন্দর্য, প্রয়োজনীয়তা, খরচ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে ওয়্যারিং এর টাইপ বা ধরন নির্ধারণ করা হয়। তন্মধ্যে হাউজ ওয়্যারিং অন্যতম। এ ওয়্যারিং সাধারণত কোনো দেয়ালের সারফেস দিয়ে এবং ভিতর দিয়ে করা হয়ে থাকে। আজকাল হাউজ ওয়্যারিং খুবই জনপ্ৰিয় । ওয়্যারিং এর শ্রেণিবিভাগ ছক আকারে নিচে দেওয়া হলো-

চিত্র-২.১ ওয়্যারিং এর শ্রেণিবিভাগ।

২.১ কুন্ডুইট ওয়্যারিং (Conduit Wiring)

প্রায় সকল ওয়ার্কশপ, কলকারখানায় কন্ডুইট পাইপ এর মাধ্যমে দেয়াল, ছাদ ও মেঝের উপর দিয়ে বা ভিতর দিয়ে এ ধরনের বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং করা হয়। কন্ডুইট ওয়্যারিং এর খরচ নির্ভর করে এর ধরন ও ব্যবহৃত মালামালের গুণাগুণের উপর। এখানে বিল্ডিং এর ওয়্যারিং, উহার প্রকারভেদ, কুন্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রকারভেদ, সারফেস ও কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করতে ব্যবহৃত মালামাল ও যন্ত্রপাতি এবং ওয়্যারিং পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো।

২.১.১ কন্ডুইট ওয়্যারিং এর ধারণা

যখন কোন জায়গায় দেয়ালের উপর দিয়ে বা দেয়ালের ভিতর দিয়ে কন্ডুইট স্থাপন করে যে ওয়্যারিং করা হয়, তখন তাকে কন্ডুইট ওয়্যারিং বলে। পরিবাহী তারকে বাহিরের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য কন্ডুইট পাইপের মধ্য দিয়ে ইনসুলেটেড ক্যাবলের মাধ্যমে ওয়্যারিং করাকে কন্ডুইট ওয়্যারিং বলে। এ কাজে ব্যবহৃত কন্ডুইট ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল আঘাত হতে ওয়্যারিংকে রক্ষা করে। যে সব জায়গায় খোলা পিভিসি তারে আঘাতের সম্ভাবনা থাকে, স্যাঁতস্যাঁতে, দাহ্য পদার্থ থাকে সে সব স্থানে এ ওয়্যারিং ব্যবহৃত হয়। কণ্ডুইট হিসেবে জি আই বা পিভিসি পাইপ ব্যবহৃত হয় ।

২.১.২ কণ্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রকারভেদ

সাধারণত ব্যবহৃত কণ্ডুইটের ধরন এবং কন্ডুইট ব্যবহারের স্থান অনুসারে এ ধরনের ওয়্যারিং এর শ্রেণিবিভাগ করা হয়। নিচে কন্ডুইট ওয়্যারিং এর শ্রেণিবিভাগ দেওয়া হলো।

এ ধরনের ওয়্যারিং তিন ভাগে ভাগ করা যায় ।

১। সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং

২। কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এবং

৩। ফ্লেক্সিবল কন্ডুইট ওয়্যারিং।

সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং: যে কন্ডুইট ওয়্যারিং যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষার জন্য দেয়ালের বহিঃ পৃষ্ঠে করা হয় তাকে সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং বলে। এক্ষেত্রে দেয়ালের বহিঃ পৃষ্ঠে বা ছাদের বহিঃ পৃষ্ঠে পাইপ হুক বা স্যাডল এর সাহয্যে কন্ডুইট পাইপ বসিয়ে, এদের ভিতর দিয়ে বৈদ্যুতিক ক্যাবল বা ইনসুলেটেড তার স্থাপন করে ওয়্যারিং করা হয়।

চিত্রে সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং দেখানো হলো।

কনসিষ্ট্য কন্ডুইট ওয়্যারিংঃ যে কন্ডুইট ওয়্যারিং যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষার জন্য দেয়াল, মেঝে কিংবা ছাদের ভিতরে সম্পূর্ণ লুকায়িত অবস্থায় কড়ুইট স্থাপন করে এর ভিতরে করা হয় তাকে কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং বলে। এ ওয়্যারিং এ সুইচ বোর্ড, জাংশন বক্স এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ছাড়া কোন ওয়্যারিং বা লাইন দেখা যায় না ।

ফ্লেক্সিল কন্ডুইট ওয়্যারিং: সাধারণত শিল্প-কারখানায় মেশিন পরের সাথে সংযোগ দেওয়ার জন্য ট্ৰাংকিং বা সংশ্লিষ্ট মেশিনের মোটরের স্টার্টার কিংবা কন্ট্রোল বোর্ড থেকে নিরাপদভাবে ভারকে মোটরের টার্মিনাল বক্সে আনার জন্য ফ্লেক্সিবল কড়ুইট ওয়্যারিং করা হয়। এখানে তারকে ফ্লেক্সিবল কড়ুইটের ভিতর দিয়ে মোটরে সংযোগ করা হয়। চিত্রে ফ্লেক্সিবল কড়ুইট ওয়্যারিং দেখানো হলো।

Content added By

কন্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রয়োজনীয়তা

যখন কোন ওয়্যারিং এ বাহিরের আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে তখন ওয়্যারিং রক্ষার জন্য কড়ুইট স্থাপন করে ওয়্যারিং করা হয়। ফলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পরিবাহী তারকে বাহিরের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য কচুইট পাইপের মধ্য দিয়ে ইনসুলেটেড ক্যাবলের মাধ্যমে ওয়্যারিং করার প্রয়োজন হয়। এ কাজে ব্যবহৃত কণ্ডুইট ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল আঘাত হতে ওয়্যারিংকে রক্ষা করে। যে সব জায়গায় খোলা পিভিসি ভারে আঘাতের সম্ভাবনা থাকে, স্যাঁতস্যাঁতে, দাহ্য পদার্থ থাকে সে সব স্থানে এ ওয়্যারিং করা হলে ক্ষতি কম হয়। এ জাতীয় ওয়্যারিং টেকসই হয়। তাই কড়ুইট ওয়্যারিং এর যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।

২.১.৪ কন্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রয়োজনীয় ফিটিংস ও ফিক্সার

কণ্ডুইট ওয়্যারিং কাজে যে সকল ফিটিংস ব্যবহৃত হয় এগুলোর নাম নিম্নে দেওয়া হলো- 

১। কন্ডুইট বক্স: আকৃতি অনুযায়ী কভুইট বক্সের নাম ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেমন- এভ বক্স, প্রো-বক্স, থ্রি-ওরে বক্স, ফোর-ওরে বক্স, আয়তাকার বক্স, গোলাকার বক্স ইত্যাদি। 

২। বেন্ড: বেন্ড প্রধানত দুই প্রকার যথা- ক) সলিড টাইপ বেন্ড (খ) ইন্সপেকশন টাইপ বেন্ড । 

৩। বিভিন্ন ধরনের জাংশন বক্স 

৪। কন্ডুইটি 

৫। লকারিং এবং লক নাট 

৬। স্টপিং প্লাগ 

৭। টি-কেন্ড 

৮।  ইন্সপেকশন টি 

৯। ইন্সপেকশন বেড 

১০। এলৰো 

১১। নিপল 

১২। ৱিডিউলার, 

১৩। বুশ, ১৪। কাপলিং, ১৫। বেস্ত 

১৬। স্যাডল ১৭। ক্লিপ ১৮। হক ১৯। পেরেক 

২০। সকেট ইত্যাদি।

নিচে কতগুলো ফিটিংস এর চিত্র দেখা হলো-

চিত্র-২.৪ কন্ডুইট ভ্যারিং এর ফিটিংস

ইন্সপেকশন বেন্ড : এগুলো সাধারণত দুইপ্রান্তে অভ্যন্তরীণ প্যাচযুক্ত ঢাকনা লাগানো বেড। এটি দ্র-ইন পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এলবো এবং টি (সলিড ও ইন্সপেকশন টাইপ) ইন্সপেকশন টাইপের এলবো এবং টি ড্র-ইন পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

চিত্র-২.৫ ফিটিংস পিভিসি / জিলাই বেন্ড

নিচে কতগুলো ফিজার এর চিত্র দেখা হলো-

চিত্র-২.৬ কণ্ডুইট ওয়্যারিং এর ফিক্সার

ক্যাপলিং: এটি দুইটি কড়ুইটকে জোড়া লাগানোর জন্য অভ্যন্তরীণ প্যাচযুক্ত ইস্পাতের পাইপের টুকরা। নিপল: অভ্যন্তরীণ প্যাচযুক্ত ফিটিংস হতে বহির্ভাগে প্যাচযুক্ত ফিটিংস পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

রিডিউসার: এর বহির্ভাগে বড় সাইজ এবং অভ্যন্তরে ছোট সাইজের কন্ডুইটের জন্য প্যাঁচ কাটা আছে। বুশ (অভ্যন্তরীণ ও বহির্ভাগে প্যাচযুক্ত): টার্মিনাল বক্সে কন্ডুইট লাগানোর কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

স্টপিং প্লাগ: বাইরের আবর্জনা যেন ঢুকতে না পারে এবং কন্ডুইটের খোলা প্রান্ত বন্ধ করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

ক্লিপ: দেয়াল বা পিভিসি কাঠামোর বহিঃ পৃষ্ঠে কন্ডুইট লাগানোর জন্য এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। স্যাডল: দেয়াল বা কাঠ বা পিভিসি কাঠামোর বহিঃ পৃষ্ঠে কন্ডুইট লাগানোর জন্য এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। স্যাডেলের সাইজ নির্ভর করে কন্ডুইটের ব্যাসের উপর। দেয়ালের বহিঃ পৃষ্ঠে কন্ডুইট পাইপকে আটকানোর জন্য স্যাডেলের প্রয়োজন হয়।

ক) স্ট্র্যাপ স্যাডল: যেখানে কড়ুইট স্থাপনযোগ্য স্থানের বহিঃ পৃষ্ঠে হতে দূরে রাখার প্রয়োজন হয় না, সেখানে এগুলো ব্যবহার করা হয় এবং কন্ডুইটের সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়। স্ট্যাপ স্যাডল দুটি ক্রুর সাহায্যে কন্ডুইট লাগানো হয় ।

খ) স্পেসবার স্যাডল: এ ধরনের স্যাডল একটি পৃথক পাতের উপর বসানো হয়। এ পাতগুলো ৩৭ মি. মি. ব্যস সম্পন্ন কন্ডুইটের জন্য ৩ মি. মি. এবং তদুর্ধ ব্যস সম্পন্ন কন্ডুইটের সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজ পাওয়া যায়। স্পেসবার স্যাডল কভুইটকে দেয়াল হতে আলাদাভাবে লাগানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

গ) ডিস্ট্যান্স স্যাডল: ডিস্ট্যান্স স্যাডলে দুইটি আলাদা অংশ আছে। কন্ডুইটকে দেয়াল হতে দূরে রাখার জন্য এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।

ঘ) মাল্টিপল স্যাডল: সমান্তরাল ভাবে দুই বা ততোধিক কন্ডুইট বসাবার জন্য এ ধরনের স্যাডল ব্যবহার করা হয়। কন্ডুইটের সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের স্যাডল পাওয়া যায়।

Content added By

ইন্সটল সুইচ বক্স ও জাংশন বক্স

যে ধাপসমূহ মেনে কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এ সুইচ বক্স ও জাংশন বক্স স্থাপন করা হয় তা হলো-

১। নির্দিষ্ট সুইচ বক্স, জাংশন বক্স ও টুলস বাছাই করতে হবে। 

২। সুইচ বক্স, জাংশন বক্স ও কন্ডুইটের মাপ অনুসারে দেয়ালে খাঁজ কাটতে হবে ।

৩। দেয়ালের খাঁজে সুইচ বক্স, জাংশন বক্স ও কন্ডুইট বসাতে হবে।

৪। কন্ডুইটের উপর প্রয়োজনীয় প্লাষ্টারিং করতে হবে।

৫। সুইচ বক্স ও জাংশন বক্সের কভার বা ঢাকনা খুলতে হবে।

৬। সুইচ বক্সের অবস্থা চিহ্নিতপূর্বক তারের জন্য বোর্ডে ছিদ্র করতে হবে।

৭। প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্যের ইনসুলেশন খুলে ইনসুলেশন মুক্ত অংশটি পরিষ্কার করতে হবে।

৮। ছিদ্র দিয়ে তার ঢুকিয়ে টার্মিনালে সংযোগকারী ভ্রু গুলো ঢিলা করতে হবে।

৯। টার্মিনালে তার সম্পূর্ণভাবে ঢুকাতে হবে।

১০। সংযোগকারী ভুগুলো দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে এবং সুইচের অপর অংশে লাগাতে হবে এবং

পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে।

২.২.১ সুইচ বক্স ও জাংশন বক্স এর প্রকার ও সাইজ

আকৃতি অনুযায়ী কন্ডুইট বক্সের নাম বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন-এন্ড বক্স, টু-ওয়ে বক্স, থ্রি-ওয়ে বক্স, ফোর- ওয়ে বক্স আয়তাকার বক্স, গোলাকার বক্স ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য নিম্নলিখিত পরিমাপের সুইচ বক্স ও জাংশন বক্স বাজারে পাওয়া যায়-

৭৫ মি. মি.×৭৫ মি: মি: (৩"x ৩"),

১০০ মি. মি. X১০০ মি. মি. (8" x 8),

১০০ মি. মি. x ১৫০ মি. মি. (৪ x ৬"),

১২৫ মি. মি. x ২০০ মি: মি: (৫" x ৮"),

১৫০ মি. মি. x ২০০ মি. মি. (৬ x ৮),

২০০ মি. মি. x ২৫০ মি. মি. (৮"x১০")

২০০ মি. মি. x ৩০০ মি. মি. (৮”x১২”)

২.২.২ সুইচ বক্স ও জাংশন বক্স ইনস্টলে সতর্কতা

কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করার সময় মালামাল বা সরঞ্জামাদি নির্বাচন, কন্ডুইট স্থাপন, ফিসওয়্যার ঢুকানো, তার টানাসহ বিভিন্ন কাজে যে বিষয় গুলোকে সতর্কতা মানতে হয় সেগুলো হলো-

১। হ্যান্ড গ্লাভস, গগলস পড়ে কাজ করতে হবে।

২। কন্ডুইট বসানোর সময় পরিবাহী তার টানার জন্য ফিস ওয়্যার ঢুকাতে হবে।

৩। দেয়াল কাটার সময় সাবধানে হ্যামারের সাহায্যে চিজেলের মাথায় আঘাত করতে হবে, যেন হাতে না লাগে।

৪। সাবধানে কন্ডুইট বাকাতে হবে, বাকানোর সময় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়।

৫। সকেট, টি, বেস্ত ইত্যাদি ঠিকভাবে মাপ অনুসারে লাগাতে হবে।

৬। কড়ুইটের ধারালো প্রান্তগুলো রিমার ফাইল দ্বারা মসৃন করতে হবে যাতে তারের ইনসুলেশন নষ্ট না হয় । 

৭। জি আই কড়ুইটের মধ্যে দিয়ে সাবধানে তার বা ক্যাবল টানতে হবে।

৮। কড়ুইটের মধ্যে যেন পানি প্রবেশ না করে এবং পানি না আটকে থাকে, তার জন্য সামান্য চালু করে কভুইট বসাতে হবে।

৯। আর্থিং ভালো হতে হবে এবং ধাতব সরঞ্জাম যেন বডি না হয় তা দেখতে হবে। 

১০। মরিচা হতে মুক্ত রাখার জন্য বাইরের প্যাচগুলোতে রং করতে হবে।

২.৩ ছাদে কন্ডুইট স্থাপন

প্রায় সকল দালানে কনসিন্ড কড়ুইট ওয়্যারিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পিভিসি অথবা জিআই কডুইট ছাদে বসিয়ে ফিস ওয়্যার ঢুকানো থাকে। পরে বিল্ডিং এর কাজ শেষ হলে নিয়ম মোতাবেক বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং করা হয়। এ ধরনের ওয়্যারিং খরচ বেশি কিন্তু সুবিধা অনেক। ইলেকট্রিক্যাল ক্যাবল কোন ধরনের আঘাতের হাত হতে রক্ষা এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য দেয়াল বা ছাদের ভিতর দিয়ে ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং করা হয়। এ ধরনের ওয়্যারিং কে কনসিন্ড করুইট ওয়্যারিং বলে। এ ওয়্যারিং দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই এবং ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। সাধারণত ছাদে পিভিসি প্লেইন পাইপ ব্যবহার করা হয়। ড্রইং অনুসারে হাসে প্রথমে রুমগুলির মাপ নিয়ে সুভা দ্বারা লে-আউট করতে হবে। রাইজার এর জন্য প্রতি ছাদের কমপক্ষে দুইটি পাইপ রাখতে হবে। ছাদ ঢালাই এর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন পাইপের সংযোগ খুলে না যায় বা পাইপ চ্যাপটা না হয়।

চিত্র-২.৭ ছাদে পাইপ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

২.৩.১ ছাদে কন্ডুইট স্থাপনের প্রক্রিয়া

কণ্ডুইটের ভিতর দিয়ে ফিস ওয়্যার বা জিআই তার ঢুকানোর জন্য প্রথমে ফিস টেপের বাহিরের প্রাপ্ত অল্প পরিমাণ ঢিলা করে নিয়ে কোন জাংশন বক্সে আগত কন্ডুইটের প্রাপ্ত দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করাতে হবে। অতঃপর সাবধানে ধীরে ধীরে ঠেলে ফিস ওয়্যার প্রবেশ করাতে হবে। এভাবে কড়ুইটের অপর প্রান্তে না আসা পর্যন্ত ফিস ওয়্যার একটু করে ঢিল দিয়ে প্রবেশ করাতে হবে। ফিস ওয়্যারটি কড়ুইটের অপর প্রান্ত দিয়ে বাহির হলে এর সাথে ড্র-তার হিসেবে একটি জি আই তার মজবুত ভাবে আটকাতে হবে। এবার প্রথম প্রান্ত থেকে ফিস ওয়্যারটি টেনে ড্র-ওয়্যারটি সম্পূর্ণ কভুইটের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে। এভাবে কড়ুইটের ভিতর দিয়ে ফিস ওয়্যার বা জিআই তার ঢুকানো হয়।

তার বা ক্যাবলের প্রাপ্ত ছিল ওয়ার বা জিনাই তারের সাথে আটকানোর জামালের প্রায় ফিল ওয়্যার বা লিজাই কারো সাথে আটকানোর জন্য। 

এবার তার বা ক্যাবল কার সাথে চির ন্যা আটকাতে হবে। সমতাবস্থার ভারগুলোকে ৰূপ গন যতদূর সম্ভব সরু করে চেপে ধরে টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে বেশ ভারের

কোন খোলা ধারালো অংশ দিয়ে না থাকে।

বারি পদক্ষ ড্র-ওয়্যার ভারতলোকে লুপ সহ দুর ন করে চেপে ধরে উত্তম ভাবে টেন দিয়ে প্যাচানোর পর প্রথম প্রান্ত থেকে খুব সবধানে আছে আছে --গ্যারটি টানতে হবে। বেদিক দিয়ে তার সমূহ প্রবেশ করবে সেই প্রাককারী মাড়ে পায়ে একটু করে ঠেলা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। সে সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার না ফেইলড়াইয়া প্রবেশ করে। এ ভাবে তার যা ক্যাবল কুইটের ভিতর দিয়ে টেনে দিতে হবে। ভারের ফু ছাড়ারে কনুইটের মধ্যে ক্যাবল ঢুকানো ক্ষেত্রে ক্যাবলে তীক্ষ্ণ থাকায় এটির ইনসুলেশন নষ্ট হতে পারে এবং ক্যাবল পরিমাণে বেশি লাগবে। সেজন্য মেশিন বা হস্ত দিয়ে কারণ সোজা করে দিতে হবে আর অন্য দিক থেকে ফিস ভাড়ার টেনে কাজ করতে হবে।

Content added By

ছাদে কন্ডুইট স্থাপনে সাবধানতা

কন্ডুইট ওয়্যারিং করার ক্ষেত্রে কন্ডুইট স্থাপন করা, ফিসওয়্যার ঢুকানো, তার টানাসহ বিভিন্ন কাজে যে বিষয়গুলোতে সতর্কতা মানতে হয় সেগুলো হলো-

১। প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করে পরিধান করতে হবে।

২। ছাদে কন্ডুইট বসানোর পূর্বে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করতে হবে। 

৩। সকেট, টি, বেন্ড, বক্স ইত্যাদি লাগানোর সময় প্রয়োজনীয় ইনসুলেশন টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে নিতে হবে। 

৪। রডের নিচে নির্দিষ্ট মানের ব্লক ব্যবহার করতে হবে যাতে কন্ডুইটের কোনো ক্ষতি না হয় ।

৫। ছাদে পাইপ স্থাপনের সময় জি.আই. তার বা ক্যাবল টাই দিয়ে রডের সাথে বেঁধে দিতে হবে এবং সার্কুলার বক্স স্থাপন করতে হবে।

৬। কন্তুইট স্থাপনের সময় একটির উপর অন্যটি যাতে না বসে সে দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে।

৭। কন্ডুইটের ধারালো প্রান্তগুলো রিমার ফাইল দ্বারা মসৃণ করতে হবে যাতে তারের ইনসুলেশন নষ্ট না হয়। 

৮। জি আই কন্ডুইটের মধ্যে দিয়ে ফিস ওয়্যারের মাধ্যমে সাবধানে তার বা ক্যাবল টানতে হবে।

৯। কন্ডুইটের মধ্যে যেন পানি প্রবেশ না করে এবং পানি না আটকে থাকে, তার জন্য সামান্য ঢালু করে কন্ডুইট বসাতে হবে।

১০। ছাদে আর্থিং সংযুক্ত করতে হবে ।

নিয়মগুলো মেনে কাজ করতে হবে-

ক) বড় স্থাপনার টেলিফোন লাইন, সাউন্ড সিস্টেম, সিসি টিভি ইত্যাদির জন্য আলাদাভাবে পাইপ স্থাপন করতে হবে যাতে ইলেকট্রিক লাইনে কোন সমস্যা হলেও এগুলো নিরাপদ থাকে।

খ) লাইটনিং বা বজ্রপাত প্রটেকশনের ডাউন কন্ডাকটরের জন্য কমপক্ষে প্রতি ১০০ ফুট পর পর কলামে একটি করে পি.ভি.সি পাইপ ছাদ পর্যন্ত স্থাপন করে রাখা উচিত।

গ) মেইন ক্যাবল ইনকামিং-এর জন্য গ্রাউন্ড লেভেলের উপরে রিটেইনিং ওয়ালে পাইপ স্থাপনের জন্য জায়গায় ছিদ্র রাখতে হবে।

ঘ) ইলেকট্রিক ও টেলিফোনের জন্য সাব-স্টেশন থেকে লিফ্‌ট ফ্লোর পর্যন্ত আলাদা কন্ডুইট পাইপ স্থাপন করে রাখতে হবে।

ঙ) প্রতিটি ড্রপ থেকে কলামের চার পাশে পাইপ রাখতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিটি এসডিবি ইন্টার কানেক্ট করা হয়েছে কিনা। কলামের চারপাশে ছাদে, সুইচ বোর্ড এবং সকটে আউটলেট পর্যন্ত ড্রপ রাখতে হবে এবং প্রতিটি পাইপের শেষে দেয়ালে ড্রপ করতে হবে।

চ) স্কার্টিং লেভেল পর্যন্ত ঢালাই-এর পূর্বেই সুইচ, পাওয়ার, টেলিফোন, কম্পিউটার নেট-ওয়ার্কিং ইত্যাদির জন্য আলাদা আলাদা পাইপ স্থাপন করতে হবে।

ছ) পাইপ ক্রসিং এর স্থানে ছাদের টপ রডের সাথে দুই ফুট পর পর কয়েকটি এক্সট্রা রড বেঁধে দেয়া প্রয়োজন ।

ছাদে কন্ডুইট স্থাপণের জন্য সাইজ নির্ধারণ

কন্ডুইটের তারের সংখ্যা ও সাইজ অনুযায়ী কন্ডুইটের সাইজ নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন গ্রেডের তার বিভিন্ন সাইজের কন্ডুইটের মধ্যে কয়টা নেওয়া যেতে পারে, তা নির্ভর করে তারের সংখ্যা এবং তার টানার সুবিধার উপর। ২৫০/৪৪০ ভোল্ট এবং ৬৬০/১১০০ ভোল্ট গ্রেডের ভি আই আর ব্রেইডেড ও কম্পাউন্টেন্ড এবং পি ভি সি ক্যাবলের জন্য প্রযোজ্য তার এর কন্ডুইটের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো। কন্ডুইটের মধ্য দিয়া টানা তারের সংখ্যা নির্ণয়ে নিচের দুইটি তালিকায় বর্ণিত নিয়ম প্রয়োগ করতে হয়।তারের সাইজ ও সংকেত নম্বর তালিকা দেওয়া হলো।

Content added By

পারফর্ম গ্রুভ কাটিং

প্রায় সকল বিল্ডিং, কলকারখানায় কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পিভিসি অথবা জিআই কণ্ডুইট দেয়ালে বসাতে হলে প্রথমে দেয়ালে গ্রুভ বা খাঁজ কাটতে হবে। দেয়ালে গ্রুভ বা খাঁজ কাটার প্রয়োজনীয় টুলস ও সবঞ্জামাদি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও পদ্ধতি অনুসারে সতর্কতার সাথে গ্রুভ কাটিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

২.৪.১ দ্রুত কাটিং এর প্রক্রিয়া

দেয়ালে গ্রুভ বা খাঁজ দু'ভাবে কাটা যায়। যেমন- 

১। ইলেকট্রিক ওয়াল কাটার বা ওয়াল চেঞ্জার এর মাধ্যমে,

২। চিজেলের মাধ্যমে; 

চিজেলের মাধ্যমে গ্রুভ কাটিং এর প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো-

১। দেয়ালে গ্রুভ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে।

২। দেয়ালে চিহ্নিত নকশা বা লে-আউট অনুযায়ী গ্রুভ কাটতে হবে। সে লক্ষ্যে প্রথমে ঠিকভাবে দেয়ালে দাগ টেনে নিতে হবে এবং পূর্ব থেকে বা ছাদ ঢালাইয়ের সময় ছাদে প্রয়োজনীয় কন্ডুইট বসানো থাকে । 

৩। ছিটকে পড়া ক্ষুদ্র ভাঙ্গা অংশ হতে চোখ রক্ষা করার জন্য চোখে নিরাপদ গগলস পরিধান করতে হবে, যা চিত্র-২.১১ তে দেখানো হয়েছে।

৪। চিহ্নিত স্থানের উপরের একটি কোণায় ২৫ মি. মি. চওড়া ব্লেডযুক্ত চিজেল দৃঢ়ভাবে দেয়ালের বহিঃপৃষ্ঠের সাথে প্রায় সমকোণে স্থাপন করতে হবে, যা চিত্র-২.১২তে দেখানো হয়েছে।

৫। হাতুড়ির প্রতি আঘাতে চিজেলের চওড়া পরিমাণ অংশ কাটতে কাটতে বর্গাকৃতি খাঁজের চিহ্নিতরেখা বরাবর অগ্রসর হতে হবে।

৬ । এখন চিজেলকে আনুমানিক ৪৫ ডিগ্রি কোণে ধরে বর্গাকৃতি চিহ্নিত স্থানের ভিতর হতে খাঁজে খাঁজে সমান্তরালে এবং ক্রমাগতভাবে কাটতে হবে। বীজের প্রয়োজনীয় গভীরতায় পৌঁছা পর্যন্ত বারবার এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। বাজের গভীরতা অপেক্ষাকৃত বেশি হলে এর কেন্দ্রবিন্দু হতে ফাটা আরম্ভ করে প্রাক্ষের দিকে অগ্রসর হওয়া সুবিধাজনক।

৭। দেয়ালে স্থাপিত এবং প্লাস্টার করার একটি পিভিসি মাউন্টিং ব্লক অনুসারে কাটতে হবে। ৮। মাউন্টিং ব্লক এবং ওয়াল বক্সের জন্য দেয়ালে খাঁজ কাটার কাজ সম্পন্ন হলে, কড়ুইটের জন্য খাঁজ কাটার কাজ আরম্ভ করা যায়। এ কাজের জন্য ২৫ মি. মি. চওড়া রেডসম্পন্ন চিােগ ব্যবহার করা যায়। ১। বীজের ভিতর দেয়ালগুলো ২৫ মি. মি. চওড়া রেডসম্পন্ন চিভেলের সাহায্যে পরিষ্কার করাতে হবে।

ইলেকট্রিক ওয়াল কাটার বা ওয়াল চেয়ার এর মাধ্যমে এন্ড কাটিং এর প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা এলো- ওয়াট কাটার বৈদ্যুতিক মোটর চালিত একটি মেশিন বা কাটিং ব্লেড এর মাধ্যমে দেয়াল কাটা যায়। সাধারণত ১২০০ ওয়াট হতে বিভিন্ন পাওয়ার এর ওয়াল কাটার পাওয়া যায়। আধুনিক ওয়াল কাটার জন্য বা এস্ত করার জন্য ওরাল চেজার নামে মেশিন পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে খুব সহজেই দ্রুত করা যায়। প্রয়োজনমত এর গ্রন্থ ও গভীরতা সেট করা যায়। মেশিন এর সাথে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকায় ময়লাগুলি একটি পাত্রে জমা হয় এবং ধুলাবালি উৎপাদন কমানোর জন্য ওয়াটার পাম্প থাকে যার মাধ্যমে দেয়াল কাটার জায়গায় পানি সরবরাহ করে, ফলে ভেজা থাকার কারণে ধূলাবালি হয় না। নিম্নে দেয়ালে গ্রন্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় বজ্রপাতির চিত্র দেওয়া হলো।

চিত্র-২.১৩ দেয়ালে গ্রুভ করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি

দেয়ালে গ্রুভ করণ: ইটের দেয়ালে এত কর্তন এর পূর্বে, লে-আউট অনুসারে পরিমাপের মাধ্যমে কর্তনের হারা চিহ্নিত করে নিতে হবে। প্রয়োজনের বেশি বেন কর্তন না করা হয়, অতিরিক্ত কর্তনের ফলে বিল্ডিং এর ক্ষতি হতে পারে। কোনভাবেই বিল্ডিং এর কলাম বা পিলার কর্তন করা যাবে না। কাজ করার সময় দেয়াল ভিজিয়ে নিলে ধূলাবালি কম হবে। দেয়ালের কৌনিকভাবে খাঁজ কাটা যাবেনা। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী পরিধান করতে হবে। দেয়াল কর্তনের সময় মেশিনকে শক্তভাবে ধরতে হবে। এত কাটার সময়ের কিছু ছবি দেয়া হলো যা অনুসরণ করা যেতে পারে।

চিত্র-২.১৪ গ্রুভ কাটার সমর সতর্কতা অনুসরনের ছবি

২.৪.২ এন্ড কাটিং এ সাবধানতা

কছূইট ওয়্যারিং করার ক্ষেত্রে এন্ড কাটিং এর সময় যে বিষয়গুলোতে সতর্কতা মানতে হয় সেগুলো হলো- 

১। প্রয়োজনীয় টুলস ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে।

২। হ্যান্ড গ্লাভস, গগলস পড়ে কাজ করতে হবে। 

৩। নকশা বা লে-আউট অনুযায়ী খাঁজ কাটতে হবে।

৪। সঠিকভাবে দেয়ালে দাগ টেনে নিতে হবে।

৫। গ্রুভ কাটার সময় সাবধানে হ্যামারের সাহায্যে চিজেলের মাথায় আঘাত করতে হবে, যেন হাতে না লাগে । 

৬। গ্রোভের কেন্দ্রবিন্দু হতে কাটা আরম্ভ করে প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

২.৪.৩ গ্রুভ কাটিং এ গ্রুভের গভীরতা

কন্ডুইট দেয়ালে বসাতে হলে প্রথমে দেয়ালে গ্রুভ বা খাঁজ কাটতে হবে। দেয়ালে গ্রুভ বা খাঁজ কাটার প্রয়োজনীয় টুলস ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও পদ্ধতি অনুসারে সতর্কতার সাথে গ্রুভ কাটিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হয়। ভার্টিক্যাল বা উলম্ব দেয়ালের ক্ষেত্রে দেয়ালের গভীরতার এক তৃতীয়াংশ নীচু পর্যন্ত গ্রুভ এর গভীরতা করতে হয়, যেমন-১০০ মিমি চওড়া দেয়ালের ক্ষেত্রে গ্রোভের গভীরতা হবে ৩৩ মিমি। গ্রোভের প্রশস্ত সাধারণত ০.৩৭৫ - ১.৫" পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

২.৫ পারফর্ম কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং

ছাদ ও দেয়ালের মধ্যে খাঁজ কেটে কন্ডুইট পাইপ (জিআই/ পিভিসি ) বসিয়ে যে ওয়্যারিং করা হয়, তাকে কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং বলা হয়। পাইপ বসানোর পর প্লাস্টার করে পাইপ ঢেকে দেওয়া হয়, ফলে এ ওয়্যারিং চোখে দেখা যায় না। কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এ জিআই বা পিভিসি পাইপ ব্যবহার করা হয়। অবকাঠামো নির্মাণে ছাদ ঢালাইয়ের আগে ওয়্যারিং লে-আউট অনুযায়ী কন্ডুইট স্থাপন করতে হয়। দেয়াল প্লাস্টারের আগে দেয়ালে খাঁজ কেটে ডিবি বক্স, মেইনসুইচ, এসডিবি, কণ্ডুইট বসানো জন্য জায়গা করতে হয়, যার ফলে ফিটিংসসমূহ বাহির থেকে দেখা যাবে না। সকল কাজই ওয়্যারিং লে-আউট অনুযায়ী হতে হবে। আধুনিক বাড়ি-ঘর, দালান-কোঠা, অফিস-আদালত ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ওয়্যারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবাহী তারকে বাহিরের আঘাত থেকে রক্ষার জন্য এবং দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এ ধরনের ওয়্যারিং খুব উপযোগী। কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এ ব্যয় বেশি হলেও দেখার সৌন্দর্যসহ অন্যান্য সুবিধা বেশি।

২.৫.১ কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রক্রিয়া

দেয়ালে কনসিল্ড কন্ডুইট স্থাপন: ইটের দেয়ালের উপর ওয়াল কাটার এর মাধ্যমে কর্তনকৃত খাঁজে কন্ডুইট বা পিভিসি পাইপ বসাতে হয়। পাইপ গুলো তারকাটা বা হুক দ্বারা আটকিয়ে নিতে হয়।

গ্রীষ্ম প্রধান দেশে গরমের সময় বেশি গরম আর শীতের সময় বেশি ঠান্ডা, আবার অনেক জায়গায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, যেমন- বাংলাদেশে। যার কারণে পাইপ বা কন্ডুইট এর ভিতর পানি জমা হয়। এ কারণে সবদেশেই কন্ডুইট স্থাপনের জন্য খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কড়ুইটগুলো ভূমির দিকে একটু নিচু করে রাখতে হয়, যেন ভিতরে পানি জমা হলে বেরিয়ে যেতে পারে। খোলা জায়গা দিয়ে কড়ুইটনিতে হলে দেয়ালে না ঠেকিয়ে, দেয়ালে "গুলির" ওপর ছোট ছোট কাঠের টুকরো এঁটে, তার ওপর দিয়ে কন্ডুইট নিয়ে যাওয়া উচিত। এতে কন্ডুইটের চার পার্শ্বে বাতাস আসা যাওয়া করতে পারে, ফলে পানি কম জমে। এছাড়া কনসিল্ড কন্ডুইট এর ভিতর ক্যাবল এমন ভাবে স্থাপন করতে হয়, যেন কন্ডুইটের তিন ভাগের এক অংশ ফাঁকা থাকে, বাতাস আসা যাওয়ার জন্য ।

চিত্র-২.১৫ দেয়ালে পাইপ বা কন্ডুইট স্থাপনের সময় আটকানোর জন্য তারকাটা ও হুকের ব্যবহার

কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এর প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো- • প্রয়োজনীয় পিপিই নির্বাচন করে সংগ্রহ করব এবং পরিধান করব। 

• চিত্র অনুযায়ী সমস্ত মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করব।

• প্লান অনুসারে মাপ নিয়ে সুতা দিয়ে বা দাগ কেটে ছাদে লে-আউট তৈরি করব।

• ড্রইং অনুসারে প্রথমে রাইজার হতে এসডিবি এর জন্য পাইপ বসাতে হবে।

• এসডিবি হতে সুইচ বোর্ড এবং পাওয়ার পয়েন্ট, এসি এর জন্য আলাদা আলাদা পাইপ স্থাপন করব। 

• সুইচ বোর্ড হতে বিভিন্ন লোডে পাইপ স্থাপন করব।

• পাইপ গুলিকে রডের সাথে শক্ত করে তার অথবা ক্যাবল টাই দিয়ে আটকাৰ ।

• পাইপের জুড়াগুলির সকেটে আটা দিয়ে লাগাব এবং টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দিব যেন কোন ভাবে সিমেন্ট প্রবেশ করতে না পারে।

• পাইপ গুলি ছাদের বাহিরের দিকে ঢালু রাখতে হবে এবং সকল সার্কুলার বা পুলবক্স গুলির নিচে পেপার দিয়ে রাখব।

• কন্ডুইটের সাথে প্রয়োজনীয় ফিক্সার সংযুক্ত করব।

কাজ শেষে কাজের জায়গা পরিষ্কার করব।

• কাজ শেষে সমস্ত মালামাল স্টোরে জমা দিব।

২.৫.২ কনসিন্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং এ সাবধানতা 

কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করার ক্ষেত্রে কন্ডুইট স্থাপন করা, ফিসওয়্যার ঢুকানো, তার টানাসহ বিভিন্ন কাজে যে বিষয়গুলোতে সতর্কতা মানতে হয় সেগুলো হলো-

১। হ্যান্ড গ্লাভস, গগলস পড়ে কাজ করতে হবে।

২। কন্ডুইট বসানোর সময় পরিবাহী তার টানার জন্য ফিস ওয়্যার ঢুকাতে হবে।

৩। গ্রুভ কাটার সময় সাবধানে হ্যামারের সাহায্যে চিজেলের মাথায় আঘাত করতে হবে, যেন হাতে না লাগে। 

৪। সাবধানে কন্ডুইট বাঁকাতে হবে, বাঁকানোর সময় অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়।

৫। সকেট, টি, বেন্ড ইত্যাদি সঠিকভাবে ও আস্তে আস্তে লাগাতে হবে।

৬। কন্ডুইট স্থাপনের সময় একটির উপর অন্যটি যাতে না বসে। 

৭। কন্ডুইটের ধারালো প্রাস্তগুলো রিমার ফাইল দ্বারা মসৃণ করতে হবে যাতে তারের ইনসুলেশন নষ্ট না হয় ।

৮। জি আই কন্ডুইটের মধ্যে দিয়ে সাবধানে তার/ক্যাবল টানতে হবে। 

৯। কন্ডুইটের মধ্যে যেন পানি প্রবেশ না করে এবং পানি না আটকে থাকে, তার জন্য সামান্য ঢালু করে কন্ডুইট বসাতে হবে।

১০। আর্থিং ভালো হতে হবে এবং ধাতব সরঞ্জাম যেন বড়ি না হয় তা দেখতে হবে।

১১। মরিচা হতে মুক্ত রাখার জন্য বাইরের প্যাচগুলোতে রং করতে হবে।

২.৫.৩ কনসিন্ড কণ্ডুইট ওয়্যারিং এ কড়ুইট এর সাইজ নির্ধারণ

কনসিল্ড কন্ডুইট ওয়্যারিং করতে প্রয়োজনীয় সাইজের কন্ডুইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো এ অধ্যায়ে ২.৩.৩ অংশে আলোচনা করা হয়েছে।

২.৬ পারফর্ম সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং

দেয়ালের বহিঃ পৃষ্ঠে বা ছাদের বহিঃ পৃষ্ঠে পাইপ হুক বা স্যাডল এর সাহয্যে কন্ডুইট পাইপ বসিয়ে, এদের ভিতর দিয়ে বৈদ্যুতিক ক্যাবল বা ইনসুলেটেড তার স্থাপন করে কন্ডুইট ওয়্যারিং করা হয়। পরিবাহী তার বা ক্যাবলকে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষার জন্য এবং ওয়্যারিং দীর্ঘস্থায়ী ও সৌন্দর্য বাড়াতে সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং করা হয়। বাজারে সাধারণত ৩ মিটার ও ৬ মিটার লম্বা বিভিন্ন সাইজের কন্ডুইট পাইপ পাওয়া যায়।

২.৬.১ সারফেস কড়ুইট ওয়্যারিং এর প্রক্রিয়া

কণ্ডুইট পাইপ দেয়ালের উপর দিয়ে নিয়ে যে ওয়্যারিং করা হয়, তাকে সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং বলে। পরিবাহী তার বা ক্যাবলকে যান্ত্রিক আঘাত থেকে রক্ষার জন্য এবং ওয়্যারিং দীর্ঘস্থায়ী, রাসায়নিক বিক্রিয়া ও আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সারফেস কন্ডুইট করা হয়। বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এর ক্ষেত্রে যে পাইপ ব্যবহার করা হয় তাহাকে কন্ডুইট বলা হয়। এটি সাধারণত স্টিল এবং পিভিসি পাইপ হয়। এটি বিভিন্ন সাইজ এবং গ্রেডের হয়ে থাকে।

২.৬.২ সারফেস কন্ডুইট ওয়্যারিং এ সাবধানতা (Precaution):

• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লোবস, গগলস ব্যবহার করতে হবে।

• নকশা বা লে-আউট অনুযায়ী কন্ডুইট স্থাপন করতে হবে। 

• বৈদ্যুতিক নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

২.৭ পারফর্ম চ্যানেল ওয়্যারিং

সাধারনত আধা-পাকা বাসা বা স্বল্প মূল্যের পাকা বাড়িতে চ্যানেল ওয়্যারিং করা হয়। চ্যানেলের নিচের অংশ বেশি জায়গা থাকে যাতে ক্যাবল স্থাপন করা হয়। সাধারনত ১ ফুট দূরে দূরে স্ক্রু দিয়ে চ্যানেলের নিচের অংশ দেয়ালে আটকিয়ে দিতে হয়। ২টি ক্যাবলের জন্য ১/২” চ্যানেল, ৩/৪টি ক্যাবলের জন্য ৩/৪" চ্যানেল এবং এর অধিক ক্যাবলের জন্য পরবর্তী সাইজের চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। সাধারনত চ্যানেলে ক্যাবল বসানোর পর যেন ১/৪" অংশ ফাঁকা থাকে।

চ্যানেল ৯০ ডিগ্রি কোণে বসানো হয়। চ্যানেল ৯০ ডিগ্রি কোণে বসাতে হলে দুটি ক্যাবলের প্রান্তসমূহ ট্রাই- স্কোয়ারের সাহায্যে ৪৫ ডিগ্রি কোণে কেটে নিতে হবে। চ্যানেলের সাইজ সাধারণত ১/২", ৩/৪”, ১", ১.৫” এবং ২” হয়। চিত্রে-২.১৮ এ ১টি এনার্জি মিটার, ১টি মেইনসুইচ, ১টি ফ্যান, ২টি বাতি ও ১টি কম্বাইন সকেট নিয়ন্ত্রণের চ্যানেল ওয়্যারিং দেখানো হয়েছে।

বর্তমানে পিভিসি চ্যানেল ব্যবহার করে সাধারণ বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং কাজ করা হচ্ছে। চ্যানেল ওয়্যারিং দেখতে ভালো, খরচ কম, তুলনামূলক সহজ এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজে করা যায়। প্লাষ্টিক চ্যানেল দ্বারা এ ধরনের ওয়্যারিং করা হয় বলে, একে চ্যানেল ওয়্যারিং বলা হয়। আমাদের দেশে বাসা- বাড়ির শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগই চ্যানেল ওয়্যারিং করা হয়।

এ জাতীয় ওয়্যারিং বিভিন্ন সাইজের পিভিসি চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। চ্যানেল ওয়্যারিং এর ক্ষেত্রে দেয়ালে, ছাদে রাওয়াল প্লাগ আটকিয়ে এর উপর দিয়ে প্লাস্টিক চ্যানেল আটকিয়ে এ চ্যানেলের খাঁজের মধ্যদিয়ে ক্যাবল বা পিভিসি তার স্থাপন করা হয়। এ ওয়্যারিং এ সাধারণত ২৫০ / ৪৪০ ভোল্ট গ্রেডের পিভিসি সিঙ্গেল বা টু-ইন কোর তার ব্যবহার করা হয়।

ওয়্যারিং এ প্রয়োজনীয় সংখ্যক তার স্থাপন করার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত পরিমাণের চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। 

চিত্র-২.১৮ ১টি এনার্জি মিটার, ১টি মেইন সুইচ, ১টি ফ্যান, ২টি বাভি ও ১টি কম্বাইন সকেট নিরজনের চ্যানেল ওরাবিং

২.৭.১ সারফেস চ্যানেল ওয়্যারিং এর প্রক্রিয়া

সারফেস চ্যানেল ওয়্যারিং করার পদক্ষেপসমূহ নিচে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলো-

১। ওয়্যারিং লে-আউট করতে হবে।

২। কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস সংগ্রহ করতে হবে।

৩। লে-আউট অনুযায়ী সুতার মাধ্যমে রঙিন চকের গুড়া দিয়ে যে সমস্ত জায়গা দিয়ে চ্যানেল যাবে সে সমস্ত

৪। জায়গায় দাগ টানতে হবে। 

৪। ওয়্যারিং লে-আউট অনুযায়ী চ্যানেল, সুইচ বোর্ড, জাংশন বক্স, রাওয়াল প্লাগ, ব্লু ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।

৫। লে-আউট অনুযায়ী দেয়াল ও ছাদে চিহ্নিত রেখার উপরে চ্যানেল, সুইচ বোর্ড এবং জাংশন বক্স বসানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী (চ্যানেলের বেস আটকানোর জন্য ৬০ সে. মি. থেকে ৭০ সে. মি. পর পর রাওয়াল প্রাগ স্থাপন করতে হবে।

৬। স্ক্রু দিয়ে প্রয়োজনীয় সাইজের চ্যানেলের বেস আটকাতে হবে।

৭। তারপর নির্দিষ্ট স্থানে সুইচ বোর্ড বেস, জাংশন বক্স বেস ইত্যাদি স্ক্রু দিয়ে মজবুত ভাবে আটকাতে হবে।

৮। বাঁকের স্থানে কর্নার বা বেন্ড বসাতে হবে।

৯। দেয়াল ছিদ্র করে তার নিতে পিভিসি পাইপ বসাতে হবে।

১০। চ্যানেল বেস আটকানোর পর চ্যানেলে তার টেনে একই সাথে চ্যানেল কভার লাগাতে হবে। 

১১। তারপর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম যেমন সুইচ, সকেট, হোল্ডার, ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি লাগাতে হবে।

১২। উল্লেখিত ধাপে ওয়্যারিং করার পর ওয়্যারিং পরীক্ষা করে কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

২.৭.২ সারফেস চ্যানেল ওয়্যারিং এ সাবধানতা

সারফেস চ্যানেল ওয়্যারিং করার ক্ষেত্রে চ্যানেল স্থাপন করা, তার টানাসহ বিভিন্ন কাজে যে বিষয়গুলোতে সতর্কতা মানতে হয় সেগুলো হলো-

১। হ্যান্ড গ্লাভস, গগলস পড়ে কাজ করতে হবে।

২। লে-আউট অনুযায়ী সুতার মাধ্যমে রঙিন চকের গুড়া দিয়ে যে সমস্ত জায়গা দিয়ে চ্যানেল যাবে সে সমস্ত জায়গায় দাগ টানতে হবে।

৩। লে-আউট অনুযায়ী দেয়াল ও ছাদে চিহ্নিত রেখার উপরে চ্যানেল, সুইচ বোর্ড এবং জাংশন বক্স বসানোর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী রাওয়াল প্লাগ স্থাপন করতে হবে। 

৪। ওয়্যারিং করার পর ওয়্যারিং পরীক্ষা করে কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion