পোশাক মানব সভ্যতার অগ্রগতির প্রতীক। আদিম যুগে মানুষ খুব অসহায় ছিল। তারা খাদ্য সংগ্রহ করা এবং হিংস্র জীব জন্তুর হাত থেকে আত্মরক্ষার কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকত। তাদের কোন পোশাক ছিল না। প্রচণ্ড শীত, প্রখর রোদ ও গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের একটি আচ্ছাদনের প্রয়োজন হত। তাই তখন তারা গাছের শুকনো ছাল, লতা/পাতা ও পশুর চামড়া প্রভৃতি সংগ্রহ করে পোশাকের অনুরূপ তৈরি করে শীত ও গরম থেকে রক্ষা পেত । পশুর চামড়া, গাছের ছাল, বিভিন্ন পাতা ইত্যাদি বাধার জন্য সুতা বা দড়ির প্রয়োজন হত বিধায় পশুর চামড়া/রগ, ছন, লম্বা পাতার আঁশ ইত্যাদি দ্বারা বাঁধার কাজ সম্পন্ন করত মানব সভ্যতার ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, সুতা কাটার যন্ত্র আবিষ্কারের অনেক পূর্ব থেকেই মানুষ বুনন ও বয়ন অর্থাৎ স্পিনিং উইভিং পদ্ধতি জানত। প্রাচীন যুগে খড়কুটো থেকে পাখির বাসা তৈরি করতে দেখে মানুষ বিভিন্ন প্রকার আঁশের সমন্বয়ে পাখির অণুকরণে নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করতে উৎসাহিত হয় ও পর্যায়ক্রমে পোশাক তৈরি করে। বিভিন্ন প্রকার গাছের লতা, পাতা, ঘাস ও গাছের বাকল ইত্যাদি দ্বারা ঝুড়ি, মাছ ধরার জাল, পাতার বেড়া ইত্যাদি বুনতে শুরু করে ও বয়ন অর্থাৎ উইভিং এর সম্বন্ধে ধারণা লাভ করে ।
কাপড় তৈরি বা প্রস্তুতের মূল তত্ত্বটি এভাবে বলা যায়। যেমন-
টানা ও পড়েন দুই সিরিজ সুতা পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে অথবা নিডেলের সাহায্যে লুপ তৈরি করে অথবা ফাইবারের শিটকে জমাট বাঁধিয়ে বা আঠালো পদার্থ দ্বারা সন্নিবেশ করে যে পাতলা শিট প্রস্তুত করা হয় তাকে কাপড় বলে ।
কাপড় তৈরি সাধারণত উইভিং, নিটিং অথবা ফেন্টিং পদ্ধতিতে ব্যবহার উপযোগী পাতলা
শিট প্রস্তুত করা হয়। কাপড় তৈরির সাধারণ ৩টি সংজ্ঞা নিম্নরূপ ভাবে করা যায়-
১। উইভিং এর সংজ্ঞা (Definition of Weaving)-
আঁশ হতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সুতা প্রস্তুতের পর ঐ সুতা দ্বারা টানা ও পড়েন সুতার পরস্পর বন্ধনী দিয়ে মানুষের পরিধেয় ও ব্যবহারের জন্য যে সকল দ্রব্য প্রস্তুত করা হয় তাই কাপড় এবং যে প্রক্রিয়ায় টানা ও পড়েন সুতার পরষ্পর বন্ধনী সৃস্টি করে কাপড় তৈরি করা হয় তাকে উইভিং (Weaving) প্রক্রিয়া বলে ।
২। নিটিং (Knitting)-
যে প্রক্রিয়ায় নিটিং মেশিনের নিডলের সাহায্যে এক বা একাধিক সুতার মাধ্যমে লুপ তৈরি করে এবং উৎপাদিত লুপগুলোকে পরষ্পর লম্বালম্বি বা সমান্তরালভাবে সংযোজনের মাধ্যমে কাপড় তৈরি করে এ প্রক্রিয়াকে নিটিং (Knitting) বলে।
৩। ফেলটিং (Felting) -
টেক্সটাইল ফাইবার দ্বারা শিট প্রস্তুত করে উক্ত শিটকে জমাট বাঁধিয়ে বা আঠালো পদার্থ দ্বারা সন্নিবেশিত করে এবং স্টিচিং করে পরস্পর আটকিয়ে যে কাপড় তৈরি করা হয় তাকে ফেলটিং (Felting) বলে।
কাপড় ফেলটেড নিম্নলিখিতভাবে করা হয়ে থাকে যথা-
ক) আঠালো পদার্থের সাহায্যে
খ) তাপের সাহায্যে ।
গ) স্টিচিং এর সাহায্যে ।
ওভেন বা বুনন কাপড়ের বৈশিষ্ট্য (Characterisics of woven fabric)
• বস্ত্রের অভ্যন্তরে দুই সিরিজ সুতা থাকতে হবে। এক সিরিজ টানা ও অপর সিরিজ পড়েন ।
• প্রতিটি ওভেন কাপড়ে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন থাকতে হবে ।
• সাধারণত ওভেন কাপড়ে ভাজ পড়ে।
• ওভেনের পূর্বে টানা সুতায় মাড় দিতে হয়।
• দুই সারি সুতা সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে ওভেন কাপড় তৈরি হয়।
• কাপড়ের টানা ও পড়েন সুতার কাউন্ট, শক্তি, প্রতি ইঞ্চিতে পাক ইত্যাদি গুণাবলি একই অথবা ভিন্ন হতে পারে। ওভেন কাপড়ের সদর এবং পেছনের অংশ একই অথবা ভিন্ন হতে পারে ।
• এ কাপড়ের প্রান্ত গুটিয়ে যায় না।
• তাঁতের সাহায্যে বুননের সময় বিভিন্ন প্রকার রঙিন সুতার সাহায্যে স্ট্রাইপ, চেক, ক্রসওভার এবং বিভিন্ন প্রকার ইফেক্ট তৈরি করা যায় ।
• ওভেন কাপড়ের একদিকে বা উভয় দিকে কাট অথবা আনকাট পাইল থাকতে পারে ।
• ওভেন কাপড়ের একদিকে বা উভয় দিকে ল্যামিনেটেড করা থাকতে পারে।
• ওভেন কাপড় সিঙ্গেল, ডাবল, বা ট্রিপল ইত্যাদি পাই বিশিষ্ট হতে পারে ।
• ওভেন কাপড়ের একদিকে বা উভয়দিকে আঁশ রেইজিং করা থাকতে পারে । যেমন-ফ্লানেল কাপড় ।
উইন্ডিং বা বুননের কতিপয় প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা
কাপড় (Fabric)
টানা ও পড়েন ২ সিরিজ সুতা পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে অথবা নিডেলের সাহায্যে লুপ তৈরি করে অথবা ফাইবারের শিটকে জমাট বাঁধিয়ে বা আঠালো পদার্থ দ্বারা সন্নিবেশিত করে যে পাতলা শিট প্রস্তুত করা হয় তাকে কাপড় বলে।
তাঁত (Loom)
টানা ও পড়েন সুতা পরস্পর সমকোণে বন্ধনীর মাধ্যমে কাপড় তৈরি করার জন্য যে মেশিন বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে তাঁত বলে।
পাওয়ার লুম (Power loom)
যে সমস্ত তাঁত কোন যান্ত্রিক অথবা বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা চালিত হয় তাকে শক্তিচালিত তাঁত বা পাওয়ার লুম বলে ।
হ্যান্ড লুম (Hand loom )
মানব শক্তি দ্বারা অর্থাৎ হাত দ্বারা যে তাঁত চালানো হয় তাকে হস্তচালিত তাঁত বা হ্যান্ড লুম বলে।
কনভেনশনাল লুম (Conventional loom)
যে সমস্ত কাপড় প্রস্তুতিতে পড়েন প্রবেশের জন্য মাকু (Shuttle) ব্যবহার করা হয় সে সমস্ত তাঁতকে কনভেনশনাল লুম বলা হয় ।
আধুনিক লুম (Modern loom )
যে সমস্ত তাঁত কাপড় প্রস্তুতিতে পড়েন প্রবেশের জন্য মাকু ব্যবহার না করে অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করা হয় সে সমস্ত তাঁতকে আধুনিক তাঁত বলে।
অরডিনারি লুম (Ordinary loom)
যে সমস্ত কনভেনশনাল লুমের গতি কম, মাকু বা পার্ন পরিবর্তনের কোন ব্যবস্থা নেই অর্থাৎ খুবই সাধারণ মানের তাঁত সে সমস্ত লুমকে অরডিনারি লুম বলে ।
অটোমেটিক লুম (Atuomatic loom )
যে সমস্ত তাঁতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়েন পরিবর্তনের ব্যবস্থা আছে, সে সমস্ত তাঁতকে অটোমেটিক লুম বলে। শাটল পরিবর্তনের মাধ্যমে ও পার্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে পড়েন পরিবর্তন করা সম্ভব।
তাঁতের গতি (Motion of loom )
তাঁতকে সচল রাখা ও পর্যায়ক্রমিকভাবে কাপড় তৈরির জন্য আলাদা আলাদাভাবে ও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অংশ নাড়াচাড়া করানো হয় । এই অংশসমূহকে একত্রে তাঁতের গতি বলা হয় ।
অক্সিলারি মোশন (Auxiliary moion) পাওয়ার লুমকে ত্রুটিমুক্ত কাপড় তৈরির উপযোগী করার জন্য কিছু কিছু আলাদা মোশন ব্যবহার করা হয়, যা তাঁতকে স্বয়ংক্রিয় করে এবং তাঁতও কাপড়কে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য যে অতিরিক্ত মোশনসমূহ ব্যবহার করা হয়, তাকে টারসিয়ারি মোশন বলে ।
ডাবলিং ও টুইস্টিং (Doubling and Twisting)
সুতা তৈরির সময় পাক (Twist) দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একমাত্র ছোট ছোট আঁশগুলোকে একত্রে ধরে রাখার জন্য টুইস্ট দেওয়া হয়। যখন মোটা অধিক শক্তিশালী সুতার প্রয়োজন হয় তখন একাধিক সুতাকে একত্রে টুইস্ট করে নেওয়া হয় ।
ওয়াইন্ডিং (Winding )
কাপড় বয়নের সুবিধার্থে বাজারে প্রাপ্ত হ্যাংক আকারের সুতাকে পড়েন সুতার জন্য নলি, বা কপ এবং টানা সুতার জন্য স্পুল, কোন, চিজ, ববিন ইত্যাদি প্যাকেজে জড়ানো হয়। বিভিন্ন প্যাকেজে সুতা জড়ানোর পদ্ধতিতে ওয়াইন্ডিং বলে ।
ক্রিলিং (Creeling)
টানা বিম তৈরি করার জন্য ওয়াইন্ডিং প্যাকেজগুলো যে প্রক্রিয়ায় ক্রিলের হোল্ডারের মধ্যে রাখা হয় তাকে ক্রিলিং বলে।
ওয়ার্সিং (Warping)
যে কাপড় তৈরি করতে হবে তার বহরে যতগুলি টানা সুতার প্রয়োজন হয় ততগুলো সুতা কাপড়ের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী মেপে লম্বালম্বি সাজিয়ে নিয়ে বিয়ে জড়ানোর প্রক্রিয়াই ওয়ার্সিং ।
বিমিং (Beaming)
স্পিনিং ফ্রেমে সুতা তৈরি হওয়ার পর টানা সুতাগুলোকে স্কুল বা কোন ওয়াইন্ডিং মেশিনের সাহায্যে স্কুল বা কোনের আকারে জড়ানো হয়। এ ওয়ার্স সুতার প্যাকেজ হতে কাপড় তৈরি করার উদ্দেশ্যে উইভার্স বিম তৈরি করা হয় । ওয়ার্গের সুতাকে এভাবে বিমে জড়ানোর প্রক্রিয়াকে বিমিং বলে ।
সাইজিং (Sizing)
যান্ত্রিক বা কায়িক উপায়ে টানা সুতাকে বিভিন্ন প্রকারের মাড়ের উপকরণ যুক্ত করে সুতার উপর বিদ্যমান বাড়তি আঁশগুলোকে সুতার পৃষ্ঠে মিশিয়ে দিয়ে সুতাকে চকচকে ওজন বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াকে সাইজিং বা মাড় প্রকরণ বলে।
ড্রইং-ইন (Drawing - in )
ওয়ার্পের সুতাগুলোকে উইভার্স বিয়ে জড়ানোর পর অপর প্রান্ত ডিজাইন অনুসারে পর পর কতগুলো ঝাঁপের ব চক্ষুর মধ্য দিয়ে ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়াকে ড্রইং-ইন বা ড্রাফটিং বলে।
ডেন্টিং (Denting)
যে পদ্ধতিতে রিডের প্রতিটি ডেন্টের মধ্য দিয়ে টানা সুতাকে ডিজাইন অনুযায়ী ড্রইং হুকের সাহায্যে টেনে নেওয়া হয়। এ পদ্ধতিকেই ডেন্টিং বলা হয়। সাধারণত প্রতিটি ডেন্টের মধ্য দিয়ে দুই বা ততোধিক সুতা প্রবেশ করানো হয়।
লুমিং (Looming)
উইভিং এর প্রস্তুতির জন্য সর্বশেষ প্রক্রিয়াই হলো লুমিং। ড্রইং ইন এবং ডেন্টিং এর পর ওয়ার্স বিমকে লুমের নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ পেছনের ব্রাকেটে বসানো হয়। তারপর ঝাঁপ ও শানা বসানো হয়। অতপর শানার সামনের আলগা সুতাগুলো ক্লথ বিমের সাথে বাঁধা হয়। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিমকে আনুসঙ্গিক উপকরণসহ লুমে স্থাপন করা হয় তাকে লুমিং বলে।
উইভিং (Weaving)
কাপড় বয়নের সময় কতগুলো টানা সুতাকে ঝাঁপের সাহায্যে উপরে উঠানো হয় এবং কতকগুলো নিচে নামানো হয় । এর ফলে যে কোণাকৃতি ফাঁকের সৃষ্টি হয় তাকে সেড বলে। এ সেডের মধ্য দিয়ে মাকু হতে একটি পড়েন সুতাকে ফেলে রাখার পর শানা অর্থাৎ দক্তি দ্বারা ঠেলে দেওয়া হয়। এরূপ একটি পর একটি সুতা পাশাপাশি প্রবেশ করিয়ে কাপড় প্রস্তুত করা হয়। বর্ণিত এ প্রক্রিয়াকেই উইভিং বলে।
কাপড় বা ফেব্রিক চেকিং ( Inspecion of fabric)
কাপড় তৈরির পর কাপড়ে কমবেশি দোষত্রুটি থাকে। টেবিলের উপর কাপড় রেখে হাত দ্বারা বা মেশিনের সাহায্যে একপ্রান্ত হতে টেনে কাপড়ের দোষত্রুটি যাচাই বাছাই করে মানসম্পন্ন কাপড় পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত করার নামই ফেব্রিক চেকিং ।
ক্যালেন্ডারিং এন্ড ফোল্ডিং (Calendering and folding )
কাপড়ের চাকচিক্য বৃদ্ধি ও কাপড়েকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চাপে ও তাপে মসৃণ করা হয় ও পরবর্তীতে মেশিনের মাধ্যমে ভাঁজ করাকে ক্যালেন্ডারিং অ্যান্ড ফোল্ডিং বলে।
বেইলিং (Bailing)
এটি সর্বশেষ প্রক্রিয়া। ফোল্ডিং করার পর কাপড়কে স্তরে স্তরে সাজিয়ে প্রেসের সাহায্যে চাপ দিয়ে আয়তন কমিয়ে বেল তৈরি করার প্রক্রিয়াকে বেইলিং বলে । কাপড় বাজারজাত ও গুদামজাত করার সুবিধার্থে বেল তৈরি করা হয়।
তাঁতের বিভিন্ন অংশ এবং তাঁতে ব্যবহার কাঁচামাল ও ফিনিসড উৎপাদন দ্রব্য-
১. ওয়ার্স বিম
২. ওয়ার্প সুতা
৩. হিল্ড শ্যাফট
৪. টপ রোলার
৫. ঝাঁপ
৬. রিড
৭. সাটেল
৮. ওয়েট সুতা
৯. কাপড়
১০. ক্লথ বিম
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. উইভিং এর সংজ্ঞা দাও?
২. নিটিং এর সংজ্ঞা দাও?
৩. ফেলটিং কাকে বলে?
৪. কাপড় বলতে কি বুঝায়?
৫. কোন লুমে সাটেল ব্যবহার করা হয় না?
৬. অক্সিলারি (সাহায্যকারী) মোশন বলতে কি বুঝায়?
৭. ইন্সপেকশন কি?
৮. কাপড় ক্যালেন্ডারিং কেন করা হয়?
৯. সাধারণত প্রতিটি ডেন্টের মধ্য দিয়ে কতটি সুতা প্রবেশ করানো হয়?
১০. ঝাপের ব চক্ষুর মধ্য দিয়ে টানা সুতা টানাকে কি বলা হয়?
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. ওভেন কাপড়ের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।?
২. উইভিং এর ফ্লো চার্ট বা বুননের বিভিন্ন ধাপ দেখাও?
৩. ফেলটিং কি ? এটি কি কি ভাবে করা হয়?
৪. তাঁতের ৪টি অংশের নাম লেখ?
৫. কাপড় বেল কেন করা হয়?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. বুননের বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা দাও?
আরও দেখুন...