সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক তোমাদের বসে চোখ বন্ধ করে এক মিনিট নীরব থেকে ধ্যানের মাধ্যমে মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি সহমর্মী হওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করতে বলবেন। তোমরা শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করো কিন্তু।
অন্যের বিপদে সহমর্মী হয়ে তাদের পাশে থাকার জন্য শিক্ষক তোমাদের একটি 'একাত্মতা কর্নার' তৈরি করতে বলবেন। 'একাত্মতা কর্নার' তৈরির পরিকল্পনা শিক্ষকের কাছ থেকে ভালোভাবে জেনে নাও।
প্রস্তুতি
প্রথমেই সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে আলাপ করে একাত্মতা কর্নারে কী কী জিনিস রাখতে পারো তার একটা তালিকা তৈরি করো। তালিকাটি নিম্নরূপ হতে পারে:
শুকনো খাবার | পোশাক | বই... |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তালিকা তৈরি হয়ে গেলে একাত্মতা কর্নারের জন্য কাগজ (কার্টুন) বা অন্য কোনো সহজলভ্য বস্তু দিয়ে একটি বাক্স তৈরি করবে। তৈরিকৃত বাক্সে সুস্পষ্টভাবে 'একাত্মতা কর্নার' লিখবে। বাক্সটি প্রধান শিক্ষক বা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে রাখতে পারো যেন নিরাপদে থাকে। এরপর সকলে তাদের সুযোগ ও সামর্থ্য অনুযায়ী তালিকার জিনিসগুলো সংগ্রহ করতে শুরু করো। এটি বাধ্যতামূলক নয়, স্বপ্রণোদিত হয়ে সকলে কাজ করবে। নিজ শ্রেণির পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকেও 'একাত্মতা কর্নার' সম্পর্কে জানাতে পারো। তারাও বিভিন্ন জিনিস এই বাক্সে রাখতে পারবে।
যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক সংকটে 'একাত্মতা কর্নার'-এ সংগৃহীত বিভিন্ন জিনিস বিতরণ করবে। এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের চারপাশের মানুষ, প্রকৃতির প্রতি সদয় ও সহমর্মী হয়ে উঠবে। আর মনে রেখো একজন নৈতিক ও মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ যীশুখ্রীষ্টের শিক্ষা অনুসরণ করে পরিবার, সমাজ ও প্রকৃতির জন্য কল্যাণমূলক কাজ করে।
শিক্ষার্থীরা সকলে মিলে 'একাত্মতা কর্নার'- এর বাক্সে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করছে।
আরও দেখুন...