কল্পনাতে ভ্রমণ করি নিজের মনে স্বদেশ ঘুরি

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - শিল্প ও সংস্কৃতি - Art and Culture - NCTB BOOK

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের অপরূপ সুন্দর একটি উপজেলা হলো তেঁতুলিয়া। উপজেলাটির একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির পাঁচজন সহপাঠী টিফিনের ফাঁকে তুমুল আলোচনায় মেতেছে। তাদের আলোচনার বিষয় হলো দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধসহ আরোও অনেক কিছু। ফারহানুর রহমান আকাশ, জান্নাতুল ফেরদৌস ইরা, সমীরণ দাস সমীর, রেশমা আক্তার অবনী এবং আব্রাহাম রুজভেল্ট আগুন হলো পাঁচ বন্ধু। এই পাঁচ বন্ধুকে সবাই পঞ্চরত্ন বলে ডাকে। এরা সবাই সপ্তম শ্রেণির পাঠ শেষ করে অষ্টম শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করেছে। একই শ্রেণির সহপাঠী হলেও এদের সবার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ।

ছবি আঁকার খুঁটিনাটি বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে আকাশের। ইরার রয়েছে ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা ও লেখার, সমীরনের গান ও বাদ্যযন্ত্রে, অবনীর নৃত্য ও অভিনয়ে, আর মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে আগুনের। আলোচনার এক পর্যায়ে ইরা আবৃত্তি করতে লাগল

সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা

আমি জন্মেছি বাংলায়

 আমি বাংলায় কথা বলি।

 আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।

 চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে। 

তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?
(সংক্ষেপিত)

আবৃত্তি শেষ হবার পরে অবনী বলল, নিজের দেশটার মায়াময় রূপ, ঐতিহ্য আর অপার সমৃদ্ধির নিদর্শনগুলো কবে যে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারব! এমন সময় আকাশ তার ব্যাগ থেকে ভাঁজ করা বাংলাদেশের একটি মানচিত্র বের করল। মানচিত্রটি দেখিয়ে আকাশ তার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলল, গত কয়েকদিন ধরে আমি নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক জনপদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের প্রধান প্রধান নদী এবং তাদের ঘিরে গড়ে ওঠা জনপদ ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে অনেক কিছু জেনেছি এরই মধ্যে। আমরা সবাই মিলে আনন্দময় ভ্রমণের মধ্য দিয়ে নিজের দেশটা ঘুরে দেখতে পারি ও দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। আকাশ বলল এটা হবে একটা খেলার মতো যেখানে আমাদের ভ্রমণটা হবে বাস্তব আর কল্পনার মিলিত রূপ। সবাই বলল, সেটা কিভাবে? আকাশ বলল, এর জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার, দেশের ৮টি বিভাগের লোকচিত্রকলা, গান, নাচ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য ও ছবি। সাথে একটা বাংলাদেশের মানচিত্র। প্রতিটি বিভাগের তথ্য হবে বাস্তব আর সে তথ্য ধরে আমরা কল্পনায় সে বিভাগটা ভ্রমণ করব।

আকাশের এই কথায় সবার মধ্যে এক অদ্ভুত ভালোলাগার অনুভূতি তৈরি হলো। সবাই সমস্বরে বলে উঠল অসাধারণ আইডিয়া। সমীর বলল তাহলে আমরা আমাদের এই কল্পনায় স্বদেশ ভ্রমণের একটা নাম রাখি। ইরা বলল আমাদের এই কল্পনায় স্বদেশ ভ্রমণের নাম- 'কল্পনাতে ভ্রমণ করি, নিজের মনে স্বদেশ ঘুরি'। নামটি সবার খুব পছন্দ হলো, এরই মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাঁচ বন্ধুর কল্পনায় স্বদেশ ভ্রমণের কর্মকান্ড।

এই ভ্রমণ শুরু করার আগে সপ্তম শ্রেণির মতো অষ্টম শ্রেণির জন্যও একটা নতুন বন্ধুখাতা তৈরি করতে করে ফেলব। বন্ধুখাতাটি সাথে থাকলে তাতে আমরা নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে লিখে রাখতে পারব।

অবনী বলল সবকিছুতো হলো এবার বাসার অনুমতিটাতো নিতে হবে। আগুন বলল ভ্রমনটাতো কল্পনায় তার জন্য আবার বাসার অনুমতি কেন? সমীর বলল যেহেতু ভ্রমণটা বাস্তব আর কল্পনা উভয় মিলিয়ে তৈরি তাই।

আকাশ বলল অনুমতির বিষয়ে আমরা শামস মামার সহায়তা নিতে পারি, মামা একবার সবার অভিভাবককে বললে কেউ আর না করবে না। মামাকে যদি আমাদের সাথে যাওয়ার জন্য রাজি করানো যায় তবে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শামস রহমান হলো অবনীর মামা। যিনি সৃজনশীল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ উপজেলায় বেশ পরিচিত। তিনি চারুকলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে নিজ এলাকায় একটা সৃজনশীল শিল্পপণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যেখানে এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানে তৈরি পণ্যগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে তো বটেই সাথে বিদেশেও রপ্তানি হয়। সমীর বলল আমরা আজকে ছুটির পরে সবাই মিলে শামস মামার সাথে দেখা করে আমাদের পরিকল্পনার কথা গুলো জানাতে পারি।

এরই মধ্যে টিফিনের শেষে পরবর্তী ক্লাসের ঘণ্টা বাজল। রুটিন অনুসারে শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক ক্লাসে ঢুকলেন। সাথে সাথে সমস্ত ক্লাস জুড়ে একটা আনন্দময় অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ল। শিল্প ও সংস্কৃতি ক্লাসে এই আনন্দ নতুন কিছু জানার আনন্দ, নতুন কিছু সৃষ্টি করার আনন্দ। শিক্ষক সবার সাথে কুশল বিনিময়ের পরে বললেন আজকের ক্লাসে আমরা ছবি আঁকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিপ্রেক্ষিত (perspective) সম্পর্কে জানব। নতুন এই বিষয়ে জানার জন্য সবাই বেশ আগ্রহী হয়ে শিক্ষকের কথাগুলো শুনছিল।

এমন সময় শিক্ষক খেয়াল করলেন, সমীর উদাস হয়ে জানালা দিয়ে বাইরে মাঠের দিকে তাকিয়ে আছে। শীতটা এখনোও শেষ হয়ে যায়নি, এই দুপুরবেলাতেও প্রকৃতিতে হালকা কুয়াশা রয়েছে। যার ফলে দূরের জিনিসগুলোকে কিছুটা ঝাপসা মনে হচ্ছে। শিক্ষক সমীরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, কি হয়েছে সমীর?

সমীর শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করল, আচ্ছা স্যার, মাঠের দুপাশের গোলপোস্ট দুটি একই মাপের, কিন্তু কাছেরটিকে বড় আর দূরেরটিকে ছোট এবং ঝাপসা মনে হচ্ছে, কেন? শিক্ষক হেসে বললেন, দৃষ্টিভ্রমের কারণে এমন হয়। যেমন রেললাইনের দিকে তাকালে মনে হয় দুপাশের লাইন দূরে গিয়ে একটি বিন্দুতে মিলে গেছে, বিষয়টি ঠিক তেমন। মজার বিষয় হলো আজকের শিল্প ও সংস্কৃতি ক্লাসের পাঠের বিষয়টি তোমার ভাবনার সাথে মিলে গেছে। তাহলে চলো এবার আমরা ছবি আঁকার পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

এই পাঠে আমরা বিভিন্ন ছবি আর বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ছবি আঁকার পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে জানব।

কাছের জিনিস বড় আর স্পষ্ট আর দূরের জিনিস ছোট আর ঝাপসা এই বিষয়টি ছবিতে ফুটিয়ে ভোলার পদ্ধতিকে ছবি আঁকার পরিপ্রেক্ষিত বলে।
চতুর্দশ শতাব্দির প্রথম দিকে ইতালীয় রেনেসাঁর শিল্পীরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাদের শিল্পকর্মে পরিপ্রেক্ষিতের প্রথম সঠিক প্রয়োগ ঘটান। রেনেসাঁর যুগে সঠিকভাবে পরিপ্রেক্ষিতের প্রয়োগ পৃথিবীর শিল্পকলার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।

ছবি আঁকায় দু'ধরনের পরিপ্রেক্ষিতের ব্যবহার হয়- রৈখিক (linear), বায়বীয় (arial)।

রৈখিক পরিপ্রেক্ষিত

রেখার সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা পরিপ্রেক্ষিতকে রৈখিক পরিপ্রেক্ষিত বলে। এই পদ্ধতিতে চিত্রে কাছের বন্ধুটি বড় আর দূরের বস্তুটিকে তুলনামূলক ছোট করে আঁকা হয়। এইভাবে চিত্রে দূরত্ব, গভীরতা ইত্যাদিকে ফুটিয়ে তোলা হয়।

চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইতালীয় রেনেসাঁর বিখ্যাত স্থপতি, শিল্পী ফিলিপ্পো ব্রুনেলেসটি নানাবিধ গবেষণার মধ্যদিয়ে প্রথম রৈখিক পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে নির্ভুল ধারনা দেন।

রৈখিক পরিপ্রেক্ষিত

বায়বীয় পরিপ্রেক্ষিত

রঙের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা পরিপ্রেক্ষিতকে বায়বীয় পরিপ্রেক্ষিত বলে। এই পদ্ধতিতে ছবিতে কাছের বন্ধুটির রঙ গাঢ় এবং স্পষ্ট এবং দূরের দূরের বস্তুটির রঙ ক্রমশ হালকা এবং অস্পষ্ট করে আঁকা হয়। এইভাবে চিত্রে দূরত্ব, গভীরতা ইত্যাদিকে ফুটিয়ে তোলা হয়।

ইতালীয় রেনেসাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি প্রথম বায়বীয় পরিপ্রেক্ষিতের সঠিক বর্ণনা প্রদান করেন এবং তার অমর শিল্পকর্মগুলোতে এই পদ্ধতির সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।

পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে যেভাবে আমরা বাস্তব অভিজ্ঞতা পেতে পারি

পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতার জন্য আমরা একটি দলীয় কাজ করতে পারি। প্রথমে সমান উচ্চতার পাঁচজন সহপাঠী নিয়ে আমরা একটা দল গঠন করব। দলের সবার হাতে একই রঙের সমান সাইজের একটি করে কাগজ দেবো। কাগজগুলো নিয়ে দলের প্রত্যেকে বিদ্যালয়ের বারান্দা অথবা স্কুল মাঠের একপ্রান্তে থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত সমান দূরত্বে একই ভঙ্গিতে দাঁড়াব। এবার আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে দেখলে কাছে দাঁড়ানো বন্ধুটিকে দেখতে সবচেয়ে বড় মনে হবে সাথে তার হাতের কাগজটিও বড় এবং গাঢ় রঙের মনে হবে। আমাদের থেকে ক্রমশ দূরে দাঁড়ানো বন্ধুদের এবং তাদের হাতের কাগজটি ছোট মনে হবে সাথে সাথে রংটি হালকা মনে হবে। নিচের প্রথম ছবিটা দেখে আমরা পরিপ্রেক্ষিতের সাহায্যে দূরত্বের বিষয়টি কিভাবে বুঝানো হয় তার কিছুটা অভিজ্ঞতা পেতে পারি।

পরিপ্রেক্ষিতের সাথে সাথে এবার আমরা ছবি আঁকার এমন একটি মাধ্যম সম্পর্কে জানব যা আমাদের সকলের কাছে খুব পরিচিত, তাহলো পেনসিল। উপরোক্ত পাঠে পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে যা কিছু জানলাম সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শুধু পেনসিলের মাধ্যমে আমরা ছবি আঁকতে পারি। তাহলে এবার আমরা পেনসিল স্কেচ সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।

এবার আমরা পেনসিল স্কেচ সম্পর্কে জানব এবং পরিপ্রেক্ষিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ছবি আঁকা অনুশীলন করব।

পেনসিল স্কেচ

স্কেচ অর্থ খসড়া, সে অর্থে পেনসিলে আঁকা খসড়া ছবিকে পেনসিল স্কেচ বলে। পেনসিল স্কেচের জন্য অনেক রকমের পেনসিল ব্যবহার করা হয়। পেনসিলে এর শিষ তৈরি করা হয় গ্রাফাইট দিয়ে। পেনসিলের গ্রাফাইটের পার্থক্য পেনসিলের গায়ে 'H', 'B', 'HB' দিয়ে লিখা থাকে। পেনসিলের গায়ে লিখা 'H' অক্ষরটি দিয়ে শক্ত (hard) বুঝানো হয়। 'B' অক্ষরটি দিয়ে বুঝানো হয় কালো (black)। 'HB' অক্ষরটি দিয়ে বুঝানো হয় শক্ত এবং কালো।(hard black) উভয় বৈশিষ্ট্যের মাঝামাঝি। গ্রাফাইট যত নরম (soft) হয় এর মাধ্যমে প্রয়োগ করা রেখাটিও ততই গাঢ় এবং কালো হয়। হালকা থেকে পর্যায়ক্রমে গাঢ় আস্তর দিয়ে পেনসিল ঘষে ঘষে নানা মাত্রায় আলোছায়া নির্ণয় করা যায়। আলোছায়া নির্ণয়ক এই আন্তরকে টোন (tone) বলা হয়।

আর নানা রকমের টোনের সাহায্যে করা হয় পেনসিল স্কেচ।

পেনসিল স্কেচের ক্ষেত্রে HB, 2B, 4B, 6B এই সকল পেন্সিল বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তাছাড়া চারকোল এবং বিভিন্ন রঙের রং পেনসিলের সাহায্যে আমরা স্কেচ তৈরি করি।

ছবিতে পেনসিলের হালকা টোন (light tone) দিয়ে আলো আর গাড় টোন (dark tone) দিয়ে অন্ধকার বুঝানো হয়। হালকা এবং গাঢ় টোনের মাঝামাঝি টোনটি হলো মধ্য টোন (middle tone)। পেনসিল স্কেচ হলো ছবি আঁকার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী মাধ্যমগুলোর অন্যতম।

কাগজে নিচের ছবির মতো করে ছক এঁকে তাতে পেনসিল দিয়ে হাতের চাপ দীরে ধীরে কম থেকে বেশি করে টোন হালকা থেকে গাঢ় করা যায়। তাছাড়া একটি টোনের উপর কয়েকবার টোন দিয়েও হালকা থেকে গাঢ় টোন তৈরি করা যায়। এইভাবে হাতের কাছে পাওয়া যেকোনো পেনসিল, কলম, চারকোল (কাঠ কয়লা), রংপেনসিল, ইত্যাদির সাহায্যে টোন দিয়ে ছবি আঁকা যায়।

হালকা থেকে গাঢ় পেনসিলের টোন অনুশীলন করব

পেনসিল মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক বন্ধু

নিচের ছবিগুলো দেখে আমরা পেনসিল স্কেচ অনুশীলন করব। পরিপ্রেক্ষিত জ্ঞানকে কাজে লাগাব। সাথে আলো আর অন্ধকারকে ফুটিয়ে তুলে ছবিকে বাস্তবসম্মত করার চেষ্টা করব।

পেনসিল মাধ্যমে জড় জীবন (Still life)

এই অধ্যায়ে আমরা যা করব

  •  অষ্টম শ্রেণির জন্য বন্ধুখাতা তৈরি করব।
  • দলগত কাজ ও বইয়ে দেওয়া ছবি দেখে এবং বুঝে পরিপ্রেক্ষিত অনুশীলন করব।
  •  পেন্সিল স্কেচ সম্পর্কে জানব এবং সহজলভ্য যেকোনো ধরনের পেনসিল, কলম, চারকোল (কাঠ কয়লা), রং পেনসিল দিয়ে টোন অনুশীলন করব।
  •  পেনসিলের সাহায্যে ত্রিমাত্রিক বন্ধু, জড় জীবন ও প্রকৃতি আঁকা অনুশীলন করব।

ছুটির পরে পঞ্চরত্র শামস মামার প্রতিষ্ঠান সৃজন ভুবনে এসে উপস্থিত হলো। পঞ্চরত্নকে একসাথে দেখে মামার আর বুঝতে বাকি রইলো না তারা কোনো একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। মামা বলল কিরে তোদের উদ্দেশ্য কি তাড়াতাড়ি বলে ফেল। আকাশ তাদের সব পরিকল্পনার কথা মামাকে জানাল। মামা বললেন পরিকল্পনাটিতো চমৎকার আর আমিও না হয় আগামী সপ্তাহে কয়েকটা দিন ছুটির ব্যবস্থা করে নিলাম। কিন্তু সবার আগে তোমাদের অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হবে। ঠিক আছে আমি আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার আগে প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে তোমাদের বাবা মার সাথে কথা বলে নেবো।

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion