Summary
দুটি বিন্দু আধানের মধ্যকার আকর্ষণ-বিকর্ষণ বলের জন্য কুলম্বের সূত্র ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু, কুলম্বের সূত্র তখনই কার্যকর যখন আধানটি বিন্দু আধান হয়। বিস্তৃত আহিত বস্তুর বা আধানের অস্বচ্ছ বণ্টনের ক্ষেত্রে কুলম্বের সূত্রের ব্যবহার অসুবিধাজনক।
যদি আধানের বণ্টন সুষম না হয়, তাহলে স্থির তড়িৎ সংক্রান্ত হিসাব করা কঠিন ও সময়সাধ্য হয়ে যায়।
এদিকে, গাউসের সূত্র যে কোনো আধানের বণ্টন অথবা আহিত বস্তুর যে কোনো আকৃতির জন্য সহজে ব্যবহার করা যায় এবং ঈন্সিত হিসাব করা সম্ভব।
দুটি বিন্দু আধানের মধ্যকার আকর্ষণ বিকর্ষণ বল সংক্রান্ত সূত্রটি হচ্ছে কুলম্বের সূত্র। সুতরাং কুলম্বের সূত্রের বল, প্রাবল্য, বিভব ইত্যাদি হিসাব করতে হলে তড়িৎ ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী আধানটি বিন্দু আধান হতে হবে। একটি বিস্তৃত আহিত বস্তুর বা আধানের কোনো বণ্টনের ক্ষেত্রে কুলম্বের সূত্র ব্যবহার করা অসুবিধাজনক। আধানের বণ্টন যদি সুষম না হয়, তাহলে স্থির তড়িৎ সংক্রান্ত হিসাব নিকাশ খুবই কষ্ট ও সময়সাধ্য হয়ে ওঠে। অপরদিকে গাউসের সূত্র আধানের যে কোনো বণ্টনের বা আহিত বস্তুর যে কোনো আকৃতির ক্ষেত্রে সহজেই ব্যবহার করে ঈন্সিত হিসাব নিকাশ করা যায়।