On This Page

গলদা চিংড়ির জীববিদ্যা

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

চিংড়ি বাংলাদেশের একটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। আমাদের দেশের অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর এবং বিশাল উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে চিংড়ি চাষের বিপুল সম্ভাবনা। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চিংড়ির ভূমিকা মৎস্য খাতের মধ্যে অন্যতম। পুষ্টিকর সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে সমগ্র বিশ্বে চিংড়ির জনপ্রিয় দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। সারা বিশ্বে চিংড়ির চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের চিংড়ি চাষিদের মাঝেও শুরু হয়েছে অধিক পরিমাণে চিংড়ি উৎপাদনের প্রতিযোগিতা। দেশের চিংড়ি চাষের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে বলেই দ্রুত চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গলদা ও বাগদা এই দুইটি প্রজাতির চিংড়িই প্রধানত চাষ হয়ে থাকে। গলদা মিঠাপানির পুকুর-নিধী ও ঘের এবং বাগদা উপকূলীয় এলাকার চাষ হয়ে থাকে। চিংড়ি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য হওয়ায় চিংড়ি চাষে এদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা

  • বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পদের গুরুত্ব জানতে পারব।
  • গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অংশসমূহ শনাক্ত করতে পারব।
  • গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অংশসমূহ শনাক্ত করতে পারব।
  • বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গলদা চিংড়ির জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায় শনাক্ত করতে পারব।
  • বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পুরুষ ও স্ত্রী গলদা চিংড়ি শনাক্ত করতে পারব।
Content added By

বাংলাদেশের চিংড়ি সম্পদ

নদী মাতৃক এই বাংলার সমৃদ্ধ জলজ সম্পদে রয়েছে ৮.৪৪ লক্ষ হেক্টর বন্ধ জলাশয়। এ দেশের স্বাদুপানিতে ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও লোনা পানিতে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায়। গলদা চিংড়ি চাষের জন্য বাংলাদেশের সমগ্র মিঠা পানি ও উপকূলীয় অঞ্চলে স্বল্প লোনা পানি উপযোগী হলেও উপকূলীয় জেলাগুলোর বাইরে এখন পর্যন্ত চিংড়ি চাষ বাণিজ্যিকভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলের আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির গুণাবলি চিংড়ি চাষের জন্য বেশী সহায়ক ও উপযোগী। আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ দেশের গলদা চিংড়ি খামারে উত্তম চাষ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও কক্সবাজার এলাকায় ব্যাপক হারে বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি গলদা চিংড়িরও চাষ করা হয়। বর্তমানে উক্ত ৪টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি আধা নিবিড় পদ্ধতির গলদা চিংড়ির খামার গড়ে উঠছে।

Content added By

গলদা চিংড়ির জীববিদ্যা

Please, contribute to add content into গলদা চিংড়ির জীববিদ্যা.
Content

গলদা চিংড়ির বাহিক্য গঠন ও অভ্যন্তরীণ অংগসমূহ

গলদা চিংড়ি একটি অমেরুদন্ডী প্রাণী। এদের দেহ শক্ত কাইটিনের আবরণে ঢাকা, যাকে বহিঃকঙ্কাল বলে। গলদা চিংড়ির দেহ মুলত দুইটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ শিরোবক্ষ (Cephalothorax) শির বা মাথা এবং বক্ষাঞ্চল বা Thorax এর সমন্বয়ে গঠিত। দ্বিতীয় অংশ উদারাঞ্চল বা Abdomen । শিরোবক্ষ অঞ্চলটি একটি শক্ত আবরণ বা ক্যারাপেস দ্বারা ঢাকা থাকে।

গলদা চিংড়ির দেহে মোট ১৯টি খন্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি খন্ড মস্তক অঞ্চলে, ৮টি বক্ষাঞ্চলে ও ৬টি উদরাঞ্চলে অবস্থিত। ভ্রূণ অবস্থায় এর দেহে ২০টি খন্ড থাকে। এর মধ্যে ১ম খন্ডটি পরবর্তীতে দুদিকে চক্ষুবৃন্ত গঠন করে বিধায় ভ্রূণ পরবর্তী অবস্থায় ১৯টি খন্ড দৃশ্যমান থাকে। গলদা চিংড়ির মাথা ও বুককে এক সঙ্গে শিরোবক্ষ বা সেফালোথোরোক্স বলা হয়।

শিরোবক্ষের পিছনেই উদর অবস্থিত। উদর ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে টেলসন বা লেজে শেষ হয়েছে। টেলসনের উভয় পার্শ্বে পুচ্ছ পাখনা বা ইউরোপড (Uropod) অবস্থিত। চিংড়ির বহিরাবরণ কাইটিন নামক খোলস দিয়ে আবৃত যা ক্যালশিয়াম উপাদান দিয়ে গঠিত। এই খোলসগুলো চিংড়ির দেহের প্রতিটি অংশকে ঢেকে রাখে এবং একটি খোলস অপর খোলসের সঙ্গে একটি সন্ধিল পর্দা (Arthrodial membrane) দিয়ে সংযোগ রক্ষা করে। ফলে খোলসগুলো সহজেই প্রয়োজনে সম্প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে। চিংড়ির খোলসের অনেকগুলো স্তর আছে। একেবারে উপরের স্তরটি শক্ত ও কোষবিহীন। শক্ত স্তরের নিচে একপ্রস্থ কোষ অবস্থিত। কোষের স্তরে রসগ্রন্থি বিদ্যমান। স্কেলেরাইট (Sclerite) দ্বারা চিংড়ির প্রতিটি দেহখন্ড আবৃত থাকে। উদরে প্রধাণত দু'টি স্কেলেরাইট অবস্থিত; পৃষ্টদেশে অবস্থিত ছোট খন্ডটিকে প্লিউরন (Pleuron) বলা হয়।

চিত্র-১.১: গলদা চিংড়ির বাহিক্য গঠন

চিংড়ির শিরোবক্ষ পৃষ্ঠাদেশাবরণ (Dorsal shield) বা শিরোবর্ম দ্বারা ঢাকা থাকে যা ক্যারাপেস (Carapace) নামে পরিচিত। পৃষ্টদেশের আবরণ উভয় পার্শ্ব হতে নিচের দিকে সম্প্রসারিত হয়ে ফুলকার উভয় দিকে একটি আবরণের সৃষ্টি করে। এই আবরণকে ব্রঙ্কিওস্টেগাইট (Branchiostegite) বলা হয়। এই আবরণ চিংড়ির শ্বাসঅঙ্গ বা ফুলকাকে রক্ষা করে। পৃষ্টদেশের আবরণ হতে মধ্যরেখা বরাবর একটি অংশ সামনের দিকে ক্রমশ লম্বা হয়ে পার্শ্ব চাপা ও ঊর্ধ্বমুখী সরু করাতের মতো সম্প্রসারিত হয়েছে যা রোস্টাম (Rostrum) নামে পরিচিত। এই রোস্টাম ক্যারাপেসের সম্মুখভাগে অবস্থিত। উপরের ও নিচের কিনারায় খাঁজ কাটা থাকে।

চিংড়ি রোগ্রামের সাহায্যে শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষা করে থাকে। রোষ্ট্রামের গোড়ার উভয় পার্শ্বে ছোট দুইটি কণ্টক থাকে। সামনের কণ্টকটিকে অ্যান্টেনাল কণ্টক (Antennal spine) ও পিছনের কণ্টকটিকে যকৃৎ কণ্টক (Hepatic spine) বলা হয়। রোট্রামের গোড়ার উভয়দিকে একটি করে সবৃন্তক পুঞ্জাক্ষি (Stalked compound eye) অবস্থিত। বৃত্তের সাহায্যে চিংড়ি পুঞ্জাক্ষিকে চারিদিকে ঘুরাতে সক্ষম হয়। শিরোবক্ষের অম্লীয়দেশের অগ্রভাগে ছোট মুখ অবস্থিত। মুখের সামনের উপরের অংশকে লেগ্রাম (Labrum) বা উর্ধ্বোষ্ট ও নিচের অংশকে লেবিয়াম (Labium) বা নিম্নোষ্ঠ বলে। চিংড়ির লেজের অঙ্কীয়দেশে পায়ু অবস্থিত। চিংড়ির উপরের পঞ্চম উপাঙ্গের গোড়ার ভেতরের দিকে পুরুষ চিংড়ির জনন রন্ধ্র এবং তৃতীয় উপাঙ্গের ঠিক একই স্থানে স্ত্রী চিংড়ির জনন রন্ধ উন্মুক্ত হয়।

চিত্র-১.২: গলদা চিংড়ির রোট্রাম ও মাথার বিভিন্ন উপাঙ্গ  

Content added By

চিংড়ির উপাঙ্গসমূহ

Please, contribute to add content into চিংড়ির উপাঙ্গসমূহ.
Content

শির উপাঙ্গ (Cephalic appendage )

শির-উপাম্প মোট পাঁচ জোড়া। এগুলো চিংড়ির দেহের ২য় থেকে ৬ষ্ঠ দেহখন্ডাংশে অবস্থান করে।

চিত্র-১.৩: চিংড়ির শিরা-উপাম্প: অ্যান্টিনিউল (Antemule) এবং অ্যান্টেনা (Antenna)

এক. অ্যান্টিনিউল (Antennule)

  • চিংড়ির দেহের প্রথম জোড়া উপাঙ্গ হচ্ছে অ্যান্টিনিউল যা পুঞ্জাক্ষি বৃন্তের নিকটে অবস্থিত।
  • চিংড়ির প্রথম জোড়া উপাঙ্গ দেহের দ্বিতীয় খণ্ডক থেকে উদ্ভুত হয় (ভূণাবস্থায় প্রথম যে খণ্ডক
  • আত্মপ্রকাশ করে তাতে কোন উপাঙ্গ থাকে না)। অ্যান্টিনিউলের প্রোটোপোডাইট তিনটি ধারাবাহিক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। যথা- গ্রিকরা (Precoxa), কক্সা (Coxa) ও বেসিস (Basis ) ।
  • চিংড়ির ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ স্ট্যাটোসিস্ট (Statocyst) প্রিকক্সার ভিতরের পারে অবস্থিত।
  • কক্সা অপেক্ষাকৃত ছোট এবং সিলিন্ডার আকৃতির।
  • বেসিস তুলনামূলকভাবে লম্বা যা বহু গাঁটযুক্ত দুইটি ফ্লাজেলা বহন করে।
  • দুইটি ফ্লাজেলার মধ্যে বাইরেরটি আবার দুইটি অসমান অংশ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে বড়টি স্পর্শেন্দ্রিয়ের কাজ করে এবং ছোটটি ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের কাজ করে।

দুই. অ্যান্টেনা (Antenna)

  • মৌখিক ও তৃতীয় দেহখণ্ডকের একজোড়া উপাঙ্গের নাম হচ্ছে অ্যান্টেনা।
  • এর প্রোটোপোডাইট দুইটি ধারাবাহিক অংশ নিয়ে গঠিত। যথা- কক্সা ও বেসিস।
  • প্রোটোপোডাইট স্ফীত কারণ এর ভেতরে রেচন অঙ্গ থাকে যা বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে।
  • বেসিস হতে দুইটি শাখা বের হয়েছে যার একটি স্কোয়ামা (Squama) বা স্কেল (Scale) এবং অন্যটি লম্বা, সরু আকৃতির ফ্লাজেলাম (Flagellum) (বহুবচনে ফ্লাজেলা, Flagella]
  • সাঁতারের সময় স্কোয়ামা ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে এবং ফ্লাজেলাম স্পর্শেন্দ্রিয়ের কাজ করে।

তিন. ম্যান্ডিবল (Mandible)

  • চিংড়ির ৪র্থ দেহখণ্ডক ও অপ্রমৌখিক উপাঙ্গ হচ্ছে ম্যান্ডিবল যা মোটা, শক্ত, সংখ্যায় একজোড়া ও মুখের উভয় পাশে অবস্থিত।
  • প্রতিটি ম্যান্ডিবল কক্সা নিয়ে গঠিত যা শক্তিশালী চোয়াল গঠন করে।
  • এর প্রোক্সিমাল (Proximal) অংশ চামচ আকৃতির যা এপোফাইসিস (Apophysis) নামে পরিচিত এবং ডিস্টাল (Distal) অংশ নিরেট মস্তক গঠন করে।
  • মস্তকের একটি অংশ চ্যাপ্টা যা কর্তন উপাঙ্গ (Inciser process) হিসেবে বিবেচিত এবং এখানে তিনটি দাঁত খুব কাছাকাছি থাকে।
  • মস্তকের অন্য অংশটি ভোঁতা যা শেষক উপাঙ্গ (Molar process) হিসেবে বিবেচিত এবং এখানে পাঁচ-ছয়টি হলুদ বা বাদামী রংয়ের দাঁত থাকে।
  • ম্যান্ডিবলের প্রধান কাজ হচ্ছে খাবারকে খন্ড খন্ড বা পেষণ করা। খাদ্য গ্রহণেও ম্যান্ডিবল সহায়তা করে।

চিত্র-১,৪: চিংড়ির শির-উপাল: ম্যান্ডিবল (Mandible), ম্যাক্সিগুলা (Maxihala) এবং ম্যাক্সিলা (Maxilla)

চার. ম্যাক্সিগুনা (Maxilula)

  •  চিংড়ির ৫ম দেহখণ্ডকের উপাম্পের নাম ম্যাক্সিগুলা যা চিংড়ির সবচেয়ে ছোট উপাঙ্গ এবং সংখ্যায় একজোড়া।
  • তিনটি পাতলা স্বচ্ছ আঁশের মত অংশ নিয়ে ম্যাক্সিমুলা গঠিত।
  • পাতলা তিনটি অংশের মধ্যে দুইটি প্রোটোপোভাইটের প্রতিনিধি যা ভিতরের দিকে চোয়াল হিসেবে থাকে এবং ন্যাথোবেস (Gnathobase) নামে পরিচিত।
  • এর এন্ডোপোডাইট বাঁকানো এবং এক্সোপোডাইট অনুপস্থিত।
  • এটি খাবারকে ছোট ছোট করতে সাহায্য করে। এমন কি খাবারকে মুখে প্রবেশ করাতেও সহায়তা করে।
     

পাঁচ. ম্যাক্সিমা (Maxilla)

  • চিংড়ির ষষ্ঠ দেহ খণ্ডকের উপাল জোড়া হচ্ছে ম্যাক্সিলা যা পাতলা পাতার মত এবং ম্যাক্সিলা অপেক্ষা বড়।
  • অতি ছোট করা ও তুলনামূলক বড় বেসিস নিয়ে প্রোটোপোডাইট গঠিত।
  • অন্যদিকে এর এন্ডোপোডাইট ছোট।
  • আকারে অনেকটা বড় ও হাত পাখার মত এক্সোপোডাইট উপস্থিত যাকে ফ্যাকোনাথাইট (Scaphognathite) বলে।
  • চিংড়ির দেহে বিদ্যমান ম্যাক্সিলা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে সাহায্য করে।
Content added By

বক্ষ-উপাঙ্গ (Thoracle appendage)

বক্ষ-উপাঙ্গ মোট আট জোড়া। এগুলো চিংড়ির দেহের ৭তম থেকে ১৪তম দেহখন্ডাংশে অবস্থান করে।

এক. প্রথম ম্যাক্সিলিপেড (First Maxillipede ) 

  • চিংড়ির ৭ম দেহখন্ডকের উপাঙ্গ জোড়া হচ্ছে ১ম ম্যাক্সিলিপেড যা ম্যাক্সিলার পেছনে অবস্থিত ।
  • এটি ম্যাক্সিলিপেড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট।
  • এর প্রোটোপোডাইট কক্সা ও বেসিস নিয়ে গঠিত।
  • কক্সার বাইরের দিকে দ্বিখণ্ডিত পাতার মত এপিপোডাইট দেখা যায়।
  • বেসিস থেকে এন্ডোপোডাইট ও এক্সোপোডাইট উদ্ভূত হয়।
  • মুখ হতে বর্জিত খাবার দূরীকরণ, খাবার কাটা-ছেঁড়া ও শ্বসনে যথাক্রমে এক্সোপোডাইট, প্রোটোপোডাইট এবং এপিপোডাইট সহায়তা করে।

চিত্র-১.৫: চিংড়ির বক্ষ-উপাম্প: প্রথম ম্যাক্সিলিপেড (First maxillipede), দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Second maxillipode) ও তৃতীয় ম্যাক্সিলেপেড (Third maxillipede)

 

দুই. দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Second Maxillipede)

  • চিংড়ির ৮ম দেহখণ্ডকের উপাঙ্গ হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড যা প্রথম ম্যাক্সিলিপেড এর পেছনে অবস্থিত।
  • এর প্রোটোপোডাইট কক্সা ও বেসিস নিয়ে গঠিত।
  • একটি ছোট এপিপোডাইট ও একটি ফুলকা (Gill) কক্সার বাইরের দিকে সংযুক্ত থাকে।
  • এর এন্ডোপোডাইট পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত যথা- ইস্টিয়াম (Ischium), মেরাস (Merus), কারপাস (Carpus), প্রোপোডাস (Propodus) ও ডাকটাইলাস (Dactylus)।
  • এক্সোপোডাইট চাবুকের মত লম্বা।
  • দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড এর কাজ হল খাবার গ্রহণ ও শ্বসন।
     

তিন. তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Third Maxillipede)

  •  চিংড়ির নবম দেহখণ্ডক থেকে উদ্ভূত একজোড়া উপাশই হচ্ছে তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড।
  • প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড এর চেয়ে তুলনামূলক বড়।
  • এপিপোডাইট কক্সার বাইরের দিকে অবস্থিত।
  • এন্ডোপোডাইট তিনটি খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। যথা- প্রথম অংশ ইন্ডিয়াম (Ischium) ও মেরাস (Merus) একত্রে, মধ্যাংশ কারপাস (Carpus ) এবং শেষাংশ প্রোপোডাস (Propodus) ও ডাকটাইলাস (Dactylus) একত্রে গঠিত হয়।
  • অন্যদিকে এক্সোপোডাইট অখণ্ডিত, লম্বা ও সিলিন্ডার আকৃতির
  • তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেডের এক্সোপোডাইট গমনে সহায়তা করে। এছাড়াও খাবার গ্রহণ ও শ্বসনেও সহায়তা করে ।
Content added By

হাঁটার উপাঙ্গ (Walking leg)

চিংড়ির ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম এবং ৮ম এই পাঁচ জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ হাঁটার উপাঙ্গ বা পেরিওপোড (Pereopod) নামে পরিচিত। এগুলো যথাক্রমে চিংড়ির ১০ম থেকে ১৪তম দেহখণ্ডাংশে অবস্থান করে। হাঁটার উপাঙ্গগুলো সাতটি ধারাবাহিক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে প্রোটোপোডাইটের অংশ দুইটি যথা- কক্সা ও বেসিস এবং এন্ডোপোডাইটের অংশ পাঁচটি যথা- ইন্ডিয়াম, মেরাস, কারপাস, প্রোপোডাস ও ডাকটাইলাস। 

চিত্র-১.৬: চিংড়ির বক্ষ-উপাম্প ১ম ও ২য় হাঁটার উপাঙ্গ (Walking leg or Chelate leg.)

১ম হাঁটার উপাঙ্গ (First walking leg or Chelate leg)

  • চিংড়ির দশম দেহখন্ডাংশ থেকে উদ্ভুত
  • প্রথম হাঁটার উপাশের শেষ খন্ডাংশ (ডাকটাইলাস, Dectylus) প্রোপোডাসের সাথে যুক্ত না থেকে এর নিকটে অবস্থান করে। 
  • এর শেষভাগ বাঁকানো এবং দেখতে সাঁড়াশির মত যা চেলা (Chela) নামে পরিচিত। 
  • কয়েকটি দাঁতের মত গঠন সাঁড়াশির ভেতরের দিকে দেখতে পাওয়া যায়।
  • খাবার গ্রহণ, আত্মরক্ষা ও প্রতিপক্ষকে দমনের কাজে সহায়তা করে।

 

২য় হাঁটার উপাঙ্গ (Second walking leg or chelate leg )

  • চিংড়ির ১১তম দেহখন্ডাংশ থেকে উদ্ভূত।
  • চিংড়ির দেহের দ্বিতীয় হাঁটার উপাঙ্গ অনেক বড় এবং শক্তিশালী।
  • অসংখ্য তির্যক আকৃতির কন্টক এই উপাম্পের ইস্টিয়ামে থাকে।
  • সমবয়সী পুরুষ চিংড়ির এই উপাঙ্গ স্ত্রী চিংড়ি অপেক্ষা অনেক উজ্জ্বল।
  • অনেক সিটা ও কণ্টক এ উপাঙ্গের সাঁড়াশিতে দেখতে পাওয়া যায়।
  • খাবার সংগ্রহ ও গ্রহণ, আত্মরক্ষা এবং প্রতিপক্ষকে দমনে সহায়তা করে।
Content added By

তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হাঁটার উপাঙ্গ (Third, Fourth Fifth walling or Non chelate leg.)

  • এই উপালগুলো প্রায় একই রকম এবং যথাক্রমে ১২, ১৩ ও ১৪তম দেহখভাংশ থেকে উদ্ভূত
  • এই উপাঙ্গগুলোর মধ্যে সাঁড়াশি (Chelate) অংশটি অনুপস্থিত।
  • অর্ধচন্দ্রাকৃতির স্ত্রী জনন ছিন্ন স্ত্রী চিংড়ির তৃতীয় হাঁটার উপালের গোঁড়ায় অবস্থিত।
  • পুংজনন ছিন্ন পুরুষ চিংড়ির পঞ্চম হাঁটার উপাম্পের গোঁড়ায় অবস্থিত।

চিত্র-১.৭: চিংড়ির বক্ষ-টেপাম্প: তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হাঁটার উপাঙ্গ (Third, Fourth and Fifth walking leg or Non-chelate leg)

 

Content added By

উদর-উপাঙ্গ (Abdominal appendage)

চিংড়ির ছয় জোড়া উদর-উপাঙ্গকে প্লিওপোড (Pleopod) বা সন্তরণী উপাঙ্গ বলে। এদের প্রত্যেকের প্রোটোপোডাইট কক্সা ও বেসিস নিয়ে গঠিত। বেসিস দুইটি পাওনা শাখা বহন করে যারা এন্ডোপোডাইট ও এক্সোপোডাইট নামে পরিচিত। উদর-উপাদগুলো চিংড়ির ১৫তম থেকে ২০ তম দেহখণ্ডে অবস্থান করে।

এক. প্রথম উদরীয় উপাঙ্গ (First abdominal appendage)

  • প্রথম উদরীয় উপাঙ্গ জোড়া চিংড়ির ১৫তম দেহখণ্ডক থেকে উদ্ভূত। 
  • এর প্রোটোপোডাইট করা ও বেসিস নিয়ে গঠিত।
  • কক্সা আকারে ছোট রিং আকৃতির। 
  • বেসিস লম্বা ও গোলাকার।
  • এন্ডোপোডাইট আকারে ছোট।
  • অ্যাপেনডিক্স ইন্টারনা (Appendix interna) সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

চিত্র-১.৮: চিংড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় উদরীয়-উপাঙ্গ

 

দুই. দ্বিতীয় উদরীয় উপা (Second abdominal appendage)

  •  দ্বিতীয় উদরীয় উপাঙ্গ জোড়া চিংড়ির ১৬তম দেহখণ্ডক থেকে উদ্ভূত।
  • ছোট কক্সা ও লম্বা ও গোলাকার বেসিস নিয়ে প্রোটোপোডাইট গঠিত।
  • পুরুষ চিংড়ির ২য় উদর উপাঙ্গে অ্যাপেনডিক্স ইন্টারনার (Appendix interna) ভিতরের দিকে অ্যাপেনডিক্স ম্যাসকুলেনা (Appendix masculina) থাকে যা স্ত্রী চিংড়িতে অনুপস্থিত।

 

তিন-পাঁচ. তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উদরীয় উপাঙ্গ (Third, fourth and fifth abdominal appendage)

  • তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উদরীয় উপাশ জোড়া যথাক্রমে চিংড়ির ১৭, ১৮ ও ১৯তম দেহখণ্ডক থেকে উদ্ভুত এবং গঠনগত দিক থেকে প্রায় একই রকম।
  • প্রতিটি উপালে কক্সা ও বেসিস নিয়ে প্রোটোপোডাইট গঠিত।
  • বেসিস এক্সোপোডাইট এবং এন্ডোপোডাইট বহন করে। 
  •  এন্ডোপোডাইটের ভিতরের দিকে বাঁকানো একটি অংশ থাকে যাকে অ্যাপেনডিক্স ইন্টারনা (Appendix interna) বলে।
  •  সমস্ত উদর উপাঙ্গ সাঁতারে সহায়তা করে এবং স্ত্রী চিংড়িতে ডিম ধরে রাখতে সহায়তা করে।

চিত্র-১,৯: চিংড়ির উদরীয় উপাঙ্গ- ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (Abdomeinal Appendage) 

 

৬ষ্ঠ উদরীয় উপাঙ্গ: পুচ্ছপদ (Uropod)

  • চিংড়ির ২০তম দেশশুক থেকে উদ্ভূত সর্বশেষ জোড়া উপাম্প ইউরোপোড বা পুচ্ছপদ নামে পরিচিত এবং টেলসনের (Telson) উভয় পাশে একটি করে অবস্থান করে। 
  • প্রোটোপোডাইট ছোট পুরু ও প্রশস্ত ত্রিকোণাকার পাতের মত চ্যাপ্টা যা করা ও বেসিস একত্রিত হয়ে গঠিত হয়েছে।
  • এক্সোপোডাইট এক্ষোপোডাইটের থেকে তুলামূলক বড় ও প্রশস্ত এবং দুইটি অসম অংশ নিয়ে গঠিত।
  • এন্ডোপোডাইট এক্সোপোডাইটের চেয়ে তুলনামূলক ছোট এবং একক অংশ নিয়ে গঠিত।
  • সাঁতারের সময় ইউরোপোড বা পুচ্ছপদ হালের মত কাজ করে অর্থাৎ ভারসাম্য অঙ্গ হিসাবে কাজ করে।

চিত্র-১.১০: চিংড়ির ৬ষ্ঠ উদরীয় উপাঙ্গ পুচ্ছপদ (Uropod)

 

চিংড়ির বিভিন্ন উপাঙ্গের কাজঃ

অঙ্গ উপাঙ্গউপাঙ্গের কাজ
মাথা 

অ্যান্টিনিউন

অ্যান্টেনা 

পুঞ্জাক্ষি 

রোট্রাম 

ম্যাজিবল 

ম্যাক্সিনুলা 

ম্যাক্সিলা 

শ্বাস ও স্পর্শ 

দেহের ভারসাম্যতা, স্বাদ ও স্পর্শ

তীব্র ও খ্রিমিত বা অস্পষ্ট আলোতে দেখতে সহায়তা করে।

আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।

খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য চিবানো ও খাদ্য নড়াচড়ার কাজে সাহায্য করে।

বুক 

প্রথম ম্যাক্সিলিপেড
দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপের তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড

 

প্রথম চলন পদ
দ্বিতীয় চলন পদ
তৃতীয় চলন পদ চতুর্থ চলন পদ
পঞ্চম চলন পদ

স্পর্শ, স্বাদ, খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য টুকরা করা, মুখ থেকে ৰঞ্জিত খাদ্যাংশ দূরীকরণ ও শ্বাসকার্যে সহায়তা করা।

 

 

খাদ্য শুঁকড়িয়ে ধরা এবং জন্মরক্ষা ও ইটার কাজ করে। ফুলকাতে পানি সরবরাহ ও বসন কাজে সহায়তা করে ।

উদর 

প্রথম প দ্বিতীয় সন্তরণ পর

 

তৃতীয় সন্তরণ পদ চতুর্থ সন্তরণ পদ পঞ্চম সন্তরণ পদ

শুক্রানু স্থানান্তরের কাজ করে। সন্তরণ কাজে সহায়তা করে।

 

পানি সংবহনে সহায়তা করে সন্তরণে কাজ করে 

ডিম রক্ষার কাজ করে

 পুচ্ছ পদসন্তরণ কাজে সহায়তা করে। প্রয়োজনে পিছনের দিকে চলে যেতে সহায়তা করে।
Content added By

গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ

চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গসংস্থান প্রধানত: পুষ্টিতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র, রেচনতন্ত্র ও জননতন্ত্র নিয়ে গঠিত।

Content added By

গলদা চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র (Digestive system )

যেসব অঙ্গ-প্রতঙ্গ চিংড়ির পরিপাক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকে তাদের সমষ্টিকে চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র বলা হয়। চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র সাধারণত পরিপাকনালী ও হেপাটোপ্যানক্রিয়াস নামক পরিপাক গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত। পরিপাকনালী মুখগহবর থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিপাকনালী প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্ত। যথা- 


ক) অগ্রপরিপাকনালী (Forgut): মুখ, মুখগহ্বর, অন্ননালী ও পাকস্থলী নিয়ে অগ্রপরিপাকনালী গঠিত। মস্তক খণ্ডের নিচের দিকে মুখের অবস্থান। এর অগ্রভাগে উর্ধ্বোষ্ঠ বা লেব্রাম এবং পশ্চাৎ দিকে নিম্নোষ্ঠ বা লেবিয়াম অবস্থিত। এছাড়া ম্যান্ডিবলের দুই পাশে দুইটি ইনসিসর প্রসেস থাকে। নিয়োষ্ঠের উভয় পার্শ্বে দুইটি প্রশস্ত অংশ থাকে যা প্যারাগনাথা (paragnatha) নামে পরিচিত।

চিত্র-১.১১: গলদা চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র

মুখ গহ্বর (Buccal cavity): মুখের পিছনেই মুখ গহ্বর অবস্থিত। মুখ গহ্বরের দুই পাশে ম্যান্ডিবলে মোলার প্রসেসর থাকে, এর সাহায্যে খাদ্যবস্তু মুখ গহ্বরে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।

অন্ননালী (Oesophagus): এটা পেশিযুক্ত মোটা নালীবিশেষ যা মুখ গহ্বরের পিছনে থেকে শুরু হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করেছে। এই প্রবেশ পথে কপাটিকা থাকে। এর ফলে খাদ্যবস্তু একবার পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে তা আর অন্ননালীতে ফিরে আসতে পারে না।

পাকস্থলী (Stomach): পরিপাকনালীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের থলিটির নাম পাকস্থলী। পাকস্থলী চিংড়ির শিরোবক্ষের বেশির ভাগ স্থান দখল করে থাকে। পাকস্থলী প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা-

i) কার্ডিয়াক পাকস্থলী ও

ii) পাইলোরিক পাকস্থলী

খ) মধ্য পরিপাকনালী (Mid gut): পাইলোরিক পাকস্থলীর পরবর্তী ভাগ থেকে মধ্য পরিপাকনালী শুরু। এই নালীটি লম্বা, সরু, সোজা ও নলাকৃতির এবং দেহের মাঝামাঝি স্থান বরাবর পিছনের দিকে ষষ্ঠ উদর খন্ডক পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য পরিপাকনালীর ভেতরের দেয়াল এপিথেলিয়াম স্তর দ্বারা আবৃত এবং পিছনের অংশ লম্বালম্বি অসংখ্য ভাঁজ দ্বারা সজ্জিত থাকে।

গ) পশ্চাৎ পরিপাকনালী ( Hind gut): মধ্য পরিপাকনালীর পরবর্তী অংশকে পশ্চাৎ পরিপাকনালী বলে এবং এই নালী পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিপাকনালীর এই অংশ স্ফীত হয়ে পুরু মাংসপেশী দ্বারা গঠিত ছোট থলিতে পরিণত হয়েছে। এই থলিকে মলাশয় বা রেকটাম (Rectum) বলে। এই মলাশয় সর্বশেষ উদর উপাঙ্গ দুটির মাঝ বরাবর একটি ছিদ্র পথে উন্মুক্ত হয়। এই পথকে পায়ুপথ (Anus) বলে। পায়ুপথে মল দেহের বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।

যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি (Hepatopancreas)

শিরোবক্ষের গহ্বরে কমলা রং এর এক প্রকার অঙ্গ দেখা যায়, একে যকৃত অগ্ন্যাশয় বলে। এই অঙ্গটি কার্ডিয়াক পাকস্থলীর শেষ অংশ, পার্শ্বদেশ, পাইলোরিক পাকস্থলী ও মধ্য অন্ননালীর কিছু অংশকে ঢেকে রাখে। হেপাটোপ্যানক্রিয়াস প্রধানত পাচক রস নিঃসরণ, খাদ্যরস শোষন এবং গ্লাইকোজেন ও ফ্যাট প্রভৃতি সঞ্চয় করে রাখে। এই গ্রন্থি যকৃত ও অগ্ন্যাশয় উভয়ের কাজ করে বলে একে হেপাটোপ্যানক্রিয়াস বা যকৃত - অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি বলে।

Content added By

চিংড়ির খাদ্য গ্রহণ ও পরিপাক প্রক্রিয়া

চিংড়ি সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় চলনপদের সাহায্যে খাদ্য ধরে এবং মুখছিদ্রের সম্মুখে নিয়ে আসে। এই ক্রিয়ায় তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড সাহায্য করে থাকে। চিংড়ি ম্যান্ডিবলের সাহায্যে খাদ্যবস্তু টুকরা টুকরা করে এবং পরে মোলার প্রসেস দ্বারা খাদ্যবস্তু চূর্ণ-বিচূর্ণ করে অন্ননালী ও কার্ডিয়াক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে।

অন্ননালী ও কার্ডিয়াক পাকস্থলী পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের ফলে খাদ্য কার্ডিয়াক পাকস্থলীতে আসে। অতঃপর চূর্ণ-বিচূর্ণ খাদ্য কণাগুলো কার্ডিয়াক পাকস্থলী থেকে পাইলোরিক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। হেপাটোপ্যানক্রিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত পাচকরস যকৃত অগ্ন্যাশয় নালী দিয়ে পাইলোরিক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে সেখানে খাদ্যের সাথে মিশ্রিত হয়।

পাইলোরিক পাকস্থলীর ফিল্টার প্লেটের সাহায্যে পরিশ্রুত তরল খাদ্য যকৃত-অগ্ন্যাশয় নালীর ছিদ্রপথ দিয়ে স্বকৃত-অগ্ন্যাশয়ে প্রবেশ করে এবং এখানে খাদ্য শোষিত হয়। যকৃত- অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি হজম এবং খাদ্যের সার অংশ শোষণের কাজ করে থাকে। পাইলোরিক পাকস্থলীর অবশিষ্ট খাদ্যরস ও কঠিন অপাচ্য খাদ্য মধ্য অন্ননালীতে প্রবেশ করে। মধ্য অন্ননালীতে অস্ত্রের তরল খাদ্যের মূলরস শোষিত হয় এবং খাদ্যের অপাচ্য অংশ মলরূপে সাময়িকভাবে মলাশয়ে জমা থাকে এবং পরে পায়ুপথ দিয়ে দেহের বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।

Content added By

গলদা চিংড়ির প্রজননতন্ত্র (Reproductive system)

চিংড়ি একলিঙ্গ প্রাণী। যৌন জননের (Sexual reproduction) জন্য প্রাণিদেহে কয়েকটি বিশেষ অঙ্গ থাকে। এই অঙ্গ থেকে জননকোষ অর্থাৎ শুক্রানু অথবা ডিম্বাণু সৃষ্টি হয়। এদের প্রাথমিক জনন অঙ্গ বা পোনাড (Gomad) বলা হয়। জননকোষ প্রাথনিক জনন অঙ্গ থেকে সৃষ্টি হয়ে কয়েকটি নালীর মধ্য দিয়ে পরিশেষে ছিদ্র পথে বাইরে চলে আসে। এই নালীগুলোকে জনন নালী (Genital duct) ও ছিদ্রগুলো জনন ছি ( Gonopores) বলা হয়। এগুলোকে গৌণ জনন অঙ্গ (Secondary reproductive organ) বলা হয়। এই প্রাথমিক ও গৌণ জনন অঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট জননতন্ত্রের সাহায্যে চিংড়ি জনন ক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। এই অঙ্গতন্ত্রকে জননতন্ত্র (Reproductive system) বলা হয়।

 

চিত্র-১.১২: পুরুষ ও স্ত্রী চিংড়ির জনন অঙ্গ

Content added By

পুংজননতন্ত্র (Male reproductive system)

চিংড়ির পুংজননতন্ত্র নিম্নলিখিত অঙ্গগুলো দ্বারা গঠিতঃ

ক) শুক্রাশয় (Testis): চিংড়ির দেহে একজোড়া নরম ও লম্বা শুক্রাশয় থাকে। শুক্রাশয় হৃদযন্ত্রের নিচে এবং যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির ঠিক উপরে অবস্থান করে। শুক্রাশয়ের অগ্রভাগগুলো পরস্পর যুক্ত ও রেচনথলি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অঙ্গে অসংখ্য লবিউলস (Lobules) দেখা যায়। এ লবিউলের ভিতরে স্পার্মাটোসাইটস থেকে একটি করে স্পারর্মাটোজোয়া (Spermatozoa) তৈরি হয়। একটি পরিপক্ক শুক্রকীট (Sperm) দেখতে অনেকটা খোলা ছাতার মতো।

খ)শুক্রনালী ( Vasa deferentia): চিংড়িতে একজোড়া শুক্রনালী দেখা যায়। প্রতিটি শুক্রাশয়ের পশ্চাদপ্রান্ত থেকে একটি করে নালী বের হয়, একে শুক্রনালী বলে। শুক্রনালী প্রথমাংশ একসাথে কুন্ডলাকারে জড়িয়ে থাকে এবং এই অংশে যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির উপরে অবস্থান করে এবং পরবর্তী অংশ বক্ষ প্রাচীরের মাধ্যমেই শুক্রকীট শুক্রাশয় থেকে পুংজনন ছিদ্রের দিকে অগ্রসর হয়।

গ) শুক্রথলি (Seminal vesicles): প্রতিটি শুক্রনালী পঞ্চমপদ উপাঙ্গের গোড়ায় এসে কিঞ্চিৎ স্ফীত হয়ে ক্লাব আকৃতির (Club shaped) থলিতে পরিনত হয়, এই থলিকে শুক্রথলি বলে। শুক্রথলিতে শুক্রকীটগুলো একত্রে দলবদ্ধভাবে অবস্থান করে। এগুলোকে স্পার্মাটোফোর (Spermatophore ) বলে।

ঘ) পুংজনন ছিদ্র (Male genital aperture): শুক্রথলি শুক্রনালীর মাধ্যমে পঞ্চম চলন উপাঙ্গের গোড়ায় অবস্থিত একটি ছিদ্র পথে উন্মুক্ত হয়। এই ছিদ্র পথকে পুংজনন ছিদ্র বলা হয়। পুংজনন ছিদ্রটি একটি ঢাকনা দ্বারা আবৃত থাকে। এই ছিদ্রপথে স্পার্মাটোফোর দেহের বাইরে চলে আসে। 

Content added By

স্ত্রী জননতন্ত্র (Female reproductive system )

চিংড়ির স্ত্রী জননতন্ত্র ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী ও স্ত্রীজনন ছিদ্র এর সমন্বয়ে গঠিত।

ক) ডিম্বাশয় (Ovaries): চিংড়ির প্রধান জনন অঙ্গ ডিম্বাশয় হৃৎপিন্ডের নিচে ও যকৃত অগ্ন্যাশয়ের পিছনে উপরের দিকে অবস্থান করে এবং সম্মুখের দিকে রেনাল স্যাক বা রেচনথলি ও পশ্চাৎদিকে উদর খন্ডক পর্যন্ত বিস্তৃত। ডিম্বাশয় দুইটি সামনে ও পিছনের দিকে যুক্ত থাকে এবং মধ্যভাবে পরস্পর পৃথক হয়ে একটি ছোট ফাঁক সৃষ্টি করে। ডিম্বাশয়ের ভিতরেই ডিম্বাণুর সৃষ্টি হয়। ডিম্বাণুগুলো গোলাকার বিশেষ। পরিপক্ক ডিমে সাইটোপ্লাজমের কুসুমদানা ও মাঝখানে বড় নিউক্লিয়াস থাকে।

খ) ডিম্বানালী (Oviduets): পাতলা প্রাচীর দ্বারা ডিম্বনালী আবৃত থাকে। ডিম্বনালীর উৎপত্তি ডিম্বাশয়ের মধ্যভাগের বাহির অংশ থেকে হয়। এই নালীর প্রথম ভাগ অর্থাৎ উৎপত্তিস্থল স্ফীত হয় কিন্তু ক্রমশ সরু হয়ে বক্ষ প্রাচীর বরাবর অঙ্গীয় দেশে তৃতীয় চলনপদের দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সার গোড়ায় অবস্থিত স্ত্রী জনন ছিদ্র পথে উন্মুক্ত হয়। ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন ডিম্বানু ডিম্বনালীর মাধ্যেমে স্ত্রীজনন ছিদ্রের দিকে অগ্রসর হয়।

গ) স্ত্রীজনন ছিদ্র (Female genital apertures): ডিম্বনালী চিংড়ির তৃতীয় চলনপদের গোড়ার ভেতরের দিকে উঁচু স্থানে ছিদ্রপথে বাইরে উন্মুক্ত হয়। এই ছিদ্রকে স্ত্রীজনন ছিদ্র বলা হয়। স্ত্রীজনন ছিদ্র দিয়ে ডিম্বানু দেহের বাইরে নির্গত হয়। 

Content added By

গলদা চিংড়ির জীবন বৃত্তান্ত

গলদা চিংড়ির জীবনচক্রে ৪টি প্রধান অবস্থা রয়েছে। যেমন-ডিম, লার্ভা, পোস্ট লার্ভা ও পূর্ণাঙ্গ চিংড়ি।

চিত্র-১.১৩: গলদা চিংড়ির জীবন চক্র

ডিমঃ স্ত্রী গলদা চিংড়ির ডিমের রং প্রথমে কমলা থাকে এবং তা পর্যায়ক্রমে ১৮-২১ দিনে কালচে ধূসর রং ধারণ করে। ২৮° সে তাপমাত্রায় ডিম ফুটতে প্রায় ১৮-২১ দিন সময় লাগে। গলদা চিংড়ির ডিম সর্বদা রাতের বেলায় ফোটে। ডিম ফোটার পর স্ত্রী চিংড়ি সম্ভরণ পদ নেড়ে লার্ভাগুলোকে পানিতে ছড়িয়ে দেয়। ডিম থেকে লার্ভা বের হতে ২ রাত পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

লার্ভাঃ লার্ভা দেখতে অনেকটা পোকার মত। এরা লেজ উপরে এবং মাথা নিচে রেখে চিৎ হয়ে ভাসতে থাকে। এ অবস্থায় এরা আধা লবণাক্ত (১২-১৫ পিপিটি) পানিতে অবস্থান করে এবং প্রাণিকণা খেতে শুরু করে। লার্ভা অবস্থা শেষ হতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগতে পারে।

পোস্ট লার্ভাঃ পোস্ট-লার্ডায় এদেরকে পূর্ণাঙ্গ চিংড়ির মতো দেখায় এবং নদী, খাল বা বিলের পাড়ের কাছে তলদেশে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটে। এ অবস্থায় এরা অপেক্ষাকৃত বড় খাদ্য টুকরা (উদ্ভিদ ও প্রাণিজ খেতে পারে।  

পোস্ট-লার্ভা অবস্থায় আসার ৭-১৫ দিনের মধ্যে (১.৫ সেমি.) এরা মিঠাপানির দিকে চলে আসতে শুরু করে। এ অবস্থায় এরা নদীর স্রোতের বিপরীতে নদীর পাড় বরাবর অগ্রসর হতে থাকে। প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে পোস্ট-লার্ভা কিশোর চিংড়িতে পরিণত হয়। ২-৩ মাস বয়সে (৬-৭ সেমি) এরা তরুণ এবং আরও ৩-৪ মাস পর এরা প্রাপ্ত বয়স্ক চিংড়িতে পরিণত হয়।

Content added By

চিংড়ির বৃদ্ধি ও খোলসছাড়া (Growth and Moulting)

চিংড়ির দেহ খোলস দ্বারা আবৃত থাকে। এই খোলস পরিবর্তনের মাধ্যমেই চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে। চিংড়ির বয়োঃবৃদ্ধির সাথে সাথে পুরাতন খোলস খসে পড়ে এবং নতুন খোলস সৃষ্টি হয়। চিংড়ির এই খোলস বদলানো প্রক্রিয়াকে একডাইসিস (Ecdysis) বলে। খোলস বদলানো প্রক্রিয়া সাধারণত রাতেই ঘটে। ছোট অবস্থায় নতুন খোলস শক্ত হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে এবং বড় অবস্থায় শক্ত হতে ১-২ দিন সময় লাগে । খোলস বদলানোর সময় চিংড়ি শারীরিকভাবে খুব দুর্বল থাকে। খাদ্য, আবহাওয়া, পরিবেশ, পানির গুণাগুণ, তাপমাত্রা, রোগবালাই, প্রভৃতির ওপর চিংড়ির খোলস বদলানো নির্ভরশীল। লার্ভা অবস্থায় এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চিংড়ি এগারো বার খোলস পরিবর্তন করে থাকে। গলদা চিংড়ি জুভেনাইল অবস্থায় ৫-১০ দিন অন্তর একবার এবং বড় অবস্থায় ২০-৪০ দিনে একবার খোলস ছাড়ে। পলদা চিংড়ির আয়ুষ্কাল সাধারণত ৩-৪ বছর হয়ে থাকে।

স্ত্রী ও পুরুষ গলদা চিংড়ির পার্থক্য:

  • স্ত্রী গলদার চেয়ে পুরুষ গলদা চিংড়ি বেশি বাড়ে, তাই একই বয়সের পুরুষ চিংড়ি স্ত্রী চিংড়ির চেয়ে আকারে খানিকটা বড় হয়।
  • পুরুষ চিংড়ির শিরোবক্ষ আকারে মোটা এবং বড় হয় আর উদরাঞ্চল অপেক্ষাকৃত সরু দেখায়। অপরদিকে স্ত্রী চিংড়ির মাথা ও দ্বিতীয় বাহু অপেক্ষাকৃত ছোট থাকে এবং উদরাঞ্চলের তলারদিকে ডিমধারণের জন্য নিম্নোদর অপেক্ষাকৃত চওড়া হয়।
  • পুরুষ চিংড়ির দ্বিতীয় ভ্রমনপদ লম্বা, মোটা, রঙিন, কন্টকযুক্ত এবং চিমটা বিশিষ্ট। এই দ্বিতীয় বাহুর দ্বারা পুরুষ স্ত্রী চিংড়িকে সঙ্গমকালে দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গনে আবদ্ধ রাখে।
  • পুরুষ চিংড়ির প্রথম উদর খন্ডের বুকের দিকে মাঝখানে একটা ছোট কাঁটার মত দেখা যায় যা স্ত্রী চিংড়ির থাকে না।
  • পুরুষ গলদার ক্ষেত্রে পেটাসমা বা স্ত্রী গলদার ক্ষেত্রে থেলিকাম অনুপস্থিত। এ কারনে গলদা চিংড়িকে “উন্মুক্ত থেলিকাম” চিংড়ি বলা হয়।
  • পুরুষ চিংড়ির দ্বিতীয় সন্তরণ পদের ভিতরের দিকের পত্রের গোড়ায় লোমের মত অ্যাপেন্ডিক্স ম্যাসকুলিনা থাকে। জুভেনাইল অবস্থায় এই অ্যাপেন্ডিক্স ম্যাসকুলিনা দেখেই পুরুষ চিংড়ি
    শনাক্ত করা যায়। স্ত্রী চিংড়ির অ্যাপেন্ডিক্স ম্যাসকুলিনা থাকে না। 
  • স্ত্রী চিংড়ির পিঠের খোলসগুলো পুরুষ চিংড়ি অপেক্ষা বড় হয় এবং উভয় দিকে নেমে এসে ডিমগুলো ঢেকে রাখতে সাহায্য করে।
  • পুরুষ চিংড়ির জনন ছিদ্র পঞ্চম চলনপদের গোড়ায়, আর স্ত্রী চিংড়ির জনন ছিদ্র তৃতীয় চলনপদের গোড়ায় অবস্থিত। পরিপক্ব স্ত্রী চিংড়ির মাথার দিকে ক্যারাপেসের নিচে ও পাশে গোলাপি /কমলা রং এর আভা দেখে ওভারির অভ্যন্তরে ডিমের উপস্থিতি বুঝা যায়। কিন্তু পুরুষ চিংড়ির ওভারি থাকে না।
  • পুরুষ গলদা চিংড়ির ৫ম জোড়া চলনপদের দুইটি গোড়ায় মধ্যবর্তী দূরত্ব স্ত্রী গলদা অপেক্ষা সরু হয়ে থাকে। 
Content added By

অনুসন্ধানমূলক কাজ - ১

তোমার এলাকার আশে পাশের পুকুর/ ঘের থেকে গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষণ কর এবং নিম্নের ছকে তোমার মতামত দাও।

চিংড়ি সংগ্রহের স্থান 
চিংড়ির গায়ের বর্ণ 
উদর অঞ্চলের বর্ণ 
দ্বিতীয় চলন পদ কেমন 
গলদা চিংড়ির সাথে অন্যান্য প্রজাতির চিংড়ি বা মাছ চাষ করা হয় কিনা? 
গলদা চিংড়ির সাথে চাষকৃত মাছের প্রজাতির নাম লিখ?

১.

২.

৩.

৪.

স্ত্রী ও পুরুষ গলদার মধ্যকার পার্থক্য নিরূপণ কর 
তোমার নাম
শ্রেণি
রোল নং
প্রতিষ্ঠানের নাম
 
প্রতিবেদন জমাদানের তারিখ
শ্রেণী শিক্ষকের স্বাক্ষর

 

Content added By

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ-১

গলদা চিংড়ির বক্ষ-উপাঙ্গ সমূহের (Thoracic appendage) নাম ও কাজ লেখ।

ক্রম 

উপাঙ্গের নাম

কাজ 

   
   
   
   
   
   
   
   
   

 

Content added By

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ-২

গলদা চিংড়ির উদর-উপাঙ্গ সমূহের (Abdominal appendage) নাম ও কাজ লেখ।

ক্রম 

উপাঙ্গের নাম

কাজ 

   
   
   
   
   
   
   
   
   
Content added By

গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অঙ্গসমূহ পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ

পারদর্শিতার মানদন্ড

  •  স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা
  • কাজের উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ তৈরি করা
  • কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন ও সংগ্রহ করা
  • উপযুক্ত আকারের পলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা
  • যথাযথ ভাবে গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অংগসমূহ শনাক্ত করা
  • কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী জায়গা পরিষ্কার করা
  • কাজ শেষে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা
  • অব্যবহৃত মালামাল উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • কাজ শেষে সুরক্ষা পোশাক ও উপকরণসমূহ চেকলিষ্ট অনুযায়ী জমা দেওয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১মাস্ক তিন স্তর বিশিষ্ট১টি
০২গ্লাভস্মাপ মতো১ জোড়া 
০৩স্যানিটাইজারমানসম্পন্ন১ বোতল
০৪অ্যাপ্রনশিক্ষার্থীর মাপ মতো১টি

 

(খ) প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১ডিসেক্টিং বক্সমাঝারি মানের১টি
০২ওয়াক্স টেমাঝারি আকারের ১টি
০৩স্পেসিমেন জার৮-১২ ইঞ্চি আকারের১টি
০৪গলদা চিংড়ি৭-১০ গ্রাম ওজনের১টি
০৫টিস্যু পেপারসাধারণ মানের১টি
০৬ইথানল/ফরমালিনল্যাবরেটরি গ্রেড১ লিটার 
০৭সাবান/হ্যান্ড ওয়াশদেশি১টি

 

(গ) কাজের ধারা

১. নিকটস্থ বাজার, পুকুর বা চিংড়ি খামার থেকে মাঝারি/বড় আকারের তাজা চিংড়ি সংগ্রহ করো।

২. সংগৃহীত চিংড়ি পানি ভর্তি বালতিতে করে পরীক্ষাগারে নিয়ে এসো।

৩. নমুনা চিংড়ি সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য যেমন- চাষির নাম, পুকুরের অবস্থান, আয়তন, পানি ও নমুনা সংগ্রহের তারিখ লিপিবন্ধ করো।

৪. পরীক্ষাগারে এসে এবার চিংড়ি বালতি থেকে তুলে ট্রেতে রাখো। তারপর ফরসেপ দিয়ে চিংড়ির শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন- শিরোবক্ষ, উদর, বিভিন্ন উপাঙ্গ ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখো এবং ছবিতে চিহ্নিত অংশগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখো।

৫. এবার ট্রেতে রক্ষিত চিংড়ির ছবি ব্যবহারিক খাতায় পেন্সিলের সাহায্যে আঁকো এবং বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।

৬. অনুশীলনকৃত কার্যপদ্ধতি চিত্রসহ ব্যবহারিক খাতায় লেখ।

সতর্কতা

  • পচা গলদা চিংড়ি এ পদ্ধতিতে সঠিকভাবে কার্যকর নয়।
  • মানসম্পন্ন ডিসেকটিং বক্স না থাকলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
     

আত্মপ্রতিফলন

গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অঙ্গপ্রতঙ্গ পর্যবেক্ষণ নির্ণয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে। 

Content added By

গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ

পারদর্শিতার মানদন্ড

  •  স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা
  • কাজের উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ তৈরি করা
  • কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন ও সংগ্রহ করা
  • উপযুক্ত আকারের পলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা
  • যথাযথ ভাবে গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অংগসমূহ শনাক্ত করা
  • কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী জায়গা পরিষ্কার করা
  • কাজ শেষে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা
  • অব্যবহৃত মালামাল উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • কাজ শেষে সুরক্ষা পোশাক ও উপকরণসমূহ চেকলিষ্ট অনুযায়ী জমা দেওয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১মাস্ক তিন স্তর বিশিষ্ট১টি
০২গ্লাভস্মাপ মতো১ জোড়া 
০৩স্যানিটাইজারমানসম্পন্ন১ বোতল
০৪অ্যাপ্রনশিক্ষার্থীর মাপ মতো১টি

 

(খ) প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১ডিসেক্টিং বক্সমাঝারি মানের১টি
০২ওয়াক্স টেমাঝারি আকারের ১টি
০৩স্পেসিমেন জার৮-১২ ইঞ্চি আকারের১টি
০৪গলদা চিংড়ি৭-১০ গ্রাম ওজনের১টি
০৫টিস্যু পেপারসাধারণ মানের১টি
০৬ইথানল/ফরমালিনল্যাবরেটরি গ্রেড১ লিটার 
০৭সাবান/হ্যান্ড ওয়াশদেশি১টি

 

(গ) কাজের ধারা

১. নিকটস্থ বাজার, পুকুর বা চিংড়ি খামার থেকে মাঝারি ও বড় আকারের তাজা চিংড়ি সংগ্রহ করো।

২. সংগৃহীত চিংড়ি পানি ভর্তি বালতিতে করে পরীক্ষাগারে নিয়ে এসো।

৩. নমুনা চিংড়ি সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য যেমন- চাষির নাম, পুকুরের অবস্থান, আয়তন, পানি ও নমুনা সংগ্রহের তারিখ লিপিবদ্ধ করো।

৪. পরীক্ষাগারে এসে এবার চিংড়ি বালতি থেকে তুলে ট্রেতে রাখো। তারপর কাঁচি, ফরসেপ, নিডল ইত্যাদি দিয়ে কেটে চিংড়ির শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন- পরিপাকতন্ত্র, প্রজননতন্ত্র, ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখো এবং ছবিতে চিহ্নিত অংশগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখো।

৫. এবার ব্যবহারিক খাতায় পেন্সিলের সাহায্যে গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ছবি আঁক এবং বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো। তোমার চিহ্নিত ছবির সাথে ছবিতে চিহ্নিত অংশগুলো মিলিয়ে দেখো।

৬. অনুশীলনকৃত কার্যপদ্ধতি চিত্রসহ ব্যবহারিক খাতায় লেখ।
 

সতর্কতা:

  • পচা গলদা চিংড়ি এ পদ্ধতিতে সঠিকভাবে কার্যকর নয়
  • মানসম্পন্ন ডিসেকটিং বক্স, না থাকলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

আত্মপ্রতিফলন

গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ পর্যবেক্ষণ নির্ণয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই / আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added By

গলদা চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ

পারদর্শিতার মানদন্ড

  •  স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা
  • কাজের উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ তৈরি করা
  • কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন ও সংগ্রহ করা
  • উপযুক্ত আকারের পলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা
  • যথাযথ ভাবে গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অংগসমূহ শনাক্ত করা
  • কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী জায়গা পরিষ্কার করা
  • কাজ শেষে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা
  • অব্যবহৃত মালামাল উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • কাজ শেষে সুরক্ষা পোশাক ও উপকরণসমূহ চেকলিষ্ট অনুযায়ী জমা দেওয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১মাস্ক তিন স্তর বিশিষ্ট১টি
০২গ্লাভস্মাপ মতো১ জোড়া 
০৩স্যানিটাইজারমানসম্পন্ন১ বোতল
০৪অ্যাপ্রনশিক্ষার্থীর মাপ মতো১টি

 

(খ) প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১ডিসেক্টিং বক্সমাঝারি মানের১টি
০২ওয়াক্স টেমাঝারি আকারের ১টি
০৩স্পেসিমেন জার৮-১২ ইঞ্চি আকারের১টি
০৪গলদা চিংড়ি৭-১০ গ্রাম ওজনের১টি
০৫টিস্যু পেপারসাধারণ মানের১টি
০৬ইথানল/ফরমালিনল্যাবরেটরি গ্রেড১ লিটার 
০৭সাবান/হ্যান্ড ওয়াশদেশি১টি

 

(গ) কাজের ধারা

১. নিকটস্থ বাজার, পুকুর বা খামার থেকে গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করো।

২. নমুনা চিংড়ি সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য যেমন, চাষির নাম, খামারের অবস্থান, আয়তন, নমুনা সংগ্রহের তারিখ প্রভৃতি লিপিবদ্ধ করো।

৩. নমুনা চিংড়ি বালতিতে করে পরীক্ষাগারে নিয়ে এসো।

৪. বালতি থেকে এবার চিংড়ি তুলে ট্রেতে রাখো।

৫. চিংড়িটিকে এবার পৃষ্ঠদেশ উপরের দিকে রেখে আলপিন দিয়ে ভালোভাবে ট্রেতে আটকিয়ে রাখো।

৬. আঁতশ কাচের সাহায্যে চিংড়ির মুখ ও পায়ু ভালাভোবে পর্যবেক্ষণ করো।

৭. খুব সাবধানে শিরোবক্ষ ও উদর উপাঙ্গগুলো কাঁচি দিয়ে কেটে সরিয়ে ফেলো।

৮. কাঁচি দিয়ে পৃষ্ঠপার্শ্ব বরাবর ফেলো।

৯. ফরসেপ দিয়ে সাবধানে নিচের পেশি সরিয়ে ফেলো।

১০. এবার হৃৎপিন্ড ও যকৃত কাঁচি দিয়ে কেটে ফেললে যকৃত অগ্ন্যাশয় প্রন্থিটি দেখা যাবে তা বের করো।

১১. ফরসেপ ও স্কালপেল দিয়ে যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি সরিয়ে নিয়ে গলদা চিংড়ির পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করো।

১২. অগ্র পরিপাকনালী, মধ্য পরিপাকনালী ও পশ্চাৎ পরিপাকনালী ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করো। 

১৩. পেন্সিল দিয়ে পরিপাকতন্ত্র এর চিত্র খাতায় অঙ্কন ও বিভিন্ন অংশগুলো চিহ্নিত করো।

১৪. অনুশীলন পদ্ধতিটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করো।

সতর্কতা

  • পচা গলদা চিংড়ি এ পদ্ধতিতে সঠিকভাবে কার্যকর নয়।
  • মানসম্পন্ন ডিসেকটিং বক্স না থাকলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আত্মপ্রতিফলন

গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ পর্যবেক্ষণ নির্ণয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added By

গলদা চিংড়ির প্রজননতন্ত্র পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ

পারদর্শিতার মানদন্ড

  •  স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা পোশাক পরিধান করা
  • কাজের উপযুক্ত স্থান ও পরিবেশ তৈরি করা
  • কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন ও সংগ্রহ করা
  • উপযুক্ত আকারের পলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা
  • যথাযথ ভাবে গলদা চিংড়ির বাহ্যিক অংগসমূহ শনাক্ত করা
  • কাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী জায়গা পরিষ্কার করা
  • কাজ শেষে ব্যবহৃত উপকরণসমূহ যথাযথভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা
  • অব্যবহৃত মালামাল উপযুক্ত স্থানে সংরক্ষণ করা
  • কাজ শেষে সুরক্ষা পোশাক ও উপকরণসমূহ চেকলিষ্ট অনুযায়ী জমা দেওয়া

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১মাস্ক তিন স্তর বিশিষ্ট১টি
০২গ্লাভস্মাপ মতো১ জোড়া 
০৩স্যানিটাইজারমানসম্পন্ন১ বোতল
০৪অ্যাপ্রনশিক্ষার্থীর মাপ মতো১টি

 

(খ) প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্রম নাম স্পেসিফিকেশনসংখ্যা
০১ডিসেক্টিং বক্সমাঝারি মানের১টি
০২ওয়াক্স টেমাঝারি আকারের ১টি
০৩স্পেসিমেন জার৮-১২ ইঞ্চি আকারের১টি
০৪গলদা চিংড়ি৭-১০ গ্রাম ওজনের১টি
০৫টিস্যু পেপারসাধারণ মানের১টি
০৬ইথানল/ফরমালিনল্যাবরেটরি গ্রেড১ লিটার 
০৭সাবান/হ্যান্ড ওয়াশদেশি১টি

 

(গ) কাজের ধারা

১. নিকটস্থ বাজার, পুকুর বা খামার থেকে স্ত্রী ও পুরুষ গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করো।

২. নমুনা চিংড়ি সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য যেমন চাষির নাম, খামারের অবস্থান, আয়তন, নমুনা সংগ্রহের তারিখ প্রভৃতি লিপিবদ্ধ করো।

৩. নমুনা চিংড়ি বালতিতে করে পরীক্ষাগারে নিয়ে এসো।

৪. বালতি থেকে পুরুষ ও স্ত্রী চিংড়ি তুলে ভিন্ন ভিন্ন ট্রেতে রাখো।

৫. চিংড়িকে এবার পৃষ্ঠদেশ উপরের দিকে রেখে আলপিন দিয়ে ভালোভাবে ট্রেতে আটকিয়ে ফেলো।

৬. এবার চিংড়ির পৃষ্ঠপার্শ্ব বরাবর কাঁচি ও ফরসেপ দিয়ে টারগাম ও পেশি সরিয়ে ফেলো।

 ৭. পেশি সরানোরে পর সাবধানে হৃৎপিন্ডটি সরিয়ে ফেললে যকৃত অগ্ন্যাশয় দেখা যাবে।

৮. গলদা চিংড়ির পুরুষ ও স্ত্রী জননতন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করো।

৯. পেন্সিল দিয়ে প্রজননতন্ত্রের ছবি আঁকো ও জনন তন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলো চিহ্নিত করো।

১০.অনুশীলন পদ্ধতিটি ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারিক খাতায় লিপিবদ্ধ করো।

সতর্কতা

  • পচা গলদা চিংড়ি এ পদ্ধতিতে সঠিকভাবে কার্যকর নয়
  • মানসম্পন্ন ডিসেকটিং বক্স না থাকলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আত্মপ্রতিফলন

গলদা চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রতঙ্গ পর্যবেক্ষণ নির্ণয় করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। মিঠা পানির গলদা চিংড়ির ডিম পরিস্ফুটন থেকে পোষ্ট লার্ভা পর্যন্ত ক্রমবিকাশ কোথায় সম্পন্ন হয়?

২। চিংড়ির শিরোবক্ষ পৃষ্টদেশের আবরণ কি নামে পরিচিত?

৩। চিংড়ি কিসের দ্বারা পুঞ্জাক্ষীকে চারিদিকে ঘুরাতে পারে?

৪। চিংড়ির দেহে সর্বমোট কয় জোড়া উপাঙ্গ রয়েছে?

৫। জুভেনাইল অবস্থায় চিংড়ি কতদিন অন্তর একবার খোলস বদলায়?

৬। সাঁতার কাটার সময় কোন অঙ্গের সাহায্যে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে?

৭। চিংড়ির কোন চলনপদকে আদর্শ চলনপদ বলা হয়? 

৮। কোন উপাঙ্গকে চিংড়ির আদর্শ সন্তরণ উপাঙ্গ বলা হয়?

৯। কোন উপাঙ্গের সাহায্যে চিংড়ি পিছনের দিকে দ্রুত চলে যেতে পারে?

১০। গলদা চিংড়ির ডিম ফুটার জন্য পানির লবণাক্ততা কত হওয়া দরকার? 

১১। লার্ভা অবস্থা গলদা চিংড়ি কতবার খোলস পাল্টায়?

১২। লার্ভা থেকে পোষ্ট লার্ভা অবস্থা পৌঁছাতে গলদা চিংড়ির কতদিন সময় লাগে?

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১ চিংড়ির শিরোপাঙ্গগুলোর নাম লেখ।

২। একডাইসিস বলতে কি বোঝ লেখ।

৩। গলদা চিংড়ির শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য লেখ।

৪। গলদা চিংড়ির বৃদ্ধি ও খোলস ছাড়া সম্পর্কে লেখ।

৫। পুরুষ ও স্ত্রী গলদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য লেখ।

রচনামূলক প্রশ্ন

১. গলদা চিংড়ির বিভিন্ন উপাঙ্গের কার্যাবলী বর্ণনা করো।

২. গলদা চিংড়ির খাদ্যগ্রহণ ও পরিপাক প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।

৩. গলদা চিংড়ির জীবন চক্র বর্ণনা করো।

৪. গলদা চিংড়ির স্ত্রী প্রজনন অঙ্গের বর্ণনা দাও।

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion

Promotion