একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে, স্যুইচ বা লুপ বন্ধ থাকলেও কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে কিনা তা পরিমাপ করার জন্য গ্যালভানোমিটার ব্যবহার হয়ে থাকে। একটি শান্ট প্রতিরোধক ব্যবহার করে গ্যালভানোমিটারকে রক্ষা করা যায়। রেজিস্ট্যান্স সাধারণত গ্যালভানোমিটারের সমান্তরালে সংযুক্ত থাকে। এই সেট আপটি গ্যালভানোমিটারকে শক্তিশালীও অতিরিক্ত কারেন্ট থেকে রক্ষা করে। রেজিস্টেন্স ও সার্কিটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের মান কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
কোন প্রবনের ক্ষারকতা (Alkalinity) বা অল্পতা (Acidity) পরীক্ষা করার জন্য মিটার ব্যবহার হয়ে থাকে। ০-১৪ ভেল্যু নির্ণয়ের মাধ্যমে এটি পরিমাপ করে থাকে।
নিয়মিত পিএইচ মিটার ব্যবহার করলে ক্যালিব্রেট নিয়মিত করতে হবে। সপ্তাহব্যাপী ব্যবহার করা হলে কয়েকবার কেলিব্রেশন করা প্রয়োজন হয়। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য প্রতিবার ব্যবহারের ভাগে মিটারকে ভালভাবে চেক করে নেয়া উচিত।
• ভার্নিয়ার হাইট গেজ এমন পরিমাপক যন্ত্র যা দিয়ে উল্লম্ব দূরত্ব নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
• সর্বোচ্চ উচ্চতা পরিমাপ বিবেচনায় এটি সিলেক্ট বা নির্দিষ্ট করা হয়।
• ভার্নিয়ার হাইট গেজ ১৫০ মিমি থেকে ১০০০ মিমি পর্যন্ত পরিবর্তিত মাপের হয়ে থাকে
এটি একটি সূক্ষ্ম পরিমাপক যন্ত্র। সাধারণত কম দূরত্বের হাইট পরিমাপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এটিকে একাকী ব্যবহার করা যায় না, অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়। যেমন- সারফেস গেজ। ভার্নিয়ার হাইট গেজ, সারফেস প্লেটের বা ঐ জাতীয় কোনো সমতল উপরিভাগ থেকে কোনো বস্তুর নির্দিষ্ট উপরিভাগ কত উচ্চতায় আছে অথবা দুটি বস্তুর বেলাঢ একটা অপরটা থেকে কত উচ্চতায় বা নিচে অবস্থান করছে তার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করা যায়।
স্ক্রাইবারের স্থলে রড বা দন্ড ব্যবহার করে এর সাহায্যে জবের ছিদ্রের বা খাঁজের গভীরতা মাপা যায় অর্থাৎ এটিকে ডেপথ গেজ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। স্ক্রাইবারের স্থলে ডায়াল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে এটির সাহায্যে সুক্ষ্ম পরীক্ষণের কাজ করা যায়। মেশিনশপ, জেনারেল মেকানিক্স শপ, উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা, মেইনটেনেন্স শপ, মেকানিক্যাল কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কশপ প্রভৃতি জায়গায় সুক্ষ্ম ও আধুনিক মার্কিং টুল হিসাবে ভার্নিয়ার হাইট গেজ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
• এটিকে নির্ধারিত কেবিনেট বা বক্সে সংরক্ষণ করতে হয়;
• সূক্ষ্ম পরিমাপের জন্য ডাস্ট ফ্রি অবস্থায় সংরক্ষণ করা জরুরি;
• সবসময় এর মসৃণতা বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত;
• ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশের পরিমাপ করা উচিত নয়।
• অব্যবহৃত অবস্থায় মরিচারোধক পদার্থ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়।
• শ্যাফটের বাহিরের ব্যাস ও বিকেন্দ্রিকতা পরীক্ষা/পরিমাপ করা যায়;
• পিচ ব্যাস, পুরুত্ব ও চওড়া পরিমাপ নির্ধারণ করা যায়;
• যন্ত্রাংশের স্ট্রেইটনেস, ট্যাপার, চেম্বার, রাফনেস, ফিলেট ইত্যাদি পরীক্ষা ও পরিমাপ করা যায়;
• ডায়াল ইন্ডিকেটরের সাথে ম্যাগনেটিক বেইজ স্ট্যান্ড, সারফেস প্লেট, সেন্টার, ভি-ব্লক, ম্যানডেল ইত্যাদি ব্যবহার হয়।
• কোন কার্যবস্তুর সমতলে কোথাও উঁচু-নিচু পরীক্ষা করা যায়;
• লেদের হেডস্টক ও টেইলস্টক এর সমান্তরালতা পরীক্ষা করা যায়;
• অনুভূমিক বা হরাইজন্টাল অবস্থা পরীক্ষ করা যায়।
ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি সংবেদনশীল ও মূল্যবান ইন্সট্রুমেন্ট বিধায় এই যন্ত্রের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ একটু বিশেষভাবে নেয়া দরকার।
• এটির ভায়াল ও ডায়ালের কান্ডারটি কাঁচের তৈরি বিধায় ভঙ্গুর হয়, তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন যায়ালে কোনো অবস্থাতেই আঘাত না লাগে।
• ডায়াল ইন্ডিকেটরের ম্যাগনেটিক বেস, সারফেস প্লেটের উপর স্থাপনের পূর্বে ভালো করে পরিষ্কার করে নেয়া দরকার।
• তৈল বা গ্রিজমুক্ত অবস্থানে বেশি ব্যবহার করা উচিত, তৈলাক্ত অবস্থানে ব্যবহারের ফলে সুক্ষ্মতা নষ্ট হতে পারে।
• পরিমাপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ডায়াল ইন্ডিকেটরের স্পিন্ডলকে সবসময় চাপমুক্ত রাখতে হয়;
● এটিকে ব্যবহার শেষে নির্ধারিত কেৰিনেট বা বক্সে সংরক্ষণ করতে হয়।
প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে কাছাকাছি টলারেন্স সম্পন্ন কৌণিক পরিমাপ পরীক্ষা করতে বিডেল প্রোট্র্যাক্টর ব্যবহৃত হয়। এটি ৫ আর্কমিনিট (৫' বা ১/১২) এবং ০° থেকে ৩৬০° পর্যন্ত কোণ পরিমাপ করতে পারে। বেভেল প্রোট্রোক্টরে একটি বিম (Beam), একটি গ্র্যাজুয়েটেড ডায়াল ও একটি ব্লেড থাকে যা একটি সুইভেল প্লেটের সাথে (ভার্নিয়ার স্কেল সহ) নাম নাট এবং ক্ল্যাম্প দ্বারা সংযুক্ত করা থাকে। ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্যাক্টর কার্যবস্তুর কোণ পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ৫ মিনিট পর্যন্ত নির্ভুল কোণ পরিমাপ করতে পারে। একটি আইসোমেট্রিক প্রোস্টাক্টর একটি কোল থেকে কোনো বস্তুকে চিত্রিত করে ত্রিমাত্রিক অংকন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
কৌণিক পরিমাপক যন্ত্র বিভেন প্রোট্র্যাক্টরের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন-
• নির্ধারিত কেবিনেট বা বাক্সে সংরক্ষণ করতে হয়;
• কাজের পরে ভালভাবে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করতে হয়;
• কাজের সময় এলোমেলো স্থানে না রেখে পরিচ্ছন্ন ও সমতল জায়গায় রাখতে হয়;
• বিশেষ সংরক্ষণের সময় সরিচারোধী পদার্থ দিয়ে মুরিয়ে রাখতে হয়;
আরও দেখুন...