টার্কি পাখির বৈশিষ্ট্য

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | | NCTB BOOK
4

টার্কি পাখির বৈশিষ্ট্য

  • ৬/৭ মাসের মধ্যে ডিম দেয়া শুরু করে । 
  • ৪/৫টি স্ত্রী টার্কির জন্য ১টি পুরুষ থাকতে হবে। 
  • বছরে গড়ে ৮০ থেকে ৯০ টি ডিম দেয় । 
  • ডিম ফুটে বাচ্চা বেড় হতে ২৮ দিন সময় লাগে । 
  • পূর্ণাঙ্গ পুরুষ জাতীয় টার্কির মাথা ন্যাড়া থাকে।
  • ১৪০/১৫০ দিনে পুরুষ টার্কির গড় ওজন হয় ৬-৭ কেজি এবং স্ত্রী টার্কির ৩-৪ কেজি হয়। 
  • ৯৮ থেকে ১০৫ দিনে পুরুষ টার্কির বাজারজাত করনের সঠিক সময়। আর স্ত্রী টার্কির ১২০-১৪০ দিন ।
  • সাধারণত এর মাথা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। কখনো কখনো সাদা কিংবা উজ্জ্বল নীলাভ রঙেরও হয়ে থাকে। 
  • পুরুষ টার্কি গবলার বা টম নামেও পরিচিত। এগুলো গড়ে লম্বায় ১৩০ সে.মি. বা ৫০ ইঞ্চি হয়। 
  • বন্য টার্কি আত্মরক্ষার্থে দ্রুত দৌড়িয়ে গা ঢাকা দেয়। কিন্তু এটি স্বল্প দূরত্বে উড়তে পারে। 
  • স্ত্রী জাতীয় টার্কি সাধারণতঃ পুরুষ পাখির তুলনায় ওজনে অর্ধেক হয়।

টার্কি মুরগির মাংসের গুনাগুন ও উপকারিতা

 

  • টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশী, চর্বি কম । তাই গরু কিংবা খাসির মাংসের বিকল্প হতে পারে। 
  • টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, বি-৬ ও ফসফরাস থাকে। এ উপাদানগুলো মানব শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী । 
  • নিয়মিত এই মাংস খেলে কোলেস্টোরল কমে যায়। 
  • টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে । 
  • টার্কির মাংসে ভিটামিন ই অধিক পরিমাণে থাকে ।

 

 

 

Content added By
Promotion