ওয়ার্কশপে কোন মেশিন বা যন্ত্রপাতি নুতন ভাবে বসানোর পর ব্যবহারের কারণে উহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা অকেজো হয়ে পড়ো। তাছাড়া ময়লা, ধুলবালি ইত্যাদি পড়ে মেশিনপত্র নষ্ট বা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যায়ক্রমে ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিকে সার্বক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী ও অকেজো হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত বা পর্যায়ক্রমে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তা-ই টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ। নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রয়োজনীয় অংশে তৈল, গ্রীজ ইত্যাদি প্রয়োগ করা; তবে এটা তার পূর্বনির্ধারিত কাজের ধারাকে সঠিক ও যথার্থভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে সমর্থ হয়। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের ফলে যন্ত্রপাতি নির্ভুলতা সম্পন্ন হয়ে সুক্ষ্মভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে এবং আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাওয়াসহ ব্যবহারকারী স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে। সামগ্রিকভাবে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। ৫.১.১ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনরূপ ব্যর্থতা ছাড়াই চলমান কার্যাদী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। এ ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরিদর্শন, মেরামত-সংস্কার ও সার্ভিসিং করা প্রয়োজন হয়।
ওয়ার্কশপের টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি অকেজো হওয়ার পূর্বেই কার্যক্ষম রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এছাড়া-
• নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বার বার নষ্ট হয়ে এক সময় সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে পারে;
• যখনই টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির কোনো ত্রুটি দেখা দেয়, যদি দ্রুত মেরামত না করা হয় তবে অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কাযক্রম বন্ধ হয়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়;
• সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে কাজ ব্যাহত হয় এবং চাহিদা মোতাবেক কার্যাদি সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না;
• সঠিকভাবে টুলস-ইন্সট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করলে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়;
• রক্ষণাবেক্ষণে প্রত্যক্ষ খরচ বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিকভাবে কার্যাদি সম্পন্ন করার খরচ হ্রাস পায়;
• যন্ত্রপাতির অবচয় মূল্য কম হয়;
• স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়;
• মেকানিক্সের কার্যাদী দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এবং দূর্ঘটনার হার কমে যায় 'ইত্যাদি।
ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ সাধারণত চারটি উপায়ে করা হয়ে থাকে, যেমন-
(১) পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ (Planned Maintenance)
অপ্রত্যাশিতভাবে কোন ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি হঠাৎ বন্ধ/অকেজো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ দুই প্রকার। যেমন-
ক) প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ: ক্ষয়প্রাপ্ত বা ভালা যন্ত্রাংশসমূহ মেরামত, তৈল বদলানো, গিয়ার ওয়েল, গ্রীজ দেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রম প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষ;
খ) দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ: মেশিন নির্মান প্রতিষ্ঠান বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মেশিনের সাথে সরবরাহকৃত মেনুয়্যাল বা নির্দেশিকা অনুযায়ী দীর্ঘদিন পর ঐ মেশিনের কোন অংশের মেরাসজনিত কাজই দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ।
(২) তালিকা মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ (Scheduled Maintenance) কোনো ওয়ার্কশপ/শিল্প প্রতিষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ পরিদর্শন, লুব্রিকেশন, সার্ভিসিং, ওভারহলিং ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করাই তালিকা মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ।
(১) ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ (Brake-down Maintenance) কোনো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন হঠাৎ নষ্ট হলে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ মেরামত করে কার্যোপযোগী করাই ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ।
(২) মুলধন প্রতিস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণ (Capital Replacement Maintenance) বিনষ্টকৃত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন মেরামত বা খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে সদ্বোধজনক ভাবে ব্যবহার করা যায়; কিন্তু ব্যয় খুব বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মেরামত খরচ প্রায় নুতন টুলস - ইন্সট্রুমেন্ট ওমেশিন ৰা পাতি ক্রয় করে বসানোর খরচের কাছাকাছি হয়। এমতাবস্থায় বিনষ্টকৃত টুলস- ইন্ট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন মেরামত না করে পুনরায় সুলধন খাটিয়ে নতুন টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন প্রতিস্থাপন করা হয় তাকে মূলধন প্রতিস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়।
সময়ের উপর ভিত্তি করে রক্ষণাবেক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
• সচল ও অচলটুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি চিহ্নিত করা;
• রক্ষণাবেক্ষণ মেনুয়্যাল পর্যালোচনা করে দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পাদন করা;
• চলমান টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির ক্ষয়ের ক্ষেত্রগুলি যেমন- নাট-বোল্ট চেক করা;
• সংশ্লিষ্ট সাহায্যকারী সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ;
• ইরোর পরিমাপ ও কেলিব্রেশন করা;
• খুচরা যন্ত্রাংশ বা যন্ত্রাংশ ফরমায়েশের তালিকা ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করা,
• সংশ্লিষ্ট টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি নির্ধারিত স্থানে রাখা এবং এগুলির ব্যবহার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
• ক্ষয়সাধিত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি শনাক্ত করা কার্যোপযোগী করা বা বদল করা। নষ্ট বোষ্ট চেক করা ও প্রয়োজনে পরিবর্তন করা;
• কাজের শেষে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ও চেক করা ;
• কাজের শেষে প্রতিবার টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিগুলি মরিচা প্রতিরোধী আবরণ দেয়া;
• বছরে ন্যূনতম একবার টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি ভেরিফিকেশন করা;
• হারানো ও ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন (ইনভেন্টরী) প্রস্তুত করা এবং তা প্রতিস্থাপন করা ইত্যাদি।
কাজের উপর ভিত্তি করে টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ
২. প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ
প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া সাধারণত পূর্ব প্রস্তুতিমূলক রক্ষণাবেক্ষণ। এ প্রক্রিয়া প্রধানত সম্পদের অকেজো হওয়া, উৎপাদন ব্যাহত হওয়া অথবা অযাচিত টস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষার জন্য পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। পর্যায়ক্রমে কোনো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি এগুলির উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ম্যানুয়েল বা গাইডলাইন মোতাবেক পরিষ্কার করা, সার্ভিসিং করা, পরীক্ষা করা, ক্ষয়প্রাপ্ত যন্ত্রাংশসমূহের মেরামত বা পরিবর্তন ইত্যাদি এই রক্ষণাবেক্ষণের আওতাভুক্ত। আমরা সাধারণত প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ বিভিন্ন কারণে করিনা, যেমন মালিক (তত্ত্বাবধায়ক) মনে করে যেহেতু টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাত্তি সচল আছে সুতরাং এদের লাইক শেষ হওয়া সত্ত্বেও বদলানো প্রয়োজন মনে করে। এছাড়া অনেক সময় মূলধনের অভাবে কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল সিদ্ধান্ত একটি বড় কারণ।
টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিম্নরুপ হয়ে থাকে-
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ চিপস মুক্ত রাখা;
• কোথাও ক্ষয় বা মরিচা দেখা দিলে সাথে সাথে সেগুলি যুক্ত করে ক্ষয় থেকে রক্ষা করা ;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির মসৃণ ও চকচকে তলসমূহের কাপড়ের টুকরা দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির পরিষ্কার ও চকচকে ভলসমূহে ইন্সট্রুমেন্ট ওয়েলের প্রলেপ দেয়া;
• বিভিন্ন চলন্ত অংশে ক্ষয়রোধ করার জন্য নিপলের মাধ্যমে নিয়মিত তৈলাক্ত করা;
• প্রয়োজনে ত্রুটিযুক্ত যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা;
• ভাঙ্গা ও ক্ষয়প্রাপ্ত যন্ত্রাংশ বদল করা বা রিপেয়ার করার মাধ্যমে কার্যোপযোগী করা;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত সচরাচর ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় দ্রব্যের নাম নিয়ে উল্লেখ করা হলো- গ্রীজ পান, ওয়েল ক্যান, কেরোসিন তৈল, ক্লিনিং ব্রাশ ইত্যাদি।
• যে সকল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অথবা কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকেসেসব অবস্থাকেই বিপদজনক অবস্থা বলা হয়ে থাকে। বিপদজ্জনক অবস্থা যে কারনে সৃষ্টি হতে পারে-
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট এর সঠিক ব্যবহার না জানা;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট এর ম্যানুয়েল ও কোড ফলো না করা :
• অপর্যাপ্ত আলো ও অপর্যাপ্ত স্থান;
• অপর্যাপ্ত বিশুদ্ধ বায়ু চলাচলের পথ;
• বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ত্রুটি;
• গার্ডবিহীন টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন;
• যন্ত্রাদির ধারালো কাটিং এজ এর অসাবধান ব্যবহার;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির চোখা অংশের অসাবধান ব্যবহার;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির ঢিলা বা ভাঙ্গা অংশ থাকা;
• মেঝেতে পড়ে থাকা তৈল, গ্রীজ ও অন্যান্য তরল পদার্থ;
• ধাতব চিপস এবং বিভিন্ন স্ক্র্যাপ মেটাল;
• অনিয়মতান্ত্রিক কার্যাভ্যাস ইত্যাদি।
• যেকোনো টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনটুলে কাজ করার সময় সেফটি গগলস পরিধান করা। এছাড়া-
• সর্বদা শক্ত ও অপিচ্ছিল তলাযুক্ত জুতা পরিধান করা। কারণ চিপ জুতার তল কেটে পায়ের নিচে আঘাত করতে পারে। তা ছাড়া পড়ন্ত বস্তুর হাত থেকে পা-কে রক্ষা করা যায়, স্যান্ডেল পরিধান করে ওয়ার্কশপে কাজ না করা। কারণ যে কোনো সময় ভারী জিনিস পায়ের উপর পড়তে পারে, যা মারাত্মক আঘাতের কারণ হয়;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় সর্বদা আঁটসাঁট পোশাক পরিধান করা। কারণ ঢিলা এবং ছেঁড়া পোশাক চলমান যন্ত্রাংশে আটকে যেতে পারে;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় হাতাকাটা বা কনুইয়ের উপর পর্যন্ত ভাঁজ করা জামা ব্যবহার করা। কারণ লম্বা হাতে চলমান যন্ত্রাংশ আটকে যেতে পারে; ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় আংটি, হাত ঘড়ি ও কব্জির অলংকার পরিধান না করা। কারণ এগুলি আঘাতের কারণ হতে পারে;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় নেক-টাই, মাফলার ও চাদর পরিধান না করা। কারণ এগুলি চলমান যন্ত্রাংশে জড়িয়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে;
• লম্বা চুল অবশ্যই বেঁধে রাখা। কারণ লম্বা চুল চলমান যন্ত্রাংশে জড়িয়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে;
• সূক্ষ্ম মেশিনিং কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার না করা। কারণ পরিমাপে সমস্যা হয়;
• কাঁচামাল স্ক্র্যাপ ও চিপে হাত লাগাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করা;
• বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় রাবারের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা;
• অ্যাপ্রন পরিধান পূর্বক কাজ করা ইত্যাদি।
টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন অপারেশনে ওয়ার্ক প্রসিডিউর এবং স্যুষ্ঠুভাবে কার্যাদী পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু আদর্শ বিষয় রয়েছে। এ আদর্শ বিষয়সমূহ সঠিকভাবে জেনে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারলে টুলস - ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন অপারেশন কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয় সহজ হয়ে যায়। সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে যায়। পক্ষান্তরে মেকানিক্স হাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির যেমন স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়, তেমনি অপারেটরের ঝুঁকি হ্রাস পায় ও কর্মস্থলের পরিবেশ স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
• বিদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনপরিচালনায় অবশ্যই গগলস পরিধান করা;
• মেরামত না করে কোনো ত্রুটিযুক্ত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার না করা;
• ইলেকট্রিক লাইন বিচ্ছিন্ন করার সময় তার ধরে না টেনে প্লাগ ধরে টানতে হবে;
• কার্যবস্তুতে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগে মোটরের উপর বেশী লোড অপারেশন চলাকালীন টুলস ইন্সট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতি অযত্নে ফেলে না রাখা;
• ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার না করা;
• লম্বা চুল ও ঢিলা-ঢালা পোষাক পরিহার করতে হবে ইত্যাদি।
• অনুমোদিত চোখের সুরক্ষা পরিধান করা;
• মেশিন অপারেশনের সাথে সংগতিপূর্ণ শোভন পোষাক পরিধান করা ;
• পোষাক ঢিলে ঢালা ও অত্যন্ত দাহ্য না হওয়া;
• হাই-টপ জুতা, চামড়ার অ্যাপ্রন, চামড়ার গ্লাভস পরিধান করা;
• কফলেট প্যান্ট পরা;
• পকেট থেকে সমস্ত কাগজ সরিয়ে রাখা;
• সিন্থেটিক পোষাক ও গয়না না পরা;
• লম্বা চুল বা লম্বা ক্যাপ না রাখা বরং হেলমেট ব্যবহার করা;
• হাতুড়ি ব্যবহারে হাতের আঙ্গুল সাবধানে রাখা;
• জোড়ে কথা না বলা এবং কাজে মন দেয়া;
• কার্যস্থান ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার রাখা;
• প্রস্থানের পথ পরিষ্কার রাখা;
• চর্বিযুক্ত এবং তৈলাক্ত বস্তু মেঝে থেকে পরিষ্কার করা;
• এয়ার ক্লিনার ও এয়ার হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা ;
• সঠিক আকারের ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করা;
• রেঞ্চের জায়গায় কখনো প্লায়ার্স ব্যবহার না করা;
• হাতুড়ি দিয়ে রেঞ্চে আঘাত না করা ;
• কাটিং টুল ধারালো রাখা, ভোঁতা টুল ব্যবহার না করা;
• আঙ্গুলের নখ বড় না রাখা;
টুলস ইকুইপমেন্ট সঠিকভাবে এবং যথাস্থনে সংরক্ষন করা;
• পকেটে ধারালো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট বহন না করা; ধারালো প্রাপ্তের সরঞ্জাম অধিক নিরাপদে রাখা;
• ক্ষতিগ্রস্থ টুলসগুলিকে অনিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত করা;
• ক্ষতিগ্রস্ত টুলস ইন্সট্রুমেন্ট-কে মেরামত না করা পর্যন্ত ব্যবহার না করা;
• অতি প্রয়োজনে গ্লাভস পড়া, কারণ গ্লাভস পড়ে ভারী টুলস বা সরঞ্জাম ধরতে অসুবিধা হয় ইত্যাদি।
আরও দেখুন...