ভারী জাতের ক্ষেত্রে ১৪ ইঞ্চি×১০ইঞ্চি×১৪ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা) এবং হালকা জাতের ক্ষেত্রে ১২ইঞ্চি×১২ ইঞ্চি×১৪ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা) মাপের ১ টি বাক্সেই ৪-৫ টি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে ডিম পাড়া একক বাক্স বহুতল বিশিষ্ট করা যায়, সেক্ষেত্রে বাক্সের সামনে সমান্তরাল সিঁড়ি দিতে হয় ।
একক বাসা পাশাপাশি স্থাপন করা যায়।
বাসা কাঠ বা আয়রন শিট দিয়ে তৈরি করা যায় ।
বাসার উপরিভাগে ঢালু থাকে, ফলে মুরগি বসে পায়খানা করে নোংরা করতে পারে না ।
বাসার সামনে মুরগির দাঁড়ানোর প্লাটফরম থাকে। রাত্রে প্লাটফরম ভাঁজ করে বাসায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ করা যায় ।
রাত্রে বাসার ভেতর মুরগি বসতে পারলে ব্রুডি হতে পারে এবং পারখানার করে নোংরা করতে পারে।
ঘরের নির্জন ছায়াযুক্ত, ঠাণ্ডা ও পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল সম্পন্ন জায়গায় বাসা দিতে হবে। প্রয়োজনে বাসাগুলো সরানো যাবে।
খ) দলভিত্তিক বাক্স
বড় বাণিজ্যিক খামারে এই ধরণের বাক্স ব্যবহৃত হয়। ৫০টি ডিমপাড়া মুরগির জন্য ৬০ইঞ্চিx ২৪ইঞ্চি× ২৪ ইঞ্চি (দৈর্ঘ্য গ্রন্থ x উচ্চতা) যাগের ১টি দলভিত্তিক বাক্সই যথেষ্ট।
বাসার ভেতর এককভাবে ডিম পাড়ার জন্য কোনো পার্টিশন থাকে না।
এই বাসার উভয় প্রাজ্ঞে মুরগি ঢোকার পথ থাকে।
ডিম সংগ্রহের জন্য স্লাইডিং দরজা থাকে ।
গ) রোল ওয়ে বাসা:
মুরগির খাঁচার মেঝের সামনে চালু তৈরি করা হয়।
খাঁচার মেঝের উপর ডিম পাড়লে গড়িয়ে খাচার বাইরে চলে আসে।
পাঁচার বাইরে ডিম জমা হওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
যান্ত্রিকভাবে ডিম সংগ্রহের জন্য ২ সারিতে খাঁচা স্থাপন করা হয়।
উভয় সারির নিজ দিয়ে কনভেয়র বেল্ট থাকে।
ডিম পড়িয়ে এই বেল্টের উপর পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিম সংগ্রহ ঘরে চলে যায়।