ড্রইং শীটের লে-আউট Drawing Paper Layout)
ড্রইং শীটের লে-আউট বলতে বুঝায় কতকগুলো সুসামস্য লাইনের বিন্যাস বা সাজানো। একটি ড্রইং শীটে সুন্দর, সুষম ও পরিছন্ন লে-আউটের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং-এর সৌন্দর্য ও সার্থকতা নির্ভর করে। মানানসই ফেলে ড্রইং শীটে বিভিন্ন ভিউগুলো সুসামঞ্জস্যভাবে স্থাপন করতে হবে। বর্ডার লাইন, মার্জিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, পীচ নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত করে লে-আউট এর কাজ শেষ করতে হবে। লে-আউট সমাপ্তির পর মূল ড্রইং এ হাত দিতে হবে।
ড্রইং শীটে লে-আউটের পূর্বে লে- জাউট সম্পর্কিত কিছু তথ্য যেমন- মার্কিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক সম্বন্ধে জানা দরকার।
মার্জিন (Margin)
ড্রইং শীটকে নির্দিষ্ট সাইজে রাখার জন্য চতুর্দিকে যে জায়গা ছেড়ে অংকন করা হয় তাকে মার্জিন বলে। ফাইলে গাঁথার জন্য অন্য তিন দিক অপেক্ষা বাম দিকে বেশি জায়গা ছাড়া হয়। বিভিন্ন শীটের ক্ষেত্রে মার্জিন ছাড়ার নিয়ম নিচে দেয়া হলো-
A০ বামে ও ডানে ২৮ মিমি. এবং উপরে-নিচে ২০ মিমি.
A১ বামে ও ডানে ২০ মিমি এবং উপরে-নিচে ১৪ মিমি.
A২ বামে ও ডানে ১৪ মিমি. এবং উপরে-নিচে ১০ মিমি.
A৩ বামে ও ডানে ১০ মিমি. এবং উপরে-নিচে ৭ মিমি. এবং
A৪ বামে ও ডানে ৭ মিসি, এবং উপরে-নিচে ৫ মিমি.।
ফোল্ডিং মার্ক (Folding Mark)
ড্রইং পেপারকে ফাইলে রাখার সুবিধার্থে শীটের চারপাশে সম দূরত্বে ভাঁজ চিহ্ন দেওয়া হয়। একে ফোল্ডিং মার্ক বলে। এই ভাঁজ চিহ্ন অনুসরণ পূর্বক পরবর্তীতে শীট ভাঁজ করে ফাইলে রাখা সহজ হয়। A0-A৩ থেকে সাইজের শীটের ভাঁজ দুই পদ্ধতিতে করা হয়।
নিচে টেবিলে ভাঁজের মাপগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
ড্রইং শীটের বিভিন্ন প্রকার সাইজ
জ্যামিতিক অংকনের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর মধ্যে ড্রইং শীট অন্যতম। গুণগত বিচারে বেশ কয়েক ধরনের ড্রইং শীট বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর নির্দিষ্ট মাপ ও মান আছে। সুন্দর অংকনের জন্য ঝকঝকে, সাদা, মোটা অথচ মসৃণ কাগজ ব্যবহার করা যায়। অপরদিকে খসরা বা রাফ ড্রইং এর জন্য অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের কাগজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ট্রেসিং বা কপি করার জন্য আধা স্বচ্ছ ও আলোকভেদী পাতলা ট্রেসিং পেপার ব্যবহার করা হয়। এগুলো রোল হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো চওড়ায় ৪০ ইঞ্চি এবং লম্বায় ২০ গজ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডস (ISO) কতৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সাইজেরা ড্রইং পেপার-এর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
উপরের তালিকায় A0 থেকে A৫ সাইজের পেপার দেখানো হয়েছে। পরের পৃষ্ঠায় সিরিজ পেপারের নমুনা দেখানো হলো।
৩.৩ নং টেবিলে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ড (ISO) কর্তৃক নির্ধারিত তিনটি সিরিজের পেপার সাইজ দেখানো হয়েছে।
৩.ও নং টেবিলে ANSI (American National Standard Institute) কর্তৃক নির্ধারিত আটটি সিরিজের পেপার সাইজ দেখানো হয়েছে।
উপরের টেবিলে পেপার সাইজAH তালিকা দেখলে বুঝা যায় যে, A এর উচ্চতা B এর বেস বা ভূমি। এভাবে C এর উচ্চতা D এর ভূমি। নিচে A-E পর্যন্ত একটি লে-আউট দেখানো হলো।
৩.৫ নং চিত্রে A-E পর্যন্ত পেপার সাইজ লে-আউট দেখানো হলো-
ছবিগুলি দেখে তোমাদের কী মনে হচ্ছে? প্রাকটিশনে জিওমেট্রিক্যাল ড্রইং করার পরিবেশ আছে কী? ছবি দেখেই বুঝতে পারছ ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে কাজ করার আগে ও পরে কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে।
ড্রইং টেবিলে শীট স্থাপন কৌশল (Drawing Sheet Setup Technique)
ড্রইং টেবিলে ড্রইং শীট স্থাপনের লক্ষে নিম্নোক্ত কৌশল অবলম্বন করতে হবে-
বর্ডার লাইন (Border Line )
বর্ডার লাইন হলো ড্রইং শীটের চতুর্পাশে মার্জিন লাইনের কিছুটা ভিতরে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত মোটা গাঢ় একক লাইন। বর্ডার লাইনের ভিতরে কিছুটা ছেড়ে মূল ড্রইং করতে হয়। কেবলমাত্র টাইটেল ব্লকটি বর্ডার লাইনের সাথে লাগানো থাকে।
টাইটেল দ্বীপ (Title Strip) ও রেকর্ডিং স্ক্রীপ (Recording Strip)
টাইটেল দ্বীপ (Title Strip):
টাইটেল স্ট্রাপ ড্রইং শীটের একটি অপরিহার্য অংশ। ড্রইং শীটের ডানে নিচে এর অবস্থান। বড়ো শীটের জন্য টাইটেল স্ট্রীপের মাপ ১৮৫ মিমি. x ৬৫ মিমি. এবং ছোটো শীটের জন্য এই মাপ ১২০ মিমি. x ৫৫ মিমি.। নিচের চিত্রে টাইটেল স্ট্রীপের একটি নমুনা দেখানো হলো-
টাইটেল স্মীপে বা ব্লকে যে সকল বিষয় লিপিবদ্ধ করতে হয় তা হলো-
১) Name of the Firm;
২) Title of the drawing;
৩) Scale;
৪) Symbol for the method of projection;
৫) Drawing number;
৬) Initial with dates of persons who have designed, drawn, checked, standards and approved;
৭) No. of sheet and total number of sheet of the drawing of the object.
রেকর্ডিং দ্বীপ (Recording Strip )
রেকর্ডিং স্ক্রীপ রিভিসন ব্লক নামে পরিচিত। ড্রইং শীটের একাংশ রিভিসনের উদ্দেশ্যে রাখা হয়। Ao,A,As ইত্যাদি বড়ো সাইজের শীটের আয়তনকে কয়েকটি সমান সংখ্যক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এক এক শীটের অঞ্চল বিভাজনে এক এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়। যেমন- A0, A1, A২ শীটের দৈর্ঘ্যকে যথাক্রমে সমান ১৬, ১২ এবং ৮ ভাগে ভাগ করা হয় এবং এগুলোকে ১,২,৩, ... সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। অপরদিকে শীটের গ্রন্থকে যথাক্রমে সমান ১২, ৮ এবং ৬ ভাগে ভাগ করে ইংরেজী অক্ষর যেমন- A,B,C... দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত রিভিসন ব্লক ফ্রেমের উপরের দিকে ডান কোণায় অথবা নিচে টাইটেল ব্লকের বামে অথবা টাইটেল ব্লকের উপরের দিকে থাকতে পারে। ড্রইং-এর যে কোনো পরিবর্তন রিভিসন টেবিলে লিপিবদ্ধ করা হয় ।
পার্টস লিস্ট (Parts List ): মেটিরিয়াল বা পার্টস লিস্টে যে সব তথ্য থাকা দরকার তা নিচে উল্লেখ করা হলো- টাইটেল ব্লকের উপরে পার্টস লিস্টের অবস্থান হতে পারে। পার্টসের সংখা অনেক বেশী হলে আলাদা শীট লাগানো যেতে পারে।
SI# part number
Part name specifications
Drawing* of the part other applicable information.
ড্রইং শীটের লে-আউট (Drawing Paper Layout)
ড্রইং শীটে লে-আউট বলতে বুঝায় ড্রইং এর বিন্যাস বা সাজানো। একটি ড্রইং শীটে সুন্দর, সুষম ও পরিচ্ছন্ন লে-আউটের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং- এর সৌন্দর্য ও সার্থকতা নির্ভর করে। মানানসই স্কেলে ড্রইং শীটে বিভিন্ন ভিউগুলো সুসামঞ্জস্যভাবে স্থাপন করতে হবে। মার্জিন, বর্ডার লাইন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত করে লে-আউট এর কাজ শেষ করতে হবে।
পেপার লে-আউটের পুর্বে লে-আউট সম্পর্কিত কিছু তথ্য যেমন-মার্জিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, ক্ষেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক সম্বদ্ধে জানা দরকার।
৩.৭ লাইন বা রেখা
রেখা : রেখার দৈঘ্য আছে কিন্তু এর প্রস্থ বা বেধ নেই। রেখা দুই প্রকার। যথা
১) সরল রেখা এবং
২) বক্ররেখা
সরল রেখা
দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী নুন্যতম দূরত্বকে সরলরেখা বলে। টী-স্কয়ার অথবা সেট স্কয়ার এর সাহায্যে দুইটি বিন্দুকে যোগ করলে একটি সরল রেখা অংকিত হবে ।
বক্ররেখা
গমন পথ সদা পরিবর্তনশীল রেখাই বক্ররেখা। অর্থাৎ বক্ররেখায় এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে দিক পরিবর্তন করে।
সমান্তরাল রেখা: পাশাপাশি সাজানো দুই বা ততোধিক সরলরেখা যেগুলো বাড়ালে কখনও একটি অপরটির সাথে মিলে না বা দূরে সরে যায় না, ঐরুপ রেখাগুলোকে সমান্তরাল রেখা বলে ।
উদাহারণ: একটি সরলরেখা থেকে ২০ মিমি. দূরে একটি সমান্তরাল টানতে হবে।
বিভিন্ন প্রকার লাইনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of different Lines)
অংকন প্রনালী: AB একটি সরলরেখা টানা হলো। ২০ মিমি. ব্যাসার্ধ নিয়ে A ও B কেন্দ্র করে দুইটি বৃত্তচাপ অংকন করতে হবে। বৃত্তচাপ দুইটি স্পর্শ করিয়ে একটি সরলরেখা টানা হলো। এই সরল রেখাটি সমান্তরাল রেখা হবে।
লম্ব (Perpendicular) রেখা: একটি সরলরেখা অপর একটি সরলরেখার উপর সমকোণে বা ৯০ ডিগ্রিতে মিলিত হলে একটি অপরটির উপর লম্ব হয় ।
৩.৯বিভিন্ন প্রকার লাইন বা রেখার ব্যবহারিক ক্ষেত্র(Characteristics of different Lines): বিভিন্ন প্রকার লাইন বা রেখার ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ হলো-
অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি (Method of Letterning and Mameric)
প্রকৌশল অংকন সাধারণত বিন্দু, লাইন, আর্ক, সার্কেল ও বহুভূজের সমন্বয়ে গঠিত । একটি চিত্রের সকল প্রকার তথ্য কেবলমাত্র নকশার সাহায্যে উপস্থাপন করা যায় না । একটি ড্রইং-এর পূর্ণাঙ্গ তথ্যের মধ্যে থাকে সাধারণ বৃত্তান্ত,যন্ত্রাংশের নাম এবং যন্ত্রাংশের মেটেরিয়াল তালিকা । এ সকল তথ্য উপস্থাপনের কৌশল হলো অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি ।
অক্ষর এবং সংখ্যা লেখন পদ্ধতি : অক্ষর ও সংখ্যা মূলত দুই ভাবে লেখা হয় । যেমন-
১। খাড়াভাবে (Vertical or Upright Position)
২। হেলোনা বা কাতভাবে ( Slant or Inclined Position)
গ্রাফ অংকন করার পদ্ধতি
ম্যানুয়্যাল ড্রাফটিং-এ টেমপ্লেট এর সাহায্যে লেটারিং করার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে টেমপ্লেট ব্যবহার করে লেটারিং করা যায় না। যেখানে টেমপ্লেট ব্যবহার করে লেটারিং করা যায় না সেখানে অক্ষরকে সুন্দর ও সুষম করে লেখার জন্য গ্রাফ তৈরি করে নিতে হয়।
গ্রাফ তৈরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম :
নিচে গ্রাফ তৈরির নমুনা দেখানো হলো-
নিচের চিত্রে ১ম ধাপ-এর মতো একটি অনুভূমিক সরলরেখা BC অংকন করতে হবে। এখন BC সরলরেখার B বিন্দুতে BA লম্ব টানতে হবে। ২য় ধাপে AB কে সমান ৭ ভাগে ভাগ করতে হবে। এই ৭ভাগের যে কোনো একটি ভাগের দুরত্ব নিয়ে BC কে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ভাগ করার জন্য B বিন্দুতে ৪৫° কোপে ২য় খাপের মতো রেখা টানতে হবে। এখন, ৩য় ধাপে ৪৫° কোণে টানা রেখা এবং অনুভূমিক রেখার ছেদ বিন্দু দিয়ে খাঁড়া রেখা টানলে চিত্রানুযায়ী একটি গ্রাফ বা লেখচিত্র অংকিত হবে।
বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যার তালিকা
লেটারিং (Lettering): অক্ষর এবং সংখ্যা লেখার কৌশলকে ইংরেজিতে লেটারিং বলে।
লেটারের সাধারণ অনুপাত (General Proportions of Letters):
লেটারের সাধারণ অনুপাত বলতে প্রত্যেক লেটারের Height, Width Ges Spacing এর অনুপাত বুঝায়। লেটারের Height, Width Ges Spacing -এর উপর ভিত্তি করে লেটার অনুপাতকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা
(১) স্বাভাবিক লেটার (Normal Letters), এবং Width - 0.67 Height,
(২) ঘনীভূত (Condensed Letters) এর Width এবং Spacing স্বাভাবিক লেটারের থেকে কম হয়, অপর দিকে
(৩) প্রসারিত লেটার (Extended Letters) এর ক্ষেত্রে Width – Height হয়ে থাকে।
অক্ষরের শ্রেণি বিন্যাস (Classification of Lettering)
অক্ষর মূলত তিন প্রকার । যথা-
১) গোথিক অক্ষর (Gothic Lettering)
গোথিক লেটারিং এ সকল অক্ষর এবং সংখ্যার পুরুত্ব একই থাকে। নিচের লেখাগুলো গোথিক লেটারিং।
গোষ্ঠিক লেটারিংকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
(ক) খাড়াভাবে (Vertical or upright Gothic Lettering)অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি
১.১ Single Stroke Virtical Gothic Lettering
১.২ Double Stroke Virtical Gothic Lettering
১.৩ Lower case Virtical Gothic Lettering
(খ) হেলোনা বা কাতভাবে (Inclined or Italic Gothic Lettering) অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি
১.১ Single Stroke italic Gothic Lettering
১.২ Double Stroke Italic Gothic Lettering
১.৩ Lower case Italic Gothic Lettering
২) রোমান অক্ষর (Roman Lettering)
রোমান লেটারিং-এ অক্ষর এবং সংখ্যার পুরুত্ব এক রকম না হয়ে মোটা ও চিকন সংমিশ্রণে হয়ে থাকে । রোমান লেটারিং খাঁড়া ও হেলানো উভয় লেখা যায়। নিচের লেখাগুলো রোমান লেটারিং |
৩) মুক্তহস্ত অক্ষর (Free Hand Lettering)
কোনো প্রকার ড্রইং যন্ত্রপাতির সাহায্য না নিয়ে খালি হাতে লেখন কৌশলকে ফ্রি হ্যান্ড লেটারিং বলে । ফ্রি হ্যান্ড লেটারিং খাড়া ও হেলানো উভয় প্রকার হতে পারে। এ সব অক্ষরকে আবার দুই বাবে লেখা যায় । যমেন-
১। বড়ো হাতের অক্ষর (Capital letter)
২ । ছোটো হাতের অক্ষর (Small Letter)
বড়ো হাতের অক্ষর সাধারণত হেডিং (Heading) লেখার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অধিকাংশ তথ্য উপস্থাপন ছোটো হাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয় ।
অক্ষরের উচ্চতা ও প্রস্থ (Height and Width of Letters )
অক্ষরের উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত সাধারণত ৫:৪ বা ৭:৪ রাখা হয়। অর্থাৎ উচ্চতা ৫ বা ৭ ঘর হলে অক্ষরের প্রস্থ হবে ৪ ঘর । কোনো কোনো অক্ষরের বেলায় এর ব্যতিক্রম ঘটে। যেমন – ইংরেজি I অক্ষর এক ঘর E ও F সাড়ে তিন ঘর,J তিন ঘর এবং W পাঁচ ঘর । বাকি অক্ষরগুলোর প্রস্থ ৪ ঘর হয়ে থাকে
অক্ষরের আকার(Size of Letters )
লেটারের সাইজ বলতে লেটারের উচ্চতাকে বুঝায়। নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে ড্রইং- এ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সেটার উল্লেখ করা হলো
বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি-
বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি নিয়ে উল্লেখ করা হলো- ৫:৪ অনুপাতে বড়ো হাতের অক্ষর লেখার পদ্ধতি (Method of Capital Lettering) :
খাড়া ও হেলানো ছাড়া বড়ো অক্ষর লেখার আরও দুইটি পদ্ধতি আছে। যথা-
এক টানে বড়ো হাতের লেখার নতি কোণ(Angle of Inclination of Lettering Capital Letters in Single Stroke)
নিচের চিত্রে ৭:৪ এবং ৪:৪ অনুপাতের দুটি নতি কোণ দেখানো হলো। চিত্রটি দেখলে ৰুৱা যাৰে যে, উপরের ২ ঘর ও নিচের • ঘরের সাথে সংযুক্ত সরলরেখা ৭৫ নস্তি কোপ উৎপন্ন করেছে। সেট-স্কয়ার এর সাহায্যে অতি সহজে ৭৫* নতি অংকন করা যায় বিধায় ৭৫' নতিতে রেখা সুবিধাজনক। এক টানে বড়ো হাতের লেখার নভি কোপ দেখানো হলো।
এক টানে ছোটো হাতের লেখার পদ্ধতি(Method of Lettering Small Letters in Single Stroke)
ছোটো হাতের অক্ষরের সমান উচ্চতা নিয়ে দুইটি অনুভুমিক রেখা টানতে হবে। পরে এর উপর নিচে অর্ধেক উচ্চতা নিয়ে আরও দুইটি অনুভূমিক সরলরেখা টানতে হবে। খাড়া অক্ষরের জন্য ৯০ ডিগ্রি এবং নতি অক্ষরের জন্য ৬০ ডিগ্রিতে নিয়ামক রেখা নিয়ে লেখা যাবে। নিচের চিত্রে ছোটো হাতের লেখার নমুনা দেখানো হলো-
আরও দেখুন...