এই সংখ্যা গুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলোর বামপাশে ঋণাত্মক চিহ্ন (-) আছে। তার মানে এই সংখ্যাগুলো ঋণাত্মক এবং মূলদ সংখ্যা, অর্থাৎ ঋণাত্মক মূলদ সংখ্যা।
মূলদ সংখ্যার মৌলিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে আমরা সাধারণ ভগ্নাংশকে সরল করতে পারি। এক্ষেত্রে হর ও লব উভয়কে মৌলিক উৎপাদকে বিশ্লেষণ করে মূলদ সংখ্যার মৌলিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করতে হয়। যেমন-
গ্রিসের গণিতবিদ পিথাগোরাসের অনুসারী হিপ্পাসাসের মাথায় একদিন প্রশ্ন জাগে যে, একটি বর্গের বাহুর দৈর্ঘ্য ১ একক (১ মিটার, ১ সেমি, ১ ইঞ্চি যা ইচ্ছে হতে পারে) হলে সেই বর্গের কর্ণের দৈর্ঘ্য কত একক? যেহেতু বর্গকে কর্ণ বরাবর কেটে অর্ধেক করলে আমরা একটি সমকোণী ত্রিভুজ পাই যার উচ্চতা ও ভূমি পরস্পর সমান। তাহলে, প্রশ্নটা এভাবেও বলা যেতে পারে, ১ একক দৈর্ঘ্যের একটি সমদ্বিবাহু সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের দৈর্ঘ্য কত একক?
পিথাগোরাসের সূত্র প্রয়োগ করে পাই,
দশমিক ভগ্নাংশের বর্গমূল নির্ণয়
তোমরা পূর্বের শ্রেণিগুলোতে দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যার যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের নানা পদ্ধতি এবং দশমিক ভগ্নাংশকে সাধারণ ভগ্নাংশে প্রকাশ করে কীভাবে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের সহজ কৌশল পাওয়া যায় সে- সম্পর্কে জেনেছ। এই কৌশলগুলোর সমন্বয়ে আমরা দশমিক ভগ্নাংশের বর্গমূল নির্ণয় করতে পারি।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, বর্গমূলের মতো একটি ভগ্নাংশের ঘনমূল তার লব ও হরের ঘনমূলের ভাগফলের সমান। এক্ষেত্রে খেয়াল করো যে, ভগ্নাংশের লব ও হর উভয়ই ধনাত্মক সংখ্যা। কোনোটি যদি ঋণাত্মক হয় তাহলে কি একইভাবে ঘনমূল নির্ণয় করা সম্ভব হবে? ভেবে দেখো।
আরও দেখুন...