সরকারি সকল অফিসের এখন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেইজ বা গ্রুপ থাকে যেখানে সকল নোটিশ, অগ্রগতি প্রতিবেদন, প্রয়োজনীয় ফর্ম, বিভিন্ন কার্যাবলির ছবি ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকে। এমনকি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগও করা যায়। অনেক অফিসে সপ্তাহে প্রতিদিন চব্বিশ ঘণ্টা যোগাযোগ করা যায়। বেসরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও গ্রাহক সেবাকে সহজলভ্য ও ব্যবহারকারীর জন্য সহজ করার জন্য বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে। কিছু কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজের অ্যাপে গ্রাহকেরা তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমরা এই অভিজ্ঞতায় নিজেদের জন্য একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন করব যেখানে আমাদের ক্লাসের সকল তথ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অন্যদের জন্য উন্মুক্ত রাখব ঠিক যেমন অন্যান্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়। শুরুতে খুব সাধারণ একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলেও পরবর্তি সময়ে আরও সমৃদ্ধ একটা ওয়েবসাইটও আমরা তৈরি করতে পারব। কিন্তু আমরাতো এখনোও ওয়েবসাইট তৈরী করা জানি না! উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ওয়েবসাইট তৈরি করা এখন অনেক সহজ। এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম রয়েছে যেগুলো দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রীতে খুব সহজেই তৈরি করা টেমপ্লেটে বা ডিজাইনে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। এজন্য আমাদের প্রথমে পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনায় যেসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে সেগুলো ছকে উল্লেখ করা হলো:
|
তথ্য ছক-৩.৪: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এমন ওয়েবসাইট/পেইজ তৈরিতে বিবেচ্য বিষয়াবলি
এসব বিষয় আলোচনার জন্য আমরা দলে কাজ করব। এর বাইরে আরও কোনো বিবেচ্য বিষয় থাকলে তা আমরা দলে অনুসন্ধান করব। উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করে প্রত্যেক দল একটি করে ওয়েবসাইট বা পেইজের ডিজাইন করব। নিচে দেওয়া ডিজাইনের মতো করে খাতা বা পোস্টারে নিজেদের প্রতিষ্ঠান বা ক্লাসের জন্য একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন করব। ডোমেইনের নাম, ওয়েবসাইট/প্রতিষ্ঠান/ক্লাসের নাম, মেন্যুর নাম, ছবি/গ্রাফিক্সের বর্ণনা, মেধাস্বত্ব/কপিরাইটের তথ্য ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে কাজটি করব। ওয়েবসাইট ডিজাইনে সব সময় মনে রাখব যে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেন আমাদের কার্যাবলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
আরও দেখুন...