যার ওজন আছে এবং জায়গা দখল করে তাই পদার্থ। আমাদের চারপাশের সবকিছুই পদার্থ। এমনকি বায়ু যা আমরা দেখতে পাই না তাও পদার্থ।
প্রশ্ন : পদার্থ কী দিয়ে তৈরি ?
কাজ : এক খণ্ড চক গুঁড়া করি ।
কী করতে হবে :
১. কয়েক খণ্ড চক, খবরের কাগজ এবং একটি হাতুড়ি নিই ৷
২. নিচের ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
এক খণ্ড চক | ভাঙা চক | চকের গুঁড়া |
---|---|---|
৩. এক খণ্ড চক পর্যবেক্ষণ করি এবং ছকে তার ছবি আঁকি।
8. খবরের কাগজের উপরে চক খণ্ডটি রেখে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ছোট ছোট টুকরা করি।
৫. ভাঙা চক পর্যবেক্ষণ করি এবং ছকে তার ছবি আঁকি।
৬. হাতুড়ি দিয়ে চকের ছোট টুকরাগুলো আরও ভেঙে মিহি গুঁড়া করি।
৭. চকের মিহি গুঁড়া পর্যবেক্ষণ করে ছকে তার ছবি আঁকি।
পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নিচের বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করি।
* তুমি কি মনে কর চকের মিহি গুঁড়া এবং চক খণ্ড একই ?
* তুমি কি মনে কর চকের মিহি গুঁড়াকে আরও ছোট করা সম্ভব ?
খালি চোখে দেখা যায় না এমন সূক্ষ্ম কণা দিয়ে পদার্থ গঠিত। পদার্থের এই সূক্ষ্ম কণাই হলো পরমাণু। দুই বা ততোধিক পরমাণু একত্রিত হয়ে অণু গঠন করে। পদার্থ হলো অসংখ্য অণুর সমষ্টি।
পদার্থ কঠিন, তরল না বায়বীয় অবস্থায় থাকবে তা নির্ভর করে পদার্থের অণুগুলো কীভাবে সাজানো, এদের মধ্যে বন্ধন কেমন, তার উপর। পানি একটি পদার্থ। পানির তিনটি অবস্থা রয়েছে। যেমন— বরফ, পানি এবং জলীয় বাষ্প। পানি অসংখ্য পানির অণু দ্বারা গঠিত। এই অণুসমূহ সবসময়ই গতিশীল। কঠিন পদার্থ যেমন— বরফে পানির অণুসমূহ খুব কাছাকাছি থাকে এবং তাদের বন্ধন অনেক বেশি দৃঢ়। তরল পদার্থ যেমন— পানিতে পানির অণুসমূহ যথেষ্ট কাছাকাছি থাকলেও তাদের চলাচল করার জন্য অণুগুলোর মাঝে অল্প কিছু খালি জায়গা থাকে। আবার বায়বীয় পদার্থ যেমন— জলীয় বাষ্পে পানির অণুসমূহ একে অপর থেকে বেশ দূরে অবস্থান করে। বায়বীয় পদার্থের অণুগুলোর মাঝে অনেক বেশি খালি জায়গা থাকে। ফলে অণুগুলো দ্রুতগতিতে সর্বক্ষণ স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে।
আরও দেখুন...