পরিমাপন স্কেল ও এর প্রকারভেদ
পরিমাপন স্কেল (Measurement Scale) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিভিন্ন মান বা উপাত্তকে পরিমাপ এবং শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এটি গবেষণা, পরিসংখ্যান এবং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পরিমাপন স্কেল সাধারণত চারটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:
নামমাত্র স্কেল হলো সেই পরিমাপ পদ্ধতি যা কেবল উপাত্তকে শ্রেণিবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়। এই স্কেলে উপাত্তের মধ্যে কোনো ক্রম বা পরিমাণগত তুলনা করা যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
ক্রমিক স্কেল এমন একটি পদ্ধতি যা উপাত্তের মধ্যে ক্রম বা স্তর নির্দেশ করে। তবে এই স্কেলে পরিমাণগত ব্যবধান নির্ধারণ করা যায় না।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
অন্তরাল স্কেল এমন একটি স্কেল যা উপাত্তের মধ্যে পার্থক্য বা ব্যবধান নির্ধারণ করতে সক্ষম। তবে এই স্কেলে প্রকৃত শূন্য বিন্দু থাকে না।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
অনুপাত স্কেল সবচেয়ে উন্নত ধরনের স্কেল, যা প্রকৃত শূন্য বিন্দু নিয়ে কাজ করে। এটি উপাত্তের তুলনা এবং পরিমাপের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
স্কেলগুলোর তুলনামূলক চার্ট:
স্কেল | ক্রম (Order) | ব্যবধান (Interval) | প্রকৃত শূন্য (True Zero) |
---|---|---|---|
নামমাত্র স্কেল | নেই | নেই | নেই |
ক্রমিক স্কেল | আছে | নেই | নেই |
অন্তরাল স্কেল | আছে | আছে | নেই |
অনুপাত স্কেল | আছে | আছে | আছে |
সারসংক্ষেপ
পরিমাপন স্কেল বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। নামমাত্র স্কেল উপাত্তকে শ্রেণিবিন্যাস করতে সাহায্য করে, ক্রমিক স্কেল ক্রম নির্ধারণ করে, অন্তরাল স্কেল ব্যবধান নির্দেশ করে, এবং অনুপাত স্কেল সুনির্দিষ্ট পরিমাপ ও তুলনার সুযোগ দেয়।