গল্পাংশটি ছোটোদের জন্য লেখা মহাভারতের ‘আদিপর্ব' থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পের মূল বিষয় পাণ্ডু ও কুরুর সন্তানদের মধ্যকার পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সম্পর্ক এবং যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শিতা প্রদর্শন। অস্ত্রবিদ্যার গুরু দ্রোণাচার্য হস্তিনাপুর এলে ভীষ্ম তাঁকে রাজকুমারদের শিক্ষক হিসেবে সাদরে গ্রহণ করেন । দ্রোণাচার্যও ততোধিক স্নেহ ও সযত্নে কুমারদের যুদ্ধবিদ্যা শেখালেন। রাজকুমার অর্জুন তার কাছে সর্বাধিক প্রিয় হয়ে ওঠেন। এতে কর্ণ ও দুর্যোধনরা পাণ্ডবদের প্রতি রুষ্ট হন। অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে অর্জুনের পারদর্শিতায় মুগ্ধ হয়ে আশীর্বাদ হিসেবে দ্রোণাচার্য তাঁকে ‘ব্রহ্মশিরা' অস্ত্র পুরস্কার দেন। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে রণক্ষেত্রে রাজকুমারদের রণকৌশল প্রদর্শনী করা হলে সবাই যুদ্ধবিদ্যা দেখিয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন । অর্জুনের রণকৌশল সর্বাধিক প্রশংসিত হয়। আগ্রহ, চর্চা, নিষ্ঠা ও গুরুভক্তি মানুষকে যে-কোনো কঠিন কাজে যে পারদর্শী করে তুলতে পারে, এখানে তা-ই ফুটে উঠেছে।
Read more