পাঠ-পরিচিতি

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - বাংলা - সাহিত্যপাঠ | NCTB BOOK
1.5k
Summary

আবুল ফজলের “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধটি ১৯৭২ সালে রচিত এবং এটি প্রথম ‘মানবতন্ত্র' গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।

রচনাটিতে লেখক মানব-কল্যাণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছেন। সাধারণত, অনেকেই দুস্থদের দান-খয়রাতকে মানব কল্যাণ মনে করেন, কিন্তু লেখকের মতে, এটি সংকীর্ণ মনোভাব।

লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস, যার লক্ষ্য অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণ। তিনি বিশ্বাস করেন যে মুক্তবুদ্ধির মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুসারে কল্যাণময় পৃথিবী গড়া সম্ভব।


আবুল ফজলের “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত। এটি প্রথম ‘মানবতন্ত্র' গ্রন্থে সংকলিত হয়। এই রচনায় লেখক মানব-কল্যাণ ধারণাটির তাৎপর্য বিচারে সচেষ্ট হয়েছেন। সাধারণভাবে অনেকে দুস্থ মানুষকে করুণাবশত দান-খয়রাত করাকে মানব কল্যাণ মনে করেন। কিন্তু লেখকের মতে, এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক। তাঁর মতে, মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। এ কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো। লেখকের বিশ্বাস, মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনামাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...