Summary
আবুল ফজলের “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধটি ১৯৭২ সালে রচিত এবং এটি প্রথম ‘মানবতন্ত্র' গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।
রচনাটিতে লেখক মানব-কল্যাণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছেন। সাধারণত, অনেকেই দুস্থদের দান-খয়রাতকে মানব কল্যাণ মনে করেন, কিন্তু লেখকের মতে, এটি সংকীর্ণ মনোভাব।
লেখক বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস, যার লক্ষ্য অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় উত্তরণ। তিনি বিশ্বাস করেন যে মুক্তবুদ্ধির মাধ্যমে পরিকল্পনা অনুসারে কল্যাণময় পৃথিবী গড়া সম্ভব।
আবুল ফজলের “মানব-কল্যাণ” প্রবন্ধটি ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রচিত। এটি প্রথম ‘মানবতন্ত্র' গ্রন্থে সংকলিত হয়। এই রচনায় লেখক মানব-কল্যাণ ধারণাটির তাৎপর্য বিচারে সচেষ্ট হয়েছেন। সাধারণভাবে অনেকে দুস্থ মানুষকে করুণাবশত দান-খয়রাত করাকে মানব কল্যাণ মনে করেন। কিন্তু লেখকের মতে, এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক। তাঁর মতে, মানব-কল্যাণ হলো মানুষের সার্বিক মঙ্গলের প্রয়াস। এ কল্যাণের লক্ষ্য সকল অবমাননাকর অবস্থা থেকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় মানুষের উত্তরণ ঘটানো। লেখকের বিশ্বাস, মুক্তবুদ্ধির সহায়তায় পরিকল্পনামাফিক পথেই কল্যাণময় পৃথিবী রচনা করা সম্ভব।
Read more