বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্প

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প | - | NCTB BOOK
314
314

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎশিল্প ও কুটির শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উৎপন্ন হয়। আবার কিছু কিছু কারখানা রয়েছে যেখানে ফল পরিমাণে স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপন্ন হয়।

বৃহৎ শিল্প

বাংলাদেশে যে সকল বৃহৎশিল্প রয়েছে তার মধ্যে সার, সিমেন্ট, ঔষধ, কাগজ, চিনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ফেঞ্চুগঞ্জ, ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, তারাকান্দি প্রভৃতি স্থানে সার কারখানা আছে, তবুও বিদেশ থেকে আমাদের সার আমদানি করতে হয়। আমাদের নির্মাণ শিল্পের জন্য সিমেন্ট দরকার হয় যা আমাদের দেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়।

উন্নতমানের ওষুধ তৈরির জন্য ঔষুধ কারখানা আছে।

ফাগজ কলগুলোতে গাছের গুড়ি থেকে কাগজ তৈরি করা হয়। তিনটি সরকারি কাগজ কল রয়েছে চন্দ্রঘোনা, খুলনা এবং পাকশিতে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে বেশ কিছু কাগজকল স্থাপিত হয়েছে যা দেশের চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করে। তবে কিছু পরিমাণ কাগজ আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

আমাদের চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন ও পরিশোধন করা হয়। এদেশে সরকারি চিনি কল ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি চিনিকল রয়েছে। তবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করতে হয়।

কুটির শিল্প

যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে। বাংলাদেশের সুন্দরবন, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের বনাঞ্চলে কাঠ পাওয়া যায়। এই কাঠ দিয়ে বাড়িঘর এবং আসবাবপত্র তৈরি হয়, যেমন: খাট, টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ, আলমারি ইত্যাদি। গৃহস্থালির নানা কাজে কালার তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হয়।