বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্প

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প | NCTB BOOK
3.1k
Summary

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বৃহৎ শিল্প ও কুটির শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • বৃহৎ শিল্প:
    • প্রধান শিল্প: সার, সিমেন্ট, ঔষধ, কাগজ এবং চিনি।
    • কর্মস্থল: ফেঞ্চুগঞ্জ, ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, তারাকান্দি এ সকল স্থানে সার কারখানা এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের স্থান রয়েছে।
    • চাহিদা: কিছু পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, বিশেষ করে সার, কাগজ ও চিনি।
  • কুটির শিল্প:
    • সংজ্ঞা: ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে পণ্য উৎপাদন।
    • উৎপাদিত সামগ্রী: কাঠের আসবাবপত্র, মাটির পাত্র, বিভিন্ন সাজসজ্জা এবং অন্যান্য গৃহস্থালির জিনিস।
    • প্রসিদ্ধ এলাকা: জামালপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকা জেলার কিছু স্থান কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

শিক্ষকদের সহযোগিতায় আলোচনা এবং গবেষণা কার্যক্রমের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্ন ও কাজের সরব নির্বাচন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎশিল্প ও কুটির শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উৎপন্ন হয়। আবার কিছু কিছু কারখানা রয়েছে যেখানে ফল পরিমাণে স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপন্ন হয়।

বৃহৎ শিল্প

বাংলাদেশে যে সকল বৃহৎশিল্প রয়েছে তার মধ্যে সার, সিমেন্ট, ঔষধ, কাগজ, চিনি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের ফেঞ্চুগঞ্জ, ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, চট্টগ্রাম, তারাকান্দি প্রভৃতি স্থানে সার কারখানা আছে, তবুও বিদেশ থেকে আমাদের সার আমদানি করতে হয়। আমাদের নির্মাণ শিল্পের জন্য সিমেন্ট দরকার হয় যা আমাদের দেশের বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানাগুলোতে উৎপন্ন হয়।

উন্নতমানের ওষুধ তৈরির জন্য ঔষুধ কারখানা আছে।

ফাগজ কলগুলোতে গাছের গুড়ি থেকে কাগজ তৈরি করা হয়। তিনটি সরকারি কাগজ কল রয়েছে চন্দ্রঘোনা, খুলনা এবং পাকশিতে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে বেশ কিছু কাগজকল স্থাপিত হয়েছে যা দেশের চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করে। তবে কিছু পরিমাণ কাগজ আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

আমাদের চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন ও পরিশোধন করা হয়। এদেশে সরকারি চিনি কল ছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি চিনিকল রয়েছে। তবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করতে হয়।

কুটির শিল্প

যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে। বাংলাদেশের সুন্দরবন, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের বনাঞ্চলে কাঠ পাওয়া যায়। এই কাঠ দিয়ে বাড়িঘর এবং আসবাবপত্র তৈরি হয়, যেমন: খাট, টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ, আলমারি ইত্যাদি। গৃহস্থালির নানা কাজে কালার তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হয়। 

কুটির শিল্প

জামালপুর জেলার ইসলামপুর, টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি এবং ঢাকা জেলার ধামরাই কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আমরা মাটি দিয়ে মাটির পাত্র এবং পোড়ামাটির নানা জিনিস তৈরি করি, যেমন হাঁড়ি-পাতিল, থালা, ফুলদানি, টালি ইত্যাদি।

 

ক. এসো বলি

শিক্ষকের সহায়তার আলোচনা কর : 

• তুমি বাংলাদেশে কোন কোন শিল্প কারখানা দেখেছ? 

• তুমি কি দেখেছ এই কারখানাগুলো থেকে কী তৈরি হয়। 

• শিল্প কারখানাগুলো কত বড়? 

• শিল্প কারখানার ভবনগুলো কী ধরনের?

খ. এসো লিখি

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বা বৃহৎ শিল্প বা কুটির শিল্প থেকে যে কোনো একটি শিল্প বেছে নাও। এই শিল্পে কোন কোন কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় বর্ণনা কর। কাজটি জোড়ায় কর।

 

গ. আরও কিছু করি

যে কোনো একটি প্রসিদ্ধ শিল্প সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে বের কর। 

• কোম্পানিটির নাম কী? 

• শিল্পটির কারখানা কোথায়? 

• সেখানে কী তৈরি 

• কারখানাটি কত বড়?

 

ঘ. যাচাই করি

নিচের শিল্প কারখানাগুলো সঠিক কলামে লেখ।

কাঁসা        সিমেন্ট        কাগজ       মাটির পাত্র         সার

বৃহৎ শিল্পকুটির শিল্প
  
  
  
  

 

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...