মাংসল ভারী জাতের মোরগ-মুরগির মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে ব্রয়লার সৃষ্টি করা হয়, যাদের মাংস সুস্বাদু এবং অধিক খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা ও দৈহিক বৃদ্ধি হার এর কারণে ৪-৫ সপ্তাহে প্রায় ৪-৫ কেজি খাদ্য খেয়ে ২-২.৫ কেজি ওজন হয়।
এ অধ্যায়ের পাঠ শেষে আমরা-
যে সমস্ত আহার্য দ্রব্য পোল্ট্রির শরীরের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, উৎপাদন, প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে তাকে খাদ্য বলে। একটি ব্রয়লার খামারে মোট খরচের শতকরা ৬৫-৭০ ভাগই খাদ্য বাবদ খরচ হয়।
সুষম খাদ্য (Balanced diet):
পোল্ট্রির দেহের নির্বাহী কার্য পরিচালনা, শারীরিক বৃদ্ধি, উৎপাদন, পালক গঠন ও দেহের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য চাহিদা অনুপাতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে তৈরিকৃত খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে।
ব্রয়লার খাদ্যের পুষ্টি উপাদান (Nutrients in broiler food):
১. শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট
২. আমিষ বা প্রোটিন
৩. চর্বি বা স্নেহ জাতীয় পদার্থ বা ফ্যাট
৪. ভিটামিন বা খাদ্যপ্ৰাণ
৫. খনিজ পদার্থ বা মিনারল ও
৬. পানি
আমিষ বা প্রোটিন (Protein):
পোল্ট্রির দেহ গঠন ও ডিম উৎপাদনে আমিষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পোল্ট্রির দেহে আমিষ উপাদানের ২২ টি অ্যামাইনো অ্যাসিডে বিশ্লেষিত হয়। এর মধ্যে কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড মুরগির দেহে উৎপন্ন হতে পারে না। এদেরকে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড হিসাবে বিবেচিত করা হয়। খাদ্যে এদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত হিসাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি অ্যামাইনো অ্যাসিড সংযোজন করতে হয় ।
আমিষ বা প্রোটিনের কাজ-
শর্করা বা শ্বেতসারের কাজ (Functions of Carbohydrates):
চর্বি বা স্নেহ পদার্থের কাজ (Functions of Fats):
চর্বি সরাসরি অথবা শর্করা হতে রূপান্তরিত হওয়ার পর পাওয়া যায়, যা শক্তির আধার হিসাবে শরীরে জমা থাকে ।
ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ (Functions of Vitamins ) :
ভিটামিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-
(ক) চর্বিতে দ্রবণীয়: ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে ।
(খ) পানিতে দ্রবণীয়: ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি।
ভিটামিন এর কাজগুলো নিম্নরূপ-
খনিজ পদার্থ বা মিনারেল (Functions of Minerals):
দেহে খনিজ পদার্থের বহুবিদ কাজ রয়েছে। যেমন হাড় ও ডিমের গঠন ঠিক রাখা, দেহে এসিড ক্ষারের সমতা ঠিক রাখা এবং কোষের অসমোটিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা। বিপাক প্রক্রিয়ায় এদের অধিক কাজ রয়েছে।
প্রয়োজনের ভিত্তিতে খনিজ পদার্থকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- -
১. মূখ্য: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সালফার, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।
২. গৌণ: আয়রন, কপার, কোবাল্ট, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ইত্যাদি ।
খনিজ এর কাজগুলো নিম্নরূপঃ
পানির কাজ :
পানি শরীরের হজম বিপাক এবং শ্বসনে সাহায্য করে। মুরগির বিপাক এবং পুষ্টির জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। পানি মুরগির শরীরে পুষ্টি উপাদান (ভিটামিন, মিনারেল, এমাইনো এসিড) বহনে, এনজাইমেটিক এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সাহায্য করে।
ব্রয়লারের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় উপস্থিত থাকে। যে উপকরণের মধ্যে যে উপাদান বেশি মাত্রায় বিদ্যমান থাকে তাকে সেই উপাদান যুক্ত খাদ্য বলে । পুষ্টি উপাদানের অধিক্যের ভিত্তিতে খাদ্য উপকরণকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন:
১. শর্করা জাতীয় উপকরণ
২. আমিষ জাতীয় উপকরণ
৩. চর্বি বা তৈল জাতীয় উপকরণ
৪. খনিজ পদার্থ জাতীয় উপকরণ
৫. ভিটামিন জাতীয় উপকরণ
শর্করা জাতীয় উপকরণ আবার দুইভাগে বিভক্ত, যেমন-
দানা জাতীয় খাদ্য | আঁশ জাতীয় খাদ্য |
ভুট্টা, গম, চাল, কাওন, চালের খুদ, সরগম, যব | চালের মিহি কুড়া, গমের ভুষি, বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি |
আমিষ জাতীয় উপকরণ দুইভাবে বিভক্ত, যেমন-
প্রাণিজ আমিষ খাদ্য | উদ্ভিজ আমিষ খাদ্য |
বিভিন্ন মাছের শুঁটকি, মৎস্য উপজাত, চিংড়ি মাছ ও তার উপজাত পশুর নাড়িভুঁড়ি ও হাড়ের গুঁড়া-প্রোটিন কনসেনট্রেট, রক্তের গুঁড়া, হাঁস-মুরগির উপজাত, হ্যাচারি উপজাত, ঝিনুক ও শামুকের মাংস, কেঁচো মিল ও ননীযুক্ত গুঁড়া দুধ । | সয়াবিন খৈল, তিলের খৈল, নারিকেল খৈল, তিসির খৈল, তুলা বীজের খৈল । |
চর্বি জাতীয় উপকরণ:
চর্বি জাতীয় উপকরণ |
সয়াবিন মিল,হাঁস-মুরগির তেল, তিলের খৈল, গবাদিপশুর চর্বি (তাল্লু), নারিকেল মিল, মাছের তেল সূর্যমুখী তেল |
খনিজ পদার্থ জাতীয় উপকরণ:
খনিজ পদার্থ জাতীয় উপকরণ : |
ঝিনুক খোসা চূর্ণ, শামুক খোসার চূর্ণ, বোন মিল, ডিমের খোসা চূর্ণ, ফিস মিল,ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট (ডিসিপি), চুনা পাথর, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, সাধারণ লবণ, ম্যাঙ্গানিজ লবণ |
ভিটামিন জাতীয় উপকরণ:
শাকসবজি, মাছের তেল, অংকুরিত গম ও ছোলা, হলুদ ভুট্টা, সবুজ ঘাস, চালের মিহি কুড়া ইত্যাদিতে কমবেশি বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন থাকে। তারপরও খাদ্যের সাথে কৃত্রিম ভিটামিন প্রিমিক্স হিসাবে ব্যবহার করতে হয়।
১. খাদ্য সামগ্রী বা উপকরণের সহজ প্রাপ্যতা:
সুষম খাবার তৈরিতে পরিচিত ও সহজলভ্য উপকরণ নির্বাচন করা উচিত। পরিচিত উপকরণের গুণগতমান সহজে জানা যায় । স্থানীয় মূল্য যাচাই করা যায়। কোনো উপকরণের ঘাটতি পড়লে সহজে সংগ্রহ করা যায় । সহজলভ্য উপকরণের পরিবহন খরচ কম হয়। বিভিন্ন মৌসুমে উৎপাদিত দ্রব্য স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ ও মজুদ করা যায়।
২. খাদ্যের গুণগতমান
প্রস্তুত খাদ্য অবশ্যই গুণগতমানের হওয়া উচিত, খাদ্য প্রস্তুতের পূর্বে প্রতিটি উপকরণের পুষ্টিগত গুণাগুণ ও ভৌত অবস্থা (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ) পরীক্ষা করতে হয়। কোনো প্রকার পচা, ছত্রাকযুক্ত, পোকা যুক্ত অথবা গন্ধযুক্ত খাবার ব্যবহার করা যাবে না। খাদ্য বা খাদ্য উপাদানসমূহে যেন কোনো অবস্থাতেই ঢাকা লেগে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যে সমস্ত কারণে খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়, তা হলো-
৩. উপকরণের মূল্য:
খাদ্য উপকরণ যত সস্তায় সংগ্রহ করা যায়, খাদ্য প্রস্তুতে খরচের তত সাশ্রয় হয়। ফলে মাংস ও ডিম উৎপাদনে খরচ কমে যায়। খামারে মোট খাদ্য খরচের ৬৫-৭৫ ভাগ পর্যন্ত খরচ হয় খাদ্যের জন্য। মানুষের খাদ্য উপকরণের সাথে প্রতিযোগিতা কমাতে যথদূর সম্ভব সস্তায় বিকল্প খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা উচিত ।
৪. খাদ্যের পরিপাচ্যতা ও সুস্বাদুতা :
রুচিসম্মত খাদ্য না হলে পোল্ট্রি খায় না। দানা জাতীয় খাদ্য বেশি মিহি হলে পোল্ট্রি কম খায়। কোনো উপকরণের দানা বড় থাকলে পোল্ট্রি বেছে বড় দানা আগে খায়, ফলে অন্যান্য উপাদান তলে পড়ে থাকে। বেশি আঁশযুক্ত খাদ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। উপকরণের মিশ্রণ সুষম হতে হবে এবং প্রতিটি উপাদানের দানা যতদূর সম্ভব সুষম হতে হবে। খাদ্যে ভেজাল মিশ্রিত থাকলে এবং খাদ্য পচা ও ছত্রাকযুক্ত হলে ব্রয়লার মুরগি খাদ্য পছন্দ করবে না। ক্রাম্বল ও পিলেট খাদ্য ব্রয়লার মুরগি বেশি পছন্দ করে।
৫. জাত:
হালকা জাতের ব্রয়লারের জন্য ২ প্রকার মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় ২ ধাপে। ভারী জাতের ব্রয়লারের জন্য ৩ ধাপে ৩ প্রকারের খাদ্য ব্যবহার করা হয়।
৬. লিঙ্গ:
পুরুষ ব্রয়লার স্ত্রী ব্রয়লারের তুলনায় ২০-২৫% বেশি খাদ্য খায়, দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত খাদ্যকে মাংসে রূপান্তর করতে পারে ।
৭. ওজন:
ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি সমানুপাতে না হলে খাদ্যে আমিষের হার বৃদ্ধি করতে হয়। দেহে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য খাদ্যে চর্বি জাতীয় উপাদানের ব্যবহারের হার পুনঃবিন্যাস করতে হয়।
৮. আবহাওয়াঃ
পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্যে পুষ্টিমান পুনঃবিন্যাস করতে হয়।
খাদ্য উপাদানের আনুপাতিক হার
ব্রয়লার ষ্টার্টার রেশন তৈরির হিসাব:
ব্রয়লার ফিনিসার রেশন তৈরির হিসাব:
ব্রয়লারের সুষম খাদ্য তৈরি ধাপ:
মুরগির জন্য ৩ প্রকৃতির খাদ্য ব্যবহার করা হয়, যথা-
ম্যাশ খাদ্য-
সমস্ত উপকরণ একত্রে মিলানোকে ম্যাশ খাদ্য বলে। হাতে মিশ্রণ করলে প্রথমে পরিমাণে অল্প উপকরণসমূহ একত্রে মিশাতে হয়। ক্রমান্বয়ে বেশি উপকরণের সাথে একত্র করতে হবে। যন্ত্রের সাহায্যে মিশালে সুষম হয়।
পিলেট:
খাদ্যকে লোহার জালিযুক্ত ছাকনির মধ্য দিয়ে যন্ত্রের সাহায্য চাপ প্রয়োগ করলে পিলেট তৈরি হয়। পিলেট ব্যবহার করলে খাদ্যের অপচয় কমে ও মুরগি বেশি পছন্দ করে। ব্রয়লারের জন্য এ খাদ্য বেশি ব্যবহার হয়।
ক্রাম্বল খাদ্য:
ম্যাশ খাদ্যের অন্য প্রকৃতি ক্রাম্বল খাদ্য। ক্রাম্বল খাদ্যের লানা সিলেট দানার চেয়ে ছোট। এ খাদ্য ব্যবহারে খাদ্যের অপচয় কম হয়। পিলেটের মতই যন্ত্রের সাহায্যে ক্রাম্বল খাদ্য তৈরি করা হয়। ব্রয়লারের উচিার রেশন হিসাবে এই খাদ্য ব্যবহার করা হয়।
সংরক্ষণ:
স্থানীয় ভাবে তৈরিকৃত খাদ্য ৭-১০ দিন, কারখানার তৈরিকৃত খাদ্য ০-৪৫ দিন সংরক্ষণ করা হয়।
সরবরাহঃ
ব্রয়লারের খাদ্য পাত্রের ধরন ও সংখ্যা
ব্রয়লারের সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধের জন্য বিষদ্ধ ও জীবাণুযুক্ত পানি সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক পানিবাহিত রোগের ও কৃমির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যার বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত পানি সরবরাহ করলে। তাই খামারি যে পানি নিজে পান করেন ঠিক সে পানি পোস্ট্রিকে সরবরাহ করতে হবে। পানির উন্ন ও গুণগতমান সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :
বয়স অনুযায়ী ব্রয়লারের পানির পাত্রের ধরন ও সংখ্যাঃ
পারদর্শিতার মানদণ্ড
১) ব্রয়লার রেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ সনাক্ত করা
২) খাদ্য উপকরণ সমূহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি তথ্য চিহ্নিত করা
৩) খাদ্য উপকরণসমূহের গুণগত মান নিশ্চিত করা
ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)
খ) প্রয়োজনীয় কাঁচামাল:
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
কাজের ধারাঃ
১. বাজার ও বিভিন্ন উৎস থেকে ব্রয়লার খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খাদ্য উপকরণ সমূহ সংগ্রহ করো;
২. খাদ্য উপকরণ সমূহের সঠিক পুষ্টিমান বই পুস্তক, ম্যাগাজিন, জার্নাল বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করো
৩. খাদ্য উপাদান সমূহের উৎকৃষ্ট মান যাচাই করো, যেমন- দানাদার অবস্থা, আর্দ্রতা, পদ, বৰ্ণ ইত্যাদি সঠিক ভাবে আছে কিনা যাচাই করো;
বাংলাদেশে সাধারনত নিম্নলিখিত খাদ্য উপাদানসমূহ পোল্ট্রি খাদ্য তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যাদের পুষ্টিমানের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হল
এছাড়াও পোল্ট্রি খাদ্যে বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম ভিটামিন ও খনিজ উৎস, ছত্রাক ও টক্সিন বাইন্ডার, এনজাইম, কৃত্রিম এমাইনো এসিড ইত্যাদি ব্যবহার করব। যেমন:
ক) ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স- জি এস, ডব্লিউ এস
খ) ছত্রাক বাইন্ডার- মোল্ড ষ্টপ, সরবাটক্স
গ) টক্সিন বাইন্ডার-ডট, ইএসবি-৩
ঘ) কৃত্রিম অ্যামাইনো এসিড- লাইসিন, মিথিওনিন
ঙ) ইলেকট্রোলাইট ইত্যাদি
৪. প্রতিটি উপাদানের পুষ্টিমান সঠিক ভাবে জেনে নিয়ে মান ও ব্যবহার অনুযায়ী গ্রুপে ভাগ করে লিপিবদ্ধ করো;
৫. এরপর প্রতিটি খাদ্য উপাদানের নমুনা পৃথক ভাবে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের জারে রেখে তার গায়ে নাম লিখে রাখ;
৬. কাজ শেষে কক্ষটি পরিস্কার করে খাদ্য উপাদানসহ প্লাস্টিকের জার গুলো সুন্দর ভাবে শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সাজিয়ে রাখ ।
সতর্কতাঃ
১) নির্ভরযোগ্য উৎস হতে খাদ্যের পুষ্টিমান সংগ্রহ করো ।
২) খাদ্য উপকরণ সমূহ সঠিকভাবে লেবেলিং করে শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখ যাতে সহজে নষ্ট না হয় ।
৩) কোন ভাবেই ভেজাল বা নিম্নমানের খাদ্য উপকরণ সংগ্রহ করবে না ।
পারদর্শিতার মানদন্ড
ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE):
গ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি (যদি প্রয়োজন হয়) :
কাজের ধারাঃ
১) বয়স ও উৎপাদন অনুযায়ী ব্রয়লার রেশনের প্রয়োজনীয় পুষ্টিমানের তালিকা সংগ্রহ করো
২) বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উৎপানের পুষ্টি তালিকা সংগ্রহ করো
৩) সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান যুক্ত খাদ্য উপকরণ সমূহ ব্যবহার করে সুষম রেশন ফরমুলেশন করো
৪) ফরমুলেশনকৃত তালিকা অনুযায়ী খাদ্য উপাদান সমূহ মেপে পৃথক পৃথক পাত্রে রাখ
৫) কম পরিমানে ব্যবহৃত খাদ্য উপাদান সমূহ একত্রে ভাল ভাবে মিশাও ।
৬) এরপর কম পরিমানে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ পর্যায়ক্রমে বেশী পরিমানে উপাদান সমূহের সাথে মিশাও ।
৭) খাদ্য উপাদান মিশানো শেষ হলে পুনরায় ভালভাবে উল্টেপাল্টে মিশাও যাতে সকল উপাদান সমভাবে মিশ্রিত হয়।
৮) তৈরীকৃত খাদ্য ঠান্ডা ও শুস্ক জায়গায় বস্তায় সংরক্ষণ করি। উক্ত মিশ্রিত খাদ্য ঋতু ভেদে ৭-১০ দিন সংরক্ষণ করা যাবে ।
৯) নিম্নে ব্রয়লার মুরগির নমুনা খাদ্য তালিকা অনুযায়ী রেশন তৈরি করব।
ব্রয়লার খাদ্য তালিকা:
সতর্কতাঃ
১) কম পরিমাণে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ খুবই সাবধানতার সাথে মাপ ও মিশাও যাতে সকল খাদ্যের সাথে সমভাবে মিশে যায় ।
২) রেশন ফরমূলেশনের সময় হিসাব বারবার যাচাই কর যেন ভুল না হয় ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক হয়।
আরও দেখুন...