ভূমিকা
যেহেতু ভ্যাট ডাই পানিতে অদ্রবণীয় কাজেই তা সরাসরি টেক্সটাইল দ্রব্যে প্রয়োগ করা যায় না। ভ্যাট ডাই বিজারিত অবস্থায় দ্রবণীয় হয়। সাধারণত সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড দ্বারা বিজারিত করা হয়। সাধারণত সেলুলোজিক ফাইবার এ ডাই দ্বারা রং করা হয়। তবে প্রোটিন ফাইবারও এ ডাই দ্বারা রং করা যায় ।
ডাইং প্রণালি
এ ডাই পানিতে অদ্রবণীয়। একে পানিতে দ্রবণীয় করার জন্য লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত করতে হবে । বাজারে দুই ধরনের ভ্যাট কালার পাওয়া যায়- তরল ও পাউডার জাতীয়। তরল অবস্থায় হলে তাকে সরাসরি লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত করা যায়। আর পাউডার জাতীয় হলে রেসিপি অনুযায়ী টি আর ওয়েল এর সাথে পরিমাণ মতো পানি মেশাতে হবে । এ অবস্থার দ্রবণটি ভালোভাবে নাড়তে হবে। ফলে একটি পেস্ট তৈরি হবে। এর পর এর সাথে পরিমাণ মতো সোডিয়াম হাইড্রোসালফাইড, কস্টিক সোডা এবং লবণ যোগ করলেই লিউকো কম্পাউন্ডে পরিণত হয়। ফলে ভ্যাট ডাই পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং কাপড় রং শোষণ করতে পারে। এ অবস্থায় দ্রবণ কিছুক্ষণ স্থির রাখা হয়। যদি তলানি না পড়ে । তবে বুঝতে হবে লিউকো কম্পাউণ্ড সঠিকভাবে তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে লিউকো কম্পাউন্ড ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। অতপর দ্রবণকে ডাই বাঘে আনা হয়। বাথে পূর্ব হতে কাপড় রাখা থাকে। উক্ত ডাই বাঘে অবশিষ্ট পানিসহ দ্রবণকে ভালোভাবে মিশ্রিত করা হয় এবং ঢাকনা বন্ধ করা হয়। যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। অতপর ৬০ সে. তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট হতে ৬০ মিনিট নাড়াচাড়া করা হয়। পড়ে কাপড়কে বাথ থেকে তুলে নিংড়ানো হয় এবং এসিটিক এসিড দ্রবণ দ্বারা ধৌত করলে অ্যালকালি দূর করা যায় । তারপর ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধৌত করে বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে রং বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়ায় অদ্রবণীয় হয়ে যায় এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে এবং রং স্থায়ী হয়ে যায়। একে অক্সিডেশন বলা হয় ।
উপসংহার/সম্ভাব্য
আরও দেখুন...