একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করো। অতঃপর, একটি প্রার্থনার প্রস্তুতি নাও। শিক্ষক তোমাদের হয়তো দলে ভাগ করে দিবেন এবং সামসঙ্গীত/গীতসংহিতা ১৩৬:১-৯ পদ প্রার্থনার অংশ হিসেবে ভক্তিসহকারে পড়তে বলবেন।
ভগবানের স্তবগান কর; কত না মঙ্গলময় তিনি।
তাঁর দয়া, সে তো চিরকালেরই দয়া।
দেবতার দেবতা যিনি, তাঁর স্তব কর;
তাঁর দয়া সে তো চিরকালেরই দয়া।
তাঁর দয়া সে তো চিরকালেই দয়া।
একাই কত মহা অপরুপ কাজ করেছেন তিনি;
তাঁর দয়া, সে তো চিরকালেরই দয়া।
নভোমন্ডল গড়েছেন তিনি আপন প্রজ্ঞাবলে;
তাঁর দয়া সে তো চিরকালেরই দয়া।
জলরাশির বুকে তিনি প্রসারিত করেছেন এই স্থলভূমি:
তিনিই সৃষ্টি করেছেন মহাজ্যোতি সকল
সূর্যকে তিনি করেছেন দিনের অধীশ তাঁর দয়া,
সে তো চিরকালেরই দয়া।
চন্দ্র ও ভারা-নক্ষত্রকে করেছেন রাত্রর অধীশ
তাঁর দয়া, সে তো চিরকালেরই দয়া।
তাঁর দয়া, সে তো চিরকালেরই দয়া।
পদ পাঠ শেষে শিক্ষক বোর্ডে নিচের লাইনটি লিখে দিবেন। “সেই নদীর দু'ধারেই জীবন-গাছ ছিলো। তাতে বারো রকমের ফল ধরে।”
শিক্ষক তোমাকে উপরের লাইনের আলোকে তোমার ইচ্ছামতো একটি ছবি আঁকতে বলবেন। তুমি ভেবে দেখোতো তোমার গ্রামের বাড়িতে কী কী গাছ আছে অথবা তোমার স্কুলের পথে চারপাশে কী কী গাছ তুমি
দেখতে পাও। তা নিয়েই একটি ছবি এঁকে ফেলো (নিচের বক্সটা ব্যবহার করতে পারো কিংবা আলাদা কাগজে; আলাদে কাগজ হলে ছবির নিচে নিজের নাম লিখতে ভুলো না)।
তুমি এই যে ফুল-ফল, বিভিন্ন গাছের ছবি কতো সুন্দর করে আঁকছো, ভেবে দেখো তো স্রষ্টা সত্যিকারের ফুল-ফল-গাছ- পৃথিবী সমস্ত কিছু কী সুন্দর করেই না সৃষ্টি করেছেন! আঁকা শেষে স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ো।
|
আরও দেখুন...