Summary
ম-ফলার উচ্চারণ:
- শব্দের প্রথমে ম-ফলা: উচ্চারণে ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। উদাহরণ: শ্মশান (শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)। মাঝে মাঝে ‘ম’ অনুচ্চারিত। উদাহরণ: স্মৃতি (স্মৃতি)।
- শব্দের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা: উচ্চারণে দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। উদাহরণ: আত্মীয় (আতিঁয়ো), পদ্ম (পদোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়)।
- বিশেষ বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা: গ, ঙ, ট, ণ, ন বা ল এর সঙ্গে যুক্ত হলে ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে এবং যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। উদাহরণ: বাগ্মী (বাগ্মি), জন্ম (জন্মো)।
ব-ফলার উচ্চারণ:
- শব্দের প্রথমে ব-ফলা: শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। উদাহরণ: ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিতো)।
- শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা: যুক্ত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। উদাহরণ: বিশ্বাস (বিশ্শাশ), পক্ব (পক্কো)।
- সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলা: ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। উদাহরণ: দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়)।
- শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’ যুক্ত ব-ফলা: ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। উদাহরণ: তিব্বত (তিব্বত)।
- উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা: ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। উদাহরণ: উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু)।
ম-ফলার উচ্চারণ
ক. পদের প্রথমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন : শ্মশান (শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)। কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতেও পারে। যেমন : স্মৃতি (স্মৃতি বা স্মৃতি)।
খ. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন : আত্মীয় (আতিঁয়ো), পদ্ম (পদোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশৌস্তুপ), ভম (ভশোঁ), রশ্মি (রোশি)।
গ. গ, ঙ, ট, ণ, ন বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন : বাগ্মী (বাগ্মি), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)
ব-ফলার উচ্চারণ
ক. শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন : ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিতো), শ্বাস (শাশ্), স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দদো)।
খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন : বিশ্বাস (বিশ্শাশ), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশো), বিল্ব (বিল্লো)।
গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন : দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।
ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে । যেমন : তিব্বত (তিব্বত). লম্ব (লম্বো)।
ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন : উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল)।
Read more