মেট্রিক পদ্ধতিতে মাল নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত মাইক্রোমিটারের প্রধান স্কেলে রৈখিক দাগ ও দাগের মান উপর ও নিচে দুই দিকে থাকে। উপরের ও নিচের রৈখিক স্কেলের মাঝে ব্যারেলের অ বরাবর একটি সরলরেখা বা দাগ থাকে। উপরের রৈখিক স্কেলের ক্ষুদ্র এক ভাগের মান ১ মিমি। আবার নিচের স্কেলে উপরের প্রতি ঘরের মাঝ বরাবর দাগকাটা থাকে যাতে করে উপরের প্রতি ঘরের দৈর্ঘ্যের অর্ধেক মাপ নেওয়া সহজ হয়। ফলে রৈখিক ফেল হতে সর্বনিম্ন ০.৫ মিমি মাপ নেওয়া যায়। বৃত্তাকার স্কেলের থিষলকে একপাক ঘুরালে রৈখিক দাগ বরাবর ০.৫ মিমি অগ্রসর হয় বা পিছিয়ে আনে। স্যুতরাং রৈখিক স্কেলের ০.৫ মিমি দূরত্ব বৃত্তাকার স্কেলের ৫০ ভাগের সমান।
অতএব, বৃত্তাকার স্কেলের এক ভাগের মান - (০.৫ ÷ ৫০) মিমি
= ০.১ মিমি
এটিকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট বলা হয়। মাইক্রোমিটার দিয়ে পাঠ নেওয়ার সময় বিশ্বলের বিভেল প্রান্ত ব্যারেল ক্ষেলের যত দাগ অতিক্রম করেছে সেই অতিক্রান্ত দাগের মাপ নির্ণয় করে এর সাথে সার্কুলার স্কেলের যে দাগ ডেটাম লাইনের সাথে মিলেছে অর্থাৎ প্রায় একই সরলরেখায় এসেছে সেই দাগ সংখ্যাকে মাইক্রোমিটার কনস্ট্যান্ট দিয়ে গুণ করে গুণফলকে যোগ করতে হবে। সর্বমোট যোগফলই হবে নিৰ্ণেয় পরিমাপ।
আমরা জানি কোনো একটি গ্রেডযুক্ত বোল্টের সাথে একই মাপের গ্রেভযুক্ত একটি নাটকে এক প্যাঁচ ঘুরালে নাটটি বোল্টের উপর এক পিচ পরিমাণ দৈর্ঘ্য অগ্রসর হয়। নাট ও বোল্টের এই নীতির উপর ভিত্তি করে মাইক্রোমিটার তৈরি করাহয়। মাইক্রোমিটারের স্পিন্ডলকে এক পাক ঘুরালে উহার পিচ অনুসারে বিষল ০.০২৫ ইঞ্চি অথবা ০.৫ সরে যায়। সাধারণ আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেলের উপর অঙ্কিত স্কেলের নির্দেশক রেখার উপর এক ইঞ্চি স্থানকে সমান ৪০ ভাগে অথবা ২৫ স্থানকে ৫০ ভাগে বিভক্ত করা থাকে। ব্রিটিশ পদ্ধতিতে তৈরি আউটসাইড মাইক্রোমিটারের ব্যারেল এবং বিষনে প্রতি ইঞ্চিতে ৪০ টি স্ক্রু - থ্রেড থাকে। ফলে, স্পিন্ডলকে পূর্ণ এক পাক ঘুরালে উহা (১ ÷ ৪০) ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি অগ্রসর হয় অথবা পশ্চাৎ দিকে ৪০ পিছিয়ে আসে। স্পিন্ডলকে ডানদিকে পূর্ণ এক পাক ঘুরানে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দু'টির ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি কমে যায়। আবার যদি বামদিকে ঘুরানো হয়, তবে স্পিন্ডল এবং অ্যানভিলের মুখ দুটির দুরত্বের ব্যবধান ০.০২৫ ইঞ্চি বেড়ে যায়। স্পিন্ডল এবং বিম্বল পরস্পর প্রেড দ্বারা যুক্ত থাকায় বিষলের সঙ্গে স্পিন্ডল ঘুরতে থাকে। ব্যারেলের উপরিভাগে এক ইঞ্চি পরিমাণ স্থান সমান ৪০ ভাগে ভাগ করা থাকে।
স্যুতরাং ব্যারেলের প্রতি বিভাগের মান ১ ÷ ৪০ ইঞ্চি বা ০.০২৫ ইঞ্চি। এখন বিম্বল স্ক্যালে মোট ভাগ সংখ্যা হলো ২৫। এখন লিমন স্কেলের এক ভাগ ঘুরালে উহা ০.০২৫-২৫ - ০.০০১ ইঞ্চি স্থান অতিক্রম করে। মাপ নির্ণয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যে বিশ্বলের প্রাপ্ত ব্যারেলের কোনো অঙ্গ চিহ্নিত রেখাটিও কয়টি ক্ষুদ্ররেখা অতিক্রম করেছে ও মিমনের কোনো রেখাটি নির্দেশক রেখা'-এর সাথে ঠিক মিলে গিয়েছে। এখন রেখা গুলির সম্পর্কযুক্ত মালগুলি যোগ করলেই সম্পূর্ণ মাপ পাওয়া যাবে।
উদাহরণ : ১ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০১ স্কেলার মাইক্রোমিটার
উপরের ছবিতে, সিম্বলটি যেখানে ২য় এবং ৩য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে।
শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x.০.২৫ ÷ ১০০ ইঞ্চি
যেহেতু ২ পর্যন্ত অতিক্রম করছে স্যুতারং ২ x ০.১০০ ÷ ২০০ এর পরে আরো তিনটি অতিরিক্ত উপ-বিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল ৩ x .০২৫" = ০.০৭৫" ইঞ্চি
সবশেষে শিখল উপর ১ ঘর অতিক্রম করছে বা খুব কাছাকাছি ভাই ১ x ০.০০ ÷ ০.০০১ |
এইভাবে রিডিং হবে ০.২০০ + ০.০৫ + ০.০০১ =০.০২৭৬।
উদাহরণ -২ বৃটিশ পদ্ধতির মেজারমেন্ট অর্থাৎ ০.০০০১ স্ক্যাল মাইক্রোমিটার:
যেহেতু মাইক্রোমিটারটি ১ ইঞ্চি থেকে ২ ইঞ্চি রেইজের সুতারং ১ ইঞ্চি গ্লাস ধরে মেজারমেন্ট নিতে হবে। উপরের ছবিতে সিম্বলটি যেখানে ১ম এবং ২য় নম্বরযুক্ত ভাগের মধ্যে সেট করা আছে। শূন্য থেকে ১ পর্যন্ত-
■ ৪টি ভাগ আছে অর্থাৎ ৪x,025 = 0.১০০ ইঞ্চি
■ যেহেতু ১ পর্যন্ত অতিক্রম করছে সুতারং ১x০.১০০ ইঞ্চি - ০.১০০ ইঞ্চি
■ এর পরে আরো দু'টি অতিরিক্ত উপবিভাগ অতিক্রম করছে, যা হল 2×০.০২৫ ইঞ্চি-০.০৫০ ইঞ্চি।
■ বিম্বল উপর ৫ ঘর অতিক্রম করছে যা খুব কাছাকাছি ভাই ৫×০.০০১ ইঞ্চি - ০.০০৫ ইঞ্চি।
■ সবশেষে ভার্নিয়ার স্কেলের ১ ভাগের সাথে খুব কাছাকাছি তাই ১x০.০০০১ ইঞ্চি-০.০০০১ ইঞ্চি
এইভাবে রিডিং হবে: (10+0.100 + 0.050 + 0.00001) ইঞ্চি = ১.১৫৫১ ইঞ্চি ।
আরও দেখুন...