সাধারণত ৰাসা বাড়ির কাজ যেমন পেরেক ঢুকানো, ক্ষু খোলা বা আটকানো, কোনো কিছু কাটা, মাপ নেয়া ইত্যাদি। এই কাজের জন্য কোনো মেশিনের প্রয়োজন হয়না। ওয়ার্কশপের কর্মীগণ প্রয়োজন অনুসারে শারীরিক শক্তি দিয়ে চালিয়ে নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। যেসকল টুলস মানুষের শারীরিক শক্তির সাহায্যে পরিচালিত হয়ে ওয়ার্কশপের সাধারণ কাজ অথবা অন্য যন্ত্রের সাহায্যকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয় যেমন- হাতুড়ি, ফাইল, হ্যাকস, ক্ষু-ড্রাইভার, রেঞ্চ বা স্প্যানার, ট্যাপরেঞ্চ, ভাইস্টক, ড্রিলচাক, চাৰু কী, নাম্বার পাঞ্চ, লেটার পাঞ্চ, পিনপাঞ্চ, চিজেল, প্রায়ার, ভাইস ইত্যাদি। আবার কিছু মেজারমেন্ট করার জন্য ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। যেখানে যে টুল ব্যবহার করা উচিৎ সেখানে কেবল তাই ব্যবহার করতে হবে আবার যেখানে হস্তচালিত টুলস দ্বারা সম্ভব নয়, সেখানে পাওয়ার টুলস ব্যবহৃত হয়।
টুলস: কোনো জব বা ওয়ার্কপিসকে প্রয়োজন অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত আকার, আকৃতি এবং মসৃণতায় পরিবর্তন করার জন্য যান্ত্রিক সুবিধা সম্বলিত যে ডিভাইসসমূহ ব্যবহার করা হয় তাদেরকে টুলস বলা হয়। অন্যভাবে বলা যায় টুলস হলো এক প্রকার যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের সমষ্টি যা কোনো ধাতু বা ওয়ার্কপিস থেকে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ধাতু কেটে বা ক্ষয় করে নির্দিষ্ট আকার, আকৃতি এবং মসৃণতা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ টুলস হলো এক প্রকার হাতিয়ার যা ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ সহজ সাধ্য হয়।
মেকানিক্স কাজে যেসব টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হয় তাদের কাজের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে তাদেরকে প্রধানত ৫ (পাঁচ) ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যথা-
১. মার্কিং বা লেআউট টুলস (Marking or Layout Tools)
২. কাটিং টুলস (Cutting Tools)
৩. আনুষঙ্গিক হ্যান্ড টুলস (Related Hand Tools)
৪. পাওয়ার টুলস (Power Tools)
৫. মেশিন টুলস (Machine Tools)
২.৪.১. মার্কিং বা লেআউট টুলস (Marking or Layout Tools)
কাজ আরম্ভ করার পূর্বে অথবা কাজের সময় ড্রয়িং অনুযায়ী ধাতুখণ্ডের উপরিভাগে যেসকল টুলস দ্বারা মার্কিং করা হয় বা দাগ কেটে চিহ্ন দেওয়া হয় বা চিহ্নিত করার কাজে সাহায্য করে, সেসব টুলসকে মার্কিং বালে-আউট টুলস বলা হয়। প্রদত্ত ছয়িং অনুসারে কার্যবস্তুর উপরিতলে ড্রয়িং বা নকশা অংকন করাকে মার্কিং অথবা লে-আউট বলা হয়। কাগজের উপর পেন্সিল ব্যবহার করে যে নিয়মে মেকানিক্যাল ড্রয়িং করা হয় অনুরূপ নিয়মে মার্কিং অথবা লেআউট টুলস ব্যবহার করে কার্যবস্তু তৈরি করার জন্য ওয়ার্কপিসের উপর মার্কিং অথবা লেজাউট করা হয়। বেঞ্চওয়ার্ক, পিটমেটাল ওয়ার্ক, ড্রিলিং এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য লে আউট ওয়ার্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিভিন্ন প্রকার মার্কিং অথবা লেআউট টুলসমূহ হলো-
• সেন্টার পাঞ্চ (Centre Punch): একটি বিন্দু চিহ্নিত করতে একটি সেন্টার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত গর্ত বা ছিল করার সময় একটি পর্ভের কেন্দ্র চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত হয়। সেন্টার পাঞ্চ এর পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ২০°।
• ডট পাঙ্ক (Dot Punch): ডটপাঞ্চ, সেন্টার পাঞ্চের ন্যায় কাজ করে কিন্তু ভটপাঞ্চের পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ৬০° হয়ে থাকে।
• স্কাইবার (Scrlber): ফাইবার হলো একটি হ্যান্ড টুল যা দিয়ে খাত কাজে মেশিনিং বা ওয়েল্ডিং বা কাটিং করার আগে ওয়ার্কপিলে লাইন চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফাইবার ব্যবহারের প্রক্রিয়াটিকে ফাইবিং বলা হয় এবং এটি মার্কিং করার একটি অংশ।
• হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপার্স (Harmafrodite Calipers ) : একটি হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপারের একটি পা ভিতরের দিকে বাঁকানো থাকে এবং একটি সোজা পা একটি ধারালো বিন্দুতে শেষ হয় এই ধরনের ক্যালিপার একটি সমতল বা বাঁকা পৃষ্ঠ থেকে একটি নির্দিষ্ট দুরত্বে লাইন স্কাইব করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
• ইনসাইড ক্যালিপার্স (Inside Calipers): ইনসাইড ক্যালিপার্স ভিতরের গর্ভের ব্যাস এবং পৃষ্ঠের মধ্যে দুরত্ব পরিমাণ করে।
• আউটসাইড ক্যালিপার্স (Outside Calipers): আউটসাইড ক্যালিপার্স বস্তুর বেধ এবং বাইরের ব্যাস পরিমাপ করে।
• ডিভাইডার (Divider): এটি দুই পা বিশিষ্ট একটি পরোক্ষ পরীক্ষণ ও মাপন হ্যাটুন। এটিকে মার্কিং এর কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে হয়। ডিভাইডারের পা দুটি ক্রমশ সরু হয়ে প্রান্ত ভাগ সূঁচালো থাকে। এটির সাহায্যে স্টিল রুল থেকে মাথ ভোলা, বৃত্ত বা বৃত্তচাপ অংকন, দুইটি বিন্দু বা রেখার দুরত্ব নির্ণয় করা এবং রেখাকে বিভক্ত করা যায়।
• সারফেস পেজ (Surface Gauge): সারফেস পেজগুলি প্রাথমিকভাবে প্লাউড বেস থেকে রেফারেন্স পৃষ্ঠগুলিকে নির্ভুল উলম্ব বা আনুভুমিক পৃষ্ঠ নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
• সারফেস প্লেট (Surface Plate ): সারফেস গ্রেটের উপর সারফেস গেজ, মার্কিং ব্লক ইত্যাদি যন্ত্র রেখে বস্তুর উপরিভাগের সমতা পরীক্ষা করা যায়। তাছাড়া ওয়ার্কপিসকে সাধারণত সারফেস প্লেটের উপর রেখে মার্কিং করা হয়।
• ভার্নিয়ার হাইট পেজ (Vernier Height Gange): এটি একটি প্রত্যক্ষ, সুক্ষ্ম ও সরল উচ্চতা ও উলম্ব দূরত্ব মাপক যন্ত্র। মেশিনশনে ও মেটাল ওয়ার্কিংশপে জবের উপর লে- আউট ও মার্কিং করার জন্য বিশেষভাবে এটি ব্যবহৃত হয়। ভার্ণিয়ার হাইট পেজের গঠন ও কার্যপ্রণালী ভার্নিয়ার ক্যালিপার্সের মতই। তবে এটি উচ্চতা পরিমাপ করা বা উচ্চতা পরীক্ষা করা ছাড়াও সারফেস পেজের অনুরুপ মার্কিং করতে ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান স্কেলের দন্ডটি খাড়াভাবে ৰেসেৱ উপর শক্ত করে আটকানো থাকে।
এ যন্ত্রে দু'টি 'জ' এর পরিবর্তে একটি 'জ' থাকে। এবং 'জ' এর সাথে একটি ধারালো ফাইবার ক্ষু-এর সাহায্যে জাবদ্ধ করা থাকে। ফাইবারের স্থলে রড সংযুক্ত করে এর সাহায্যে ডেপথ পেজের ন্যায় গভীরতাও মেপে নেওয়া যায়। এ ছাড়া ফাইবারের পরিবর্তে ডায়াল ইন্ডিকেটর সংযুক্ত করে আরও সূক্ষ্ম এবং সঠিকভাবে পরিমাপ করা সম্ভব হয়।
• ট্রাইস্কোয়ার (Tri-Square): ট্রাই স্কোয়ার এক প্রকার প্রত্যক্ষ কৌণিক মাপক যন্ত্র। এটি কোনো বস্তুর সন্নিহিত দু'টি তল পরস্পরের সাথে এক সমকোণে আছে কি না অথবা কোনো তলের উপরিভাগের সমতলতা পরীক্ষা করা এবং মার্কিং করার সময় সরলরেখা টানতে ব্যবহৃত হয়।
• কম্বিনেশন সেট (Combination Set): কম্বিনেশন সূক্ষ্মভাবে বস্তুর সমকোণ ও সমতলতা পরীক্ষা করা ছাড়াও এটি কোনো বস্তুর ওপর সুক্ষ্মভাবে সমান্তরাল সরলরেখা টানতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষয়্যার হেডের সাহায্যে ৪৫° কোণে এবং ৯০° কোণে সরলরেখা টানা যায়।
• স্টিল রোল (Steel Rule) : মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপের কাজে বিভিন্ন মান গ্রহণে সবচেয়ে সরল ও সাধারণ মাপ যন্ত্র হলো প্লেইন স্টিল রুল বা সংক্ষেপে এটিকে স্টিল রুল ৰলা হয়। এটি সাধারণত ১৫ সে.মি. এবং ৩০ সে.মি. লম্বা হয়। এতে সর্বনিম্ন ০.৫ মি.মি. মাপ নেওয়া যায়। এটি স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি হয় এবং এর সাহায্যে জবের দৈৰ্ঘ্য, প্ৰন্থ, বেধ এবং উচ্চতার মাপ সরাসরি গ্রহণ করা যায়।
• প্যারালাল ক্যাম্প (Parallel Clamp): কাজ করার সময় যখন আন্যের সহায়তার প্রয়োজন হয় তখন প্যারালাল ক্যাম্প বন্ধু ক্লাম্প করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
যে সকল টুলস দ্বারা ধাতুকে কাটা বা ক্ষয় করা যায় সে সকল টুলস কে কাটিং টুলস বলা হয়। যেমন-
ফ্লাট ফাইল (Flate File) : ফ্ল্যাট অর্থ সমতল বা চ্যাপ্টা সুতরাং এ ফাইলের উপরিভাগ সমতল বা চ্যাপ্টা হবে অগ্রভাগ ক্রমশ চিকন। এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫ সেন্টিমিটার হতে ১৫ এবং ১৫ সেন্টিমিটার হতে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ওয়ার্কশপের অধিকাংশ কাজ এ ফাইল দ্বারা করা যায়। রাফ, বাস্টার্ড, সেকেন্ড কাট, সুখ এবং ভেড সুখ সকল গ্রেডের ফ্ল্যাট ফাইল বাজারে পাওয়া যায়।
চিজেল (Chisel): এটি একটি ধাতু কর্তনকারী যন্ত্র। বাংলায় একে ছেনি বলে । কোনো চিজেলের মান বলতে এর কাটিং এজের দৈর্ঘ্যকে বুঝায়। এ সাপ ০৬ মিলিমিটার হতে ৩২ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়।
হ্যাক-স (Hack Saw): হ্যান্ড হ্যাকস দ্বারা কোনো বন্ধুকে কাটা বা বিদীর্ণ অর্থাৎ দ্বিখণ্ডিত করার প্রণালীকে হ্যান্ড হ্যাক সয়িং বলা হয়। সাধারণত কম ব্যাস বিশিষ্ট অল্প সংখ্যক বস্তু কাটতে এ প্রণালী ব্যবহৃত হয়। পাওয়ার হ্যাক'স এর অভাবে বড় ব্যাস বিশিষ্ট বন্ধু কাটতেও এ প্রশানী ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইহা সময় সাপেক্ষ
ট্যাপ (Tap): ট্যাপ নামক এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল দ্বারা গোলাকার ছিদ্রের ভিতরে আভ্যদ্বরীণ ক্রু-গ্রেড বা পাঁচ উৎপন করার পদ্ধতিকে ট্যাপিং বলা হয়। ট্যাপ হাই কার্বন স্টিল বা হাইস্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি করা হয় এবং ক্ষু-গ্রেড কাটা অংশটি টেম্পার দেওয়া থাকে। টেম্পার দেওয়ার কারণে ট্যাপ কিছুটা ভঙ্গুর থাকে, তাই সতর্কতার সাথে ট্যাপিং করতে হয়।
ডাই ও ডাই হ্যান্ডেল (Die and Die Handle ) : ডাই এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা সিপিক্ষিক্যাল জন্ম, পাইপ, গোলাকার রড এর উপরিভাগে স্ক্রু-থ্রেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই কাৰ্বন স্টিল বা হাই স্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এর ব্লেড অংশ শক্ত এবং টেম্পার করা থাকে। তাই ট্যাপ এর মত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড মালের ক্ষু-গ্রেড তৈরি করতে বিভিন্ন মাপ বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
রিমার (Reamer): ড্রিলিং বা বোরিংকৃত ছিদ্রকে রিমারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় মসৃণতা, সমান্তরালভা, গোলত্ব ও সঠিক আকারসহ ফিনিশিং করার জন্য মেশিনিং অপারেশনকে রিমিং বলা হয়।
পাইপ কাটার (Pipe Cutter): মেটাল পাইপ কাটার জন্য প্লায়ারগণ পাইপ ফিটিং কাজে পাইপ কাটার ব্যবহার করে থাকেন। এটি দ্বারা অতি সূক্ষ্মতা, সার্বিক মান, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পরিচ্ছন্নভাবে মেটাল পাইপ কাটা যায়। পাইপ কাটার সময় লুব্রিক্যান্ট বা কুল্যান্ট ব্যবহার করতে হয়।
ড্রিল বিট (Drill Bit): ড্রিল বিট এক প্রকার কাটিং টুলস যা নলাকার গর্ভ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় । এগুলো ব্যবহারিক ক্ষেত্রভেদে অনেক আকারের হয়ে থাকে। ড্রিল বিটসমূহ সাধারণত একটি মেশিনের সাথে সংযুক্ত থেকে যোগার এবং গর্ত তৈরি করতে টর্ক এবং অক্ষীয় বল প্রদান করে।
লেদ টুল বিট (Lathe Tool Bit): লেদ কাটিং টুল হলো এমন সরঞ্জাম যা একটি লেদ মেশিনের সাহায্যে বেলনাকার বস্তুকে পছন্দসই আকারে তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।
মিলিং কাটার (Milling Cutter): মিনিং কাটার একটি মিলিং মেশিনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি একটি কাটিং টুল যা একটি ওয়ার্কপিস থেকে অতিরিক্ত উপাদান কেটে প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রদান করে। সকল মিলিং মেশিনে কার্যবস্তুর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলার জন্য মিলিং কাটার ব্যবহার করা হয়। একটি সাধারণ মিনিং অপারেশন চলাকালীন, কাটারটি তার অক্ষের সাথে লম্বভাবে সরে যায়, যা এটি কাটারের পরিধিতে ওয়ার্কপিস থেকে উপাদান অপসারণ করতে সহায়তা করে। নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের মিলিং কাটারের চিত্র দেওয়া হলো-
কাউন্টার সিংকিং ড্রিল (Counter Sinking Drill) কাউন্টারসিংক ড্রিল হলো একটি শঙ্কু আকৃতির টুল যার কাটিং প্রাপ্ত একটি গর্তের চারপাশ দিয়ে কাটে। গর্ত এবং কাউন্টারসিংক এর শঙ্কুর কাটিং প্রায় দ্বারা প্রয়োজনীয় আকৃতি গঠন করে।
সেন্টার ড্রিল (Centre Drill): সেন্টার ড্রিল একটি অক্ষের উপর কেন্দ্রের মধ্যে ধরে রাখার জন্য একটি গর্ত ড্রিল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বন্ধু মেশিনিং করার সময় কেন্দ্রে ড্রিল করতেও ব্যবহৃত হয় তবে সেন্টারভিলেরে উদ্দেশ্যে স্পট ছিল করা।
কাউন্টার বোরিং কার্টার (Counter Boring Cutter): কাউন্টার বোরিং কাটার একটি কাটিং টুল যা স্পটফেস কাটতে ব্যবহৃত হয়। যদিও জন্মে পৃষ্ঠ সমতল করতে একটি এন্ডমিলও ব্যবহার করা যেতে পারে, তথাপি একটি কাউন্টার বোরিং টুল জবের উল্লখ পৃষ্ঠে কোনো ফাস্টেনারের হেড তৈরির জন্য একটি লম্ব পৃষ্ঠ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
মেশিন শপে বা ফিটিং বিভাগের সাধারণ কাজে অথবা অন্য টুলস্ এর সহকারী যা হিসাবে যেসকল টুলস ব্যবহৃত হয় তাদেরকে আনুষঙ্গিক টুলস বলা হয়। যেমন-
বলপিন হ্যামার (Ball-peen Hammer): বলপিন হ্যামার এর হেডটি বলের মত অর্থাৎ পোল তাই এ শ্রেণির হাতুড়ির নাম হয়েছে বল পিন হ্যামার। একটি বল পিন হ্যামারের হ্যাড সাধারণত সূক্ষ্মকাজের জন্য ২, ৪, ৮ ও ১২ আউন্স ওজনবিশিষ্ট হয়ে থাকে, এবং ভারী কাজের জন্য ১, ১, ২ ও ৩ পাউণ্ড ওজনের হয়ে থাকে। এর ফেস হার্ডেনন্ত করা থাকে এবং ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ধরনের কাজে এ হ্যামার ব্যবহার করা হয়।
প্লায়ার্স (Pilers): কোনো পাতলা শিট বা ভারকে ধরে কাজ করার জন্য, বৈদ্যুতিক তারের জোড়া দেওয়াও বিদ্যুতায়িত অবস্থায় ক্যাবল এর সাথে তারের সংযোগ দেওয়ার জন্য, তার কাটার জন্য প্রভৃতি কাজে প্রায়ার্স ব্যবহার করা হয়।
ভাইস (Vice): ভাইস হলো একটি ক্যাম্পিং ডিভাইস যা নাট ও বোল্টের সাহায্যে টেবিল বা বেঞ্চের উপর আবদ্ধ করে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এটি কাস্ট স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এ ভাইসের দু'টি 'জ' টেম্পারিং করা স্টিলের তৈরি থাকে এবং ভিতরের দিকে খাঁজ কাটা থাকে। বিভিন্ন কার্যবস্তুকে ফাইলিং, চিপিং, হ্যামারিং, সয়িং ইত্যাদি কাজের জন্য বেঞ্চ ভাইস ব্যবহার করা হয়।
রেঞ্জ (Wrench): নাট, বোল্ট বা স্টাডের ক্ষু অংশকে আটকানো বা গোলার জন্য যে টুলস ব্যবহৃত হয় উহাকে রেফ বলে। কখনো এটিকে স্প্যানারও বলা হয়। বোল্ট এর সাথে নাটকে টাইট দেওয়ার অন্য ব্রেঞ্চ ব্যবহার করা হয়।
পাইপ ডাইস্টক (Pipe die-stock): পাইপ ডাইস্টক মরিচা বা জীর্ণ মেরামত বা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়। তিনটি স্ক্রু ডাই স্টকের সাথে ব্যবহার করা হয় যা থ্রেড মেরামত করার সময় সারিবন্ধকরণে সহায়তা করে। টেম্পার পাইপ ডাইন্টক মরিচা বা জীর্ণ থ্রেড মেরাম বা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
স্ক্রু -ড্রাইভার (Screw Driver): স্ক্রু -ড্রাইভার এক ধরনের হ্যান্ডটুলস যা দিয়ে স্কুকে ঘুরিয়ে খোলা অথবা লাগানো যায়। নিম্নে কতিপয় স্ক্রু -ড্রাইভারের চিত্র দেওয়া হলো।
ড্রিল চাক অ্যান্ড চাক কি (Drill Chuck and Chuck Key): ড্রিল বিট একটি চাকের মাধ্যমে পোর্টেবল পাওয়ার ডিলের চাকে আটকানো থাকে। প্রচলিত ছিল চাকগুলি একটি তিন-চোয়াল বিশিষ্ট হয়ে থাকে যা বাইরের স্লিভের ঘোরানোর মাধ্যমে খোলা ও বন্ধ করা যায়; কিছু চূড়ান্তভাবে টাইট করতে একটি বিশেষ রেঞ্চ ব্যবহৃত হয় যা "চাক-কী" নামে পরিচিত। চাক-কী টি চাকের উপর একটি হোলে ঢোকানো হয় যাতে চাক কী এর দাঁতগুলো চাক স্লিভের সাথে মিলে গিয়ে দাঁতগুলোকে সংযুক্ত করে। চাক কী ঘুরিয়ে চূড়ান্তভাবে টাইট করা হয়।
নাম্বার পাঞ্চ (Number Punch): মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ ও মেটাল ওয়ার্কশপে কোনো জব না প্রডাক্টের যন্ত্রাংশসমূহকে জ্যাসেম্বলিং করার জন্য শনাক্ত করার স্যুবিধার্থে নামবার পাঞ্চ দিয়ে নাম্বারিং করা হয়। তাছাড়া প্রডাক্টের উৎপাদনের তারিখও ব্যাচ নাম্বার ধোলাই করে লেখার জন্যও নাম্বার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়।
লেটার পাঞ্চ (Letter Punch): ধাতব বা মেটালিক জবের উপর নাম ও শনাক্তকরণ চিহ্ন দেওয়ার জন্য লেটার পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো মেকানিক্যাল ও মেটাল ওয়ার্কশপে উৎপাদিত প্রডাক্ট বা যন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠানের লোগোসমেও প্রডাক্টের নাম লেটার পাঞ্চ দিয়ে লেখা হয়ে থাকে।
স্ক্রু এক্সট্রাক্টর - (Screw extractor) : স্ক্রু যদি হোলের মেটাল বা কাঠের হোলের ভিতর ভেঙ্গে যায় বা আটকে যায় তবে ক্ষু-এক্সট্যাক্টর দিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া বা আটকে যাওয়া স্ক্রু-কে অপসারণ করা হয়।
হ্যান্ড ভাইস (Hand vice): একটি হ্যান্ডেলের উপর একটি ছোট ক্র্যাম্প বা ভাইস ছোট জবকে ধরে রাখার জন্য হ্যান্ড ভাইস ব্যবহার করা হয়।
পিন ভাইস (Pin Vice): পিন ডাইস টুল হোল্ডিং ডিভাইস যা ছোট টুলকে ক্লাম্প করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
সি-ক্লাম্প (C-clamp): এটি দেখতে ইংরেজি সি অক্ষরের মতো। তাই এর এরূপ নাম হয়েছে। ভারী এবং হালকা উভয় ধরনের কাজে এটি ব্যবহার করা যায়।
যেসব টুলস বৈদ্যুতিক শক্তি, বাতাসের চাপ এবং ঘন তরলের চাপ দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদেরকে পাওয়ার টুলস বলা হয়। পাওয়ার টুলসমূহ মূলত প্রতিটি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশলে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে ।
পোর্টেবল এবং স্টেশনারি পাওয়ার টুলসমূহ সম্পর্কে এখানে আলোচনা এবং এই সরঞ্জামগুলির নিরাপদ অপারেশন সম্পর্কে বর্ননা করা হয়েছে। যথাশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ করলে টুলের সেলফ লাইফ এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঠিক সেট-আপ এবং অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করলে দুর্ঘটনা হ্রাস পায়।
বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত টুলসমূহ যখন ভুলভাবে ব্যবহার করা হয় তখন বিপজ্জনক হতে পারে। বিদ্যুতের উৎসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে যেমন বৈদ্যুতিক, নিউমেটিক, হাইড্রলিক ইত্যাদি। কর্মীদের সকল বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। তাদের সম্ভাব্য বিপদগুলি বোঝার পাশাপাশি সেই বিপদগুলি ঘটতে না দেওয়ার জন্য সুরক্ষা পদ্ধতি ও সতর্কতাসমূহ মেনে চলা উচিত। অনিরাপদ ভাবে ব্যবহারের ফলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নিউমেটিক টুল (Pneumatic Tool): নিউমেটিক টুল মূলত বায়ুর প্রেশারে অপারেট করা হয়। প্রাথমিক ভাবে বায়ুর প্রেশার টুলসে পাওয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয় যেমন নেইল গান, পেইন্ট স্প্রেয়ার, পিট মেটাল শিয়ারিং মেশিন ইত্যাদি।
সার্কুলার-স' (Portable Circular Saw) : পোর্টেবল সার্কুলার-স' বিভিন্ন ম্যটেরিয়াল সোজা ভাৰে সক্ষম। এই করাতের অন্যান্য নাম হল স্কিল-স', ইউটিলিটি-স' বৈদ্যুতিক হ্যান্ডস' এবং 'বিস্তার-স করাভটির হ্যান্ডেলে, করাত শুরু করার জন্য একটি ট্রিগার স্যুইচ থাকে। ব্রেডের দাঁতের মুখ ঘূর্ণনের দিকে থাকে। ব্রেডটি দুই গার্ড দ্বারা সুরক্ষিত। উপরে একটি রিএড আছে যা ব্রেডের সাথে কনট্যাক্ট করতে পারেনা এবং ফ্লাইং অবজেট আটকাতে সাহায্য করে। নীচে একটি স্প্রিং-লোড গার্ড আছে যা উপরের গার্ডের নীচে স্প্রিং করে যখন করাভটি দিয়ে কাট দেয়া হয়।
কাট-অফ স (Cut off saw): কাট-অফ-স' বা গ্রুপ- স ধাতব পদার্থ যেমন দোহা, সমতল বার, রড, এবং চ্যানেলসমূহকে সোজা বা কৌণিকভাবে কর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। কাট-অফ-স মেশিনে একটি পাতলা, ঘর্ষণকারী, বৃত্তাকার ভিন্ন- করাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ডিঙ্কটি খনিজ বা সিন্থেটিক থেকে তৈরি ফাইবার এবং রজন বস্তিং যুক্ত। এই ডিস্কসমূহ ২ নিশি থেকে ৩ মিনি (১/১৬ ইঞ্চি থেকে ১/৮ ইঞ্চি) পুরু এবং ১৫০ মিমি থেকে ৫০০ মিমি (৬ ইঞ্চি থেকে ২০ ইঞ্চি) ব্যাসে তৈরি হয়।
হ্যান্ড ড্রিল (Hand drill): পোর্টেবল বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ড্রিলিং হোল, ড্রাইডিং স্কু এবং স্টিয়ারিং পেইন্ট সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক ছিল কর্ড বা কর্ডলেস হতে পারে। কর্ড ড্রিল ডাবল ইনস্যুলেটেড বা তিন প্রান্তের হতে পারে। কিছু বৈদ্যুতিক ছিল একটি পিয়ল গ্রিপ থাকে একটি ট্রিগার সুইচ পিগুল গ্রিপের উপর অবস্থিত থাকে যাতে হালকা অপারেশনের সময় এক হাতে নিয়ে ব্যবহার করা যায়।
হ্যামার ড্রিল ( Hammer Drill): হ্যামার ছিল গাঁথুনি বা পাঘরের মধ্যে ড্রিল করতে সক্ষম। এর জন্য বিশেষ হ্যামার ছিলটি আছে যা হোল থেকে ওয়েস্টেজ সরানো এবং সরানোর সময় পাউন্ডিং করতে পারে। হ্যামার ভিলের একটি স্প্রিং-লোড চাক রয়েছে, যাতে বিটগুলিকে শক্ত না করে ঢাকের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়। ছিলবিট-টি চাকে শক্তভাবে ধরে রাখা হয় না, তবে পিস্টনের মতো পিছনে পিছনে স্লাইড করতে পারে। ঘূর্ণায়মান ড্রাইভ স্লাইডিং এ কীওয়ে ব্যবহার করা হয় যা শ্যাংকের শেষে খোলা থাকে, যা চাকের চাবিগুলির সাথে সেট হয়ে যায়।
ড্রিল প্রেস (Drill Press ) : বিভিন্ন কাজের উপযোগী ও সহজ অপারেশনের জন্য ভিলপ্রেস পাওয়ার টুলসের মধ্যে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি। একটি ভিলসে মেৰে বা বেঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ডিপ্রেসের চারটি মৌলিক অংশ হলো বেস, কলাম, টেবিল এবং হেড। টেবিলটি কলামের উপরে এবং নিচে সরানো যায়।
অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার (Angle Grinder): অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার এর একটি গ্রাইন্ডিংডিস্ক রয়েছে যা মোটরের অক্ষের দিকে ৯০° এ ঘোরে। ডিস্কের ব্যাস ১০০° মিমি থেকে ১৮০° মিসি (৪ ইঞ্চি থেকে ৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত, এবং প্রতিটি ডিস্কের ধরুন এবং আকার তার আরপিএম রেটিং নির্দিষ্ট থাকে। যেমন ৪ ইঞ্চি ডিক্সের আর পি এম ১৫৩০০ অর্থাৎ এই ডিক্সটি জাবশ্যই ডিক্সে উল্লেখিত আরপিএম এর কম আরপিএম মেশিনে ব্যবহৃত হতে হবে যদি এর অতিরিক্ত আরপিএম যুক্ত মেশিনে ব্যবহার করা হয় তাহলে ভিন্ন ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বেঞ্চ গ্রাইন্ডার (Bench Grinder): বেঞ্চ গ্রাইন্ডার সাধারণত মোটর শ্যাফটের উভয় প্রায়ে গ্রাইন্ডিং বা ভারের চাকার সাথে একটি বৈদ্যুতিক মোটর নিয়ে গঠিত। চাকাগুলো পার্ডের মধ্যে আবদ্ধ থাকে এবং সামনের দিকে একটি টুল রেস্ট এবং একটি স্পার্ক শীভ থাকে। অপারেটররা যাতে গ্রাইন্ডিং করতে পারে সে জন্য চাকাগুলো ঘুরে। ৰেফ গ্রাইন্ডার একটি বেঞ্চে বা ফ্রি-স্ট্যান্ডিং পেডেস্টালে মাউন্ট করা থাকে।
মেশিন টুলস হলো শক্তি চালিত যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা কাটিং টুলের সাহায্যে ওয়ার্কপিস থেকে নির্ধারিত পরিমাণ ধাতু অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আকার, আকৃতি ও মসৃণতা প্রদানে ব্যবহৃত হয়। যেমন-
লেদ মেশিন (Lathe Machine): একটি লেদ মেশিন হলো একটি মেশিন টুল যা একটি ঘূর্ণায়মান ওয়ার্কপিস থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ কেটে বস্তুকে প্রয়োজন অনুযায়ী আকৃতি প্রদান করে। লেদ মেশিন দ্বারা সাধারণত একটি একমুখো কাটিং টুল এর সাহায্যে স্পিন্ডলের সাথে সংযুক্ত চাকে বাঁধা অবস্থার ঘুরন্ত কার্যবস্তুকে কেটে প্রধানত সিলিন্ড্রিক্যাল, কোনিক্যাল, ফেসিং ইত্যাদি জব ও স্ফলু-থ্রেড তৈরি করা যায়।
শেপার মেশিন (Shaper Machine) শেপার মেশিন মূলত অনুভূমিক, উল্লম্ব ৰা সমতল পৃষ্ঠ উৎপাদন করার জন্য ব্যবহৃত মেশিনের একটি পারস্পরিক ধরনের। শেপারটি র্যামে একক পয়েন্ট কাটার সরঞ্জামটি ধরে রাখে এবং ওয়ার্কপিসটি টেবিলে স্থির থাকে।
প্ল্যানার মেশিন (Planer Machine) : প্ল্যানার মেশিন ভারী যন্ত্রাংশ বা ওয়ার্কপিসে সমতল পৃষ্ঠ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ওয়ার্কপিস টেবিলের উপর স্থাপন করা হয় এবং কাটিং টুল স্থির থাকে, টেবিল ওয়ার্কপিসসহ চলাচল করে অপ্রয়োজনীয় ধাতু কেটে ফেলে ইঙ্গিত আকৃতি প্রদান করে থাকে।
পেডেস্টাল ড্রিল মেশিন (Pedestal drill machine): পেডেন্টাল ড্রিল মেশিন হলো এক ধরনের পাওয়ার টুল যা ওয়ার্কশপের মেঝেতে সি.সি. ফাউন্ডেশন করে নাট-বোল্টের মাধ্যমে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা হয়। এই মেশিনকে পিলার ড্রিল মেশিনও বলা হয়। এটিকে ওয়ার্কশিসের পুরুত্ব অনুযায়ী ওয়ার্কবেক্ষকে সমন্বয় করা যায়। মেশিনটিতে মোটর ব্যবহার করে উচ্চ গতিতে ড্রিল টি রোটেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়, ওয়ার্কপিসে হোল বা ছিদ্র করা যায়।
মিলিং মেশিন (Milling Machine ) : মিলিং মেশিন একটি কাটিং টুল (Milling Cutter) ঘোরানোর মাধ্যমে একটি ষাভ জবের টুকরো থেকে অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলে প্রয়োজনীয় আকৃতি প্রদান করে থাকে। সিলিং মেশিনে সাধারণত উল্লম্ব বা অনুভূমিক, ফ্ল্যাট এবং অনিয়মিত পৃষ্ঠগুলি মেশিনিং করা হয়। পিয়ার, প্লাইন, ব্রেড, স্লট, ইত্যাদি তৈরি করতে ও ধাতব ওয়ার্কপিসের মধ্যে ড্রিং এবং বোরিং করতে মিলিং মেশিন ব্যবহার করা হয়।
পেডেস্টাল গ্লাইডার (Pedestal Grinder machine): পেডেস্টাল গ্রাইন্ডার লেন এবং সিলিং মেশিনে ব্যবহৃত উচ্চ-গতির ইস্পাত কাটার জন্য কাটিং টুলকে তীক্ষ্ণ করতে ব্যবহার করা হয়।
বোরিং ও হোনিং মেশিন (Boring and Honing Maching): বোরিং মেশিনে একটি বোরিং টুল দিয়ে বিদ্যমান ভিন্ন গুলিকে বড় কর হয় এবং হোনিং প্রক্রিয়ায় ওয়ার্কপিস মসৃণ করা ও সারফেস ফিনিস করা হয়।
পাওয়ার হ্যাকস মেশিন (Power Hacksaw): পাওয়ার হ্যাকস মেশিন ধাতু কর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। অ্যালুমিনিয়াম, পিতল, এবং হালকা স্টিল এবং অন্যান্য খাতব কার্যবস্তু পাওয়ার হ্যাকস-এর মাধ্যমে কর্তন করতে সক্ষম।
ব্র্যান্ড-স মেশিন (Band naw): একটি ব্যাঙ্ক- স হলো একটি পাওয়ার-স মেশিন যার একটি দীর্ঘ ধারালো ব্লেড থাকে যা বন্ধু বা মেটাল কাটার জন্য দুই বা ততোধিক চাকার সাথে বেস্ত করা থাকে । ধাতু কাটিং করার সময় এই ব্রেড কনটিনিউয়াস ভাবে চলতে থাকে।
ইনসট্রুমেন্ট সুলভ কোনো প্যারামিটার পরিমাপের জন্য বা কোনো প্যারামিটার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন- তাপমাত্রা ও চাপ পরিমাপ করা ইত্যাদি এবং ভালভ দিয়ে প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি। বিশেষ যন্ত্রগুলি প্রসেস প্যারামিটার পরিমাণ বা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইনস্ট্রুমেন্ট দুই ধরনের
১. অ্যানালগ বা মেনুয়্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট
২. ডিজিট্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট
যে সকল ইনস্ট্রুমেন্ট মাগগ্রহণ করতে, মাপ জানতে, ও মাপ পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয় সেসকল ইনস্ট্রুমেন্টকে মেজারিং ইনট্রুমেন্টস বলা হয়। মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট এর মধ্যে যেসকল টুলস সাধারণত মাপ পরীক্ষা করার কাজে ব্যবহার করা হয় তাদেরকে আলাদাভাবে টেস্টিং টুলস বলা হয়। যেমন- ট্রাই-স্কয়ার, কম্বিনেশন-স্কয়ার, বিভেল-প্রোট্রাক্টর, স্ট্রেইট-এজ, স্টিল-রুল ইত্যাদি। মেজারিং ইনস্ট্রুমেন্ট এর মধ্যে যেসকল ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরি করা বস্তু কাজের উপযোগী কিনা, এর মাপ গ্রহণযোগ্য সীমার মধ্যে আছে কিনা ইত্যাদি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার কাজে ব্যবহৃত হয়, সে সকল মেজারিং ইনট্রুমেন্টসমূহকে পেজ বলা হয়। যেমন- প্লাগ-গেজ, রিং-গেজ, স্ন্যাপ-গেজ, রেডিয়াস-গেজ, ইন্ডিকেটিং হোল-গেজ, স্ক্রু-পিচগেজ, ফিলার-পেজ ইত্যাদি।
- ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স (Vernier Calipers): ভার্নিয়ার ক্যালিপার হলো একটি সূক্ষ্ম পরিমাপক ও পরীক্ষণ যন্ত্র, যার সাহায্যে কোনো বস্তুর বা ওয়ার্কপিসের ভিতর, বাহির এবং গভীরতার মাপ সূক্ষ্মভাবে নেওয়া যায় বা পরীক্ষা করা যায়। এটির দুটি আউটসাইড 'জ' এবং দুটি ইনসাইড 'জ' থাকে। প্রতি জোড়া ‘জ’মিলিত অবস্থায় ভার্নিয়ার স্কেলের একপার্শ্ব বিম বা প্রধান স্কেলের সাথে শূন্য দাগে অবস্থান করে। ভার্নিয়ার ক্যালিপার দ্বারা কোনো প্রকার অতিরিক্ত হিসাব ছাড়াই একপার্শ্ব দিয়ে আউটসাইড এবং অপর পার্শ্ব দিয়ে ইনসাইড মাপ গ্রহণ করা যায়। তাছাড়া কোনো কোনো ভার্নিয়ার ক্যালিপারের মাথার দিকে ডেপথ প্রব থাকে যার সাহায্যে একই স্কেলের মাধ্যমে গভীরতার মাপও নেওয়া যায়।
মাইক্রোমিটার (Micrometer): মাইক্রোমিটার এক প্রকার সরাসরি বা প্রত্যক্ষ স্থাপনযন্ত্র । একে মাঝে মাঝে ক্ষু-গেজও বলা হয়। স্থির নাটের ভেতর দিয়ে ক্ষু-প্রড কাটা দন্ড বা বোল্টের যাওয়া আসা নীতির উপর ভিত্তি করে মাইক্রোমিটার তৈরি করা হয়। নাটের ন্যায় ক্রিয়াশীল অংশকে বিষল এবং বোস্টের ন্যায় ক্রিয়াশীল অংশকে ব্যারেল বলা হয়। ব্যারেলের উপর রৈখিক স্কেল দাগাংকিত থাকে যাকে প্রধান স্কেল বলা হয়। বিষলের বিডেল বা ঢালু প্রান্তে বৃত্তাকার স্কেল বা দিঘল স্কেল থাকে। এই দুই দাগ বিবেচনা করে মেজারমেন্ট নেয়া হয়।
ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্র্যাক্টর (Vernier Bevel Protractor): সাধারণ বিভেল প্রোট্যাক্টরের-এর সাহায্যে এক ডিগ্রীর চেয়ে কম কোনো কোপ পরিমাপ করা যায় না। কিন্তু ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্যান্টর-এর সাহায্যে সাধারণত এক ডিগ্রীর ১/১২ অংশ বা ৫ মিনিট কোণ পর্যন্ত পরিমাপ করা যায়। এটিকে ইউনির্ভাসেন বিষে প্রোট্র্যাক্টর ও বলা হয়। কৌণিক পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে এটি সুক্ষ্মভাবে কোণ পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি অত্যন্ত মূল্যবানও প্রয়োজনীয় যন্ত্র।
সাইন বার (Sin Bar): সাধারণত প্রোট্যাক্টর বা ভার্নিয়ার বিভেল প্রোস্টাক্টর-এর সাহায্যে যেসকল বস্তু বা যন্ত্রাংশের কোণের পরিমাপ সুক্ষ্মভাবে নেওয়া সম্ভব নয়, সেখানে সাইन বার ব্যবহৃত হয়।
স্পিরিট লেভেল (Spirit Level): স্পিরিট মেডেল হলো একটি পরীক্ষা করার যন্ত্র যা একটি সারফেস লেভেন পরীক্ষা করা হয়। এটিতে একটি প্লাস্টিক, কাঠ বা মাতৰ ফ্ৰেম থাকে যার মধ্যে একটি বায়ু বুদবুদ সহ তরল ভরা একটি কাচের নগ থাকে।
ট্রেড গ্যাজ (Thread gauge): কোনো বস্তুর বাহিরের বা ভিতরের তলে স্কু- থ্রেড করা থাকলে উহার পিচ কত অথবা উহাতে প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি ক্ষু-থ্রেড বর্তমান থাকে, উহা জানার জন্য ক্ষু-পিচ গেজ ব্যবহৃত হয়। এই গেজ দ্বারা ইঞ্চি ও মিলিমিটার সংক্রান্ত উভয় প্রকার প্লেডেরই মাগ নির্ণয় করা যায়।
ডায়াল ইন্ডিকেটর (Dial Indicator) : ওয়ার্কশপে ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি অতি প্রয়োজনীয় ডিভাইস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি দ্বারা কোনো যন্ত্রাংশের সমতলতা ও মসৃণতা নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করা যায়, কোনো জবকে মেশিনে নিখুঁতভাবে টাল ভেলে আবদ্ধ করা যায়, গোলাকার জবের এককেন্দ্রিকতা নির্ণয় করা যায়, অভি সুক্ষ্ম ও সঠিকভাবে অবকে কেন্দ্রীভূত করে বাধা যায় ।
ওয়ার গেজ (Wire Gauge): ওয়্যার পেল ওয়ান বা ভারের ব্যাস সুক্ষ্মতাৰে পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ওয়্যার গেজের প্লেটের চাকতিকে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর পরিষ্কার নরম ও পাতলা কাপড় দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে উত্তম রূপে তেল বা পাতলা করে গ্রীজ লাগিয়ে যথাস্থানে রাখতে হবে।
যে সমস্ত ইনস্ট্রুমেন্টে মেজারমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল রিডার ব্যবহৃত হয় সেই ইনট্রুমেন্টকে ডিজিটাল ইনট্রুমেন্ট বলে।
এখানে কতিপয় ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্টস এর সচিত্র পরিচিতি দেওয়া হলো-
টেকোমিটার (রিভলিউশ্যান- কাউন্টার RPM গেজ): এটি এমন একটি যন্ত্র যা মোটর বা অন্যান্য মেশিনের শ্যাফট বা চাকের ঘূর্ণন পত্তি পরিমাপ করে।
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার : এটি এমন একটি ডিভাইস যা কপাল থেকে নির্গত ইনফ্রারেড আলোর তীব্রতা শনাক্ত করে মানুষের দেহের তাপমাত্রাকে পরিমাপ করতে সক্ষম। এটি পরিমাপ করা তাপকে এলসিডি স্ক্রিনে ডিজিটাল সংখ্যায় সুক্ষ্মভাবে পাঠ দিয়ে থাকে।
মাল্টিমিটার (Multimeter): এটি অ্যাভোমিটার (AVO meter) নামেও পরিচিত। এটি একটি ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্র, যেখানে বিভিন্ন পরিমাপের কাজ একটি ইউনিটে একত্রিত থাকে। একটি সাধারণ মাল্টিমিটার বিভৰ (Voltage), প্রবাহ (Current) এবং রোধ ( Resistance) পরিমাপ করতে পারে।
এয়ার ফ্লো মিটার: এই মিটার দিয়ে কোনো নলের ভিতর দিয়ে বাতাসের প্রবাহ বা গ্যাসের প্রবাহ পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল ক্যালিপার্স: এটি ভার্নিয়ার কালিপার্সের মেজারমেন্ট ডিজিট্যাল রিডারে প্রকাশ করে। আলাদা ভাবে কোনো হিসাব করার প্রয়োজন হয় না।
১. টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট কি?
২. স্ক্রাইবারের কাজ কি?
৩. ডিভাইডার কাজ কি?
৪. ভার্নিয়ার হাইট গেজ?
৫. হ্যাক্স কি?
৬. মেজারিং টুলস কি?
৭. ট্রাই-স্কয়ার কাজ কি?
১. সেন্টার ড্রিল কেন ব্যবহার করা হয়?
২. স্ক্রু এক্সট্র্যাক্টর কি কাজে লাগে?
৩. নিউমেট্রিক টুল কি?
৪. কাট-অফ-স' এর কাজ কি?
৫. থ্রেড গেজ ও ওয়ার গেজের পার্থক্য কি?
৬. পাইপ কাটার ও মিলিং কাটারের পার্থক্য কি?
৭. সেন্টার পাঞ্চ ও ডট পাঞ্চ এর পার্থক্য কি?
১. মেকানিক্স কাজে টুলস ও ইনস্ট্রুমেন্ট কয়ভাগে বিভক্ত করা যায় ও কি কি?
২. কাটিং টুলস কাকে বলে? ৫টি কাটিং টুলের কাজ উল্লেখ করো?
৩. হ্যান্ড ড্রিল ও হ্যামার ড্রিল এর পার্থক্য কি?
৪. মেশিন টুলস্ কাকে বলে ৫ টি মেশিন টুলসের নাম উল্লেখ করো ?
৫. কাউন্টার বোরিং ও কাউন্টার সিংকিং এর পার্থক্য কি?
Read more