এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা রিকভারি কী এবং রিকভারি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানব ।
৪.৩.১ রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি রেফ্রিজারেশন বা এয়ার-কন্ডিশনিং ইউনিট থেকে নিরাপদে রেফ্রিজারেন্ট বের করে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি অজৈব পদার্থ যাকে Synthetic Compound বলে । এই হিমায়ক যদিও রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং এ রক্তের মত ব্যবহার হয় তবুও এর কিছু ভয়ানক প্রভাব রয়েছে। আমাদের পরিবেশের জন্য যা খুবই ক্ষতিকর। রেফ্রিজারেন্ট রিকভারির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা । যখন ইউনিটের মেকানিক্যাল কোন অংশে কাজ করার প্রয়োজন হয় (যেমন- কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর বা অন্য কোন মেকানিক্যাল অংশ পরিবর্তন অথবা ইউনিটের মেকানিক্যাল অংশের মেরামত) তখন রেফ্রিজারেন্টকে বাতাসে ছেড়ে না দিয়ে রিকভারি করতে হয়।
রিকভারি পদ্ধতি
মূলত তিনটি পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি করা হয়-
১। ভ্যাপার রিকভারি পদ্ধতি
২। তরল রিকভারি পদ্ধতি
৩। পুশ-পুল রিকভারি পদ্ধতি
ভ্যাপার ও লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি
ভ্যাপার ও তরল রেফ্রিজারেন্টের রিকভারি পদ্ধতি অনেকটা একই রকমের। সাধারণত ছোট ইউনিট যেমন- বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর, এয়ার-কন্ডিশনার ইত্যাদিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ইউনিটে ভ্যাপার ও লিকুইড রিকভারি এর মধ্যে লিকুইড রিকভারি করাই উত্তম। শুধুমাত্র ভ্যাপার লাইন থেকে রিকভার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এমনও হতে পারে যে কোন ইউনিটে ব্লক ছিল তাই রিকভারি করার সময় শুধুমাত্র লো সাইড অংশের রেফ্রিজারেন্টটুকুই রিকভারি হয়েছে। হাই সাইডের রেফ্রিজারেন্ট ইউনিটেই রয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে ভাল হয় যদি লিকুইড লাইনে পিয়ার্সিং অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা যায় ।
পুশ-পুল রেফ্রিজারেন্ট রিকভারি পদ্ধতি
বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট যেখানে লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট খুব বেশি পরিমানে থাকে সেখানে সাধারণ রিকভারি অনেক সময় সাপেক্ষ হয়। এই ইউনিট গুলিতে পুশ-পুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেসব ইউনিটে ১৫ পাউন্ড বা প্রায় ৭ কেজির বেশি রেফ্রিজারেন্ট থাকে সেসব ক্ষেত্রেই এই পুশ-পুল পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। ভ্যাপার দিয়ে ধাক্কা দিয়ে লিকুইড এনে সিলিন্ডারে আটকে রাখার প্রক্রিয়াকে পুশ-পুল বলা হয় ।
রেফ্রিজারেশন ইউনিট মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন
আরও দেখুন...