রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১

রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

১.৪.৩ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সেক্টরের মাধ্যমে ওজোন স্তরের ক্ষতি

বর্তমান ও অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বড় যে হুমকি তা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আমাদের যেমন শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি আমাদের পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ বা হিমবাহ গলে যাচ্ছে। এই বরফ বা হিমবাহ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গলে যায় তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে । এতে ধারণা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর মানচিত্রের নিম্ন অঞ্চলের দেশ যেমন - বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভারত, শ্রীলংকা সহ বিভিন্ন দেশের কিছু অংশ চিরদিনের জন্য সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।

এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারনের মধ্যে অন্যতম হলো ওজোন স্তরের ক্ষতি। কার্বন ডাই অক্সাইড, সিএফসি (CFC) গ্যাস সহ বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এই ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং -এ সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক ব্যবহার করা হয়। যখন রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ছিদ্র বা লিক হয় তখন এই সিএফসি (CFC) যুক্ত হিমায়ক বায়ুমন্ডলের সাথে মিশে গিয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে।

ওজোন স্তরের ক্ষতি কমানোর জন্য

  • রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্টকে ছেড়ে না দিয়ে সংরক্ষণ এবং পুনঃব্যবহার করা উচিৎ
  • পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্টের ব্যবহার করা উচিত যেমন: R - 123, R - 134a, R-695, হাইড্রোকার্বন ব্লেন্ড
  • সেই সকল রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা উচিত যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং যাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান কম থাকে ।

 

 

Content added By
Promotion