"শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান" কথাটির অর্থ গভীর ও ব্যাপক। ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসাথে মিলেমিশে আনন্দের সাথে থাকা, ভয় থেকে মুক্তিলাভ ও মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্প্রীতি স্থাপন করাই হলো শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। একত্রে বা ঐক্যে বসবাস করলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না, কিন্তু শান্তিপূর্ণ চিন্তা-ভাবনায় বাস্তব জীবন যাপন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আচরণের কারণে মনের মধ্যে শান্তি লাভ করি। মনের শান্তি, পারিবারিক শান্তি ও সামাজিক শান্তি ছাড়া সহাবস্থান সম্ভব নয়। পরিবারিক শান্তি, খ্রীষ্টমণ্ডলী ও সমাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই পারিবারিক শান্তি একান্তভাবে প্রয়োজন। যেখানে সহযোগিতা ও ত্যাগ স্বীকার থাকে সেখানে একত্রে বাস করা সহজ হয়। মানুষের মন যখন শান্ত ও সন্তুষ্ট থাকে তখন শান্তিতে সহাবস্থান সম্ভব হয়।
সহাবস্থানের জন্য পরিবার, কৃষ্টি, ভাষা, জাতি, প্রতিবেশী ও দেশ পরস্পরের সাথে গ্রহণযোগ্য সম্পর্ক থাকা দরকার। সহাবস্থানে থাকার জন্য জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সম্প্রীতি ও সমঝোতা থাকা প্রয়োজন। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যীশু বলেছেন, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো প্রেম করবে" (লুক ১০:২৭)। শান্তির জন্য সহনশীলতা, ধৈর্য, মিল, ঐক্য ও সমন্বয় থাকতে হবে। তার জন্য একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, গ্রহণ ও মেনে নেয়ার মধ্যদিয়ে শান্তিতে থাকা সম্ভব।
ক) ভেবে উত্তর লিখি।
i) শান্তিতে সহাবস্থান বলতে কী বুঝি?
ii) প্রতিবেশীকে ভালোবাসা বলতে কী বুঝি?
iii) শান্তিতে সহাবস্থান প্রয়োজন কেন?
iv) পবিত্র বাইবেলে শান্তিতে সহাবস্থান বিষয়ে কী লেখা আছে?
খ) শান্তি স্থাপনের একটি ঘটনা বলি।
এ পাঠে শিখলাম
- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কী তা জানতে পেরেছি।
Read more