সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল (১৯৭২-১৯৭৫) | NCTB BOOK
712
Summary

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭২ সালের ১১ই জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর 'অস্থায়ী সংবিধান আদেশ' জারি করে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১২ই জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী শপথ গ্রহণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত কার্যক্রম চালায়। এই সময়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর ধ্বংসস্তুপ থেকে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি পাওয়ার মাধ্যমে দেশটির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থার ধরন কী হবে, এই সম্পর্কে তখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি । স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরদিনই ১৯৭২ সালের ১১ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভায় দীর্ঘ আলোচনার পর 'অস্থায়ী সংবিধান আদেশ' জারির মাধ্যমে দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১২ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের নিকট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন । একই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ।

এই ব্যবস্থা সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর গভীর আস্থার পরিচয় বহন করে । ১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত হয়। এই সরকার মাত্র তিন বছর সাত মাস তিন দিন দায়িত্ব পালনের সুযোগ পায় । এই স্বল্পতম সময়ে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বিধ্বস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশসমূহ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ৷

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...