এখন পর্যন্ত আমরা তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টিকারী বিভিন্ন সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জেনেছি এবং ঐ সকল অপরাধের মানুষের জীবনে বহুমাত্রিক প্রভাব চিহ্নিত করতে পেরেছি। সাইবার অপরাধের শিকার হলে আমাদের করণীয় কাজসমূহ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। ইন্টারনেট ব্যবহারে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার চর্চা করতে পেরেছি।
এই পর্যায়ে এসে আমরা সব কিছুর সমন্বয়ে একটি শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাব। এই শিখন অভিজ্ঞতা হবে একটি নাটিকা। এই নাটিকার পেছনে থাকবে একটি গল্প, যেটি আমরা নিজেরাই লিখব। সেই গল্পের চরিত্রগুলোতে আমরাই অভিনয় করব। নাটিকাটির নির্দেশনাও আমরা দিব।
আগের শ্রেণিতে 'ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মাধ্যমে অপরাধ ঘটানো' একটি নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্টে আমরা নাটিকার মাধ্যমে তা উপস্থাপন করেছিলাম।
এবার তিনটি দলে ভাগ হয়ে, কোনো একটি সাইবার অপরাধ ও তার প্রতিকার অথবা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতায় তিনটি নাটিকার স্ক্রিপ্ট লেখব। আমরা নাটিকার স্ক্রিপ্টটি এমনভাবে লিখবো যাতে সেটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে প্রদর্শন করা যায়।
প্রতি দলের আবার কাজ ভাগ করা থাকবে কারা নাটিকাটি পরিচালনা করবে, কারা লেখবে, কারা অভিনয় করবে ইত্যাদি।
প্রথমে আমরা নিচের বাক্সে আমাদের দলের নাম, দলের সদস্যদের নাম এবং নাটিকার নামটি লিখে ফেলি।
নাটিকার নাম: |
দলের নাম: |
সদস্যদের নাম:
|
এরপর আমরা ঠিক করব আমাদের নাটিকার গল্পটি কী হবে এবং তাতে কী কী চরিত্র থাকবে। সেটি নিচের ঘরে লিখে ফেলি।
নাটিকার গল্প :
|
নাটিকার চরিত্রসমূহ:
|
এখন আমরা দৃশ্যগুলো একে একে লিখে ফেলব। বাড়তি কাগজ লাগলে আমাদের নিজেদের খাতার কাগজ ব্যবহার করব।
দৃশ্য ১:
|
দৃশ্য ২: |
|
এরপর আমরা ক্লাসের সব নাটিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তা প্রদর্শনীর আয়োজন করব। তিনটি নাটিকার প্রদর্শনীই আমাদের শিক্ষক তার মোবাইল ফোনে ধারণ করবেন। ধারণকৃত নাটিকার ভিডিওগুলো আমাদের শিক্ষক সংগ্রহ করবেন। পরবর্তী সেশনগুলোতে আমরা আমাদের নিজেদের দলের নাটিকার প্রদর্শনীর ভিডিওটি এডিটিং করা শিখব।
অথবা আমাদের নাটিকার গল্পগুলো থেকে সাইবার অপরাধ থেকে সচেতন থাকার জন্য যে মূল বার্তাগুলো দিব তা নির্দিষ্ট জায়গায় লেখে রাখব। পরবর্তী সময় সেশনগুলোতে আমাদের দলের নাটিকাটির মূল বার্তাগুলো নিয়ে ইনফোগ্রাফি তৈরি করব। তিনটি দলের তিনটি ইনফোগ্রাফি তৈরি শেষে আমাদের শ্রেণির দেওয়ালে টানিয়ে সকলের জন্য প্রদর্শনীর আয়োজন করব। পরবর্তীকালে এই ইনফোগ্রাফি গুলো আমাদের বিদ্যালয়ের জরুরি সেবা কেন্দ্রে সংরক্ষণ করব।
আরও দেখুন...