চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির এই প্রসারের ফলে, অনেক ধরনের সাইবার অপরাধের মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা শেষে আমরা ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে জেনে নিরাপত্তা কৌশল চর্চা করার মাধ্যমে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।
সাইবার অপরাধীরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে আমাদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলতে পারে। তাই সাইবার অপরাধ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার উপায় সম্পর্কে জানা আমাদের সকলের জন্য অতীব জরুরি। এবার চলো একটি ঘটনার দিকে লক্ষ করি...
আবীর একদিন তার মোবাইল ফোনটি ভুলবশত তার বন্ধুর বাসায় ফেলে এলে তার বন্ধু সেটি হাতে নিয়ে কৌতূহলবশত প্রবেশ করার চেষ্টা করে। যদিও মোবাইল ফোনটিতে পাসওয়ার্ড দেওয়া ছিল তারপরও তার বন্ধু অনুমান করে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড দিয়ে বারবার মোবাইলটিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং এক সময় সে সফলও হয়ে যায়। এতে করে আবীরের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য ও ডকুমেন্ট তার বন্ধুর কাছে চলে যায়। |
আগের শ্রেণিতে আমরা জেনেছি কীভাবে শক্ত বা কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। কারণ পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক খুব সহজ দেওয়া থাকলে অনুমান করে ডিভাইসগুলোতে প্রবেশ করা সহজ হয়। উপরের ঘটনাটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, আবীরের মোবাইলের পাসওয়ার্ডটি খুব বেশি কঠিন না থাকায়, তার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল।
বাস্তব জীবনে একজন চোর যেমন একটি তালাবদ্ধ রুমে প্রবেশ করার জন্য বিভিন্ন রকম চাবি দিয়ে সেই তালা খোলার চেষ্টা করে তেমনি ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধীরা মানুষের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট যেমন- ব্যাংক, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট আবার অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসে অবৈধভাবে প্রবেশ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে এবং ওইগুলো দিয়ে একের পর এক অনুমান নির্ভর চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে সফল হলে, তারা ঐ ব্যক্তির বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে। এটি এক ধরনের সাইবার আক্রমণ যা অবশ্যই একটি গুরুতর সাইবার অপরাধ। প্রযুক্তির ভাষায় একে ফ্রুট ফোর্স অ্যাটাক (Brute Force Attack) বলা হয়। |
এবার আমরা নন-ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিজিটাল মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে সে রকম অভিজ্ঞতাসমূহের একটি তালিকা তৈরি করি।
নন-ডিজিটাল মাধ্যম | ডিজিটাল মাধ্যম |
১। | ১। |
২। | ২। |
৩। | ৩। |
8। | 8। |
৫। | ৫। |
ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একটু অসচেতন হলেই সাইবার অপরাধের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা অনেক বড় ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। অন্যের করা সাইবার অপরাধের কারণে আমরা বিভিন্ন কঠিন বিপদে পড়তে পারি। আমাদের দেশে সাইবার অপরাধীর বিচারে কঠিন আইনের বিধান রয়েছে। তবে সচেতনভাবে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জীবনকে অনেক সহজ এবং উন্নত করা যায়।
জেনে রাখি: ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ রয়েছে, যার মাধ্যমে তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হয়। যেমন: ডাটা ইন্টারসেপশন (Data Interception) ডি ডস অ্যাটাক (DDos Attack) হ্যাকিং (Hacking) কম্পিউটার ম্যালওয়্যার (Computer Malware) ইত্যাদি। |
চলো আমরা উপরে উল্লেখিত সাইবার অপরাধসমূহ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানি।
ডেটা ইন্টারসেপশন (Data Interception):
এবার আমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে মাইন্ড ম্যাপিং-এর সাহায্যে উপরে উল্লেখিত সাইবার অপরাধগুলোর বিভিন্ন বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে মাইন্ড ম্যাপটি পূরণ করব।
আরও দেখুন...