সারসংক্ষেপ

পঞ্চম শ্রেণি (ইবতেদায়ী) - বিজ্ঞান - বায়ু | | NCTB BOOK

বিভিন্ন ধরনের পদার্থ যেমন— রাসায়নিক পদার্থ, গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করে। এই দূষণ জীব ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে।

বায়ু দূষণের কারণ

মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বায়ু দূষণের একটি বড় কারণ । বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস নির্গত হয়। কলকারখানা ও যানবাহন থেকে এ সকল গ্যাস বায়ুতে আসে। গাছপালা পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া থেকেও বায়ু দূষিত হয়। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা ও মলমূত্র ত্যাগের কারণে বায়ুতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং বায়ু দূষিত হয় ।

মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব

বায়ু দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। পরিবেশের উপরও বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস ছড়ায়। এই সকল গ্যাস বায়ুতে বেড়ে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও এসিড বৃষ্টি হচ্ছে। কলকারখানার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের গ্যাস মেঘের সাথে মিশে যাওয়ার ফলে এসিড বৃষ্টি তৈরি হয়। এসিড বৃষ্টির ফলে জীবের ক্ষতি হতে পারে বা জীব মারা যেতে পারে।

কীভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করা যায়

শক্তির ব্যবহার কমিয়ে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে পারি। যেমন— বাতি বন্ধ রেখে, গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করে ইত্যাদি। এছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনর্ব্যবহার করে ও রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে এবং গাছ লাগানোর মাধ্যমেও বায়ু দূষণমুক্ত রাখতে পারি।

আলোচনা

আমরা কীভাবে বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি ?

কী করব?
 

১. উপরের পাশে দেখানো ছকের মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি ? 

২. ছকে বায়ু দূষণ প্রতিরোধে কী কী করব তার একটি তালিকা তৈরি করি। 

৩. সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করে কাজটি সম্পন্ন করি।

Content added By
Promotion